তেপান্তর

আমরা ভার্সিটিতে ওঠার আগেই সমবয়েসী নীলাঞ্জনারা বড় হয়ে যেতে লাগল দ্রুত। আমাদের চেয়ে বড় বড় বিদেশফেরত ভাইদের হাতে মেহেদীরাঙা হাত তুলে দিয়ে সোনিয়া, টুম্পারা যখন মিন মিন করে কবুল বলছে, তখন চায়ের দোকানে বসে আমরা পান্থদার কাছে মিতুলের ঝাড়ি খাওয়া দেখছি। কৈশোরের পনের আনা সময় যে বালিকার কথা ভেবে কাটিয়ে দেয়া হয় তাকে সময়মত বলে ফেলার সাহস অর্জন করতে না পারায়, বাবার পরিবর্তে মামা হয়ে যাওয়ার করুণ ট্র‍্যাজেডি স্বচক্ষে দেখার সেই চিরায়ত বৃত্ত থেকে বের হতে পারে নাই আমার বাবা, তার বাবা, তার বাবা। মিতুল এমন মহামানব গোছের কেউ না। সেও যে বের হতে পারবে না সেটা তো জানা কথা। জানা কথার জন্য ঝাড়ি খায় না কেউ। মিতুল যে অজানা কাজটা করে ফেলেছে সেটা হচ্ছে সোনিয়ার বিয়েতে ওয়েটারের কাজ করা। না বলা ভালোবাসার নিদর্শন হিসেবে সে শুধু বিয়েতে গিয়েই দায়িত্ব শেষ করেনি, নিজ হাতে সোনিয়ার বরের প্লেটে খাসির বাট্টারান তুলে দেয়ার দায়িত্বও নিপুণ ভাবে পালন করে এসেছে।
আমরা চুপচাপ দেখছি, চায়ের দোকানের বেঞ্চিতে মাথা নিচু করে বসে আছে মিতুল। তার সামনে বসে পান্থদা সিগারেট টানছেন দশ মিনিট ধরে। দশ মিনিটে তার মুখ থেকে একটা কথাও বের হয়নি। কথায় বলে, প্রবল ঝড়ের আগে প্রকৃতি চুপচাপ হয়ে যায়। মিতুল, এবং সেইসাথে আমরাও প্রবল ঝড়ের অপেক্ষা করছি।

– একটা মেয়ে ! মেয়েই তো? নাকি? ব্রায়ান লারাও না। বিল ক্লিনটন ও না। তার জন্য এত ক্যান? লজ্জা নাই তোর? শরম নাই? তুই গেসস তার জামাইরে ভাত বাইড়া খাওয়াইতে। নিজের বাপের প্লেটে ভাত তুইলা দিসস কয়দিন?

মিতুল চুপ। চুপ আমরাও। নারীসংক্রান্ত ব্যাপারে পান্থদার ইতিহাস পরিষ্কার। আমরা তখন ক্লাস থ্রী-ফোরে পড়ি। পান্থদা পাড়ার পুকুরপাড়ে বসে সন্ধ্যায় আড্ডা দেন। বিকালে ক্রিকেট মাঠে টুটুলের বলে ছক্কা মেরে আইনুল চাচার জানালার কাঁচ ভেঙে ফেলেন। শীতে ব্যাডমিন্টনের কোর্ট কাটাই হোক আর জামিল চাচা মারা যাওয়ার পর খাটিয়া টানাই হোক- পান্থদা থাকতেন সবজায়গায়। কিন্তু তারপরও পান্থদাকে পছন্দ করত না কেউ। পছন্দ করতাম আমরা। আর পছন্দ করত তিতলী আপা। তিতলী আপা ছিল পাড়ার সবচে সুন্দর মেয়ে। আমাদের মধ্যে সবচে নারীবাজ মুন্না, যে কিনা নারীবিদ্বেষী পান্থদার সাগরেদ হয়েও লুকিয়ে একাধিক প্রেমিকা “পালে”, সেও বাচ্চাকালে বলেছে তিতলী আপার বয়স আমাদের সমান হলে সে সব বেচে দিয়ে তিতলী আপার পিছে ঘুরত। পান্থদা দেখতে রাজপুত্র ছিলেন না। সাধারণ ছিলেন। গাল ভাঙা, অল্প অল্প দাড়ি থুতনিতে, রোগা শরীর।পান্থদার ভাষায় -জগতে “প্রেম” বলতে কোন কিছু নাই। সব বয়সের দোষ। আর প্রেমিকা বলেও কিছু নাই। সব গরু। গরুকে যেমন তিনবেলা খড় দিয়ে পালতে হয়, সেইরকম প্রেমিকাকেও পালতে হয়। গিফট দিয়ে, মিষ্টি মিষ্টি কথা দিয়ে। শুধু গরুর সাথে প্রেমিকাদের পার্থক্য হচ্ছে, গরু শান্ত প্রাণী। তাদের দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখলেই হয়। কিন্তু প্রেমিকারা দড়ির বাঁধনে থাকে না। তারা নিজেরাই বাঁধতে পছন্দ করে বেশি।
তাই, তিতলী আপার কান্নায় তার নিজের পাঠানো চিরকুট বারবার ভিজলেও পান্থদার মন ভেজেনি। পান্থদা নিয়মিত তিতলী আপার চিরকুটের আগুনে বিড়ি ধরিয়েছেন। বিড়ি ধরাতে ধরাতে বিরক্ত গলায় বলেছেন- ” এত ভিজাইলে আগুন ধরানো যায়? ধোঁয়া আর ধোঁয়া! ”

মহামানবেরা যুগে যুগে জন্মায় না। পান্থদা ছিলেন আমাদের চোখে মহামানব। কারণ সাধারণ মানুষ তিতলী আপার চোখের দিকে তাকালেই পল্টি খেয়ে যাবে । কিছু মেয়ে থাকে যাদের গায়ে খোদা তা’লা “আউট অফ বাউন্ড” ট্যাগ দিয়ে পাঠিয়ে দেন। তাদের দেখে মানুষ দীর্ঘশ্বাস ফেলতে ফেলতে বলবে “আহারে!” কিন্তু চিরকুট পাঠাতে পারবে না। দিনশেষে তারা লাল ঘোমটা মাথায় দিয়ে প্রেমহীন জীবন নিয়ে পরের ঘরে চলে যাবে। তিতলী আপা ছিলেন সেই ধরণের মেয়ে। সেই তিতলী আপাই পান্থদাকে চিরকুট পাঠাতে পাঠাতে হতাশ হয়ে এক বছরের মাথায় বিদায় হলেন শ্বশুরবাড়িতে। পাড়ায় এই প্রথম কোন একটা বিয়েতে পান্থদা গেলেন না।
শৈশবের সেসব দিনে পান্থদা মানে জীবন্ত রুপকথা। হঠাৎ হঠাৎ কোথায় হাওয়া হয়ে যেতেন। যেদিন ফিরতেন সেদিন আমরা দেখতাম তার গালভর্তি দাড়ি। সেদিনের সন্ধ্যায় আমরা জানতাম, দিনাজপুরের কোন পাহাড়ে দাঁড়ালে দূরে হিমালয় দেখা যায়, কোন নদীতে জোয়ার এলে পানি আগুনের মত লাল হয়ে যায় কিংবা ট্রেনের ছাদে পৌষের বাতাস কেমন কাঁটা হয়ে বিঁধে শরীরে। আমরা কি হব বড় হয়ে সে প্রশ্ন জিজ্ঞেস করলে আমরা বলতাম ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, মাস্টার। অথচ ভেতরে ভেতরে আমরা জানতাম আমরা সবাই পান্থদা হতে চাই। শুধু সে সাহস ছিল না আমাদের কারো। না তিতলী আপার মত কারো ভালোবাসায় “না” বলার, না বাড়ি ছেড়ে একা পালিয়ে যাওয়ার।

সমবয়েসী নীলাঞ্জনাদের মত অত দ্রুত না হলেও আমরা বড় হতে লাগলাম নিজেদের মত। রুলপেন্সিল ছেড়ে বলপেন। সাধারণ বিজ্ঞান ছেড়ে পদার্থবিদ্যা, রসায়ন। আমাদের চোখে পান্থদা বড় হয়ে গেছেন আগেই। তার বড় হওয়ার বাকি নেই আর। আমাদের মধ্যে প্রথম ঢাকায় গেল রাশেদ। কলেজে পড়তে। যাওয়ার আগে রাশেদকে জড়িয়ে ধরে কাঁদলাম সবাই। সেদিনই প্রথম আমরা পান্থদাকে কান্না লুকাতে দেখলাম। জানলাম, আমাদের জন্য কি বিশাল ভালোবাসার সমুদ্র বুকে নিয়ে আছেন পান্থদা।

কলেজে উঠলাম। তিনবেলা ভাত খাওয়ার মত নিয়ম করে মুন্না প্রেমে পড়তে লাগল একের পর এক। পান্থদার সাথে ঘুরে ফিরেও শেষ বিকেলে কোন একজনের মন কেমন কেমন করত আমাদের সবারই। শুধু কেউ কাউকে বুঝতে না দিয়ে পান্থদার কথা শুনতাম। পান্থদা বলতেন -“এইটা একটা জীবন হইল মানুষের? কেমনে কেমনে শেষ হয়ে যায়। বিয়া করে, ন্যাদা বাচ্চা হয়। তাদের মানুষ করেই জীবন শেষ। শোন, মানুষ হইতেসে দুইরকম। একটা জ্যাতা মানুষ। আর বাকিরা মরা। এই যে আমরা আছি- খাই, দাই, ঘুইরা বেড়াই। আমরা জ্যাতা। আমাগো বাপ মা বিয়া কইরা ফেলসে। তারা মরা। জ্যাতা আর মরার মধ্যে বিবাহিত বলতে কিছু নাই।”
এসব কথার ভিড়েও সৌরতারা ছাওয়া সেই আকাশের নিচে অচেনা বা অধরা “কোনো একজনের জন্য” আমাদের আলাদা আলাদা দীর্ঘশ্বাস কেউ শুনেছে কিনা কে জানে।

কলেজ পর্যন্তই গল্পগুলো ছিল “আমাদের”। তারপরের গল্পটায় “আমরা” বলতে কিছু নেই। পান্থদা নেই, মুন্না নেই, পিকলু নেই, রাশেদ-মিতুল কেউ নেই। একসাথে থাকতে চেয়েও কিভাবে যেন আলাদা হয়ে গেলাম সবাই। ভার্সিটি। তারপর চাকুরি। গ্রামে যাই না বহুদিন। এর মাঝে আমার পোস্ট গ্রাজুয়েশনের ডাক এসেছে।
আমাদের সময় ফেইসবুক ছিল না। চিরকুট ছিল, একমাত্র টেলিফোন ছিল শ্যামলী বাড়িতে। তাই ধীরে ধীরে কেমন একা হয়ে যাওয়া মফস্বলে আমাদের পাড়াটার খবর ফেইসবুকে আসে না, নিউজ পোর্টালে আসে না। কয়েক হাজার মাইল দূরে বসে আমরা খুব আস্তে আস্তে স্বার্থপর হয়ে যাই নিজেদের মত। আমরা ভুলে যাই কোন এক কার্তিকের বিকেলে আমরা পান্থদা হতে চেয়েছিলাম।

পান্থদার সাথে আমার শেষবার যখন দেখা হয় তখন আমার পোস্ট গ্র‍্যাজুয়েশন শেষ। বাবা মারা গেছেন। আমার ঘাড়ে হাত দিয়ে পান্থদা কান্না আড়াল করছিলেন। আমি পান্থদাকে দেখে অবাক হয়েছিলাম। আমাদের পান্থদা, যিনি স্যান্ডো গেঞ্জির উপরে বুকখোলা শার্ট চাপিয়ে চায়ের দোকানে আড্ডা দিতেন, সেই পান্থদা কোথায় যেন অল্প অল্প করে বদলে গেছেন।

বর্ষার শেষ প্রায়। আম্মা অসুস্থ। বহুদিন পর আমি শ্যাওলা ধরা দেয়ালের আমাদের পাড়ার গন্ধ নিতে ফিরে এলাম। অনেক বদলে গেছে সব। মঞ্জু ভিলার দোতলা দালানটা ভেঙে একটা বড় ফ্ল্যাট তোলা হচ্ছে। মিজান মামার টং এর ওখানে একটা ভ্যারাইটি স্টোর। যেখানে পা দুলিয়ে আমরা আড্ডা দিতাম, সেখানে বসে অল্পবয়েসী একটা ছেলে কার সাথে যেন ফোনে কথা বলছে। আমি একটা দোকানে বসা দোকানদারের দিকে তাকাই, চেনা চেনা লাগে । স্বাস্থ্য ভালো, নাকের নিচে গোঁফ, চুলে পাক। -“আরে! পান্থদা না? ”
– তাই তো মনে হয় রে!
– নিজের দোকান?
-পান্থ কখনো ধার কর্জ করে কিছু চালাইসে? আমি হাসি। আমাকে ডেকে বললেন, “বস! চা-টা খা! ” আমি চা খেতে খেতে সুখ দুঃখের আলাপ করি – কেমন আছি, কি করি, কি কি দেখলাম। কথার মাঝখানে পান্থদার ফোন আসে। বুকপকেট থেকে বের হয়ে আসে মাল্টিমিডিয়া ফোন। আমি তাকিয়ে দেখলাম। ওয়ালপেপারে একটা মহিলার কোলে বাচ্চার ছবি।
-পান্থদা?
-কি?
-ওইটা কে?
-কোনটা?
– ওইযে, তোমার ফোনে!
– হাতে নিয়ে দেখ
আমি দেখি। অবাক হই। আবছা আবছা ভাবে মনে পড়ে-
– এইটা নীতু আপা না?
– হ্যাঁ, তোর নীতু আপা

“এই কুলাঙ্গার, আপা কি? বল ভাবী।” দোকানের পেছন থেকে বাচ্চা কোলে নিয়ে নীতু আপা বের হয়ে আসেন। পান্থদার কোলে বাচ্চা তুলে দিয়ে খবর জিজ্ঞেস করেন।
– পান্থদা? তুমিও?

নীতু আপা হাসেন। লাজুক হাসেন পান্থদাও। মাঝখান থেকে ভ্যাবদার মত তাকিয়ে থাকি শুধু আমি।
– কিভাবে কিভাবে জানি হয়ে গেল রে! টেরই পাই নি।
– কি?
– এই যে প্রেম-ভালোবাসা। বিয়েও।
– নীতু আপা তোমার প্রেমে পড়সিল?
– না, আমিই
– কিভাবে সম্ভব?
– সব কিভাবের কি উত্তর হয় রে পাগলা?
– পান্থদা?
– কি? বল?
– ওইযে প্রেম মানে জানি কি কি ছিল না! প্রেমিকা পালা আরো কি কি!
– আরে ধুর! তখন বুঝি নাই। আর আমারো দোষ নাই। সব দোষ তোর নীতু আপার।

নীতু আপা বাগড়া দেন- “তাই না? আমার দোষ? কে জানি চিঠি পাঠাইত?”

আমি পান্থদার দিকে তাকাই। পান্থদা হাসছেন। আমরা যে পান্থদাকে চিনতাম, তিনি কথার উত্তরে হাসতেন না। কথার উত্তরে হাসে তর্কে হেরে যাওয়া মানুষ। তর্কে হেরে যাওয়া একজন মানুষ হয়েও ষাট পাওয়ারের ফিলিপস বাতির আলোতে পান্থদার চোখ মুখে সুখী মানুষের ছায়া টের পাওয়া যায়। সন্ধ্যার বাতাসে পান্থদার হাসি হাজার জোনাকির আলো হয়ে আলো ছড়ায়। তার কোলে ফুটফটে বাচ্চাও খিলখিল করে হাসছে। হাসছেন নীতু আপাও। আমি তাকিয়ে দেখি একটা মানুষ কিভাবে খুব ধীরে ধীরে একটা পরিবার হয়ে গিয়েছে।
মুনীর চৌধুরী বলেছিলেন, মানুষ বেঁচে থাকলে বদলায়। কথা সত্যি। তবে কিছু বদলে যাওয়া আসলেই প্রয়োজন। বদলে যায় বলেই একজন পান্থদা খুব গোপনে একেকজন বাবা হয়ে ওঠে। আমি জানি, পান্থদার মেয়ে স্লেটে লেখা শিখতে গেলে “ব” তে বাংলাদেশ এর আগে “বাবা” লিখবে। “আমার প্রিয় মানুষ” রচনার শেষ লাইনে লিখবে আমার প্রিয় মানুষ আমার বাবা। আমার বাবা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ বাবা। এবং বিশ্বাস করুন, পৃথিবীর কোনো সন্তানই রচনার শেষে এই দুটো লাইন মিথ্যেমিথ্যি লেখে না।

৫,৩৯৭ বার দেখা হয়েছে

১৭ টি মন্তব্য : “তেপান্তর”

  1. পারভেজ (৭৮-৮৪)

    ভাল লিখেছো। মনেই হয় না, এটা প্রথম ব্লগ।
    কিন্তু বলো, কোন সাহসে এটা লিখলে :
    "আর প্রেমিকা বলেও কিছু নাই। সব গরু। গরুকে যেমন তিনবেলা খড় দিয়ে পালতে হয়, সেইরকম প্রেমিকাকেও পালতে হয়। গিফট দিয়ে, মিষ্টি মিষ্টি কথা দিয়ে। শুধু গরুর সাথে প্রেমিকাদের পার্থক্য হচ্ছে, গরু শান্ত প্রাণী। তাদের দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখলেই হয়। কিন্তু প্রেমিকারা দড়ির বাঁধনে থাকে না। তারা নিজেরাই বাঁধতে পছন্দ করে বেশি।"
    জানি, কথাগুলা সত্যি। তবুও ঘাড়ের উপরে মাথা তো আর দুইটা নাই, তাই না?
    কপালে খারাবি আছে।

    বর্ননা সুখপাঠ্য, শিল্পোতির্ন।
    এরকম লিখা মাঝে মাঝে এলে আমাদের এই ব্লগবাড়িতে এসে ঘোরাঘুরিটা আনন্দময় হয়।
    আরও লিখো, লিখে যাও.........


    Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.

    জবাব দিন
    • ফাহমিদ (০৯-১৫)

      ধন্যবাদ ভাইয়া। 😀 ব্লগ পড়ি অনেক আগে থেকেই। লেখার সাহস করা হয়ে ওঠে নাই।
      আর ওই কথাগুলো লেখার পর চার্জ করবে এমন কেউ নাই জন্যই সাহস করে লিখে ফেলেছি 😛 😛 আমার জানামতে ব্লগে ক্লাসমেট বা জুনিয়র মেয়েদের পদধূলিও এখনো পড়ে নাই। তাই সামান্য কয়েকটা লাইনের জন্য চিরকুমার থাকার শঙ্কা, ভয় বা আর যা কিছু আছে, সব ঝেড়েঝুড়ে লিখে ফেলেছি। 😀 😀


      যে জীবন ফড়িঙের, দোয়েলের; মানুষের সাথে তার হয়নাকো দেখা

      জবাব দিন
  2. খায়রুল আহসান (৬৭-৭৩)

    সিসিবিতে সুস্বাগতম!
    সুন্দর একটা গল্প দিয়ে তোমার যাত্রা শুরু হলো। এ যাত্রা দীর্ঘ ও সফল হোক, এখানে তোমার বিচরণ সুখকর ও আনন্দময় হয়ে থাক!
    আমি নিশ্চিত, আগামীতে আরও নাড়া দেয়া গল্প এখানে আসবে তোমার কলম থেকে।

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : সাবিনা চৌধুরী (৮৩-৮৮)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।