আই সি সি এল এম … আহা!

আমি ক্লাস টেনে থাকতে আইসিসিএলএমএম হয় কুমিল্লা ক্যাডেট কলেজে (২০০৭ সালে)। আমার কলেজে টেস্ট চলে, ৫ টা পরীক্ষা দিয়ে আমাকে বলা হয় বাকি গুলা পরের টার্ম এ এসে দিতে। আমি কলেজের স্যার-ম্যাডাম দের টেস্ট পরীক্ষা নিয়ে এহেন অবহেলায় মনে মনে ঠিক করি, এস এস সি তে ফেল করে কলেজের নাম ডুবাবো। পত্রিকায় নাম আসবে মেধাবি(!) ছাত্রী নাচ গান করতে গিয়ে অকৃতকার্য। আইসিসিএলএমএম এ গিয়ে এত্ত এত্ত বয়েজ ক্যাডেট দেখে মন টাই ভালো হয়ে গেলো! এই একই ভাবে ২০০৮ এবং ২০০৯ এ দিলখুশ হয়ে কম্পিটিশন করলাম। এস এস সি, এইচ এস সি, ভর্তি পরীক্ষা কোনটাতেই বাঁশ খাই নাই। আস্তে আস্তে আইসিসিএলএমএম থেকে চলে গেলো ব্যান্ড, এখন আইসিসিএলএমএম নিজেই পারলে চলে যায়। আমরা গার্লস ক্যাডেটরা এইটা ছাড়া আর কোন ইন্টার কলেজ মিট পাইনা (এখন শুধু ৩ কলেজের স্পোর্টস মিট হয়)। ছেলেরা তাও বি ভি এম পায়, ক্রিকেট মিট পায়, এথলেটিক মিট পায়।

লিখতে বসে কত কিছু যে মনে পড়া শুরু করল, এক এক টা আইসিসিএলএমএম এক এক টা ইতিহাস! কারো রিলেশনশিপ স্ট্যাটাস পাল্টে যায় ওখান থেকে আসার পর, কারো কলেজে দাম বেড়ে যায় রেসাল্ট ভালো হইলে, কারো প্রেপ টাইম এ পোলাপাইনের কাছে গল্প শুনায় পার্ট মারার টপিক বেড়ে যায়, মোট কথা কিছু না কিছু হয় ই। এর ই নাম আইসিসিএলএমএম। ডাইনিং হলে সাউন্ড করা, এক কলেজ অন্য কলেজকে “ফাটা” দাওয়া, প্রাইজ নিতে স্টেজে উঠা ক্যাডেট দের “চেক” মারার স্টাইল দেখে হাসাহাসি করা, অডিটোরিয়ামের পিছনে গ্রিন রুমে চুরি করে প্রেম করা, এবং শেষ দিন এক এক  টা বাস তাদের ক্যাডেটদেরকে নিয়ে চলে যাওয়ার সময় “জীবন এত ছোট ক্যানে” টাইপ কষ্ট নিয়ে শূন্য বুকে নিজের বাসায় ফেরা।

খুব খারাপ লাগছে, এমনিতেও হয়তো আমি আইসিসিএলএমএম আর জীবনে পাবো না। তাই অনেকেই বলবে “২ বছর পর পর হইলে তোমার চিন্তা কি?”। আমি জানিনা আমার চিন্তা কি। আমি জানিনা আমাদের জুনিওররা এটা কিভাবে মূল্যায়ন করবে, জানিনা শুধু লেখাপড়ার জাহাজ বানানোর জন্য এই কাজের কোন যুক্তি আছে কি না। ক্যাডেট কলেজের উদ্দেশ্য কখনই বিদ্যার জাহাজ বানানো না, লিডার বানানো, চৌকস বানানো। পড়ালেখার এত সুবিধা দিতে চাইলে আমি আপনাদের কে বেস্ট সলুশন দিচ্ছি, ক্যাডেট কলেজ বন্ধ করে দিন, আর “এক্সিস্টিং” ক্যাডেট দের কে লিঙ্গ ভিত্তিতে নটরডেম, হলিক্রস, ভিকারুন্নেসায় পাঠিয়ে দিন।

আমি রাগ ঝাড়ব না আজকে। আমি আমার সময়কার কথা মনে করে হাসব এবং নস্টালজিক হব। আমার কাছে কিছু ছবি আছে যা দিয়ে মোটামুটি একটা ব্লগ লিখে ফেলা যায়।

১। ডান থেকে দ্বিতীয় যিনি, ওনার নাম পাবন। আমরা ক্লাস ১২ এ থাকতে এলএম হয় আমাদের কলেজে। গার্লস কলেজে এসে উনি হিরু সাজতে চেয়েছিলেন (কে না চায়!)। ভেংচি কেটে বসলেন বাংলা বিতর্ক চলাকালিন উনার এম জী সি সির সহপাঠির দিকে। একটি দুর্লভ মুহূর্তের ছবি। এবং আসলেই স্টেজে এই রকম ভেংচি খেয়ে বেচারি তার বিতর্কে ভুল করে বসে। ভেবেছিলাম আমার কলেজ খারাপ করলে আমি এই ছবি দেখিয়ে অন্যায়ের বিচার চাবো বিচারক দের কাছে। ট্রাইবুনাল আমি কিছু করার আগেই ওনাকে ১২ তম বানিয়ে দিল।এই ভুলের জন্য যদিও ক্যাডেট পাবন ৩/৪ মাস পর একটি পূর্ণ দৈর্ঘ্য চিঠি পাঠিয়েছিলেন তার সহপাঠীর কাছে, লাভ(উপকার)/ লাভ(ভালবাসা) কোনটাই হয় নাই 😀 । পরবর্তীতে এই হিরুর সাথে আমি প্রণয়ে আবদ্ধ হয়ে পড়েছি এবং এই ছবি দেখিয়ে যথেষ্ট ভাব নেই যতক্ষণ না পর্যন্ত আমাকে খাওয়াতে না নিয়ে যায় (আমি ভালো মানুষ, কিছু খেতে-টেতে দিলেই ঠাণ্ডা হয়ে যাই)।Picture (127)

২। আমাদের বন্ধু নাহিয়ান। তখন মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজের নীল হাউসের হাউস প্রিফেক্ট। যদিও এখানে সে চুপ চাপ দাঁড়িয়ে আছে, তবে সে ওই এল এম এ হিট তার “চিয়ার্স” এর জন্য। আমরা সবাই বলতাম “হিপ হিপ হুররে”, আর ও যখন এম সি সি কে চিয়ার লিড করত, তখন মাটিতে ঘুষি/কিল দেওয়ার মত করে নাক মুখ খিঁচে বলতো, “অকে বয়েজ, হ্যাপ হ্যাপ হুররে”। আরেকটা কারনেও ওর নাম এখানে বলা, তৎকালীন ডি এ জি কে ও সাহস করে “জুনিওর ডিলিং” এর মত ব্যাপারে অথোরিটির ভুমিকা নিয়ে কিছু প্রশ্ন করেছিল, যার উত্তর এসেছিল “তুমি আমার সাথে পরে রুমে দেখা করো”। ( 😀 )

৩। এই ছবিতে সবার ডানে তমা, তারপর আমি এবং মৌরাজ (কুমিল্লা ২০০৪-১০)। এটা ফাইনাল ডে তে ফাংশন এর দিন।আমার গানে তমা হারমনিয়াম বাজায়, আমি ওর গানে বাজাই, এই হইল আমাদের গাতক দল।তবলা বাদক মৌরাজ কুমিল্লার, ভালো বাজায়। আমাদের কে ফাংশন এর আগে একসাথে ঠিক মত প্র্যাকটিস করতে দেওয়া হইত না, “প্রেম” হয়ে যেতে পারে ভেবে। এ প্রসঙ্গে আরও একটা কথা মনে পড়লো। আমাদের কলেজ এমনিতেই ছোট। তাই এলএম হওয়ায় আমরা বয়েজ ক্যাডেটদের জন্য হাউস ছেড়ে দিয়ে এক ফ্যাকাল্টির পুরো বাসা নিয়ে নিলাম। বাসা টা ফাকা ছিল। তো আমার একবার সামান্য হাত কাটল, হসপিটালে যাওয়া দরকার, ড্রেসিং ব্যান্ডেজ লাগবে। হসপিটালটা মূল হাউসের পাশেই। আমাকে যেতে দেয়া হল না শুধু মাত্র হাউসে ছেলেরা আছে, হসপিটালে আমাকে দেখে ফেলতে পারে বলে। দেখলে কি প্রেম হয়ে বিয়ে হইত, এল এম নষ্ট? রাগের চোটে রুমে চলে যাচ্ছিলাম, যাওয়ার আগে ম্যাডাম প্রশ্ন করে, “হাত কেন কাটছে?” “ম্যাডাম খুব ছেলে দের দেখতে ইচ্ছা করতেছিল, তাই নিজে কাটছি” বলে বকা খাওয়ার আগেই চলে আসছি।

৪। ২ টো ছবি  ব্যান্ড এর বুঝাই যাচ্ছে। আমরা এম জী সি সি ব্যান্ড এ খুব হাস্যকর একটা ভুল করছিলাম। হইছিলাম ১২ তম। ওই একটা রেসাল্ট ই মনে হয় “জাস্টিফাইড” ছিল ওইবার ব্যান্ডে। বাকিরা যারা ভালো করছে, পজিসন পায় নাই। উপরেরটা আর সি সি। “সময়” পারফর্ম করছিল, এবং যথেষ্ট ভালো লাগছে, ওদের গিটারিস্ট ছিল আনাফ আর নাসির, অসাধারণ বাজাইছে কিন্তু হইছে ১১ তম। পরের টা কুমিল্লা, “মহারাজ” ছিল ওদের গান। এটাও ভালো ছিল, হইছে ৭ম। ব্যান্ডে বিচারক ছিল হাবিব ওয়াহিদ, ফেরদৌস ওয়াহিদ এবং জালাল (বাঁশি বাদক)।জী, আসলেই এনারা ছিল ব্যান্ড এর বিচারক। এজন্যই মনে হয় রেসাল্টের এই আকাশ-পাতাল অবস্থা ছিল। হোস্ট কলেজ হিসেবে এই কাজের জন্য খুব লজ্জা পাইছি, অনেক চেষ্টা করেও চেঞ্জ করতে পারি নাই বিচারক। অধ্যক্ষের পছন্দ এনারা। হোস্ট হিসেবে আরও একটা ভুল হইছিল আমাদের, হঠাত করে মুরগী পাওয়া যাচ্ছিল না ডাইনিং এর জন্য। যেই ফার্ম থেকে আমাদের মুরগি আসে, সেই মুরগিরা ICCLMM এর সময় অসুস্থ হয়ে পড়লো কোন কারনে। এই জন্য উপায় না পেয়ে সব গুলো মুরগীর মেনু গুলোতে মাছ ঢুকায় দিল আমাদের ডাইনিং ও আই সি। আমাদের ডাইনিং হল প্রিফেক্ট বেচারা বাকি কলেজের কাছে গালি খাইতে খাইতে শেষ হয়ে গেলো। আমাদের কাছেও খাইছে। একটি দুর্ঘটনা সারা জীবনের কান্নার মত ওর জীবনেও মাছ নিয়ে আসলো ঘোর ঘনঘটা। ১০ কলেজের মধ্যে ওর পরিচিতি হয়ে গেলো “ওই যে যেই প্রিফেক্ট মাছ খাওয়ায়”। আমরা এখনো গালি খাই অন্য কলেজের কাছে, মাছ খাওয়ায় স্যাবোট্যাজ করে নাকি আমরা ওদের পারফর্মেন্স খারাপ করছি, আর নিজেরা ফার্স্ট হইছি 😀 😀 😀

৫। সব শেষ ছবি ২ টা ইউনিভার্সাল। অডিটোরিয়ামে ক্যাডেট দের বসে থাকা।এক ই দিনে সব কলেজের কিরাত, এবং রাতে সব গুলা ক্ল্যাসিকাল শুনা যে কি কষ্টের ছিল, ভাবলে ভয় লাগে। তার উপর নতুন আরও ২ টা কলেজ বাড়ল পরে।পরের ছবিতে সব কলেজের প্রাইজ হোল্ডার দের কে এক সাথে স্টেজে নিয়ে ছবি তোলা। ভালোই ছিল এল এম এম।শেষে বাসায় গিয়ে তখন আমার ফেসবুক ও ছিল না। কি যে মন খারাপ লাগতো যে জীবনে আর এল এম পাবো না। অথোরিটির এই নতুন ডিসিশনে যে কত বড় ভুল হবে, এটা ৫/৬ বছরের আগেই বুঝা যাবে। নিজের ব্যাচ এর অন্য কলেজের ক্যাডেটদের সাথে বন্ধুত্ত হওয়ার এত বড় প্লাটফর্ম আর নাই। ৭ টা দিন শুধু “কি হয় কি হয়” টাইপ থ্রিল নিয়ে থাকার ও এমন সুযোগ আর পাবে না ক্যাডেটরা। ক্যাডেট রা যেই কারনে “ক্যাডেট”, সেই কারণ গুলোই যদি একটা একটা করে মুছে ফেলা হয়, তাহলে কি হইল? আমি আশাবাদি এমন কিছু হবে না শেষ পর্যন্ত, কেউ না কেউ ঠিক ই ক্যাডেট দের ভালোর জন্য কিছু একটা করে বসবে যেমন টা এম এ জী ওসমানী বলেছিলেন “If cadet college stays, I stay, if not then I won’t”

১,২৩৯ বার দেখা হয়েছে

৩২ টি মন্তব্য : “আই সি সি এল এম … আহা!”

  1. নাফিস (২০০৪-১০)

    আহা ! এই এলএম আর সেভেন ডেইজ এক্সকারশন আমার জীবনের সেরা ১৪ টা দিন.. সবই ভালো মত কাভার করছিস দেখি। পাবনের ভেংচি, নাহিয়ানের হ্যাপ হ্যাপ , আনলিমিটেড মাছ খাওয়া 😀 ... ওহ আরেকটা ছিল.. বরিশালের হোসেন নাকি গলায় মেয়েদের কন্ঠ অনুকরণ করে ২/৩ ঘন্টা পরপর সবার নামে চিয়ার্স দিত.. আর আমরা হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খেতাম।ইভেন্ট গুলো শেষ হওয়ার পর রাত ১টার পরে সব কলেজের পোলাপান দের নিয়ে ধুম্রতাশের আসর বসতো। চলত সূর্য উঠার আগ পর্যন্ত। আর আগের বছরের আইসিসি তাতে আমাদের ব্যাচের প্রচুর পোলাপান এক্সট্রা ম্যান হিসেবে গিয়েছিল। তাই, ২০০৯ এর এলএম ছিল আমাদের জন্য একটা রিইউনিয়ন টাইপ। আনন্দময় সাতদিন ! শেষদিন সকাল বেলা পোলাপান এর কান্না ভেজা মুখ গুলো এখনো চোখে ভাসে।

    জবাব দিন
  2. পাবন (২০০৪-২০১০)

    আপত্তি #১
    আমি কোন "লাভ(উপকার)/ লাভ(ভালবাসা)" পত্র প্রেরন করি নাই। আমি একটি দুঃখের পত্র প্রেরন করিয়াছিলাম। উহাতে কোন বদমতলব ছিল না। আদি এবং অকৃত্রিম "Sorry" পত্র। এবং উহাতে দুঃখের চেয়ে থ্রিল বেশি ছিল। মগককতে পত্র প্রেরন, :just: :awesome: ।

    আপত্তি #২
    খাওয়ানোর জন্য মোটেও ব্ল্যাকমেল্ করা লাগে না। আমি এম্নেই খাওয়াই 😡 😡 😡


    Proud to be a Cadet,
    Proud to be a Faujian.

    জবাব দিন
  3. আহসান আকাশ (৯৬-০২)

    ভাল লিখেছো :thumbup: এলএম এ আমিও কুমিল্লাতেই পেয়েছিলাম। এক সন্ধ্যায় প্রতিযগিতা শুরুর আগে অডিটোরিয়ামে কারেন্ট চলে গেল, জেনারেটর ফেরত আসতে প্রায় দুমিনিট... ভেতরে তখন সব ক্যাডেট আর এমজিসিসির সাথে আসা ম্যাডামেরা, কারেন্ট আসার পর ম্যাডামেরা পারলে সবাইকে কলেজ আউট করে দেয়, বিশেষ করে আমাদের (বিসিসি) লাস্ট লাইনে বসে ছিলাম বলে।

    এমজিসিসিতে প্রথম যাবার সুযোগ হয়েছিল মনে হয় আমাদের, ২০০১ এ এসএসসির সংবর্ধনায়, ৯৪-০০ ব্যাচের বড় ভাইদের সহায়তায় সেবার মনে হয় ইতিহাসে ১ম বারের মত ওখানকার গাছের ডাব চুরি করা হয়েছিল 😛


    আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
    আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

    জবাব দিন
  4. মুয়াজ (২০০৭-২০১৩)

    আপু আপনি ৩ নম্বর পয়েন্টে যা বললেন সেটা সব কলেজেরই সমস্যা। একবার কোন এক গার্লস ক্যাডেট কলেজ আমাদের কলেজে আসায় তাদেরকে রেস্ট হাউসে রাখা হয়। আমাদের কলেজ প্রিফেক্টের হাত কেটে যাওয়াতে সে হাসপাতালে গিয়েছিল (রেস্ট হাউস হাসপাতালের কাছে ছিল)। পরে স্যাররা অভিযোগ করেন যে সে নাকি ইচ্ছা করে হাত কেটে হাসপাতালে গিয়েছিল।

    জবাব দিন
  5. মোকাব্বির (৯৮-০৪)

    আইসিসিএলএমএম ২০০৩! সারাজীবন মনে থাকবে। একটাই কারণে। গীটার প্রসেসর ডিস্টার্ব দিতেসিল দেখে এডজুট্যান্ট (বর্তমানে লেঃ কর্ণেল) শহীদ স‍্যার আগের দিন প্র‍্যাকটিস সেশানে গার্লস কলেজের পুলাপানের সামনে ১০ মিনিটে যে কয়টা গালি দিসিলেন তা দিয়ে ইংরজী গালি অভিধানের অর্ধেক ও বাংলা গালি অভিধানের পুরোটা লিখে ফেলা যাবে। :brick: :brick: :brick:


    \\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
    অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\

    জবাব দিন
  6. রকিব (০১-০৭)

    মোটামুটি রকমের নিষ্কর্মা টাইপের ক্যাডেট ছিলাম- গানবাজনা- সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে তাই ক্যাসপারের মতো অদৃশ্য। ফলাফলঃ নো ICCLM। অবশ্য বন্ধুবান্ধবের বদৌলতে এহেন মেলা গল্প শোনা হয়েছে। আমাদের একখান নো-এলএম পার্টি ছিল যে পার্টির অনেকেই কেবল গল্প শুনেই মনে মনে প্রেমিকা বানিয়ে ফেলেছিল 😉

    ভালো লাগলো :thumbup:


    আমি তবু বলি:
    এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..

    জবাব দিন
  7. নূপুর কান্তি দাশ (৮৪-৯০)

    আমরা এই আন্তঃক্যাডেট কলেজ প্রতিযোগিতাগুলো পাইনি, একবারের জন্যেও না। অনেককিছু থেকে বঞ্চিত হয়েছি সে অর্থে। আমাদের ক'বছর আগের ব্যাচগুলো আবার পেয়েছিল, কাজেই যখন শুনতাম গল্পগুলো তখন স্বপ্নের মত লাগতো।
    খেলাধূলা, মঞ্চ, লেখাপড়া -- কোথাও কাজের ছিলামনা। এসব প্রতিযোগিতায় নাম লেখাতে পারতামনা শিওর। তবু, দেখে দেখেই অনেক শিখেছি, নিয়েছি । অন্য ক্যাডেট কলেজের ছেলেমেয়েদের সাথে ইন্টারঅ্যাকশন হলে ভালো ছাড়া খারাপ কিছু হবার সম্ভাবনা বেশ কম।
    না-পাওয়া না-দেখা দিনের শোকে কাতর হলাম।

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : মুয়াজ (২০০৭-২০১৩)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।