আমার মৃত্যু ভাবনা

মৃত দেহের প্রতি আমাদের আবেগ উথলে ওঠে,

সকল কাজ ফেলে ফুলের তোড়া নিয়ে ছোটে,

লোক দেখানো শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের হিড়িক বটে।

 

কখনো কখনো পাড়া, মহল্লা, দেশ, জাতি এমন কি সরকার

উতলা হয়ে রাষ্ট্রীয় সালাম দেয়,

পতাকা দিয়ে কফিনের বাক্স ঢাকায়,

দেশ জুড়ে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রেখে সম্মান দেখায়।

 

অথচ মৃত্যু পূর্বের জীবিত মানুষটির প্রতি

ব্যক্তি, গোষ্ঠি বা রাষ্ট্রের ছিল না করনীয় এক রতি,

তার মৃত্যু পর্যন্ত অপেক্ষা করেছে শ্রদ্ধা জ্ঞাপনে

ঐ পুজনীয়, শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিটি ছিল খুবই অবহেলিত এ জীবনে।

 

সংবেদনশীল মন জীর্ণ হয় মানুষের অবহেলায়

জীর্ণ হতে জীর্ণতর হয়ে শীর্ণ হয়  বেলায় বেলায়,

দৃশ্যমান দৃশ্যপটে ঐ শীর্ণতা দেখে অনেকে চমকে উঠে

তবু সামান্যতম করুণা বা অনুকম্পা  তার  না জোটে।

 

এমন অনেক মৃত্যু আছে, যে মৃতের দাফনের প্রয়োজন হয় না

ঐ জীবিত মানুষটির মনের মৃত্যু হয় অনেক আগেই, শরীরের না ;

জীবিত মানুষটিকে নিয়ে কেউ ভাবে না,

তার সৃজনশীলতাকে মর্যাদা দিতে জানেনা।

 

বাহ্যিক মৃত্যু নয়, মনের মৃত্যুই আসল মৃত্যু, যা ঘটে অবহেলায়,

সময়ের নির্মমতায়, জীবনের প্রতি দায়িত্বহীনতায়।

এসব ঘটে আমাদের দৃষ্টির গোচরে, চক্ষুলজ্জার বাহিরে,

তাই হঠাৎ করে হু হু করে কেঁদে ফেলে সাধারণ বাহ্যিক মৃত্যুর খবরে।

১,২৮০ বার দেখা হয়েছে

৫ টি মন্তব্য : “আমার মৃত্যু ভাবনা”

  1. নূপুর কান্তি দাশ (৮৪-৯০)

    ব্লগে স্বাগতম আনিস ভাই। দেরীতে স্বাগত জানানোর জন্যে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।
    আপনার লেখাগুলোর মধ্যে এটাকে সবচেয়ে বেশি দার্শনিক মনে হল।

    লাইনগুলোর মধ্যেকার স্পেস কমিয়ে দিলে দেখতে ভালো লাগবে।
    কিছু বানানের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করছি ঃ উৎলে (উথলে); হিরিক (হিড়িক); উতালা (উতলা); মৃত্তু (মৃত্যু) ; রাষ্ট্রীয় (ঈ-কার হবে); অর্ধনমিত (ই-কার হবে); জটে (জোটে)।
    অনুমান করছি, ফন্টজনিত সমস্যার কারণে বানানবিভ্রাট হচ্ছে। আপনার কম্পিউটারে অভ্র নামিয়ে নিতে পারেন।

    আপনার আরো লেখার প্রতীক্ষায়।

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।