অজুহাত

বড্ড রাগ হয় আমার,
বারেবারেই ; আচমকা নয় ।
আর কেন হবেনা ?
এত নিষেধ করি, এত বারণ,
কিন্তু কে শোনে কার কথা ?
যখন ইচ্ছে আসা , যখন ইচ্ছে যাওয়া,
যখন ইচ্ছে আমার সাথে লুকোচুরি খেলা ।
আর শাসন করার পালা আসলেই –
দু’গাল ফুলিয়ে রাজ্যের মায়া নিয়ে অপলক চেয়ে থাকা।
সে দৃষ্টি বড় বাজে –
তাই মোটা চশমার কাচের আড়ালে ধেকে রাখতে ইচ্ছে হয়।
একবার তাতে বাঁধা পড়লে , আর যাই হোক-
অন্তত শাসন করা যায় না।
সারাটাদিন তার খবরদারি,
চার হাত পায়ে ভর দিয়ে বেশ কর্তৃত্বের সহিত করা পায়চারি,
শুধু শাড়ির আচলে সংসারের চাবির গোছাটার অভাব।
হঠাত হঠাত চেচানো , রেগে গেলে চোখ রাঙ্গানো,
কারন ছাড়া অযথাই লাফানো,
কখনও ঘাসফড়িং , কখনও প্রজাপতি ,
কখনও বা আরশোলা-ইদুর এর পেছন পেছন দৌড়োনা।
এত এত কাজের ব্যস্ততা,
কিন্তু সবার আগে এসে ঠিকই দখল করবে তার প্রিয় জিনিস-
কখনও মুরগির হাড়, কখনও মাছের কাঁটা।
ছুটোছুটি, লাফালাফি, স্থির থাকাই দায়
ভাংচুর-ওলটপালট এসব দুর্ঘটনা লেগেই থাকে-
তাও আবার হঠাত হঠাত নয় ; প্রায়।
খুব রাগ হয় তখন,
ইচ্ছে হয় মন ভরে শাসন করি,
কানে ধরিয়ে দাঁড়া করিয়ে রাখি ঘন্টার পর ঘন্টা।
কিন্তু নীলাভ চোখে একরাশ মায়া নিয়ে যখন আমার দিকে তাকায়-
আর আকুতিভরা কন্ঠে কিছু একটা বলে-
তখন সব ভুলে যাই।
হোক সে ভাষা আমার অজানা, তাতে কি?
মনের ভাষা তো আর অজানা নয়।
নিজেই নিজেকে বোঝাই,
রাগ সামলে প্রতুত্তর করি-
” আজ থাক, আরেকদিন হলে ঠিকই শক্ত বকা দেব,
এই শেষ বার,
হাজার হোক – বেড়ালের ছানা । “

১,২০২ বার দেখা হয়েছে

৭ টি মন্তব্য : “অজুহাত”

মওন্তব্য করুন : খায়রুল আহসান (৬৭-৭৩)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।