হরতাল – অগ্রগতির সোপান

(সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক প্যাঁচাল – রাজনীতির জন্য নয়)

হরতালের পজিটিভ দিকগুলো নিয়ে আমরা কখনই চিন্তা করি না। কিন্তু এর অনেক ভাল দিক আছে। যা নিয়ে আমরা কমই চিন্তা করি। যেমন:

১। হরতাল পরিবেশকে দূষণ মুক্ত করে।
২। বায়ুমণ্ডলে ধূলিকণা হ্রাস করে। ফলে নির্মল বাতাসে নিশ্বাস নিতে পারা যায়।
৩। অনেক মানুষকে ঘরমুখো করে। ফলে মানুষ গৃহে অধিক সময় দিতে পারে। এতে গৃহ শান্তি বজায় থাকে এবং পারিবারিক সম্প্রীতি বৃদ্ধি পায়।
৪। দেশের অমূল্য খনিজ সম্পদ (তা তেলই হোক আর গ্যাস) খরচ কম হয়। দেশের অর্থনীতি চাঙ্গা হয়।
৫। হরতাল আমাদের ব্যায়াম করায় (দীর্ঘ পথ হাটতে হয়)। স্বাস্থ্য ভাল থাকে। হৃদরোগের ঝুঁকি কমে যায়।
৬। শহরের তাপমাত্রা কিছুটা হলেও কমে যায়। অর্থাৎ গ্লোবাল ওয়ার্মিং এর বিপরীতে আমরা একটি কার্যকর পন্থা আবিষ্কার করতে পারলাম।
৭। হরতালে ভাংচুরের মাধ্যমে বহু সম্পদ বিনষ্ট হয়। তখন নূতন করে সেগুলোর চাহিদা সৃষ্টি হয়। এতে উৎপাদন বাড়ে এবং অর্থনীতি চাঙ্গা হয়।
৮। উপরের উপকারগুলো সাজিয়ে তুলে ধরে একটি মার্কেটিং কোম্পানি হরতালকে দেশের অর্থনীতির জন্য একটি উপযোগী পণ্য হিসেবে বিদেশে রপ্তানি করতে পারে। এতে বৈদেশিক মুদ্রা আয় হবে।
৯। হরতালে আমাদের দীর্ঘদিনের অনবদ্য অভিজ্ঞতার কারণে উন্নত বিশ্বে এর ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টে আমরা অগ্রাধিকার পেতে পারি।
১০। এতে অনেক লোকের কর্মসংস্থান হবে। যেমন, হরতাল উপদেষ্টা, হরতাল বিশেষজ্ঞ, হরতাল ব্যবস্থাপক, হরতাল জন-যোগান দাতা, হরতাল সহযোগী, হরতাল বিপণন কর্মকর্তা, ইত্যাদি।
১১। অনেক ইট-পাটকেলও রপ্তানি হবে।
১২। বিকল্প হিসেবে তাদেরকে নিজ দেশের ডাম্পিং ম্যাটারিয়াল ব্যবহারের সাশ্রয়ী পরামর্শ দিতে পারি। এতে করে আমাদের দেশে সেগুলোর ডাম্পিং কমবে।

৯০৫ বার দেখা হয়েছে

১৬ টি মন্তব্য : “হরতাল – অগ্রগতির সোপান”

  1. আমিন (১৯৯৬-২০০২)

    আরে আগে এইটা মিস করছিলাম । মজা পাইলাম। আরেকটি উপকারিতা যোগ করতে পারেন ---
    হরতালের কারণে অন্য সব বাহন বন্ধ থাকলেও রিক্সা ভ্যান চালু থাকে। এর ফলে খেটে খাওয়া মেহনতি রিক্সাওয়ালা ভাইয়েরা বেশি ভাড়াতে চালিয়ে অর্থনৈতিক ভাবে লাভবান হতে পারে।
    হরতালে পিকেটিং করতে গিয়ে অনেক মহল্লার বড় ভাইরা আহত হয়। ফলে মহল্লার আভ্যন্তরীন বখাটে উৎপাত কমে যায়।
    সারাদিন রোদে ঘর্মাক্ত হয়ে খেঁটে যাওয়া ট্রাফিক ভাইদের ঝামেলা কমে এবং টাকা খাওয়ার স্কোপ কমে। এর ফলে তাদের গুনাহের পরিমাণ কমে যায়।

    জবাব দিন
  2. ফয়েজ (৮৭-৯৩)

    ওম্মা, তুই লিখতে পারস। 😮 হায় হায়, কেয়ামতের আলামত মনে হইতেছে। ~x(

    তয় সিদা কই দেই, তোর লেখা কিচ্ছু হয় নাই, :thumbdown: ফালতু পোস্ট একখান। সবই জানা জিনিস, নতুন কিছু নাই। টাইপিং আর কেমনে পোস্ট করতে হয়, কেমনে পাবলিশ হয় এই সিস্টেম জানার জন্য ব্লগাইছিস, বুঝাই যায়। যাউজ্ঞা ব্লগে ৮৭ একখান বাড়লো, এই আরকি।

    তর ম্যাক্সিমাম পয়েন্ট "ডিবেটেবল" । তুই বরং নিউটনিয় প্যাচাল শুরু কর, তরে ওইটাই মানাইবো। 😀


    পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : নঈম (৮৭-৯৩)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।