স্বপ্ন কিংবা দুঃস্বপ্ন নিয়ে কাঁটাছেড়া

দুঃস্বপ্নময় মাঝরাত
মাঝরাতে হঠাৎ জেগে যখন প্রচণ্ড গরমে আপনি ঘামছেন এবং মাথার উপরে ক্লান্ত নিস্তেজ সিলিং ফ্যানের ঘূর্ণন কিঞ্চিৎকর মনে হচ্ছে, আপনার আশেপাশে কাউকে দেখতে পাচ্ছেন না ডাকার মত কিংবা কথা বলার মত এটা ঠিক সেই সময়ের গল্প। যাপিত জীবনের সকল সাফল্য ছুঁয়ে নিজেকে সফল এবং ভাগ্যবান মনে করে, না হারানোর বিলাস কষ্টে আত্মমগ্ন হয়ে যখন দুঃখবিলাসে ডুবতে চাচ্ছেন হয়তো বা এটা সেই সময়ের গল্প। কিংবা ভাবনাকে শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গিয়ে অভিনব নতুন আইডিয়া জেনারেশনে বুদ হয়ে আপনি যখন শূন্যতায় ভুগছেন হয়তো এটা এই সেই সময়েরও দর্পন। যাই হোক না কেন, অন্ধকারকে ভালোবাসতেই হবে আপনাকে কারণ অন্ধকারে আমাদের শুরু আর অন্ধকারেই আমাদের বিলীন হওয়া। মাঝের স্বল্প সময়ের আলোর ঝলকানিতে সেই অন্ধকারকে অস্বীকার করে ব্রাত্য জ্ঞান করি। কিন্তু সেই অন্ধকারকে কাছে টানার জন্যই হয়তো এই অনুভূতি টুকু বরাদ্দ। বলছিলাম আপনি মাঝরাতে জেগে ঘামছেন ক্লান্তিতে। ক্লান্তির এই বোধকে একপাশে রেখে আপনি বেরিয়ে পড়বেন বলেই কি জেগে উঠলেন। আধো অন্ধকারে বাইরে বের হবার জন্য দায়সারা একটা জামা জড়িয়ে নিলেন গায়ে। আপনাকে এখন বাইরে যেতে হবে। কী কারণে বাইরে যেতে হবে সেই উত্তর এখানে উহ্য থাকুক। আপনি হতে পারেন যে ক্যাটাগরির যে কেউ। তারপরেও এই সময়টাতে আপনাকে বাইরে বের হতে হবে। দরজা খুলে বের হলেন। এমনিতে এমন ধরণের রোমান্টিকতার পেছনে অমবস্যা পূর্ণিমার হাত থাকে। হয়তো ঘোরলাগা চাঁদ থাকে অথবা থাকে নেশা জাগানো ঘুটঘুটে অন্ধকার। কিন্তু আজকে আপনার যাত্রায় সেই সবের কোন যোগ নেই। অমবস্যা নয় পূর্ণিমা নয়, স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি নির্জনও নয়। এত রাতে গলির রাস্তায় লোক গম গম করাও অস্বাভাবিকতা। অতএব আপনি গলি ধরে এগিয়ে যেতে ঠাকেন। এবং কিছুদূর যাওয়ার পরে অনুভব করেন আসলে এটি রাত নয়। রাত মনে করে আসলে আপনি সন্ধ্যাতেই বের হয়েছেন। আশেপাশের মানুষের গতিবিধি আপনাকে সেই ধারণাই দিয়ে চলেছে। অথবা কোন এক ভোজবাজিতে রাত গভীর না হয়ে উল্টো দিকে চলে নিজের অন্ধকারকে তরল করেছে। আপনার রাস্তা আপনার কাছে অপরিচিত মনে হচ্ছে না। মনে হয় এ রাস্তা আপনি চিনেন। আপনার নাকে প্রবলভাবে কেরোসিনের গন্ধ নাকে লাগছে। ছেলেবেলায় লোডশেডিংয়ে পড়বার সময় যে হারিকেন জ্বালতেন তার মাথা থেকে বের হওয়া গন্ধকে মনে পড়ছে। পথ হাঁটতে হাঁটতে আপনি সময়কে অতিক্রম করে অচেনা পৃথিবীতে চলে এসেছেন। সাধারণ মানুষের মাঝে আপনি হারিয়ে গেছেন। অনেকের মাঝে অনির্দিষ্ট কেউ হবার কারণে আপনি আলাদা মনযোগ আকর্ষণ কাড়তে পারছেন না। হঠাৎ মনে হলো, আপনি একজনের দিকে এগিয়ে গেলেন। আশেপাশের মানুষের মাঝে একজন সাধারণ মানুষকেই আপনার কাছে গুরুত্বপূর্ণ মনে হলো। তারপরে এগিয়ে গেলেন। আরো এগিয়ে যাবার পর আপনি লোকটার চেহারা দেখে আপনি চমকে উঠলেন। যে চেহারা কখনো দেখেন নি কিংবা দেখবেন না বলে আপনি জানেন তাকে দেকে আতঙ্কিত হলেন। অতঃপর আপনার ঘুম ভেঙে গেল। প্রচণ্ড গরমে আপনি ঘামছেন। গলা ভেজাতে গিয়ে রুমের দরজার দিকে ভয়ার্ত চোখে তাকালেন। অতঃপর চক্রে আবর্ত হবার অভিশাপ থেকে বেঁচে ফিরে নিজের বিছানায় নিশ্চিন্ত হয়ে ফিরে গেলেন।
স্বপ্নদায়ী রহস্যময়ী
একটা বয়সের পরে সে বড় হয় না। কিংবা বলা যায় আসলে তার বড় হবার প্রক্রিয়া শ্লথ হয়। এক সময়ে সে আমার সাথে ছিল, আমি এক সময় তার সাথে ছিলাম। তার কতথা বলতে গেলে কী মোহময়তা চলে আসে ! হয়তো বা তাই। আমি যখন কিশোর ছিলাম, সে তখন কিশোরী ছিলো। সেই কিশোরীর কথা বলতে গিয়ে বিহবল কি হব না? তার সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য আসলে সে কিশোরী হয়েই জন্ম নিয়েছিল। জন্মেই যে কিশোরী , তার গল্প চমকপ্রদ হতে পারে, তবে তাকে ঘিরে গড়ে উঠতে পারত এমন অনেক গল্পের সম্ভাবনা কি হারিয়ে যায় না? সেই কিশোরীর মাঝে এক ধরণের বিষাদ ছিলো। গাঢ় বিষাদ। সেই কিশোরী তার সমস্ত বিষাদকে ছড়িয়ে মেঘলা দিনে আলোকিত হত। সেই বিষাদের কারণ কখনো জানা যায় নি। আসলে তার সাথে আমার কখনো কথা হয় নি। তারপরেও সে ছিলো তার নিজের মতই। তার চেহারা খুব নিখুঁত ভাবে আমি আঁকতে পারতাম। মনের খাতায় অনেকবার আঁকা হয়েছে তাকে। তার চিবুকের উপর হাত রেখে ভাবুক দৃষ্টি মেলে আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকা ভুলি কী করে। তার বিষাদকে বরং ভুলে যাই আমি। সে আসলে ছিলো দার্শনিক। কে জানে হয়তো ছিলো না? কারণ আমি তো কেবল তাকে দেখেছি ভাবুকের মত বসে থাকতে। আসলেই সে ভাবুক ছিলো কিনা তা জানার সুযোগ হলো কোথায়। মেয়েটির চোখ ছিলো ছোট। স্বাভাবিকের চেয়ে ছোট। এর ফলে হাসলে মনে হয় চোখ গুলো বন্ধ হয়ে গেছে। চোখ নেই এমন অনুভূতিতে বিব্রত হয়েই হয়তো সে হাসতো না তেমন। তার ওষ্ঠ্যযুগল ছিলো স্বাভাবিকের চাইতে একটু খসখসে। তবে তা অসৌন্দর্যের কারন হতে পারে নি। অন্তত আমার কাছে তো নয়ই। তবে চোখ আর ঠোঁট দেখে তাকে বুঝা যায় না। কপালের বলি রেখা তার ভাবুক ভাবটাকে জাগিয়ে তুলে। সে মাঝে মাঝে হাসে। সেই হাসি অনেকটা পাগলের মত অর্থহীন মনে হতো। সে আসত সেখানে যেখান থেকে সে এসেছে। সে কিশোরী ছিল, যখন আমি কিশোর ছিলাম অথবা সে কিশোরী হয়েই জন্মেছিল। আজ এত বছর পরে সে কিশোরী থেকে নারী হয়েছে। তবে তারপরে সে থেমে গেছে। সবাইকে বয়সে বাড়তে নেই, সবাইকে বড় হতে নেই। তবু সে ফেরত আসে তার অর্থহীন হাসিতে, ফিরে আসে সেখানে ,যেখান থেকে সে এসেছিলো কিশোরী হয়ে।
বিভ্রান্তিকর মঙ্গলবার
আজ মঙ্গলবার। তাই নিয়ম করে জায়গাটার কাছে চলে আসা হয়। তবে আসতে গিয়েও কুঁকড়ে উঠে গতকালকে ঘটে যাওয়া ঘটনার। অথচ সে ঘটনা না ঘটলে হয়তো আজকের দিনটা তার কাছে অন্যরকম হত। গতকাল ঘটনার আকস্মিকতায় সে ভাষা হারিয়েছিলো। অনেক বিষাদের মুহূর্তগুলোতে ভাষা থাকে না। সময় পার হলে সেই ভাষা ভাবনা হয়ে আসে। গতকালকের ঘটনার ভাষা গুলো কি আজকে সে একটু করে খুঁজে খুঁজে পাচ্ছে। সে চুপচাপ দাঁড়ায় জায়গাটার সামনে। ভাবনার জগতে বিস্ফোরণ ঘটলেও বাইরে সে প্রয়োজনের চাইতে বেশি শক্ত থাকে। আশেপাশের মানুষগুলোকে সে দেখে। চুপচাপ তাকিয়ে থাকে বিষাদে ভিজে থাকা মুখগুলোকে। একানে বিষাদগ্রস্ত হয়েই আসতে হয়, কিংবা বিষাদগ্রস্তরাই এখানে আসে। তবে সেই বিষাদের প্রকাশ ভঙ্গি গুলো বিচিত্র রকম। সেই বিচিত্র ভঙ্গিগুলোর সাথে নিজের অনুভূতি গুলোকে মেলাবার ব্যর্থ চেষ্টা করে যাচ্ছিলো। হঠাৎ করেই একটা ঝোপের কাছে, একটু আগে যে জায়গাটায় দাঁড়িয়ে ছিলো সেই জায়গাটায় সে একজনকে দেখতে পায়। সেই চোখের বিষাদের ভাষা আর বোবা কষ্টে চেপে থাকা হালকা ভেঙে যাওয়া অধরকে দেখে সে চিনে ফেললো। এই অনুভূতিই তো তাকেও ঘিরে আছে। খুব ভালো করে লক্ষ্য করে সে টের পেল, সেই চেহারাটা সে চিনে। কারণ এই চেহারা কালকের আগেও আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে সে দেখেছিল একা। এক থেকে দুই হয়ে যাবার অনুভূতিটা তার মাঝে বিভ্রমের জন্ম দেয়। অতঃপর কোন এক সময়ে, অনেক অপেক্ষার পরে নিজের অবয়ব দেখবার পরে বিভ্রম দূর হয়। তবে কী হলো ব্যাপারটা! তার স্মৃতি আটকে আছে আজ এত বছর ধরে। আটকে আছে সেই সোমবার রাতের দূর্বিষহ স্মৃতি নিয়ে। তারপরে নিজেকে দেখার ভীতি হারিয়ে এক সময়ে ঘুমিয়ে পড়ে সে। তার পরে ঘুম থেকে জেগে উঠার পরে তার কাছে মনে যে, আজ মঙ্গলবার।
আয়না মহল
আয়না মহল বলে কি কিছু আছে। ইদানিং ঘুম থেকে উঠলে আমার কাছে মনে হয় আমি শহীদুল্লাহ। ঠিক কী কারণে এত নাম থাকতে শহীদুল্লাহই মনে হয় তার কোন ব্যাখ্যা নেই। তবে, স্বপ্ন আর বাস্তবতার মাঝে মিলে যাওয়া কিছু জায়গা তৈরি হয়। হঠাৎ করেই মনে হয় আমি যে আসলে শহীদুল্লাহ না সেটা প্রমাণ করা সম্ভব না। প্রমাণ দূরে থাক দাবি করাও সম্ভব না। আমাকে আশেপাশের সব লোক যদি শহীদুল্লাহ বলে ডাকা শুরু করে তবে আমার তা না হয়ে আর উপায় কি! বিপত্তি বাঁঢে অন্য জায়গায়, আমার নিজের জগতে নিজের একটি নাম আছে। সেই নাম এবং শহীদুল্লাহ সাংঘর্ষিক হয়। তার চেয়েও বড় কথা আমি যে কাজ করি না সেটাও তো কখনও কখনও আমাকে কেউ বলে আমি করেছি! সেটা যথারীতি সেই শহীদুল্লাহর নামে। তার মানে কি শহীদুল্লাহ নাম ধরে আমার বেশ নিয়ে আমার সাথে কেউ বদমায়েশি করছে। আমি এই বার বিভ্রান্ত হই। আমি আসলে কে? আমি জানি আমি শহীদুল্লাহ না। তাহলে শহীদুল্লাহ নামে যেই ব্যাটা বদমায়েশি করছে তাতে আমার কি যায় আসে? এইটুকু ভেবে থেমে গেলে হত। আসলে বিভ্রান্তি আসলে দুজন শহীদুল্লাহর মত দুজন আমির;ও। দুজন আমি তো আসলে আমি না। আমি তো শহীদুল্লাহ হতে চাই নাই। আর সেই শহীদুল্লাহরও কি অন্য কোন নাম আছে। যেমন কলিমুল্লাহ। সব সমস্যা সমাধানের জন্য আমি শহীদুল্লাহর মুখোমুখি হবার সিদ্ধান্ত নেই। শহীদুল্লাহর মৃত্যু হয়ে গেলে কখনোই আমার এই অপেক্ষার শেষ হবে না। অপেক্ষা করতে থাকি শহীদুল্লাহর জন্য বিভ্রাট উম্মোচনে। তবে কি আমার সাথেই আরেক আমির সাক্ষাৎ হচ্ছে প্রথমবার।
অতঃপর বাস্তব
রোজকার দিনের মতই খুব সকালে জেগে উঠেন মিলি। মঙ্গলবারের দিনটা তার কাছে বিরক্তিকর লাগে অফিসিয়াল মিটিংয়ের কারণে। অফিসে তার অধীনে নতুন জয়েন করা ছেলেটার কথা মনে হতেই মুখে এক ধরনের তেতো স্বাদ কাজ করে। ছেলেটাকে দেখলে বিভ্রান্ত মনে হয় তার কাছে। নাহ খুব ভালো শব্দ বলে ফেললেন তিনি। আসলে দেখলে গাঁজাখোর মনে হয়। কাজের কাজ কিচ্ছু পারে না। এমন ছেলেকে কি মনে করে তার বড় স্যার কাজে রাখেন টের পান না। মিলি আড়মোড়া ভেঙে বিছানা ছেড়ে দেখতে পান কমলকে। তার চোখের দৃষ্টি কেমন যেন উদভ্রান্ত! কেমন যেন বিস্ময় নিয়ে ঘরটাকে দেখছে গোয়েন্দাদের মত। ঘর আর মিলিকে নাকি নিজেকে তার কাছে রহস্যময় মনে হচ্ছে তা আমরা জানতে পারি না। তবে মিলি অবাক হয়ে লক্ষ্য করেন জানালার কাচের উপরের ময়লা সরিয়ে কেমন করে যেন ‘শহীদুল্লাহ’ নামটা লেখা রয়েছে।

১,৪৮৭ বার দেখা হয়েছে

১৩ টি মন্তব্য : “স্বপ্ন কিংবা দুঃস্বপ্ন নিয়ে কাঁটাছেড়া”

  1. নূপুর কান্তি দাশ (৮৪-৯০)

    কেবল প্রথম অংশটুকু পড়ে মন্তব্য করছি।
    অনেকগুলো দিন পর তোমার লেখা দেখতে পেলাম এখানে। পড়ে মনে হলো, লেখালেখিটা বা লেখালেখির ভাবনা তোমাকে তাড়িয়ে বেড়ায়। বলবার স্টাইলে হালকা পরিবর্তন এসেছে -- সর্বনামের পুনরাবৃত্তির অভ্যাসটুকু চলে গেছে প্রায়।
    ফলে পঠন অনেক বেশি উপভোগ্য হয়েছে।
    আমার মনে হয়, 'চাচ্ছেন' এর বদলে 'চাইছেন' লিখতে হবে।
    আমার এও মনে হয়, শিরোনামটা তোমার কাহিনীর চমককে খর্ব করছে। পাঠক হিসেবে কোন কাহিনীর পরিণিতিকে নিজের পূর্বানুমানের সঙ্গে মিলিয়ে ফেলতে পারলে কম মার্কস দেই।

    জবাব দিন
    • আমিন (১৯৯৬-২০০২)

      নূপুরদা, আমি খুব উৎসাহিত হই যখন আপনি এবং অনেকেই আমার এই লেখালেখির চেষ্টাকে প্রশয় দিয়ে আমাকে উৎসাহিত করেন। লেখালেখি নিয়ে চিন্তা করতে গিয়ে কিছু ভাবনা আমাকে ভাবিয়েছি গত অনেকদিন ধরেই। এই কারণেই লেখালেখি অফ ছিলো কিছুদিন।

      অনেকদিন পরে কিছু লিখার চেষ্টা করলাম। আপনার অবজারভেশন গুলোর জন্য অনেক ধন্যবাদ। শিরোনামের ব্যাপারে একটু আত্ম পক্ষ সমর্থন করি। প্রথম যখন লেখাটি লিখি তখন এক দুই তিন চার ফরম্যাটে লিখেছিলাম এবং শেষের টুকু ছিলো না। একবার লিখে পড়ে একটু হে্ঁয়ালি করেই শেষটা যোগ করা। আর শেষটা যোগ করতে গিয়ে শিরোনাম গুলো দিয়ে দেওয়া যাতে কিছু জায়গায় পাঠ মিসলিডেড হতেপারেন। মানে ওয়াইডার এঙ্গেল আছে লেখাগুলোর। কিন্তু আমি শিরোনামে শুধু একটা জিনিস বুঝিয়েছি। তবে শেষের অংশটা একেবারেই দুষ্টামি করে লেখা। আমি নিজেও শিউর না। আসলে কতটুকু কী হলো।

      মনযোগ পাঠের জন্য পুনরায় বিনীত ধন্যবাদ জানুন।

      জবাব দিন
  2. জুনায়েদ কবীর (৯৫-০১)

    খুব সাবধানে তোর লেখার সাথে চলছিলাম। তোর লেখা আগাচ্ছে, আমিও আগাচ্ছি...লেখা আগাচ্ছে...আমিও...

    কিন্তু শেষে এসে কি থেকে কি জানি হয়ে গেল! তাল-গোল পাকিয়ে, খেই হারিয়ে বসে আছি... 🙁

    বিঃদ্রঃ কয়েকটা টাইপো চোখে পড়ল। সময় পেলে চেক করিস।


    ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ

    জবাব দিন
    • আমিন (১৯৯৬-২০০২)

      হা হা হা। আপনার কমেন্ট পড়ে মজা পেলাম। শেষের অংশ লিখে আমি নিজেও একটু তালগোল পাঁকিয়ে গেছি। মাল্টিপল পারসোনালিটি ডিসাওর্ডার নিয়ে ভাবছিলাম কিছুদিন ধরে। খুব বেশি গ্রাউন্ড ওয়ার্ক করেছি এমন দাবি করবো না। তবে সময়ের এক জায়গায় নিজের সামনে নিজে দাণনড়িয়ে আত্ম পরিচয় দ্বন্দ্বকে বলতে চেয়েছি। এখানে শেষে মিলি বা কমল আসলে ধোঁকা বা বিভ্রান্তিকর। মিলি হতে পারে চারটে অংশের যে কেউ আবার কমলও হতে পারে, কিংবা কোন শহীদুল্লাহও হতে পারে এই গল্পের (গল্প হয় নাই আসলে) মূল চরিত্র।

      টাইপো ঠিক করা লাগবে। অনেক দিন লিখি না বলে টাইপো বেশি হয়।

      জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : জুনায়েদ কবীর (৯৫-০১)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।