একটি উঠোন একটি বাগান আর একজন ক্ষুদ্র মানবের শৈশব

(মন অনেক খারাপ কিছুদিন যাবৎ। সামুতে প্রকাশিত এই লেখাটি আমার নিজের সবচেয়ে প্রিয় আবেগ গত কারণে। সিসিবির সবার সাথে শেয়ার করলাম। )
খুব ছোট একটা বাড়ি।শহরের সীমানা ছাড়িয়ে মফঃস্বলের সূচনা যেখানে কিংবা মফঃস্বল নয় কিছুটা শহর কিছুটা মফঃস্বল।সেখানকার ছোট্ট একটি বাড়ি।সাধারণ মানুষের কাছে সেটা বিশেষ কিছু মনে হবে না শুধু মনে হবে শুধুই আরেকটি বাড়ি।সেটার কী বিশেষত্ব তা বুঝা যাবে না কারো কাছেই।শুধু সে ব্যতীত।তার বাড়ি তার আঙিনা তার খেলাঘর।সে এক শিশু শুধুই শিশু।তার চোখে রাজ্যের বিস্ময়।সবকিছুই সে েখে সবকিছু সে শুনে আর জানতে চায় তার অদেখাকে।তার খুব প্রিয় এই উঠান এই আঙিনা।কতটুকু হবে সেটা ।খুবই ছোট।৩০ ফুট বাই ২০ ফুট-কিন্তু এই ছোট জায়গা ধরে আছে তার জগতের অনেকাংশকে।উঠানের পাশের খোলা বারান্দায় বসে থাকে।বসে থাকে সে রাজ্যের বিস্ময় চোখে নিয়ে। উঠোনের অপরপাশে একটা ছোট দেয়াল।সেই দেয়াল সীমিত করে দেয় চির আগ্রহী শিশুর দৃষ্টিসীমানাকে।ওপারের পৃথিবীটাকে তার কাছে বড় রহস্যময় মনে হয়।তার খেলার সাথীদের সাথে যখন সে খেলা করে মাঝে মাঝে বল দেয়াল টপকিয়ে ও বাড়িতে চলে যায়।ও বাড়ি থেকে বল নিয়ে আসে তার বয়োজ্যেষ্ট সাথীরা।সে শুধু তাকিয়ে থাকে।মেহেদী গাছের মাথা উকি দেয়া পাশের বাড়িটি তার বড় রহস্যময় মনে হয়।

সেই উঠোনটি তার বড় ভালো বাসার হয়ে যায় তার নিজের অজান্তে। বারান্দার অপর পাশে গোসলখানা পার হয়ে আরেকটি লম্বা দেয়াল।তার পাশে জেগে আছে এক হড়বরই গাছ।মাঝে মাঝে তারা ছুটে যায় গাছ থেকে পড়া ফল টোকাতে।উঠানের আরেক পাশে ছোট এক তুলা গাছ।সে অবাক হয়ে তাকায়।তুলা তাহলে গাছ হতে আসে-এই বোধের জন্মও তার সেখানে।তারা অবরে সবরে তুলা গাছ থেকে তুলা পাড়ে তুলা ছিড়ে ছিড়ে উড়িয়ে দুষ্টামিতে মাতে।দুরন্ত শৈশব সেই শিশুর জীবনটিকে ভরে রাখে সবকিছু দিয়ে।

উঠানের সামনে বারান্দায় বসে সময় কাটে ভাবুক শিশুর সময়।রাজ্যের শত বিস্ময় তার চোখে।সে দেখে দেখতে থাকে -তার চোখ কান নাক সকল ইন্দ্রিয় দিয়ে অনুভব করে এ পৃথিবীর রূপ রস গন্ধ বর্নকে।জলে ডুবা মানুষের নাক মুখ দিয়ে যেভাবে জল ঢুকে স্বপ্নেরা তার মাঝে ঢুকে যায় সেই উঠোনের পাশে বসেই।তীব্র বর্ষনমুখর বর্ষা কিংবা স্নিগ্ধ চন্দ্রবতী রাত তার কচি শিশু চোখে বুলায় যাদুর পরশ।সেই যাদু তাকে স্বপ্নাতুর করে তুলে।তাকে বিভূতিভূষনের অপুর মত ছুটিয়ে নিয়ে চলে এখান হতে এখানে মনোরাজ্য মাঝে।বহুদিন আব্দার করে একদিন সে লাভ করে সে টিনশেড বাড়ির ছাদে উঠার সুযোগ।স্নিগ্ধ মায়াবতী জোছনায় সে দেখে তার চারপাশ কে।চালের উপর হতে তার সহচর উঠানটিকে আরো রহস্যময় মনে হয়। যেন ছোট সেই আঙিনাকে ভাসিয়ে দিয়েছে জোছনার স্রোত।আকাশের দিকে তাকায় সে।শরতের কুয়াশা পড়ছে।আর সে কুয়াশা জোছনার সাথে মাখামাখি করে হয়েছে জোছনাধারা।আর সে জোছনা তার ছোট আঙিনাকে আজ উত্তাল জোছনাপুকুরে পরিনত করেছে।

**********
এ বাড়িটা বেশ রাজসিক।বড়সর এক দরজা।সেই দরজা ঠেলে ঢুকলে একটি চিপা বারান্দা যা তাকে নিয়ে যেত তার ছোটমামার রুমটিতে। আরেক পাশ তার স্বপ্নপুরী।তার বিস্ময়।অবাক করা বাগিচা।বারান্দার চেয়ে বাগিচাই তাকে যেন বেশি টানত।সরু পথ বাগানের।পথটা তার পিছলাই মনে হত মাঝে মাঝে হোচটও যে খেত না তা নয়।তবু সে বারবার এগিয়ে যেত।অনেক সব গাছ।সে তার মাঝে টের পেত অন্য সুর যে সুরের সাথে তার পরিচয় ঘটে।পড়ে সে সেই সুরের রূপ খুঝে পেছিলো বলাইয়ের মনোজগতে।তার মন ঘুরে বেড়ায় সে গাছ আর ফুলের জগতে।সে রঙের জগতে।সেই বাগানটা তার বড়ই ভালো লাগতো।বাগানের আতা গাছটিকে সে বড় ভালোবাসত সেই ভালোবাসার পরিমাণ এতটাই যে কেউ তার পাতা এমনকি ফলও তারসামনে পাড়তে পাড়ত না।গাছের কষ্ট হচ্ছে ভেবে সে যে মরা কান্না জুড়ে দিত তা থামানোর মন্ত্র বোধ করি কারোই জানা ছিলো না।সেই বরই গাছ সেই রঙন গাছ সেই তেজপাতা গাছ সেই আমগাছ গুলির প্রতি তার ছিলো ভালোবাসা আর দূরের কোনটা ধরে রেখেছিলো ভয়কে।

সেই কোনটির দিকে তাকিয়ে থাকে সে।সেই কোন সেই ডোবা -যার ধার বেয়ে বয়ে উঠে তেতুল গাছ।আর দুরের কোনে আধারময় কৃষ্ণচূড়া।তার মামা খালারা ভূতের কথা বলে তাকে নিবৃত্ত করত ঐ খানে যাওয়া থেকে। তাই তার মন জুড়ে থাকত সেই ভূতের রাজ্য কৃষ্ণ চূড়া ধার বরাবর।তার কয়েকজন সাথীকে নিয়ে সে গিয়েছিল সেথা সেই বিস্ময় রাজ্যে।সেখান থেকে দূর হতে দেখেছিলো আরেকটি রহস্যময় জঙ্গল।সেখানে সে দেখেছিলো বেজী।যে বেজীর নাম সে শুনেছিলো শুধু এতদিন।সেই রহস্যঘেরা কৃষ্ণচূড়া সেই মায়াময় জঙ্গল তাকে টানে অবিরত।তার ভাবুক জীবন আবর্তিত হয় সেই বাগান আর সেই জঙ্গলকে কেন্দ্র করে।

***********
সময় বয়ে যায়।সেই ভাবুক শিশু বড় হয়ে যার সময়ের বৃত্তে ঘুরতে ঘুরতে।একদিন সে এগিয়ে যায় তার সেই পুরনো শৈশবের উঠোনের খোজে।অনেক কষ্টে গলি খুজে বের করে সেই বাড়িটির।সেই উটজোনের কথা তার হৃদয়পটে ভাসে।আজ হয়তো দেখবে তারই মতো অন্য কোনো শিশু সেথা জাল বুনছে স্বপ্নের অনেকটা তারই মতো করে।সেই শিশুর মাঝে দেখতে পাবে তার শৈশবের তাকে এই ভাবনাতে সেই ঠিকানায় কড়া নাড়ে।অদ্ভূত।অদ্ভুত ভাবে বদলে গেছে সব।তার দেখা ছোট খাটো টিন শেড বাড়িটি আর অনেকগুলো টিনশেড বাড়িটির সমষ্টি।আর এই সব বাড়ির আগ্রাসনে তার স্বপ্নের উঠোনের অস্তিত্ব খুজতে গিয়েও যেন সে দ্বিধায় পড়ে যায়।

***********
সেলে মামার নম্বর দেখে সে ধরে,মামা আমি আসছি।লোক পাঠানো লাগবে না।আমি ঠিকই চিনে নিতে পারব ।তার শৈশবের স্মতি ঘেরা বাড়িতে আজ অনেকদিন পর তার ফিরে আসা।আসছে সে।এই তো নাম্বারগুলো সরে সরে যাচ্ছে।আর নাম্বার লাগবে কেন?অমন ছায়াময় বাড়ি কি আর দ্বিতীয়টি আছে এখানে।সে এগুতে থাকে কিন্তু কোনো ছায়াময় বাড়ির সন্ধান মিলে না।হন্যে হয়ে খোজ করতে থাকে সে।এমন সময় একটি বহুতল বিল্ডিং এর নাম্বার দেখে তার চোখ আটকে যায়।এও কী সম্ভব?এইতো সেই নম্বর তার মামার বাড়ির।মামা বেরিয়ে আসছেন।বিস্ময়ের ঘোর কাটেনি তার চোখ থেকে।মামা তার শরীরে ঝাকি দিয়ে বললেন কী হয়েছে তোর?

************

সে কিছুই বলতে পারে না সময়ের সাথে সাথে হারিয়ে গেছে তার শৈশবের জোছনার পুকুর আর রহস্যময় স্বপ্নপুরী।বহুতল বিল্ডিং আর টিনশেড সমষ্টি দিয়ে বাড়ির মালিকেরা অর্থ কামিয়ে যাচ্ছেন কিন্তু বিনিময় হিসাবে তাদের ভবিষ্যতের কর্নধারদের স্বপ্ন দেখার ক্ষমতাকে টুটি চেপে হত্যা করছেন। সাথে তার হারিয়ে গেল তার মনের কোনে জমে থাকা বহুদিনের ভাললাগার শৈশব স্মৃতি বিজড়িত সেই দুটি জায়গা যার সৌন্দর্য আজ তার হৃদয় ছাড়া আর কোথাও খুজে পাওয়া যাবে না।

********* ************ **********

৩,০৯৫ বার দেখা হয়েছে

৩২ টি মন্তব্য : “একটি উঠোন একটি বাগান আর একজন ক্ষুদ্র মানবের শৈশব”

  1. তাইফুর (৯২-৯৮)

    মন খ্রাপ ক্যান ?? কি হইছে ??
    তোর প্রিয় লেখা ... আমার প্রিয়তে নিয়ে নিলাম।

    (লেখাটা দুইবার আসছে ... একটু ঠিক করে দিস)


    পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
    মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥

    জবাব দিন
  2. জুনায়েদ কবীর (৯৫-০১)

    আমিন, তোমার কষ্ট আমাদেরও ছুঁয়ে গেছে- আর এটাই লেখকের স্বার্থকতা!!! :clap:

    অনেক কিছু চাই... 😀
    তোমার মন ভাল হয়ে যাক... :thumbup:
    তোমার...মানে আমাদের ছোট ভাইএর পরীক্ষা ভাল হোক... :thumbup:
    আর চাই, লেখাটায় প্রতিটা বাক্যের পর তুমি একটা স্পেস দাও...পড়তে আরাম হবে... :-B :thumbup:

    ভাল থেক। O:-)


    ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ

    জবাব দিন
  3. রহমান (৯২-৯৮)

    কষ্ট শেয়ার করলে নাকি কমে। সবার ক্ষেত্রে কমে কিনা জানিনা, তবে আমার কমে। আবার এটাও ঠিক যে, সব কষ্টের কথা সবার সাথে শেয়ার করা যায়না। হয়তো তুমি তেমন কোন কষ্টেই ভুগছ।

    কষ্ট ভুলে থাকার একটা সহজ উপায় হচ্ছে নিজেকে ব্যস্ত রাখা, মানুষের সাথে বেশি মিশে একাকীত্ব পরিহার করা।

    দোয়া করি, তোমার সব কষ্ট কমে যাক, ভাল থেকো আর মন ভাল রাখার চেষ্টা করো। চিয়ার্স :thumbup: :thumbup:

    জবাব দিন
  4. সানাউল্লাহ (৭৪ - ৮০)

    জুনার একটা কমেন্ট উদ্ধৃত করলাম। মনটা ভালো হয়ে যাবে আমিন।

    ডাইনোসর পোলাও প্রস্তুত প্রণালীঃ

    উপকরণঃ
    ১। একটি মাঝারি সাইজের ডাইনোসর
    ২। প্রচুর পোলাও…(আমাদের মতন দুইশ অথবা মাস্ফু টাইপ পাঁচ জন খেতে পড়ে এমন পরিমান :-B )
    ৩। বিশাল এক ডেকচি।

    কার্যপ্রণালীঃ
    প্রথমে ডাইনোসরকে ভয় দেখিয়ে চুপ করিয়ে দিন। চুপ না করলে ‘ঐযে সামিয়াদি আসছে’ বললেই হবে…যাই হোক, এরপর সম্ভাব্য সকল পথে সম্পূর্ণ পোলাও ডাইনোসরের ভিতরে ‘স্থানান্তরিত’ করুন…এবার ডাইনোসরকে ‘তুই একটা রাজাকার বলুন’- এতে ও লজ্জা পেয়ে মরেই যাবে ;;; । তখন ডেকচির ভেতরে রেখে নিচে আগুন ধরিয়ে দিন। খবরদার ‘কাঠ’ ব্যবহার করবেন না…গ্যাস বা অন্য যা ইচ্ছা ব্যবহার করতে পারেন…আবার বলছি কোন কাঠ বা গাছ যেন না হয়… 😡
    রান্না হয়ে গেলে পুরো জিনিসটার উপর অনেকগুলো কম্বল বিছিয়ে কয়েকজন মিলে ‘গণ’ দেয়া শুরু করুন। খেয়াল করবেন, সেটা যেন হয় পরিমান মতন। তা হলে একপর্যায়ে খাবারটি উপরের এক নম্বর ছবির মতন হবে। এবার :just: পরিবেশন করুন।

    ডাইনোসর পোলাও প্রস্তুত প্রণালীঃ

    উপকরণঃ
    ১। একটি মাঝারি সাইজের ডাইনোসর
    ২। প্রচুর পোলাও…(আমাদের মতন দুইশ অথবা মাস্ফু টাইপ পাঁচ জন খেতে পড়ে এমন পরিমান :-B )
    ৩। বিশাল এক ডেকচি।

    কার্যপ্রণালীঃ
    প্রথমে ডাইনোসরকে ভয় দেখিয়ে চুপ করিয়ে দিন। চুপ না করলে ‘ঐযে সামিয়াদি আসছে’ বললেই হবে…যাই হোক, এরপর সম্ভাব্য সকল পথে সম্পূর্ণ পোলাও ডাইনোসরের ভিতরে ‘স্থানান্তরিত’ করুন…এবার ডাইনোসরকে ‘তুই একটা রাজাকার বলুন’- এতে ও লজ্জা পেয়ে মরেই যাবে ;;; । তখন ডেকচির ভেতরে রেখে নিচে আগুন ধরিয়ে দিন। খবরদার ‘কাঠ’ ব্যবহার করবেন না…গ্যাস বা অন্য যা ইচ্ছা ব্যবহার করতে পারেন…আবার বলছি কোন কাঠ বা গাছ যেন না হয়… 😡
    রান্না হয়ে গেলে পুরো জিনিসটার উপর অনেকগুলো কম্বল বিছিয়ে কয়েকজন মিলে ‘গণ’ দেয়া শুরু করুন। খেয়াল করবেন, সেটা যেন হয় পরিমান মতন। তা হলে একপর্যায়ে খাবারটি উপরের এক নম্বর ছবির মতন হবে। এবার :just: পরিবেশন করুন।


    "মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"

    জবাব দিন
  5. তানভীর (৯৪-০০)

    আমিন, খুব চমৎকার একটা লেখা।

    তোমার কষ্ট বোঝার ক্ষমতা হয়ত আমার নেই, কিন্তু মনে প্রাণে চাইছি তোমার মন তাড়াতাড়ি ভাল হয়ে যাক।

    শুভকামনা রইল আমাদের ছোট ভাইয়ের জন্য।

    জবাব দিন
  6. রকিব (০১-০৭)

    ভাইয়া, মন খারাপের কারণটা আমার জানা নেই। কিন্তু কেন যেন আপনার মন খারাপের বাতাসটা আমার গায়েও লেগে গিয়েছে মনে হচ্ছে।


    আমি তবু বলি:
    এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..

    জবাব দিন
  7. শার্লী (১৯৯৯-২০০৫)

    মন খারাপ তো হতেই হবে কখনও কখনও, মানুষ হয়ে জন্মেছি যেহেতু। তাই ওটা নিয়ে আর কথা নাহয় নাই বা বললাম।
    আপনার লেখাটা অসাধারন সুন্দর হয়েছে। :clap: :clap:

    জবাব দিন
  8. সাকেব (মকক) (৯৩-৯৯)
    যে কারণে কালকে মন খারাপ ছিল তা কখনোই কাটবে না।

    ... ... ...
    ... ... ...

    আমিন,
    সিসিবিতে তুমি আমার প্রিয় ব্লগারদের একজন...আবারো তোমার লেখা পড়ার পরের মুগ্ধতা প্রকাশ করার জন্য কমেন্ট করব ভাবসিলাম...কিন্তু এখন আর ঐ বিষয়ে লিখতে ইচ্ছা করতেসেনা...

    আমি জানি, এইসব মন খারাপের কাছে আর সবকিছই খুব তুচ্ছ, খুব শূন্য মনে হয়...
    দোয়া থাকল...


    "আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
    আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস"

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : আমিন (১৯৯৬-২০০২)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।