ঘুম ব্যাঘাত কিংবা বোবায় ধরা বিষয়ক আবোল তাবোল

ইদানিং কিছু লিখতে চাইলেও লেখার আইডিয়া মাথায় চাপে না। আবজাব কিছু একটা লিখবার ইচ্ছা করলেও বিষয় শূন্যতায় ভুগছিলাম। হঠাৎ করেই মাথায় আসল ঘুম বিষয়ে লিখবার। আমি ঘুমাতে পছন্দ করি। ঘুম বিষয়ে আমার আগ্রহও তাই অসীম। ছোট বেলায় বাসার চিপা চাপা ঘেটে সহীহ ফালনামা আর তাবীর পড়তাম স্বপ্নের ব্যাখ্যা পড়বার জন্য। স্বপ্ন বিষয়ে আগ্রহ থাকলেও সহীহ তাবীরের বইতে স্বপ্নের ব্যাখ্যা দেখে তাজ্জব বনে যেতাম যে কেবল তাই না, বরং সেগুলোর নিরর্থকতা বুঝতেও বেশি সময় লাগতো না। যাহোক আজকের লেখা অবতারণার কারণ আসলে স্বপ্নের ব্যাখ্যা দেয়া না কিংবা স্বপ্ন বিষয়ক আজগুবি প্যাচাল পারাও না। বরং আলোচনা করতে চাইছিলাম বোবায় ধরা নিয়ে। দেশে থাকতে রাত জাগা ছিল আমার স্বভাব। তো মাঝে মাঝে মাঝরাতে আমার দাদীর আর্তচিৎকারে দৌঁড়ে যেতাম। তাকে চিৎকার করে জেগে উঠতে দেখে ভয় পেতাম। তবে তিনি উঠলে তাকে যদি জিজ্ঞেস করতাম কী হলো, তিনি রাতে বলা যাবে না এমন একটা কথা বলে আবার ঘুমে চলে যেতেন। জ্বিন ভূতের সম্ভাবনায় তিনি ভীত হলেও এই ব্যাপারটাই আসলে বোবায় ধরা। এই জিনিসটা বাইরে থেকে দেখতে যত সরলই হোক রিসিভিং এন্ডে থাকলে ব্যাপারটা বেশ কষ্টদায়ক এবং আতঙ্কজনক। এর নজির গত কয়েকদিনে পেয়ে যাই। ছয় মাসের মাঝে তিন থেকে চারবার এ অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হবার কারণে এই অভিজ্ঞতাটা এখন বেশ চেনা হয়ে গেছে। স্বপ্ন আর বাস্তবতার দেয়াল ভেঙে যায়, স্বপ্নের অশুভ শক্তি ছায়া বিস্তার করে বাস্তবের দুনিয়াতে। এক ধরণের আতঙ্ক আর শারীরিক কষ্ট নিয়ে জেগে উঠি। আর উঠার পরেও অনুভূতি মৃত্যুর মত হয়ে যায়। মরে যাচ্ছি এই অনুভূতি তীব্রভাবে প্রভাব বিস্তার করে।

প্রথম প্রথম ব্যাপারটা আমলে আনতাম না তেমন। কিন্তু যখন ব্যাপারটা বেশ ক্রনিক্যাল হয়ে দাঁড়ালো ব্যাপারটা ভাবিয়ে তুলল। ডাক্তারের কাছে যাবার ব্যাপারে আমার অবশ্য বরাবরই অনীহা। ডাক্তারের কাছে যাওয়ার চাইতে গুগল মামার দ্বারস্থ হওয়া বেশি সুবিধাজনক। সেই ভাবনা মনে এনেই গুগল মামারে লিখে জানালাম যে, ঘুমের মাঝে আমি দমবন্ধ হয়ে আতঙ্ক গ্রস্থ হই। যেমন দ্বারস্থ হওয়া তেমন সাথে সাথেই কাজ। টের পেলাম এই সমস্যায় আসলে আমি একা না। এবং তার চেয়েও মজার ব্যাপার হলো বিভিন্ন জায়গায় যেসব লোকেরা এই সমস্যা নিয়ে দ্বারস্থ হয়েছেন তাদের অভিজ্ঞতা দেখে আমি অবাক হয়ে যাই। কারণ আমি আমার যে অভিজ্ঞতার কথা বলি নি গুগল মামারে তারা সেই অভিজ্ঞতার কথা লিখে রেখেছেন। তাই ব্যাপারটা এবনরম্যাল কিছু না বলে আশ্বস্ত হলেও ব্যাপারটার কার্যকারণ সম্পর্কে জানবার কিছু ইচ্ছা হলো। এই বোবায় ধরা বা ঘুমাতঙ্কের আরেক নাম হলো স্লিপ প্যারালাইসিস। ব্যাপারটা নিয়ে উইকির শরণাপন্ন হয়ে এর কার্যকারণ প্রতিকার নিয়ে কিছু তথ্য জানতে পারলাম। সেই ব্যাপার গুলো শেয়ার করবার জন্যই এই লেখার অবতারণা। উল্লেখ্য এই লেখাটি একেবারেই আমার মত যারা মেডিক্যাল বিষয়ে একদম কানা তাদের জন্য। ডাক্তাররা আমার বোঝার জানার অনেক ভুল এবং সীমাবদ্ধতা পাবেন। সেগুলো ধরিয়ে দিলেও বাধিত হবো। আর জটিল ডাক্তারি টার্ম গুলো পরিহার করে একদম আমার নিজের মত করে বলবার চেষ্টা করবো আমি এই ব্যাপারে।

প্রথমেই আসা যাক এই বোবায় ধরা বা স্লিপ প্যারালাইসিস কী? স্লিপ প্যারালাইসিস হলো মূলত ঘুম আর সজাগের অন্তর্বর্তী অবস্থায় মানুষের শরীরের নাড়াচাড়ার সাময়িক শৈথিল্য। এটি ঘুমুতে যাবার সময় কিংবা ঘুম থেকে জেগে উঠবার সময় যে কোন সময়েই হতে পারে। তবে প্রচলিত ভাবে পরের ঘটনাটাই বেশি ঘটে থাকে। শরীররে নাড়াচাড়া বন্ধ থাকে অথচ সজাগ আছেন এমন অবস্থায় যে কোন ব্যাক্তি আতঙ্কিত হন। বিশেষ ভাবে বাইরের কেউ আসতে পারে এমন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগেন কেউ কেউ। আবার শ্বাস নিতে না পারার কারণে বুকের উপর চড়ে বসে থাকা জ্বিন বা শয়তানও দেখেন অনেকে অনেকে। এই অবস্থার ব্যাপ্তি ব্যাক্তি এবং অবস্থা ভেদে ভিন্ন হতে পারে। তবে এই সময়টুকু খুবই আতঙ্ক জনক অবস্থা তৈরি করে — এটা সবার জন্যই কম বেশি প্রযোজ্য। ন্যাক্রোলেপসি নামে এক ধরণের ডিস অর্ডারের সাথে স্লিপ প্যারালাইসিস কিছুটা সম্পর্কযুক্ত। তবে দুইটা সমস্যা এক না বলেই মনে করা হয়। ন্যাক্রলেপসি হলো মূলত ইরেগুলার স্লিপিং হ্যাবিট। দিনের বেলায় ঘুম ঘুম ভাব অনুভব করা, যেখানে সেখানে ঘুমিয়ে পড়া ইত্যাদি ন্যাক্রোলেপসির উপসর্গ। ন্যাক্রোলেপসিতে ভোগা লোকজনের ক্ষেত্রে স্লিপ প্যারালাইসিস হবার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তবে স্লিপ প্যারালাইসিস কারো হলেই যে ন্যাপ্রোলেপসি সমস্যা থাকবে এমনটা ধারণা করা ঠিক না। জরিপে দেখা যায় ন্যাপ্রোলেপসিতে ভোগা লোকদের শতকরা ৩০-৫০ ভাগ লোক স্লিপ প্যারালাইসিস একসপেরিয়েনস করেন। তবে সাধারণ লোকজনের মাঝেও শতকরা ৬.২ ভাগ লোক কখনো না কখনো স্লিপ প্যারালাইসিস এক্সপেরিয়েন্স করেন। এর মাঝে নারী পুরুষের মাঝে আক্রান্ত হবার আলাদা কোন বায়াস নাই। তবে বয়স ভেদের বায়াস দেখা যায়। মোটামুটি ২৫-৪৪ বছরের লোকদের ক্ষেত্রে এই অভিজ্ঞতা হবার সম্ভাবনা বেশি।

স্লিপ প্যারালাইসিসের কারণ সম্পর্কে ব্যাখ্যা করবার আগে যেটা জানা দরকার সেটা হলো স্লিপ প্যারালাইসিস দুইরকম হতে পারে। একটা হলো আইসোলেটেড স্লিপ প্যারালাইসিস যা কিনা বিচ্ছিন্নভাবে অনুভূত হতে পারে। এটি কালে ভদ্রে অভিজ্ঞতা লাভ হয়। এবং এই অভিজ্ঞতা খুবই অল্প সময় ধরে স্থায়ী হয়। অন্যটি হলো রেকারেন্ট আইসোলেটেড স্লিপ প্যারালাইসিস। যা নাম থেকেই বুঝা যায় যে, বারবার বিচ্ছিন্নভাবে ঘটে এমনকি এক রাতেও একাধিকবার হবার সম্ভাবনা আছে। এই ক্ষেত্রে সাধারণত ব্যাপ্তিকাল বেশি হয়। তবে রেকারেন্ট আইসোলেটেড স্লিপ প্যারালাইসিসে আক্রান্ত লোক খুব বেশি দেখা যায় না। বরং আইসোলেটেড স্লিপ প্যারালাইসিস এর সংখ্যাই বেশি হয়ে থাকে।

এবার আসা যাক এই ফেনোমেনার কারণ বিশ্লেষণে। মানুষ যখন ঘুমায় সেই ঘুমের একাধিক স্তর আছে। এটাকে মোটাদাগে দুইভাগে ভাগ করা যায়। একটা হলো আরইএম ( র্যাপিড আই মুভমেন্ট) স্লিপ আরেকটি হলো এনআরইমএম ( নন র্যাপিড আই মুভমেন্ট) স্লিপ। সাধারণ অবস্থায় ঘুমাতে যাবার পরে এনআরইএম স্তরে থাকে ঘুম। এই সময়ে দেহের বিভিন্ন অঙ্গ প্রতঙ্গ তাদের কাজ স্থিতি শীল করা শুরু করে। তবে পুরোপুরি বন্ধ হয় না। মানুষের চেতনাও পুরোপুরি চলে যায় না এই স্তরে। আস্তে আস্তে শরীরের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ গুলো শিথিল হয়ে আসে এবং ঘুম আরো গভীর স্তরে যায়। এই স্তরকেই আরআইএম স্তর বলা যায়। বাচ্চাদের ঘুমের সময় আমরা যদি লক্ষ্য করি তবে দেখা যাবে তাদের চোখের পাতা কাঁপছে। সেটা মূলত আই মুভমেন্টের কারণে হয়। মানুষ সাধারণত ঘুমের এই স্তরে স্বপ্ন দেখে। জেগে উঠার সময় ঠিক তার বিপরীত প্রক্রিয়া সংঘটিত হয়। মানে প্রথমে আরইএম স্তর থেকে এনআরইএম স্তরে চলে আসে ঘুম। এই অবস্থা থেকে মানুষের দেশের কার্যকলাপ আস্তে আস্তে শুরু হতে থাকে এবং চেতনাও ফিরে আসতে থাকে। বোবায় ধরা কিংবা স্লিপ প্যারালাইসিস ফেনোমেনা হবার সম্ভাবনা থেকে এই পর্যায়েই। ঘুমের স্তর গুলোর ওভারল্যাপিং এর কারণে এই ফেনোমেনা গুলো তৈরি হতে পারে। ধারণা করা হয় স্লিপ প্যারালাইসিসে আক্রান্ত লোকজনের আরআইএম আর এনআরআইএম এর যে চক্র চলে তার ব্যাপ্তি কাল গুলো ছোট হয়। এর ফলে দেখা যায় আরআইএম স্টেজের মাঝেই জেগে উঠার প্রক্রিয়া চালু হয়। চেতনা ঐ অবস্থায় ফিরে আসলেও শরীরের অন্যান্য প্রতঙ্গ তখনও তাদের কাজ শুরু করতে পারে নি। এই অবস্থায় চেতন থাকলেও শরীর নাড়াবার শক্তি থাকে না। কথাও বলতে পারে না। এবং স্বপ্নের স্তর থেকে হঠাৎ করে জেগে উঠে বলে স্বপ্ন আর বাস্তবতার দেয়াল ভেঙে পরে। আর শরীর যেহেতু নড়তে পারে না সেই কারণে বডি সিস্টেম থাকে নাজুক। এর ফলে বিভিন্ন ভীতি প্রভাব বিস্তার করে মস্তিষ্কের উপর। সেখান থেকে আতঙ্ক তৈরি হয়। ওভার ল্যাপিং এর ফেনোমেনা তৈরির পিছনে বিভিন্ন থিওরী প্রচলিত আছে। সেগুলোকে আপাতত এই আলোচনার বাইরে রাখলাম।

অনুভূতি বিভিন্ন রকম হলেও মূলত দুই ধরণের অভিজ্ঞতা খুব বেশি দেখা যায়। একটা হলো ঘরের মাঝে বাইরের কারো উপস্থিতি অনুভূত হয়। আর যেহেতু বোবায় ধরা ব্যাক্তি নড়াচড়া করতে পারেন না, সেই বাইরের আগন্তুক এর ব্যাপারে আতঙ্কিত বোধ করতে থাকেন। এই ফেনোমেনার নাম ইনট্রুডার হ্যালোসিনেশন। বিভিন্ন জায়গায় এলিয়েনের আগমন এবং ধরে নেয়া যাওয়া কিংবা স্বপ্নে জ্বিন দেখার ব্যাপার গুলো এই ফেনোমেনার মধ্যে পরে। এর মূল কারণ হলো মস্তিষ্কের মধ্যভাগে হাইপার ভিজিলেন্স স্টেট একটিভ্যাশনের কারণে। ভিজিলেন্স সিস্টেম সাধারণত শরীরকে রক্ষাকারী এক ধরণের মেকানিজম যা বিভিন্ন বিপদের মাত্রাকে আলাদা করে। যেহেতু বোবায় ধরা ব্যাক্তি নড়াচড়া করতে পারে না, তাই ভিজিলেন্স সিস্টেম এর রেসপন্স স্বাভাবিক অবস্থার চেয়ে বেশি জোরদার থাকে। এর ফলে স্বপ্নাবস্থার সাধারণ ইফেক্ট অনেক ব্যাপক ভাবে প্রভাব বিস্তার করে এবং আতঙ্ক অবস্থা তৈরি হয়। আরেকটি ফেনোমেনা হলো শ্বাস নিতে না পারা এবং বুকের উপর ভারী বোধ হওয়া। মিথোলজিক্যাল নাম ইনকিউবাসের সাথে মিল রেখে এই ফেনোমেনা ইনকিউবাস হ্যালুসিনেশন নামেও পরিচিত। ইনকিউবাস মিথোলজির এক অপদেবতা । যারা মূলত যৌন ইচ্ছা থেকে ভিক্টিমের বুকের উপর চড়ে বসতো। এছাড়াও ইংরেজি প্রচলিত নাইট মেয়ার এর মেয়ার টার্মটিকেও এই অবস্থার সাথে রিলেট করা যায়। এমন অবস্থায় সাফোকেশন অনুভূত হয় এবং আক্রান্ত ব্যাক্তি তার বুকের উপর বসে থাকা অদৃশ্য শয়তান কিংবা জ্বিনের অস্তিত্ব টের পান। এর কারণ মূলত ভিজিলেন্স সিস্টেমের অতি সতর্কতা এবং সেইসব মাসলের প্যারালাইসিস যা কিনা সাময়িক ভাবে নিঃশ্বাস বন্ধের কারণ ঘটায়। আরআইএম এর বিভিন্ন নিঃশ্বাস প্রক্রিয়াও এর সাথে জড়িত।

তবে আতঙ্ক জনক ক্ষেত্র বিশেষে ভয়ের কারণ হলেও শারীরিক ভাবে এই সমস্যা খুব বেশি বিপজ্জনক নয়। এবং এর চিকিৎসা হিসাবে কোন প্রকার ঔষধেরও দরকার পরে না। এর পিছনের কারণ খুঁজতে গেলে প্রথমেই আসবে অনিয়মিত ঘুমের শিডিউল। ঘুমের একটা নির্দিষ্ট সাইকেল পূর্ণ করলে এই সমস্যায় আক্রান্ত হবের সম্ভাবনা অনেকাংশেই কমে যায়। প্রতিদিন নিয়ম করে নির্দিষ্ট পরিমাণ ঘুমানো এই সমস্যা থেকে বাঁচার সবচেয়ে বড় উপায়। সেই সাথে শারীরিক অবসাদ, স্নায়ু উত্তেজক ঔষধ এর কারণ হতে পারে। সঠিক ঘুমের অভ্যাসে সবচেয়ে ভালো উপায় হলো প্রতিদিন নিয়ম করে শারীরিক পরিশ্রম, ব্যায়াম, সাঁতার কিংবা খেলাধূলা সহ বিভিন্ন কাজে অংশ নেয়া। দুশ্চিন্তা যথাসম্ভব পরিহার করা। আরেকটি গুরুত্ব পূর্ণ ব্যাপার হলো শোবার সময় চিৎ কিংবা উপুড় হয়ে না শোয়া ( যদিও আমি এই কাজটাই করি)। চিৎ কিংবা উপুড় হয়ে শোয়ার ফলে বোবায় ধরায় আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা অনেক বেশি হয়ে যায়।

আবজাব প্যাচাল বহুত পেরে ফেললাম। তবে এই লেখা যখন লেখছি তার আগের দিনই আমি বেশ ভীতিজনক স্লিপ প্যারালাইসিস এর মাঝে পড়ে গিয়েছিলাম। সেটার ইনটেনসিসটি এতাটাই ছিল এমনকি ঘুম থেকে উঠার পরেও এবং এত সব ব্যাখ্যা জানার পরেও সাময়িকভাবে কিছুক্ষণের জন্য আতঙ্ক বোধ করছিলাম। যদি কারো অভিজ্ঞতা না থাকে তাহলে এই লেখায় যেসব কাজ করতে মানা করলাম সেগুলো করে দেখতে পারেন। অভিজ্ঞতাটা একদম খারাপ না। তবে সেই অভিজ্ঞতা কিংবা আতঙ্কের জন্য এই অধম ব্লগার দায়ী নন।

[ ডিসক্লেইমার : এই লেখাটা কোন টেকনিক্যাল রাইটিং না। অতএব অনেক জিনিস এখানে এভোয়েড করা হয়েছে। তথ্য সূত্র মূলত উইকি থেকেই নেয়া। সাধারণ ফেনোমেনাকে কার্যকারণ দিয়ে সহজ ভাষায় ব্যাখ্যা করবার চেষ্টা মাত্র। এই ব্যাপারে তথ্য শুদ্ধির প্রয়োজন হলে কমেন্টে জানানোর জন্য সবাইকে অনুরোধ করছি।]

১,৮১৪ বার দেখা হয়েছে

৬ টি মন্তব্য : “ঘুম ব্যাঘাত কিংবা বোবায় ধরা বিষয়ক আবোল তাবোল”

  1. মাহমুদ (১৯৯০-৯৬)
    ইদানিং কিছু লিখতে চাইলেও লেখার আইডিয়া মাথায় চাপে না। আবজাব কিছু একটা লিখবার ইচ্ছা করলেও বিষয় শূন্যতায় ভুগছিলাম।

    - ভয়ানক ব্যাপার, তোমার মাঝে-মধ্যে বোবায় ধরার সমস্যার থেকেও গুরুতর। কারণ, এজন্যই আমরা সিসিবিতে তোমার নতুন ব্লগ পাচ্ছি না। ভেবেছিলাম, দেশের বাইরে আসলে আগের থেকেও বেশি বেশি লেখা দিবে, কিসের কি?

    বিনোদনমূলক সুইমিং এর পাশাপাশি ব্লগ লিখায় মন দাও, 'বোবা' আর ধরবে না 🙂


    There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx

    জবাব দিন
    • আমিন (১৯৯৬-২০০২)

      মাহমুদ ভাই, আমি তো লেখক না। মূলত কমেন্টক। আপনার লেখার থেকে অনেক কিছু জানতে পারি ভাবনার পথ খুঁজে পাই। আপনেরা না লেখাতে সিসিবিতে আইসাও ঐভাবে কমেন্টানো হয় না।

      বোবা ধরা থেকে বাঁছতে বিনোদন বাড়ান দরকার। আর ব্লগ পড়া ঘাটঘাটি করা বেশ ভালো রকম বিনোদন।

      জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : রাব্বী (৯২-৯৮)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।