এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল সেরা অসেরা বিতর্ক এবং এই বিষয়ে আমার ভাবনা

এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল বের হলো। তারপরেই শুরু হয়ে গেলো সেরা অসেরা বের করার প্রয়াস। কোন এক সমীকরণের হিসাব মেনে ক্যাডেট কলেজ গুলো বেশ ভালোভাবেই শীর্ষে স্থান করে নিয়েছে। এটা নিয়ে ফেসবুকে একটা পোলকে ঘিরে কাদা ছোড়াছুড়িও হচ্ছে বেশ। তারমাঝে অতি দুঃখজনক ভাবে লক্ষ্য করলাম আমাদেরই ক্যাডেট ছোটভাই অনেকেই ফেসবুকে কিছু মন্তব্য করেছে যা অনাকাঙ্খিত এবং দৃষ্টি কটুও। কথা বলার মাঝে নুন্যতম সৌজন্য বোধ হারিয়ে সেরা অসেরার কুতর্কে মেতে উঠেছে অনেকেই। ব্যাপারটা যদি এইচএসসি পাস করা সদ্য মেধাবীদের কাছে শোনা যেত তাহলে হয়তো এই কুতর্ককে আমলে নেয়ার প্রয়োজন ছিলো না। কিন্তু যখন ভার্সিটি পাস করে স্ব স্ব ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত রা একাজ করে নিঃসন্দেহে দুঃখজনক। জোসের মাথায় ব্লগে পোস্ট দিয়ে ফেসবুকে শেয়ার করে ক্যাডেট কমিউনিটি ডেকে তর্ক করছেও অনেকে। সবকিছুর আলোকে আমার কিছু কথা যা আমি সিসিবির আরেকটি ব্লগে মন্তব্য আকারে প্রকাশ করেছিলাম সেটা এখানে পোস্ট আকারে দিয়ে দিলাম। এটি সার্বিক ব্যাপারে আমার ভাবনার প্রতিফলন এবং ক্যাডেট হিসাবে নিজেদের আত্মমূল্যায়নও বটে। আমি আমার বক্তব্যের পক্ষে বিপক্ষে মত শুনতে আগ্রহী। আহসান আকাশের পোস্টে করা কমেন্ট দুটিকে এক করে আমার ভাবনার প্রতিফলন টুকুর যোগফল হচ্ছে এই ব্লগ।

প্রথমত সেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাজ করার প্রক্রিয়াকে আমার কাছে অসৎ এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিত মনে হয়। শিক্ষাকে ডিসেন্ট্রালাইজ করার পরিবর্তে সেন্ট্রালাইজ করতে উৎসাহিত করতেই এই ব্যাপারটা ঘটছে। এই সেরা অসেরার মারপ্যাচে আসলে ফোকাসে আসছে কিছু হাতে গোনা সুবিধাপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান মূলত ক্যাডেট কলেজ, ঢাকা এবং অন্যান্য জেলা শহরের প্রতিষ্ঠিত কিছু কলেজে। এই কলেজ সেরা বলে এই কলেজে ভালো ছাত্রছাত্রী ভর্তি করাকে উৎসাহিত করা হচ্ছে এর ফলে ভালো ছাত্রছাত্রী এখানে ভর্তি হচ্ছে এর ফলে পরেরবার আরো ভালো ফল হচ্ছে এবং ফল হিসাবে আবার প্রমোট হচ্ছে। এটা হলো চলমান দুষ্টচক্র। এর আল্টিমেট ফল হচ্ছে সুবিধাবঞ্চিত প্রতিষ্ঠান গুলো সবসময়েই ফোকাসের বাইরে যাচ্ছে এবং তা মেধাশূন্য হচ্ছে। মূলত শিক্ষার বিকেন্দ্রীকরণে ব্যর্থতা ঢাকতেই আমাদের শিক্ষা মন্ত্রনালয় সুকৌশলে আমাদের মাঝেকার এ অসুস্থ প্রতিযোগিতাকে প্রমোট করছে।

দ্বিতীয়ত, তারপরেও যদি সেরা জাজের ব্যাপার হয়, ফেসবুকের সেই পোলে আমি বলবো না। ক্যাডেট কলেজ গুলোকে সেরাদের তালিকায় কম্পেয়ার করার জন্য আনা উচিত না। কারণ ক্যাডেট কলেজ শুধুমাত্র একটা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান না। এর সাথে সাথে অনেক কিছু সেখানে প্রমোট করা হয় আর সবদিক থেকেই ক্যাডেটরা সুবিধাপ্রাপ্ত। প্রথমত জিপিএর ভিত্তিতে তাকে অন্যপ্রতিষ্ঠানের সাথে কম্পেয়ার করারই দরকার নাই দ্বিতীয়ত জিপিএ দিয়ে তারা উড়িয়ে ফেললেও ক্যাডেট কলেজের জন্য আমি সেটাকে সাফল্য বলবো না। বরং বাজেটের সাথে কনসিস্টেন্টলি খাপ মিলায়ে তারা আউটপুট দিতে পারলেই সেটা হতো মোর রিয়েলাইজেবল।

আলোচনা এখানে শেষ করতে পারলে ভালো হতো। কিন্তু সমস্যা হলো আমাদের ছোট ভাইবোনদের কুতর্ক আর তার দ্বারা প্রভাবিত হয়ে হয়তো অনেক বড়রাও লেগে যান। আমি যদি ক্যাডেট কলেজকে বাদও দেই, তাহলে এখন বলি, নটরডেম ভিএনসি সহ ঢাকার শীর্ষ স্থান দখলকারীগুলো কলেজগুলোর শ্রেষ্ঠত্ব কি শুধু জিপিএ ফাইভ দ্বারা নির্ধারণ করা যায়? উত্তর হলো না। কারণ বড় কলেজগুলো এসএসসি জিপিএ ফাইভ তো বটেই তারপরেও অনেক যাচাই বাছাই করে নেয়। অথচ অনেক প্রতিষ্ঠান ছাত্র নেয় তলানিতে পরে থাকা কিছু ছেলেমেয়ে। এই দুইটি প্রতিষ্ঠান কি একসাথে এক পাল্লায় মাপার যোগ্য? এর সাথে আরেকটা কথা না বললেই না সেটা হলো, প্রাইভেট টিউশনির ব্যাপারটা। ক্যাডেটরা বছরে তিনমাস আর বড় বড় কলেজের ছাত্ররা মোটামুটি সারা বছর প্রইভেট পড়ে। এখন কলেজে পড়ানোর পর যদি আবার প্রাইভেট পড়ানো লাগে ভালো ফল করাতে, তাতে কি প্রতিষ্ঠানের লেখাপড়ার মানের খুঁত প্রকাশ করে না? আমি হাইপোটিথিক্যাল কথা বললাম মনে হয় কিন্তু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাজ করতে হলে আক্ষরিক অর্থেই সব রকমের প্রাইভেট টিউশনি আইন করে নিষিদ্ধ করা দরকার । এর সাথে কিছু প্রতারণার ব্যাপার আছে বিভিন্ন কলেজের নামে ( এটা অবশ্য বড় বড় কলেজগুলোর নামে না, কিছু অসাধু প্রতিষ্ঠান যেগুলোকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বলতে আমার আপত্তি আছে।)

তাহলে দেখা যাচ্ছে আসলে সেরা জাজ করাটা একেবারেই একটা এবস্ট্রাক্ট ব্যাপার। সেরা তখনই জাজ করা যেত যদি সব প্রতিষ্ঠানে গড়পরতা সেম ক্যালিভার (মানে সব ক্যালিভারের স্টুডেন্ট এর এভারেজের সমান উপস্থিতি) এবং সেম সুযোগ সুবিধা দিয়ে প্রাইভেট টিউশনি অফ করে তাদের মত চালানো যেত এবং ফল জাজ করা হতো। সেটা যেহেতু সম্ভব না আপাতত আমি এই সেরা অসেরার তর্ককে একটা তালগাছ বাদী অসুস্থ তর্ক ছাড়া আর কিছু মনে করছি না।

এবার প্রতিক্রিয়া যারা জানিয়েছেন তাদের মোটিভ আর আমাদের ক্যাডেটদের ব্যবহার সেইসাথে নিজেদের কুপমণ্ডুকতা নিয়ে কিছু কথা বলতে চাই। আমার বক্তব্যগুলো সবার সাথে না মিললে মত পাল্টা মত শুনতে আমি প্রস্তুত।

প্রথমত আর্মি সিভিল চিরকালীন দ্বন্দ্বের মত ক্যাডেট নন ক্যাডেট একটা টানাপোড়েন থাকে আমাদের মাঝে। আমি মনে করি এটা মূলত ম্যাচিউরিটির অভাব। ম্যাচিউরড হলে নিঃসন্দেহে আমরা এটা কাটিয়ে উঠবো। এখন যে পোল নিয়ে এত কথা হচ্ছে সেই পোলের মোটিভ আসলে কী ছিলো? আমি যেই দৃষ্টিকোণ থেকে না বলেছি সেটা মোটেই ছিলো না। বরং সেটা ছিলো অল্প বয়সে হিরোইজম চাপা কিছু বালক বালিকার ঈর্ষা থেকে উদ্ভুত। এর সাথে পিছনে জ্বালানি যোগায় ক্যাডেটদের নামে ছড়ানো কিছু প্রচলিত মিথ্যা কথা। আমি বিভিন্ন কলেজের বিভিন্ন ছাত্রছাত্রীদের সাথে ইন্টারএক্ট করেছি। সেই সূত্রে ক্যাডেট সম্পর্কে বাইরের মানুষের ধারণা কতটা অবাস্তব তা দেখে শিউরে উঠি। অত্যন্ত দুঃখের বিষয় হলো কিছু কিছু প্রাইভেট টিউটর এবং কোচিং সেন্টারগুলো সেই ধারণা গুলোকে খুব বিশ্বাস যোগ্য ভাবে প্রমোট করে সাথে নিজের অভিজ্ঞতার নামে মিথ্যাচার করে।

এবার আসি বিপরীতে ক্যাডেটদের প্রতিক্রিয়ার দিকে। পোলে আমার কলেজের দুইজন ক্যাডেটের প্রতিক্রিয়া দেখে আমি খুবই কষ্ট পেয়েছি। আমি তাদের উদ্দেশ্যে বলি এসব বলে তোমরা নিজেদের ছোট করছো সেই সাথে আমাদের প্রতিষ্ঠানকেও। এই ব্লগের একজন সামুর একটা লিংক শেয়ার করেছে। সেই লিংক ধরে লেখা এবং সামুতে ক্যাডেট ব্লগারদের প্রতিক্রিয়াগুলোও খুবই নাক উঁচা ও এলিট ভাব এসেছে। কিছু কিছু জায়গায় এনডিসি ভিএনসির সাথে তুলনা করে উন্নাসিকতা প্রকাশ ও হয়েছে। ( মানছি এনডিসি ভিএনসির কেউ হয়তো উসকানি দিয়েছে।) ।

যারা এই কুতর্কগুলো করছে তাদের মাঝে যারা এখনো ভার্সিটিতে ঢুকেনি তাদের আমি দোষ দেই না। হয়তো সময়ের সাথে এনডিসি ভিএনসি কিংবা বাইরের কোন কলেজের অসাধারণ কিছু মানুষের সাথে সঙ্গ পেলেই তাদের ধারণা পাল্টে যাবে। তবে সেই সাথে বাইরের কলেজের কাছে আমাদের সম্পর্কে ধারণা পাল্টাতে হলেও আমাদেরকে নাক উঁচা ভাব কমাতে হবে। তাদের সাথে সহজ সম্পর্ক ও ম্যাচিউরড আচরণ করতে হবে। যখন ভার্সিটি পাস করা ক্যাডেটদের মাঝে বালখিল্যতার তীব্র বহিপ্রকাশ দেখি তখন কিন্তু আমার নিজের কাছেই প্রশ্ন জাগে, ক্যাডেট কলেজ কি আমাদের মাঝে এলিটিজমকে প্রমোট করছে???

একেবারেই অফটপিক, কিন্তু এই কথাটা আমি অপ্রাসঙ্গিক ভাবেই বলছি, সেটা হলো আমরা ক্যাডেটরা খুবই স্বার্থপর। নিজেদের গায়ে একটু ছিটা লাগলেই কাগজ কলম তুলে যুদ্ধ শুরু করি। অথচ দেশ জাতির বড় ইস্যুতে আমরা কেমন করে যেনো করা দূরে থাক,আলোচনাকেও এভোয়েড করে যাই। আমার এই আক্ষেপ মূলত সিসিবিতে সাম্প্রতিক ঘটনা নিয়ে আলোচনার অভাব দেখা থেকে উদ্ভুত। দেশের গত একমাসে বিভিন্ন অনলাইন মিডিয়া এমনকি ছাগু ব্লগেও যখন বাতাস লাগে তখন সিসিবিতে নীরব বাতাস দেখলে নিজেকেই ক্যামন যেনো অপরাধী মনে হয়। আর্মি সিভিল নিয়ে আমরা তর্ক করতে পারি ,ক্যাডেট নন ক্যাডেট নিয়েও কথার তুবড়ি ছুটাতে পারি, অথচ সাম্প্রতিক ও স্বদেশ নিয়ে আমরা বিস্ময়করভাবে নীরব থেকে যাই। ( আমার এই অভিযোগের তীর আমার দিকেও বর্তায়।)

শেষবেলায় শুধু ছোট্ট একটা কথা বলে যাই। এটা কিছু মিন করে না তবুও বলি। ভিএনসি একজায়গায় আমাদের থেকে এগিয়ে আছে। পরিমল ইস্যুতে এক্স ভিএনসি মিডিয়া প্রতিকূলতা এবং পুলিশি চোখ রাঙানি উপেক্ষা করেও একটা বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করে গেছে দাবি আদায়ে। আর আমরা এক্স ক্যাডেটরা ক্যাডেট কলেজের অনেক দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা শুধু ব্লগে পড়ে একটু দুঃখপ্রকাশ করেই নিজেদের দায়িত্ব শেষ করে দিয়েছি।

শুধু জিপিএ ফাইভ দিয়ে পড়ালেখায় সেরা হলেই হবে না বরং সমাজের সাথে কম্পিটিবল আলোকিত মানুষ হওয়াটাও জরুরী।

পরিশেষে এইচএসসিতে জিপিএ ফাইভ পাওয়া সকল ক্যাডেট ভাই ও বোনকে অভিনন্দন।

৫,৭০৬ বার দেখা হয়েছে

৫০ টি মন্তব্য : “এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল সেরা অসেরা বিতর্ক এবং এই বিষয়ে আমার ভাবনা”

  1. আহসান আকাশ (৯৬-০২)

    বক্তব্যের সাথে একাত্মতা আগেই জানিয়েছি, এখন এর পক্ষে বিপক্ষে মত শোনার অপেক্ষায় আছি।

    শেয়ার করলাম।


    আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
    আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

    জবাব দিন
    • আমিন (১৯৯৬-২০০২)

      শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ । বিশেষ করে আমার কলেজের স্নেহভাজন দুই ছোটভাইয়ের বক্তব্য শুনতে আমি আগ্রহী। যেহেতু এই ব্লগে তাদের আইডি আছে আমি আশা করবো এই পোস্ট তাদের দৃষ্টি গোচর হলে তারা তাদের বক্তব্য ক্লিয়ার করবেন।
      আর কথাগুলো একেবারেই আমার নিজস্ব মত। এব্যাপারে বড় ভাই ছোটভাইদের আলোচনা আগ্রহভরে শোনার অপেক্ষায় রইলাম। (সম্পাদিত)

      জবাব দিন
      • গুলশান (১৯৯৯-২০০৫)

        আপনার মন্তব্য দেখে আবার পড়লাম। ছোট্ট একটা দ্বিমত-

        "সেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাজ করার প্রক্রিয়াকে আমার কাছে অসৎ এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিত মনে হয়।"

        এখানে উদ্দেশ্য অসৎ হতে পারে, তবে প্রক্রিয়াটা সম্ভবত অসৎ না। আর 'শিক্ষার বিকেন্দ্রীকরণ' ব্যাপারটা আরেকটু ভাল করে ব্যাখ্যা করলে ভাল হত। এটা এই পোস্টে অপ্রাসঙ্গিক মনে হলে আলদা পোস্টে করতে পারেন। বা অন্য কোথাও এবিষয়ে লেখা থাকলে লিঙ্ক দিতে পারেন।

        আর অন্য সব ক্ষেত্রের মত আমাদের ক্যাডেট কলেজ প্রসঙ্গেও আত্মসমালোচনা শিখতে হবে। নাহলে আমরা এগুতে পারব না।

        জবাব দিন
  2. মাহমুদ (১৯৯৮-২০০৪)

    আমিন ভাই,আমাদের এমন কিছু করা উচিৎ না যে ক্যাডেট কলেজের মান হানি হবে তবে একটা কথা কি,আমরা কিন্তু কখনই অন্যদের হেয় করে কথা বলা শুরু করি নাই,এখনো করি না।আমরা সব সময়ই নন-ক্যাডেটদের হিংস্বার শিকার হই প্রথমে,নিজেদের কলেজ নিয়ে আজে বাজে কথা শুনে তারপর রিএ্যাক্ট করি(এই সময় আমরা এমন কিছু করে ফেলি যেটা মাত্রা ছাড়িয়ে যায়)।ফেসবুকে তাদের এমন কমেন্ট করা ঠিক হয় নি,এর চেয়েও বড় ভুল ছিল ভিএনসির ঐ মেয়েটির এ ধরনের প্রশ্ন করা।

    জবাব দিন
    • আহসান আকাশ (৯৬-০২)

      একটা মেয়েকে নিকৃষ্টতম ভাষায় গালি দেবার থেকেও ক্যাডেট কলেজের শ্রেষ্টত্ত্ব নিয়ে প্রশ্ন করা বড় ভুল?
      মানতে পারলাম না মাহমুদ।


      আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
      আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

      জবাব দিন
    • আমিন (১৯৯৬-২০০২)

      দুঃখিত মাহমুদ তোমার সাথে একমত হতে পারলাম না। যে ওয়েতে ওরা কথা বলেছে সেটা কোন পর্যায়ের ভব্যতার মধ্যে পড়ে না। আর সেখানে অত্যন্ত কুরুচিপূর্ণ ভাবে পরিমল সংক্রান্ত ব্যাপার নিয়ে অশালীন মন্তব্য করা হয়েছে যেটা সেই মন্তব্যকারীর ধর্ষকামী মনের প্রতিফলন। আর পোলটা যে খুলেছে সে এইচএসসি পাস করা বাচ্চা মেয়ে আর মন্তব্য কারীরা ভার্সিটি পাস করে যাওয়া।
      আর তারপরেও আমার কথা হলো ক্যাডেট কলেজের শ্রেষ্ঠত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলা এমন কী খারাপ কাজ?? প্রশ্ন তুললেই যদি খেপে যাই সেটা কিন্তু আমাদের দুর্বলতাই নির্দেশ করে। আমি আমরা সবাই আমাদের এলামনাই নিয়ে গর্বিত। কিন্তু তার প্রকাশ অবশ্যই মার্জিত হওয়া উচিত।

      জবাব দিন
  3. আহসান আকাশ (৯৬-০২)

    সেরা অসেরা নির্বাচন নিয়ে একটা হাইপোথিটিকাল উদাহরন দিচ্ছি।

    ধরা যাক প্রতিযোগিতাটা লেখাপড়া নয়, ১০০ মি দৌড়। যাতে অংশগ্রহন করবে দেশের ১৮ বছর বয়সি সকল ছেলে মেয়েরা। তারা বিভিন্ন স্পোর্টস একাডেমির অধীনে থেকে অনুশীলন চালাতে থাকবে, আর প্রতিযোগিতা শেষে ব্যক্তিগত পুরষ্কারের পাশাপাশি শ্রেষ্ঠ একাডেমিও নির্ধারন করা হবে। এর উদ্দেশ্য কোন একাডেমি তাদের ছেলে মেয়েদের সবচেয়ে ভাল ভাবে প্রশিক্ষন দিয়েছে।

    এখন দেশব্যাপী সকল আগ্রহী ১৩ বছর বয়সীদেরকে নিয়ে ১০০ মিটার দৌড়ের একটা প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হলো, সেখান থেকে সেরা ৫০০ জনকে নিয়ে ১০টি একাডেমিতে প্রশিক্ষন কার্যক্রম শুরু করা হলো, তাদের দেয়া হলো সেরা সব সুবিধা, উন্নত প্রশিক্ষন আর সেটা যোগান দেয়া হলো দেশের মানুষের ট্যাক্সের টাকা থেকে। এভাবে ১৮ বছর পর্যন্ত তাদের প্রশিক্ষন চলতে থাকলো।

    আবার ঐ বাছাই প্রক্রিয়ায় যারা বাদ পড়েছিল বা আগ্রহী ছিল না তাদের মাঝে কেউ কেউ বেসরকারিভাবে পরিচালিত কিছু উন্নত একাডেমিতে পরীক্ষা দিয়ে ভর্তি হলো, সেখানেও উন্নত অনেক সুযোগ সুবিধা পেল, কিন্তু সেটা জন্য কম বেশি ব্যয়ভার নিজেদেরই করতে হলো।

    এ উভয় গ্রুপের ছেলে মেয়েরাই আবার নিজ নিজ একাডেমির ট্রেনিংয়ের বাইরে পার্সোনাল ট্রেইনারদের কাছে স্টার্টিং, ফিনিশিং, ব্রিদিং, স্টেপিং ইত্যাদি বিষয়ে আলাদা আলাদা প্রাকটিস চালিয়ে যেতে লাগলো। যার যত আর্থিক ক্ষমতা, সে তত বেশি বিষয়ের উপরে ট্রেনিং নিল।

    আর এ দুই গ্রুপের বাইরে বিশাল একটা গ্রুপ সাধারন মানের একাডেমিগুলোতে গড় মানের বা তার থেকেরো নীচের মানের প্রশিক্ষন চালিয়ে যেতে লাগলো। তাদের মধ্যেও কেউ কেউ সামর্থ্য থাকলে পার্সোনাল ট্রেনিং নিল।

    এরা যখন ১৮ বছর বয়সে এসে উপনীত হল তখন যথারীতি দেশ ব্যাপী প্রতিযোগিতা হলো, সেখানে সেরা একাডেমি নির্বাচিত হলো প্রথম উল্লেখিত একাডেমি গুলো সেরা তালিকার প্রথম দিকে থাকলো, তারপর দ্বিতীয় গ্রুপের এবং শেষের দিকে থাকল তৃতীয় গ্রুপের একাডেমিগুলো।

    উল্লেখ্য যে শ্রেষ্ঠ একাডেমি নির্বাচনের উদ্দেশ্য ছিল কোন একাডেমি সেরা প্রশিক্ষন দিয়েছে তা যাচাই করা। এখন প্রথম গ্রুপের একাডেমিগুলো সেরা হবার পিছনে কি তাদের প্রশিক্ষনের মান মূল কারন ছিল নাকি ১৩ বছর বয়সে দেশের সেরা দৌড়বিদ গুলো বাছাই করে নিয়ে যাওয়া মূল কারন অথবা মাত্র ৫০ জন শিক্ষার্থীর ২০-২৫ জন ট্রেইনারের নিবিড় পর্যবেক্ষনে থাকাই এর কারন। নাকি একাডেমির নয়, বরং বাইরে যে পার্সোনাল ট্রেইনারের কাছে তারা ট্রেনিং নিয়ে ছিল সেটাই তার কারন?

    দ্বিতীয় গ্রুপের একাডেমিগুলো যারাও খুব ভাল করেছে তারাই বা তাদের এথলেটদেরকে কত টুকু প্রশিক্ষন দিয়েছে আর কতটুকু দিয়েছে তাদের পার্সোনাল ট্রেইনারেরা। আর তৃতীয় গ্রুপ যারা সামর্থ্য বা সুযোগ সুবিধার অভাবে একই লেভেল থেকে প্রতিযোগিতা করতে পারল না, অসেরা প্রতিষ্ঠান হবার পিছনে তাদেরই বা দায় কত খানি?

    তাই এ প্রতিযোগিতার মাঝ থেকে যেমন সত্যিকার অর্থে কোন একাডেমি তাদের ছেলে মেয়েদের সবচেয়ে ভাল প্রশিক্ষন দিয়েছে সেটা প্রমানিত হচ্ছে না, তেমনি ভাবে বর্তমানে প্রচলিত পদ্ধতিতে সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও সঠিক ভাবে মূল্যায়িত হচ্ছে না। যদি একই সুযোগ সুবিধা দিয়ে, একই মানের এথলেটদের নিয়ে নির্দিষ্ট মেয়াদে প্রশিক্ষনের পরে প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হত, তাহলেই বোঝা যেত সত্যিকার অর্থে সেরা প্রতিষ্ঠান কোনটি।

    আর ভেবে দেখুন যদি প্রথম গ্রুপের দেশ থেকে বাছাই করা, সরকারি সুযোগ সুবিধা পাওয়া এথলেটেরা যদি শুধু এই জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় শিরোপা জিতেই নিজেদের শ্রেষ্ঠ বলে দাবি করে নিজেদেরকে এলিট ভাবতে শুরু করে তাহলে সাধারন মানুষেরা খুব আনন্দিত হবে? নাকি তারা চাইবে এরা জাতীয় পর্যায়ের উর্ধ্বে উঠে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে শিরোপা জিতে দেশের জন্য সম্মান বয়ে আনবে, যাদের জন্য জনগনের টাকায় তাদেরকে এতদিন ধরে গড়ে তোলা হয়েছে।

    আমাদের ক্যাডেটদের কাছেও মানুষের প্রত্যাশা একই রকম, শুধু মাধ্যমিক উচ্চ মাধ্যমিক এ ভাল ফলাফল যথেষ্ঠ নয়, বরং এটা অর্জন করা আমাদের দায়বদ্ধতা। আমাদের সত্যিকারের পরীক্ষা এর পরে আমরা দেশকে কি দিতে পারছি, যাদের ট্যাক্সের বিনিময়ে আমরা এত সুযোগ সুবিধা উপভোগ করলাম তাদেরকে কি ফেরত দিচ্ছি?

    (মন্তব্য অতিরিক্ত বড় হয়ে গেল, দুঃখিত)


    আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
    আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

    জবাব দিন
  4. সাব্বির (৯৫-০১)

    এই ধরনের সেরা প্রতিষ্ঠান বের করার পক্ষে আমি না। আমার কাছে মনে হয় কিছু বাণিজ্যক প্রতিষ্ঠানের ব্যবসা প্রচারের জন্য এই সেরা দের সেরা বের করা হয়। উদ্ভট আর অদ্ভুত যে ভাবেই যাচাই করা হোক না কেন তাতে ক্যাডেট কলেজের কিছু হের ফের হবে না। কারণ ক্যাডেট কলেজের বাড়তি প্রচারের কোন প্রকার দরকার নেই।
    এখন হতে পারে কিছু প্রতিষ্ঠান সরকারী সুযোগ- সুবিধা আদায়ের জন্য শ্রেষ্ঠত্ব প্রমান করা জরুরী। সে ক্ষেত্রে মাপকাঠি হতে হবে পাঠ দান পদ্ধতি এবং অন্যান্য সু্যোগ সুবিধা (ল্যাব, শিক্ষক, ক্লাস), এক কথায় pre exam প্রস্তুতি। ফাইনাল পরীক্ষায় কতজন এ+ পেয়েছে তার চেয়ে বিবেচ্য বিষয় হওয়া উচিত কতজন কে সুযোগ করে দিতে পারছে একটা প্রতিষ্ঠান।
    আরেক ভাবে হতে পারে, শুধু মাত্র কলেজ পর্যায়। এস এস সি তে এ+ পায়নি এমন স্টুডেন্টদের মধ্যে কতজন এইচ এস সি তে এ+ পেয়েছে বা বেটার রেজাল্ট করেছে। সে ক্ষেত্রে এ+ পাওয়া দের সাথে সাথে কোঠা করে এ+ না পাওয়া দের ও ভর্তি নিতে হবে।

    সব শেষে বলতে চাই ক্যাডেট কলেজ সেরাদের থেকে অনেক ঊর্ধে। সাধারণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে আমাদের তুলনা করাটাই বোকামী। রাজুক, এনডিসি বা ভিএনসি তে যদি ভোরে এক ঘন্টা পিটি- প্যারেড, মাসে একটা হাউস ইনেস্পেকশন কিংবা সপ্তাহে ৩/৪ ঘন্টা পানিশমেন্ট খাওয়ার ব্যবস্থা থাকত তাহলে ভাল রেজাল্ট তো দুরের কথা অনেক উদেয়মান তারকা ঝরে পরতো পড়া-লেখার পাঠ চুকিয়ে।

    জবাব দিন
    • আমিন (১৯৯৬-২০০২)

      সাব্বির ভাই আপনার কমেন্ট টা য় একমত। শুধু শেষদিকে এসে কোথায় যেনো তাল কেটে গেলো।
      সবকিছুর শেষে ক্যাডেটকলেজ উপরে এই বেশিক ধারণা থেকে বের হয়ে আমাদের এই ধারণায় আসতে হবে সবকিছুর উপরে ক্যাডেট কলেজ উপরে হওয়া উচিত,সেই ঔচিত্যবোধ মেইনটেইন করা ক্যাডেটদের দায়িত্ব। যা হোক শেষ শেষ তুলনা চলে না বলেও কিন্তু ফট করে আপনি একটা তুলনা করে দিলেন।
      আমার কমেন্টে মাইন্ড করলে সবিনয়ে সরি বলে গেলাম।

      জবাব দিন
  5. রেজা শাওন (০১-০৭)

    আমিন ভাই সেরা অসেরার বিতর্কে যাবো না।

    এলিট প্রসঙ্গে একটা কথা বলি। ছয় বছর জনবিচ্ছিন পরিবেশে থেকে যদি আদতেই কেউ এলিট হয়ে যায়, তাহলে সে এলিটের দোষ আমি দেখি না। আর যদি কোথাও সে এই মানসিকতা দেখিয়েও থাকে, তাহলে তাতে এখানে তার দোষ কোথায়??

    ছয় বছর ধরে, আমরা সেরা এই ব্যাপারটা আমাদের মাথায় ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমাদের মেলা মেশার গণ্ডিটাও ওই এলিটদের সাথেই।

    ছয় বছর আলাদা একটা পরিবেশে থেকে হুট করেই কেউ সাধারনের সাথে মিশে যাবে, এটা কি করে সম্ভব?

    এটা থেকে উত্তরনের কোন পথ আদৌ আছে বলে আমার মনে হয় না।

    আর জাতীয় স্বার্থে আমরা পিছিয়ে থাকি, এ কথাও মানতে পারলাম না। আসলে অধিকার আদায়ের যে আন্দোলন বা এই জাতীয় ব্যাপারগুলো থেকে কলেজে আজীবনই আমাদের দূরে সরিয়ে রেখেছে।

    এর মানে এই না যে ব্যাপারগুলো আমাদের নাড়া দেয় না। আমদেরও নাড়া দেয়। কিন্তু রাজপথে নামার কৌশলগত দিক থেকে আমরা পিছিয়ে আছি।

    তবে জনগনের টাকায় খেয়ে পড়ে, এলিট হওয়াটাকে আমি নিজেও মানতে পারি না।

    খুব ভাল হয়, যদি উত্তরণের পথটা বলে দেন।(বলে অবশ্য লাভ নেই, নীতিনির্ধারকরা ব্লগ পড়েন না) (সম্পাদিত)

    জবাব দিন
    • নাজমুল (০২-০৮)

      ভাইয়া আলাদা যে শুধু ক্যাডেট্রা থাকে তা কিন্তু না। আর এটা এ কারণ না যে ক্যাডেটরা আলাদা থাকে কারণ, তারা নিজেদের এলিট ভাবে।
      আপনি আমার সাথে যে টপিক নিয়া কথা বলবেন, সেটা কিন্তু ঘুরেফিরে এক জায়গায় চলে আসবে। মনে করেন কথা বলতেসেন কার আব্বা আম্মা কেমন কড়া। একসময় একজন পেরেন্টস ডে তে তার আব্বা তাকে বিশাল ঝাড়ি দিসিলো সেই কথা বলে ফেলবে, এই তো শুরু হই গেসে...।।
      আমি খেয়াল করসি, আমার বাইরের ১/২/৩ যেই ফ্রেন্ড গুলা আসে, তাদের টপিক এর সাথে আমি পরিচিত না, যেমন এক ভেকেশানে আমি আমার আগের স্কুলে আড্ডা মারতে গেলাম। যেহুতু তখন স্কুলমেটরা সবাই কলেজে উঠে গেছে, তাই অপরিচিত প্রচুর পোলাপান ছিল, তাদের টপিক গুলা ছিল মনে করেন, এই মেয়ে, ওই মেয়ে, এর স্যার, ওই কোচিং। যেগুলার সাথে আমি মোটেও পরিচিত না। আমার কাজ ছিল চুপচাপ বসে ওদের কথা শোনা।
      একজন জিজ্ঞাস করলো আমি এত চুপচাপ বসে আছি ক্যান ??? পাশের থেকে একজন উত্তর দিলো, ক্যাডেট কলেজ থেকে আসছেতো, সারাক্ষণ ঝাড়ির উপর থাকে, তাই কথাবার্তা কম বলে।
      আরেকজন বললো, না আমাদের সাথে ভাব নিতেসে।
      এখন জিনিসটা যদি এমন হতো, আমি আমার ক্যাডেট ফ্রেন্ডদের মাঝে আমার স্কুলের কোনো ফ্রেন্ডকে আনি, তাহলে সেও চুপচাপ বসে থাকবে। তখন কিন্তু তাকে কেউ বলবেনা, সে উদয়ন স্কুলের ছেলে তাই ভাব বেশি বা এরা মিশুক না।

      জবাব দিন
    • আন্দালিব (৯৬-০২)

      যদিও আমিনের জন্য উত্তর, তবু আমি নাক গলালাম। শাওনের কমেন্টের উত্তরে -

      ছয় বছর জনবিচ্ছিন পরিবেশে থেকে যদি আদতেই কেউ এলিট হয়ে যায়, তাহলে সে এলিটের দোষ আমি দেখি না।

      এরকম এলিটিজম সমাজের জন্যই খারাপ। কেন? ছয় বছর আমরা যে ট্রিটমেন্ট ও ফ্যাসিলিটি পাই, সেটা কি আমাদের right? নাকি privilege? আমি মনে করি জুয়াখেলার মতো একটা ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে সামান্যের ভাগ্যে আমরা ক্যাডেটে চান্স পাই (খুব অল্প কিছু ছেলে অসামান্য মেধাবি থাকে, বাকিরা গড়পড়তা বাইরের অনেকের মতোই - বেশি নয়)। হয়তো সামান্য এক মার্কের জন্য কিংবা শারীরিক ত্রুটির জন্যে কেউ কেউ চান্স পায় না। এরা কেউই কিন্তু চান্স পাওয়াদের থেকে কোন অংশে কম না। কিন্তু আমরা ক্যাডেটে গিয়ে একটা প্রিভিলেজড লাইফ পেয়ে যাই।
      আমাদের খরচ কে দেয়? সরকার।
      সরকারকে টাকা কে দেয়? জনগণ।
      তার মানে আমরা মূলত জনগণের পয়সায় পালিত শিক্ষিত ও প্রশিক্ষিত হই। এখানে এলিটিজম কেন? আমাদের তো কৃতজ্ঞ থাকা উচিৎ জনগণের এই উদার অনুদানের জন্য। কৃতজ্ঞতা ও বিনয় মহত্ত্বের পরিচয়, বড়োত্বের পরিচয়। আমরা যাদের নুন খেয়ে বেড়ে উঠছি, তাদের চাইতে মেধায় বড়ো হলেও এলিট কিছু হয়ে যাই না।

      তাহলে আমরা কেন এলিটিজম লালন করি? কারণ ক্যাডেটের পরিবেশে কিশোর মনে এই ভাবনা ঢুকিয়ে দেয়া হয়। শারীরিক ও মানসিক প্রশিক্ষণের বিশেষত্ব আছে আমাদের, তার মানে এই না যে আমরা বেটার হিউম্যান, বাকিরা ইনফেরিওর। এই ভাবনা থেকেই বিযুক্তি হয়, সমাজের কাজে ক্যাডেটদের সাড়া কম - কারণ সে ভাবে যে 'I'm holier than thou'।
      সামাজিক একক হিসেবে একজন মানুষের এই ভাবনা শুধু ক্ষতিকরই না, নেতিবাচকও বটে!

      এটা থেকে উত্তরনের কোন পথ আদৌ আছে বলে আমার মনে হয় না।

      উত্তরণের পথ নেই এটা মানতে পারলাম না। অবশ্যই আছে। ব্যক্তিগত পর্যায়েই আমরা অনেক কাজে এগিয়ে আসতে পারি। ক্যাডেটদের গড়পড়তা অর্গ্যানাইজিং পাওয়ার খুব বেশি। দলে চলি বলে আমাদের মাঝে একাত্মতাও বেশি। অনেকেই লিডারশিপের খুটিনাটি কলেজেই শিখে আসে। এগুলো ছোট গণ্ডিতে কাজে লাগানো যায়। কিন্তু আমাদের মাঝে বাইরের সমাজে এসে নিজেকে উপস্থাপন করা বা প্রমাণ করার তাগিদ খুব খুব কম। এটা ঘটে কারণ ক্লাস টুয়েলভ পাশ করার পরে বাইরের পরিবেশটাও যে একটা পরীক্ষাক্ষেত্র, কলেজের মতোই এখানে আমার জায়গা করে নিতে হবে - এই শিক্ষা আমাদের কলেজ থেকে কেউ দেয় না। দিলে আমরা প্রস্তুত হতে পারতাম। কলেজ থেকেই তো অনেকে আর্মির জন্য প্রস্তুতি নেয়, অনেকটা সেরকম।

      এই তাগিদ থাকে না, আর ভিতরে ভিতরে ভাবি 'আমি তো এলিট, অপরের চাইতে আমি সমাজে এমনিতেই উপরে, আমি মেধাবি ও চৌকস ক্যাডেট সুতরাং আমি সমাজে বাকিদের চেয়ে উপরে থাকবো'। এই ভাবনার কারণেই নিষ্ক্রিয়তা। এই জন্যেই আমরা অংশ হই না। অংশ হলে ক্যাডেটদের নেতৃত্ব আর বৈশিষ্ট্য প্রকাশিত হতো, তখন সমাজই আমাদের অবদানে কৃতজ্ঞ হতো।

      হয় না, কারণ আমরা কিছু দেই না (যতোটা নিয়েছি তার তুলনায়)। দেই না বলেই আমরা প্রাপ্ত সমীহ পাই না। সিম্পল। 🙂

      জবাব দিন
    • আমিন (১৯৯৬-২০০২)

      শাওন, আমি তোমার এই প্রশ্ন আশা করছিলাম।
      এগুলো নিয়ে গুছিয়ে কিছু কথা বলার দরকার ছিলো যেগুলো পরে এসে বলে যাবো( মানে জাতীয় কন্ট্রিবিউশ বিষয়ক)।
      এলিটিজম বলতে আমি বেশি দূরে যেতে বলবো না, এইখানেই খুঁজে দেখো। কেনো ক্যাডেটদের পক্ষ নিয়ে জিহাদি জোশে ঝাপানো হলো তার নিমিত্তে আমাদের একজন তার থেকে তিন ব্যাচ সিনিয়রকে ........ রেখে গালি দিচ্ছে। ক্যাডেট সেরা এই প্রশ্ন তুললে তাকে শোয়াতে তো হবেই যারা শোয়াতে অংশ নিলো না তাদেরকেও একটা গালি দিয়ে দিচ্ছে। লজিকের চাইতে ইমোশনের এত আধিক্য এলিটিজম প্রমোট করবেই।

      জবাব দিন
  6. আন্দালিব (৯৬-০২)

    পোলটা দেখেছি। মজা করে একটা উত্তরও দিয়েছি (২টা ফ্রন্টরোল দিয়ে আসেন)। খেয়াল করি নাই যে অন্য অপশনের মাঝে এমন কুৎসিত একটা অপশন আছে! প্রশ্নকর্তা নারী এবং ভিএনসি বলেই কি এমন? এই অপশন দেখলাম, আর খুবই আহত হলাম।

    তোর লেখাটা ভাল হয়েছে। অন্যেরা আমাদের বদনাম করে - আগেই তাদের রিফিউট করতে গিয়ে আমরা গালাগালি করি (এসএসসির সময়েও এরকম একটা পোস্ট এসেছিল মনে পড়ে)। হয়তো এখন আমাদেরই নিজেদের দোষগুলো চিহ্নিত করার সময় এসেছে।

    জবাব দিন
    • আমিন (১৯৯৬-২০০২)

      ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
      আমার কাছে কিছু ব্যাপার মনে হয়েছিলো যেগুলো শেয়ার করাটা ক্যাডেট সমাজের জন্য মঙ্গলজনক এবং আলোচনা যুক্তি তর্কে সত্য উদঘাটন এবং তার দ্বারা আমাদের সার্বিক উন্নয়ন ও বাজে ভাবমূর্তির পরিবর্তন এইসব লক্ষ্য থেকেই আমি কমেন্ট দুটা করেছিলাম। এখানে মত প্রতিমত শুনতে চাইছিলাম।
      তবে এখন মনে হচ্ছে এসব আলোচনার আসলে দরকার নেই। কারণ ইমোশনে যুক্তি তর্ক চলে না। ক্যাডেট কলেজ নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুললেই আমাদের জিহাদি জোশে ঝাপাতে হবে এবং জান দিয়ে সেটাকে প্রতিহত করতে হবে, উড়িয়ে দিতে হবে। আর আরও বুঝলাম মানুষজনের সময় খুব মূল্যবান । এইখানে এসে আমাদের মত লোক যাদের কোন কাজকাম নাই নেহায়েত আড্দা মারার জন্য পোস্ট দেই আর নতুন পোস্টের জন্য অপেক্ষা করি এবং আমরা ক্যাডেট কলেজ প্রশ্নে লজিক্যালি কিছু খোঁজার চেষ্টা করি কারণ আমরা নিজেদের ব্লগার হিসাবে ভাবি যারা একটা নির্দিষ্ট চিন্তার গণ্ডিতে সীমাবদ্ধ। আর আমাদের এহেন খুঁঝতে যাওয়া এবং সেইসব নিন্দুকদের গালিগালাজ না করা হলো .......মি ( শুন্য স্থানে কী বসবে জানি না তবে সেটা খুব শ্রুতি মধুর নয়)।
      যাহোক নিজের এবং সিসিবি ব্লগের ব্লগারদের সম্পর্কে বেশ নতুনভাবে চিন্তা করারও সুযোগ পেলাম। এসব ত্যানা প্যাচানির আর দরকার নাই।

      জবাব দিন
  7. জিহাদ (৯৯-০৫)

    পোস্টের সাথে সহমত জানিয়ে গেলাম। পোলটা আমারও চোখে পড়েছে। এবং পোলের যে অপশনটি নিয়ে বলছেন সেটার ব্যাপারে কি বলবো বুঝতে পারছিনা। ক্যাডেট মানেই বস, ক্যাডেট মানেই সবার সেরা - এই গৎবাধা চিন্তাধারাগুলোর অসারতা এই ধরণের ঘটনাগুলো আস্তে আস্তে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে আমাদের। কথায় বলে - বৃক্ষ ফলভারে নত হয়, আর মানুষ গুণভারে হয় বিনয়ী। কথাটা আমাদের সবার মাথায় রাখা উচিত।


    সাতেও নাই, পাঁচেও নাই

    জবাব দিন
  8. ফয়েজ (৮৭-৯৩)

    সকল ক্যাডেট-নন ক্যাডেট, এলিট-নন এলিট, রাজউক-নন রাজউক, ভিকি-নন ভিকি, এন্ডিসি-নন এন্ডিসি, জিপিএ ফাইভ, নন জিপিএ ফাইভ ভাই ও বোনেরা, আজাইরা প্যাচাল বাদ দিয়া প্রোডাক্টিভ কাজ-কাম করেন, কিভাবে দেশের উন্নতি হয় এইটা নিয়া বুলি কপচান আর সবার উপরে, মানুষ হবার চেস্টা করেন। মানুষের উপকারের চিন্তা করেন।

    আর উপদেশ পছন্দ না হলে, হাতে কোন কাজ না থাকলে ঘুমের ঔষুধ খাইয়া ঘুমান, অন্যদের বিরক্ত করবেন না।


    পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না

    জবাব দিন
  9. রাব্বী (৯২-৯৮)

    আমিন, লেখাটা ভাল হয়েছে। পোষ্টের স্পিরিটের সাথে সহমত। বাকি কথা অন্যরা বলে দিয়েছেন।

    পোলটা দেখি নাই - তাই আজাইরা একটা ঝামেলা থেকে মুক্ত আছি। সিসিবিতে সাম্প্রতিক বিষয়ে বস্তুনিষ্ঠ লেখা+আলোচনা কম আসে। এটা আমাকে হতাশ করে। তখন অন্য ব্লগে যাই।


    আমার বন্ধুয়া বিহনে

    জবাব দিন
  10. রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

    আমিন
    ভালো লিখছিস।
    পুরা ব্যাপারটাই ফাইজলামি।
    শামসুর রাহমান সম্ভবত ২০/৩০ বছর আগে লিখেছিলেন,

    "উদ্ভট উটের পিঠে চলছে স্বদেশ।"

    কথাটা আজকের জন্য ও প্রযোজ্য বটে।

    সেরা আবার কি?

    এই জিপিএ ব্যাপারটাই যেন কেমন?

    যারা এই নিয়মের মধ্যে আছো তারা আবার অন্যভাবে নিও না।
    আমাদের সময় আর্টস থেকে এস এস সি তে সবাই ৫ টা করে লেটার পেয়েছিলো। অথচ স্ট্যান্ড করেছিলো ৩ জন; ১ম, ৩য়, ১০ম। তাইলে আমরা অন্য ৩ জন যারা স্ট্যান্ড করিনাই, আর যারা করলো তাদের সবার রেজাল্ট এক হয় কি করে। সাইন্স থেকে ৬ টা লেটার পেয়েছিলো মাত্র ২ জন। এদের মধ্যে ১ জন আবার স্ট্যান্ড করে নাই। তবে?


    এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

    জবাব দিন
  11. মিথুন (2000-2006)

    পোলটা আমি কেবল দেখলাম এবং অপশন গুলো দেখে বিরক্ত। ভাই আমরা কি তা আমরা ভালই জানি।এই সব কাদা ছোড়াছুড়ি করতে দেখে লজ্জিতই হই। অন্যান্য ব্লগ এ এই সম্পরকিত লেখাও আমাদের জন্য চিন্তার বিষয়। আমিন ভাই কে ধন্যবাদ সুন্দর একটা লেখার জন্য।
    সত্য কথা হইল গ্রেডিং সিস্টেমটাই একটা বাজে সিস্টেম । যে বাবস্থায় সারা দেশের ৫০০০০ student

    জবাব দিন
  12. মিথুন (2000-2006)

    পোলটা আমি কেবল দেখলাম এবং অপশন গুলো দেখে বিরক্ত। ভাই আমরা কি তা আমরা ভালই জানি।এই সব কাদা ছোড়াছুড়ি করতে দেখে লজ্জিতই হই। অন্যান্য ব্লগ এ এই সম্পরকিত লেখাও আমাদের জন্য চিন্তার বিষয়। আমিন ভাই কে ধন্যবাদ সুন্দর একটা লেখার জন্য।
    সত্য কথা হইল গ্রেডিং সিস্টেমটাই একটা বাজে সিস্টেম । যে বাবস্থায় সারা দেশের ৫০০০০ student কে আপনি আলাদা করতে পারে না ওইটা কোন সিস্টেম ই না। আর সব থেকে আশ্চর্যজনক হইল যখন দেখি কেও cadet college এ পইরাও এখন পর্যন্ত সঠিক পথে চিন্তা করতে পারতেসে না।এই পোল এ মন্তব্য কি আপনার কলেজ এর গৌ্রব বারালো না কমালো তা কি তিনি ভাবসেন। আমার মনে হই না cadet র এই রকম আচরন করা উচিত হইসে। আর মানুষ হিসেবে কতটুকু সফল হইলেন সেইটাই সবাই মনে রাখবে।সত্য কথা বলতে কখন এ পিছপা হই না। সত্য হইল আমাদের পিছনে বাংলাদেশ সরকার এর যতখানি ইনপুট আউটপুট তার থেকে বেশি না বরং কম।নিজের মেধা অই সব আজাইরা পোস্ট এ অপচয় না কইরা অন্য কাজে লাগাইলে দেশ ও দশের উপকার হবে।ফুটবল এ একটা কথা আছে "team is prior than individual" .....একিভাবে বলা যায় "country is prior than institution"....কে ভাল কে খারাপ এই নিয়া না লাফাইয়া দেশের জন্য কিছু কইরেন পারলে।

    জবাব দিন
  13. আছিব (২০০০-২০০৬)

    সরকারই যখন ঠিক করে দেয় কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সেরা,তখন পাবলিক মেনে নিতে বাধ্য হয় যে এটাই সেরা,আর বাবা-মা রা চান সন্তান সেরাটাতেই পড়ুক। কাজেই ছেলেমেয়েরা যখন এই দুষ্ট চক্রের শিকার হয়,তারাও এক তুলনা করতেই প্রভাবিত হয়।

    আমিন ভাই এর বক্তব্যের সাথে পুরোপুরি আমি একমত, কিন্তু দেশকে কেমনে কি দিব সেটাই ঠিক করতে পারিনি,পারব বলেও মনে হয় না,সারাজীবনই গড়পড়তা চিন্তাভাবনা করে আসছি,নিজেকে এলিট কখনই ভাবিনি। বাইরে আমার অনেক ট্যালেন্টেড ফ্রেন্ড আছে,যাদের মেধা-মনন রীতিমত ঈর্ষণীয়। আশা করি ছোটা ভাইরাও সময়ের স্রোতে এই এলিটিজম থেকে বের হয়ে আসবে।

    পোলটা এখনও খুঁজে পাইনি। দেখার ইচ্ছা ছিল।
    সরকারের এই সেরা বের করাটা আমার একদম পছন্দ হয়না। আমিও কিছু একটা হয়ত লিখতাম। কিন্তু আমিন ভাই এর বক্তব্য আর আকাশ ভাই এর মন্তব্য -এর সাথে আমার লেখার পার্থক্য হত আলোকবর্ষের সমান।

    আমিন ভাই আর আকাশ ভাই কে ধন্যবাদ।

    আসলে পুরো দেশ ও জাতি ছুটছে টাকার পিছে,যে যেভাবে পারে লুটছে,টাকার পিছে ছুটছে। এইসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বেছে বেছে ভালো ছাত্র নিলে তো রেজাল্ট ভাল হবেই। আর এটা তো সারা বিশ্বেই চলছে। কাজেই সেরা বলার দরকার তো নাই আলাদা করে!
    হয়ত সচেতন বা অচেতনভাবে আমিও সেই গড্ডালিকা প্রবাহে গা ভাসায় দিব। ইথিক্স-মোরাল তখন খালি ফাঁকাবুলিই মনে হবে

    ছাত্রের জন্যই প্রতিষ্ঠানের নাম হয়,ছাত্র ভালো না হলে প্রতিষ্ঠানের নাম হয় না।

    জবাব দিন
  14. আমিন (১৯৯৬-২০০২)

    ফয়েজ ভাই, রাব্বী ভাই, রাজীব ভাই, আছিব, মিথুন সহ সবাইকে ধন্যবাদ আলোচনা করার জন্য।
    এই বিষয়ে আলোচনা শুরুর পরে এক্স ক্যাডেট এক ছোটভাইয়ের আচরণে বিরক্ত হয়ে আলোচনার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছিলাম।
    ব্যাক্তিগতভাবে কোন আলোচনার মাঝে লেখক মন্তব্য জবাব না দিয়ে চুপ করে থাকলে আমি নিজে বিরক্ত হই। তাই উপরে যাদের মন্তব্যের জবাব না দেইনি তাদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করে গেলাম।
    আমার কাছে মনে হয়েছে এই লেখার মূল ব্যাপারটা যাদের বুঝা দরকার তাদের কাছে এই লেখা পৌছতে ব্যর্থ। এতাই আমার কাছে সবচেয়ে হতাশার মনে হয়েছে।
    সবাইকে ধন্যবাদ।

    জবাব দিন
  15. শরিফ (০৩-০৯)

    আমার একটা মতামত ছিল ।আলাদা শুধু ক্যাডেটরা থাকে না ।ননক্যাডেট রাও থাকে ।অনেকেরই ক্যাডেট দের প্রতি একটা ঈর্ষা কাজ করে এবং ক্যাডেটদের খুদ ধরতে সদা তৎপর থাকে ।ক্যাডেট কলেজ থেকে বের হয়ে ননক্যাডেটদের সাথে(সবার জন্য নয়) খুব মিশতে অথবা কথা বলতে গেলে মনে করে যে বেশি নেতাগিরি দেখাচ্ছে ।আবার চুপচাপ থাকলে বলে যে ভাব মারতেছে ।

    জবাব দিন
    • আমিন (১৯৯৬-২০০২)

      ভালো খারাপ সবখানেই থাকবে। তবে মোটা দাগে ক্যাডেট নন ক্যাডেট বিভাজনের পক্ষপাতী না আমি। তোমার কথা যে ভুল তা নয়, অন্তত এমন ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতা অনেকেরই হয়েছে। তবে সবকিছুর শেষে ক্যাডেটরা যদি সেরা হয় তাদেরই দায়িত্ব সবার সাথে নিজেকে মানিয়ে নেয়া।
      আসলে এই পোস্ট টা অনেক আগের। এইটা নিয়ে নতুন করে ডিটেইলস আলোচনার উৎসাহ পাইতেসি না বলে ডিটেইলস বললাম না।

      জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : আমিন (৯৬-০২)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।