বৃষ্টি অথবা শহরের কিছু দৃশ্যকল্প এবং একটি অগল্প

কালো মেঘ আর সাদা বৃষ্টির মিতালিতে স্বপ্নের সাদাকালো রঙে প্রকৃতি সেজেছে আজ হয়তো তার জন্যই । পিচঢালা তপ্ত রাস্তাও বর্ষণ অবগাহনে আজ শান্ত। ধূলোর চাদর ঝেড়ে নগরী আজ বিদায় জানিয়েছে যেন জমে থাকা ধুসর সময়কে। বৈদ্যুতিক তারের উপর বসে ভিজছে কিছু কাক। কে জানে হয়তো বা তাদের মাঝেও বৃষ্টি শান্তির বাণী ছড়িয়ে দিয়েছে। হালকা বাতাসের মৃদু আদর আর বর্ষিত বারির আশীর্বাদে গাছগুলোকেও একটু পুলকিত মনে হচ্ছে। আর আবহের পুলক ছাপিয়ে কাকদের নিচে দাঁড়িয়ে ক্রমাগত কাকভেজা হওয়া কিশোর আলোকিত করে রেখেছে দৃশ্যপট তার মনের পুলকের সকল বাতি প্রজ্জ্বলিত করে। বৃষ্টির আশীবার্দে ব্যবসা জমিয়ে তোলা চা’য়ের দোকনের উচ্ছ্বসিত মালিকের অতিথি পরায়ণ বাক্য কিংবা বৃষ্টিতে অলস আড্ডায় চা গেলা লোকদের কথাও শোনা যাচ্ছে জোরেসোরে। কিশোরের সেদিকে কোন ভ্রুক্ষেপ নেই। সে ক্রমাগত ভিজে চলেছে। খুব কাছে থেকে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে সে তার দুহাত পিছনে রেখে খুব ধীরে এগুচ্ছে। মাঝে মাঝে অসীম আকাশের দিকে তাকিয়ে তার ক্ষুদ্রসত্তার মাঝে বাস করা অসীম অনুভূতিকে স্পর্শ করতে চাইছে। হঠাৎ করেই দূরে ঘন্টা বাজার মৃদু অথচ তীক্ষ্ম শব্দ শোনা যায়। কিশোরের গতি দ্রুত হয়। সামনের জায়গাটা দ্রুত ব্যস্ত হয়ে পড়ে। একই রঙের হাজারো পাখির মাঝে কোন এক পাখিকে হঠাৎ চঞ্চল মনে হয় দ্রুত সঞ্চরণে। এর কিছু পড়ে ঝুম বৃষ্টিতে হুট ফেলা রিকশায় সাদা গোলাপ হাতে কলেজ ইউনিফর্মে এক কিশোরীকে একজন মানবের সাথে দেখা যায় আকাশের অথবা ভালোবাসার বৃষ্টিতে অবগাহন করতে।

বহুতল ভবনের ব্যালকনিতে চা হাতে বসে থাকতে দেখা যায় একজন নারীকে। শেষ বিকেলের আলো হঠাৎ করেই ঝলকানিতে জ্বলে উঠেছে। বৃষ্টি শেষের কষ্ট পুরো মিলয়ে যাবার আগেই অদ্ভুত আলোতে ভরে গেছে। ক্লান্ত সূর্য মেঘের আড়ালে লুকালেও তার সলজ্জ হাসির পরশ ছুইয়ে দিয়েছে তার প্রেমিকা মেঘের গালে।বৃষ্টি এখনো পড়ছে তবে খুব মৃদু। চায়ের কাপ হাতে তিনি বসে থাকেন ক্রমাগত। সামনে ছোট মাঠ সদৃশ নিচু জায়গাটা পানি জমে হঠাৎ ডোবা হয়ে গেছে। আর পাশের বস্তির ছোট ছোট ছেলেরা সেই নোংরা পানিতে গা ডুবিয়ে কাদা ছিটিয়ে উম্মত্ত খেলায় লিপ্ত। হয়তো বা অতীতে দেখা কোন ছবি ভাসে তার চোখের সামনে। মেঘ-আলোর চোখ ধাঁধাঁনো অসহ্য সৌন্দর্যে তিনি হঠাৎ করে হাপিয়ে উঠেন। ঘড়ির কাটা পিছন থেকে বেল বাজিয়ে পাঁচটা বাজার বার্তা ঘোষণা করে। তার ঘরের দিকে তাকিয়ে শূন্যতার বোধ হতে থাকে। দূরে যতদূরে চোখ যায় এই শহরটাকে বাচ্চাদের খেলনায় গড়া সেটের মত চটুল মনে হতে থাকে। হাতের চা ঠান্ডা হয়ে আসে। কলিংবেলের শব্দে তার ভাবনা কেটে যায়। বাইরে বের হওয়া পাশের ফ্ল্যাটের নতুন দম্পতি তার কাছে চাবি রেখে যায়। তারও অনেক পরে সেই ঘর তীব্র নৈঃশব্দে ছেঁয়ে যায়। পড়ন্ত বেলার শেষ আলোতে কোন এক মায়াবতীর ছোট্ট দীর্ঘশ্বাস সেই নৈঃশব্দের শূন্যতার কাছে কেবল ধাক্কা খেয়েই ফিরে আসে।

সন্ধ্যার পর থেকেই জনসমাগম কমে যেতে থাকে ক্যাম্পাসে। পুরোপুরি ঘুমিয়ে হয়তো পরে না কখনোই। তবে বিকেল সন্ধ্যার জোড়া পাখিরা একে অপরের থেকে বিদায় নেবার পরে এক ধরণের শুন্যতার জন্ম দেয় যেন। সেই শূন্যতা জেঁকে বসার আগেই তাদের পদচারণায় এই এলাকা মুখরিত হয়। রাত জেগে অক্লান্তভাবে করে চলে তারা আদর্শের সংগ্রাম। অজানা গন্তব্য জেনেই ক্রমাগত ছুটে চলা। চলতে থাকে রাত জেগে পোস্টারিং। নির্মেঘ আকাশে তারারা আজ ফুটেনি কোন এক কারণে। কখনো বা উদাত্ত সুরে গান করে তারা নিজেদের উদ্দীপ্ত করতে। গান আড্ডায় এগিয়ে চলে পথচলা। যদিও নিজেদের গল্প হয় না তেমন, তবুও হয়তো কোন এক অসতর্ক দুর্বল মূহুর্তে তারা জানতে পারে তাদের গল্প। সেই গল্প কখনো হয়তো মিষ্টি ভালোবাসার মত স্নিগ্ধ আবার কখনও জীবনযুদ্ধের ঘাত প্রতিঘাতের মত পাষাণ।আরেকপ্রান্তে বখে যাওয়া নেশাখোরদের দেখা যায়। কে জানে হয়তো তাদের পিছনেও রয়েছে কোন ব্যর্থতা গ্লানির গল্প। তারাও হয়তো নীতিবোধে তাড়িত হয়। আবার হয়তো বা তাদের কেউ তাড়িত হয় আদি ধ্রুব নীতিহীনতার অব্যাখ্যেয় নীতিতে।রাত প্রবল হলে ক্যাম্পাসের কোণে জেগে থাকা পেঁচার চোখেও হয়তো একসময় ঝিমুনি নেমে আসে।

ধুসরিত সন্ধ্যা তার তরল অন্ধকারের জায়গায় আস্তে আস্তে কালো প্রলেপ বুলায়। তখন মহল্লার মুদি দোকানে বসে আড্ডারত সাধারণ দশজনের মাঝে কাউকেই আলাদাভাবে চেনা যায় না। লোডশেডিং আর মেঘ অন্ধকারের গাঢ়ত্ব আরও বাড়ায়। কিন্তু আড্ডা তাতে থামে না। দেশ সমাজ জাতিকে উদ্ধার করা হয় ক্রমাগত। সেই আলোচনার মাঝে উঠে আসে নতুন নতুন গল্পের। আর মানুষজন বলে চলে যাপিত জীবনের একঘেঁয়ে টানা বিবরণ। মহল্লার ঘটে যাওয়া খুনের গল্পটি চলে জোরেসোরে। কানাঘুসা গুলো ক্রমশ বড় হয় আরো। নারী ঘটিত মুখরোচক সংবাদের প্রত্যাশায় ঝাপিয়ে পরে অনেকেই। কোন এক জন হয়তো সেই মূহুর্তেই তার জানা সবচেয়ে গোপনীয় কথাটা ফাঁস করে দেয়। হত্যা আথবা আত্মহত্যা বড় খবর হয়ে যায়। মুদি দোকানের পাশের ভ্রাম্যমান চা ওয়ালার চা’য়ের কাপ ফুরাতে থাকে ক্রমাগত। আড্ডা জমে উঠে, রাতও জাঁকিয়ে বসে। হঠাৎ করেই বাতাসের গতি দ্রুত হয় আর সেই সাথে আড্ডার পরিসর ছোট হতে থাকে। আড্ডার শেষ কন্ঠস্বর মিলিয়ে যাওয়ার আগেই কোন একজনকে বেরিয়ে আসতে দেখা যায় বিমর্ষভাবে। তার পরে, হ্যা তারও অনেক পরের ঘরের বারান্দায় ধূমপান রত কোন পিতার অশ্রুসজল চোখে স্বপ্নের দীপ্তি দেখা যায় আবছা আলোতে পরম নিশ্চিন্তে ঘুমন্ত সন্তানের চেহারা পানে চেয়ে।

ঘুম থেকেই উঠেই ঝিমুনি লাগে আবার। সকাল হয়েও পুরোপুরি সকাল হয়নি যেনো। দিনের আলো আজ এক অদ্ভুত দ্যুতিতে হাজির হয়েছে। সামনের রাস্তার জলাবদ্ধতা তার অলস জীবনের জন্য বিলাস হয়ে এসেছে। এমন দিন হবে আলস্য উপভোগের।এমন দিন হবে শুধু গানের- শুধু কবিতার। কম্পুতে রবিবাবুর গান ছেড়ে জানালা উঁকি দিয়ে তীব্র বিস্ময়ে চোখ ধাঁধিয়ে যায়। পাশের বাড়ির ছাদে কোন এক রবীন্দ্রকন্যার চুল ছেড়ে গান গাওয়ার অপার্থিব দৃশ্য তার নজরে আসে। গান গাওয়াটা হয়তো তার মনে কল্পনা কিন্তু বারি অবগাহন অবশ্যই নয়। কন্যার উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে পরে আকশে বাতাসে। মুক্তির আনন্দের খাঁচা ছাড়া পাখি যেনো। কম্পুতে রবীন্দ্র সংগীতের আবহে কোন এক স্বপ্নময়ীর ভেজা চুল লাবন্য ছড়ায় চারপাশে। যেন বৃষ্টিটা শুধু তার জন্যই অথবা সেই রবীন্দ্রকন্যার জন্য অথবা তাদের দুজনের জন্য। বুকের ভিতরে অদ্ভুত বিষণ্ন ভালোলাগা কাজ করে। খুব কাছে থেকে দেখা সৌন্দর্য মায়ার আলো ছড়িয়ে, থেকে যায় স্পর্শের বাইরে। সকাল বয়ে যায়। বৃষ্টি ধরে আসে। রবীন্দ্রকন্যাও বিলীন হয় দৃশ্যপট থেকে। শুধু এক অদ্ভুত ভালোলাগার পরশ ছড়িয়ে সময়টা গেঁথে যায় তার স্মৃতির ফ্রেমে।

স্নিগ্ধতার পরশ বুলিয়ে যায় দুপুরের গায়ে। তীব্র খা খা রোদে হারিয়ে যাওয়া ক্লান্ত দুপুর ভীড় করে স্মৃতিপটে। আজকের দুপুর তেমনটি নয় মোটেও। বরং স্মৃতিকাতর ও বিষণ্ণ। আকশের দিকে তাকিয়ে তাকে খুব আপন মনে হয় আর অচেনা মনে হয় চিরপরিচিত এই শহরকে। নগর পরিব্রাজক হিসাবে ঘুরে বেড়ানো খুব কাছের শহরকে রূপ ও গন্ধে আলাদা মনে হয়। স্মৃতির আস্তরণ থেকে ধূলো সরে যায়। এই শহরের বুকে ঘুমিয়ে থাকা মানুষের সুখ দুঃখগুলো হঠাৎ করেই স্মৃতিপটে হানা দেয় আবার হারিয়ে যায়। হাঁটায় ক্লান্তি আসে না তার অথবা ছিল না কোনদিনও। হাঁটতে হাঁটতে মনে পরে অনেক কিছুই। হারিয়ে যাওয়া পুরনো সময় নতুন রূপে ও গন্ধে ফিরে আসে। শহরকে হঠাৎ করেই রহস্যময় মনে হয় তার কাছে। তারপরে দুপুর গড়িয়ে বিকেল, বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা হয়। স্বৈরাচারী সূর্যকে আজ ম্রিয়মান মনে হয় রূপ বদলানো কোন নেতার মতই। সময় এগিয়ে যায়। বদলে যায় শহর। এবং ক্রমেই অচেনা হতে থাকে। অচেনা হতে থাকে মানুষ, অচেনা হতে থাকে তার মাঝেকার কাক, ধূলো ,ধোয়া, অন্ধকার ,বিষণ্ণতা। সেই সাথে অচেনা হতে থাকে পুরনো সময়। আকাশের পরিচিত রূপও বদলায়। তাকেও একসময় অচেনা মনে হয়। একান্ত নিজের শহরকে হঠাৎ করেই কেমন যেন পর পর মনে হতে থাকে। নগর পরিব্রাজক এগিয়ে যায়। হয়তো এক সময় তার পাশে কোন এক মায়াবতীকে দেখা যায় অচেনা আকাশের তলে অচেনা শহরের মাঝে পাশাপাশি।

[পুনঃশ্চ : প্রবাসীদের দেশ নিয়ে হাহাকার করা দেখে বিরক্ত হয়ে দেশ ছাড়ার আগে ঠিক করেছিলাম দেশকে নিয়ে হাহাকার করে নাকী কান্না জুড়বো না। তারপরেও আজ কোন এক অজানা কারণে হঠাৎ করেই আমার শহর এবং শহরের বৃষ্টির কথা ভেবে নস্টালজিক হয়ে গেলাম। সেই তাড়নাতেই নিজের কাছে দেয়া কথা ভাঙলাম। আমার শহরকে আমার শহরের মানুষকে, শহরের সকাল দুপুর বিকেল সন্ধ্যা রাত্রিকে মিস করি খুব খুব করে। আমি ভালো আছি। তুমিও ভালো থেকো আমার প্রিয় ঢাকা শহর।]

১,৫২৬ বার দেখা হয়েছে

১১ টি মন্তব্য : “বৃষ্টি অথবা শহরের কিছু দৃশ্যকল্প এবং একটি অগল্প”

  1. রেজা শাওন (০১-০৭)

    ভাইয়া আমিও এই রোগে ভয়াবহভাবে আক্রান্ত...!! এর চিকিৎসা কী??

    লেখাটা অনেক সুন্দর হইছে। সম্ভব হলে,নেক্সট লেখায় "পলাশীর মোড়" এর একটা চিত্র দিয়েন। এই জায়গাটা খুব মিস করি...।।

    জবাব দিন
    • আমিন (১৯৯৬-২০০২)

      প্রেমে ছ্যাকা খাইলে চিকিৎসা হইলো নতুন প্রেমিক জুটানো (ডিজুস পোলাপাংো থিম আর কি)। সো নতুন কইরা কোন শরের প্রেমে পড়াই আমার কাছে সমাধান মনে হয়।
      পলাশী বকশিবাজার চানখারপুল খুব মিস করি। সময় করে হয়তো বলবো সেইসব জায়গার কথা।

      জবাব দিন
  2. রকিব (০১-০৭)

    আহা, মায়াবতী!
    আহা, স্মৃতির শহর ঢাকা!
    আহা, আমিন ভাই!
    ওয়েলকাম টু দ্যা ওয়ার্ল্ড অব নস্টালজিয়া, আহা! 😛

    লেখায় তারা তুললাম, ৫টাই।


    আমি তবু বলি:
    এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..

    জবাব দিন
    • রকিব (০১-০৭)

      অফটপিকঃ স্মৃতির শহর, শহরের মানুষ, সবই তো বললেন। তবে বুঝতেছি, তৌফিক ভাইরে ইন দ্যা ইয়ার টু থাউজেন্ড এন্ড এইট-নাইনে যেই বিষণ্নতায় বিশেষ ভোগাইতো (এই কূলে উনি, আর ঐ কূলে তিনি টাইপ আর কী), আপনারেও ঐটায় ভুগাইতেছে 😛 । পরের সামারে ভাবীরে নিয়া আইসেন। 😀


      আমি তবু বলি:
      এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..

      জবাব দিন
      • আমিন (১৯৯৬-২০০২)

        উহু সেই সম্ভাবনা তেমন একটা নাই কাছে পিঠে। 😀

        রহমান সাহেব তো ডাইনামিক লোক। সে তো সন্ত জনের শরের প্রেমে পইরা কতকিছু লিখে ফেলে। কিন্তু আমি এই শহর না ছাড়লে মনে হয় না এরে নিয়ে কিছু লিখতে পারবো।

        আর কথায় বলে যায় দিন ভালো আসে দিন খারাপ। সো আগে কী সুন্দর দিন কাটাইতাম টাইপ নস্টালজিয়াই জীবনের নিয়তি। 🙂

        জবাব দিন
  3. ওবায়দুল্লাহ (১৯৮৮-১৯৯৪)

    :clap:
    চমৎকার আমিন।

    একবার ভাবছিলাম - কিচু লাইন কোট করি।
    পরে বিরত থাকলাম - 😕 পুরো লেখাটীই কোট করে ফেলতে হতো।

    বৃষ্টি আমার প্রিয়। আর তুমি তা ফুটিয়ে তুলেছো - ছোট ছোট ফ্রেমে ইন্ন আঙ্গিকে - বিশুদ্ধ অনুভূতিতে।
    :boss:
    ভাগ্যিস কথা রাখো নি ।
    অনেক শুভেচ্ছা নিও।

    বৃষ্টীর ছাঁটটুকু সাথে করে নিয়ে গেলাম।
    🙂


    সৈয়দ সাফী

    জবাব দিন
    • আমিন (১৯৯৬-২০০২)

      অনেক অনুপ্রাণিত হলাম ওবায়দুল্লাহ ভাই।

      কখনো বলা হয়নি কিন্তু দৃশ্যকল্প তৈরির ব্যাপারে আপনাকে আমি নিজের অজান্তেই আইডল মানি। তাই আপনার এই কমেন্ট আসলেই বিশেষ কিছু।

      অনুভূতির ব্যাপারে একটা কথাই বলবো। এই লেখাটার প্ল্যান এসেছে হঠাৎ করেই। মেঘলা আবহাওয়া মনের ভেতরে এক ধরণের ঘোর জাগায়। ঠিক করেছিলাম চোখ বন্ধ করে যেই অনুভূতিগুলো প্রথমে মাথায় আসবে সেগুলোকে আতকে রেখে চিত্রায়ন করবো। আর শহর ঘুরার এক ধরণের স্বভাব আমাদের সবার মাজএই আছে । সেই অনুভূতিগুলোকে যোগ করে দিলাম তার সাথে। ফল হলো এই ব্লগ।

      জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : রকিব (০১-০৭)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।