শুধুই লেখা অথবা গল্প -২

পূর্ব প্রকাশের পর…..
শুধুই লেখা অথবা গল্প -১

সেই নর আর সেই নারীর মাঝে প্রথম যেদিন সাক্ষাত হলো তা খুব সাধারণ একটি দিন ছিল।অসাধারণ হবারও তেমন কোন কারণ নেই।জগত মানবের বড় কোন কল্যান কিংবা অকল্যান কোন দিন বয়ে না আনলে তাকে মহাকাল মনে রাখে না।সেই দিনটি মহাকালতো দূরে থাকুক সেই মানব মানবীদের ও ঠিকমতো স্মরণে নেই কোন বিশেষ দিন হিসাবে।কিন্তু আমাদের এই গল্পের জন্য দিনটি নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ তা বলার অপেক্ষা রাখে না।তার চেয়েও বড় কথা এই মানব আর মানবী যদি সাধারণ আর দশজনের মত হত তবে তাদের মাঝে কথা দূরে থাক সাক্ষাতও হতো না।কিন্তু সাক্ষাত হলো তাদের মাঝে নাটকীয় কিংবা অনাটকীয় ভাবে।

অত্যন্ত সাধারণ সেই দিনটিতে মানব হেটে যাচ্ছিল তার ক্যাম্পাসের ভিতর দিয়ে।অন্য সাধারন মানবের মত সেও ফিরে তাকায় কোন নারী দেখলে।তেমনি ভাবেই যেন সে ফিরে তাকাল। সাধারণ চোখ হলে হয়তো কোন সুন্দরী ললনার খোঁজে ঘুরতে থাকত কিন্তু তার চোখ থেমে গেল আরেকটি চোখের দিকে।রবিবাবুর মত সেও যেন কারো চোখে তার সর্বনাশ দেখে ফেলল। তারপরে সে তার গন্তব্য স্থির করে নেয়।নাহ আর কোথাও না কখনো না।আস্তে আস্তে সে অগ্রসর হয় সামনে আড্ডাদানকারী দলটির দিকে। যার চোখে সর্বানশ সে দেকল তার কাছে যাওয়ার অনেক আগেই থেমে গেল।সে পাগল -সে জানে সে যা করতে চাইছে তার শেষ পরিণতি তার মসৃণ গালে কোমল হাতের কঠিন চপেটাঘাত, কিন্তু দশজনের সামনে তা খেয়ে লাভ কী? কিছুটা ইতস্তত করল সে। একটু দূরে গিয়ে দাড়াল।তারপরে আবার এগোলো তারপরে আবার ছেদ——-এভাবে কয়েকবার যাওয়ার পর সে বসে পড়ল মানবীটির কাছে ঘাপটি মেরে ।

পাঠকরা যদি কেউ এই বেলায় ঘটনার অসাধারণত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলে ফেলেন তাহলে ব্যাপারটা কটিন হয়ে দাড়ায়।নারীকে দেখে কত পুরুষইতো কত কাহিনী ঘটিয়ে ফেলল তা একে সাধারণের চেয়ে আলাদা বলে বিশেষায়িত করার প্রয়োজনীয়তা কী?আসলে ঘটনাটা অতি সাধারণ।আর অতি সাধারণত্ব এর অসাধারণত্বের কারণ।মানুষ মানুষের বড় সম্পর্ক ভালোবাসার আর তাই খুব সাধারণ। কিন্তু এই বিমানবিকী করণের যুগে ভালোবাসাও ডিজিটাল হয়ে গেছে ; খুব বেশি হিসেবি খুব বেশি বৈষয়িক, তা না হলে অন্তত বিয়ের মাধ্যমে ভালোবাসাকে হত্যা করার চুড়ান্ত প্রস্তুতি। সেখানে তাই নিজের চেয়ে বয়সে বছর পাঁচেক বড় মেয়ে দেখলে প্রথাগত প্রেমিকরা সটকে পড়বে। ভালো লাগলে সে ভাল লাগাকে প্রথমে অস্বীকার করবে পরে দূর দূর করে তাড়িয়ে দেবে।

ইত্যবসরে আমাদের মানবীটি সঙ্গীহারা হয়ে গেছে। আর সেই সুযোগে আমাদের মানব নিজেকে থেকে তার কাছে গিয়ে তার পরিচয় দিয়ে তার দিকে বন্ধুত্বের হাত বাড়ালো,আর মনে মনে প্রস্তুতি নিল কপোলের চামড়াগুলোকে নরম করে দিয়ে।শীতলতার আবরণে ঢাকা মানবটির হৃদয়ের উষ্ণতা মানবীর মনে প্রবেশ করে তার মধ্যকার বরফশীতল ধারায় স্রোতের সঞ্চার করল।তার হাত উঠে গেল- তবে মানবের নরম হয়ে যাওয়া কপোল পানে নয় বরং মানবের বাড়িয়ে দেওয়া বন্ধুতের হাতপানে অজানা ভালোবাসার আহ্বানে।
(চলবে লিখতে সাহস পাচ্ছি না)

২,২১৬ বার দেখা হয়েছে

২২ টি মন্তব্য : “শুধুই লেখা অথবা গল্প -২”

  1. আহসান আকাশ (৯৬-০২)

    আমিন, একটু মনে হয় ঘাপলা আছে, কারেকশন করে দিস


    আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
    আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

    জবাব দিন
  2. তৌফিক (৯৬-০২)

    চালাও। কালকেই পড়ছিলাম। ঠিক করছিলাম কিছুদিনের জন্য সিসিবি থেকে ডুব মারবো। তাই মন্তব্য করি নাই। আজকে সকালেই শুরু করলাম গুঁতানি। :grr:

    "সিসিবি থেকে ডুব মারা" আর "আর বিড়ি খামু না" সমার্থক হয়ে গেছে। :-B

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : আমিন (১৯৯৬-২০০২)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।