দিনকতক ধরিয়া ব্লগ পড়িতেছি আর পুরাতন দিনের কথা স্মরণ করিয়া সেই দিন গুলিতে বারংবার ফিরিয়া যাইতেছি। সে যাহাই হোকনা কেন, নিজের শারীরিক এই মূহুর্তের অবস্থার কারণে একটি ছোট্ট ঘটনার কথা মনে পড়িয়া গেল।
কথা হইল, কি এই হাওয়ার বুলেট?
“অন্তর জগতের বায়ু বাহির জগতে প্রবেশ করিবার কালে গূহ্যদ্বারে মৃদু কম্পন জনিত কারণে বাতাসে যে আলোড়ন সৃষ্টি হয় তাহাই হাওয়ার বুলেট নামে পরিচিত।” (সুত্রঃ চিকিৎসাশাস্ত্রে অধ্যয়রত (এখন চিকিৎসক) জনৈক দার্শনিক)
মাফ কইরা দেন ভাইজানেরা এইভাবে বঙ্কিম স্টাইলে গুরুগম্ভির ভাষাতে শুরু করার জন্য। আসলে দার্শনিকের সংজ্ঞা বলে কথা। হুবহু না হইলে কি আর চলে। এবার তাহলে আসল কথাতে আসা যাক।
যতদুর মনে পড়ে তখন এইচ. এস. সি. পরীক্ষা শেষ পর্যায়ে। কলেজে তখন নিয়ম ছিল মসজিদে নামাজের সময় ক্লাস ইলেভেন সামনের লাইনে, তারপর দশম/পরীক্ষার্থী…. সব শেষে (সপ্তম শ্রেনীর পর) ক্লাস টুয়েল্ভ স্যারদের সাথে নামাজ পড়বে। কিযে ভাগ্য ছিল আমার সে দিন, প্রিন্সিপাল স্যার মাহবুবুর রহমান ভুইয়া স্যার এর পাশাপাশি দাড়িয়ে ছিলাম। ইমাম সাহেব সবে প্রথম রাকাত (মাগরিবের নামাজ) শুরু করলেন। এমন সময় সামনে থেকে (সম্ভবত ক্লাশ ইলেভেন, মাফ কইরা দিস রে ভাই ভুল হইলে) ভুমিকম্পের মত বিকট একটা শব্দে একটা হাওয়ার বুলেট চারিদিকে ছুটে গেল। একটু ভাবেনতো ভাইজানেরা ঐ সময় ক্যাডেটদের কি অবস্থা। সবাই তো প্রানপণে হাসি চাইপা রাখার চেষ্টা করতাছে (সর্বাধিক সহিষ্ণতার অধ্যবসায়)। হঠাৎ কইরা এক কোনা হতে কারও একজনের হাসি বাইর হইয়া গেল। এরপরতো আর কেও চাইপা রাখতে পারেনা। শুরু হইয়া গেল হাসির ঢেউ। এক পাশ থেকে শুরু হয় আর wave propagation এর মতো আর এক পাশে গিয়া প্রতিফলিত হয়। বুঝতাছেনইতো, তরঙ্গের প্রতিফলনের ধর্ম অনুসারে এইটা কি থামবার কথা! আর এই দিকে আমার কি অবস্থা, পাশেই ভুইয়া স্যার, আমি আমার সব শক্তি দিয়া হাসি চাইপা রাখার চেষ্টা করতেছি। কিন্তু আর পারলামনা, স্যার এর পাশেই খাড়ায়াই হাসিটাকে মুক্ত কইরা দিলাম। যাহোক এভাবে প্রথম রাকাত গেল। এবার দ্বিতীয় রাকাত শুরু হইল, মনে হয় সবাই ঠিক করল আর হাসবেনা। কিন্তু আবার এক কোনা হতে হাসি শুরু হইল এবং একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হইল তৃ্তীয় রাকাত পর্যন্ত। অবশেষে ইমাম সাহেব সালাম ফিরালে, ভুইয়া স্যার বললেন “ইমাম সাহেব, নামাজ হয়নাই, নামাজ আবার পড়ান।” দ্বিতীয়বার অবশ্য হাসি ছাড়াই নামাজ শেষ হইছিল।
পোলাপানেরা, এই ঘটনার সাক্ষীরা একটু আওয়াজ দাও।
:khekz: :khekz: :khekz:
অনেকদিন পর গলা ছাইড়া হাসলাম।
ব্লগে স্বাগতম ভাইয়া। নামের পাশে কলেজে অবস্থান সময়টা একটু দিয়ে দিবেন কি।
দিয়েছি ভাই, তোমার কলেজের অবস্থান সময় দেখে মনে হয় আমাকে পাইছিলা।
"ভুমিকম্পের মত বিকট একটা শব্দে একটা হাওয়ার বুলেট চারিদিকে ছুটে গেল।"
=)) =)) =)) :)) :khekz: :goragori:
আমীন ভাই, অনেকক্ষন ধইরা হাসতেছি...।
যাক লেখাটা তাইলে খারাপ হয়নাই। আমি ও অনেক্ষণ ধইরা হাসছিলাম ঐ ঘটনা মনে কইরা।
:khekz: :khekz:
ওয়েলকাম পোষ্টটা খুব ভাল হইছে। মনে হইতেছে টুশকি টাইপ আরেকটা সিরিজ আইব আইব করতেছে।
ফয়েজ ভাই, আপনি শুরু কইরা দেন টুশকিটা। মনের মধ্যে চাইপা রাইখেন্না।
:khekz: :khekz: :khekz:
স্বাগতম
:khekz: :khekz: :khekz:
আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই
ধন্যবাদ।
Okay,I do not have Bangla font in the office PC.I was calculating the marks of home journals and sporadically started reading this.The result:I started laughing my gutter off with the loudest voice possible and tear of laughter came out.My departmental head came out of his room and thought that I have gone mad.I was caught red handed using the office PC in checking CCB(while 2 of the faculty members were waiting on the row...)
Being a shitty TA,I think I am going to get a warning letter....
But trust me, I don't mind!!!
=)) =)) =)) =)) =)) =)) =)) =))
এইরকম যে হবে ভাবতে পারিনাই। আমি ভাবছিলাম mild হাসি হয়ত সৃষ্টি হবে যারা ঐ সময়ে উপস্থিত ছিল।
আমীন ভাই
গুল্লি, এক্কবারে গুল্লি।
প্রথমটাই দূর্দান্ত গুল্লি (নাকি বুলেট) হইছে।
:)) =)) =)) :((
কেমন আছেন?
Life is Mad.
ভাল আছি ভাই। তোমার লেখা অনেক গুলা পড়েছি। খুব ভাল লেগেছে।
আঁমিন ভাঁই, শুঁরুতেই কিঁ দিঁলেন মামাঁ... =))
(নাঁক চাঁইপ্যা ধঁইরা কঁমেন্ট কঁরছি...তাঁই হিঁমেশ রেঁশামিয়া টাঁইপ হঁইয়া গেঁছে :khekz: )
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
:khekz: :khekz:
আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই
;)) :khekz:
আমিন ভাই, ফাটাফাটি...
মনে আছে ২য় বার নামাজ শুরুর আগে হুজুর বলেছিল," কারো ওজু দরকার হলে করে আসেন" তবে মনে নাই কেও ওজু করতে গিয়েছিল কিনা...
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
:khekz:
মনে আছে ২য় বার নামাজ শুরুর আগে হুজুর বলেছিল,” কারো ওজু দরকার হলে করে আসেন” তবে মনে নাই কেও ওজু করতে গিয়েছিল কিনা…
মাথা খারাপ, ঐ সময় ওযু করতে গেলে সারা জীবন টিজ্ খাইতে হইত।
জটিল হইছে আমীন ভাই :clap: :clap:
আবার শুরু হইছে হাসতে হাসতে চ্যায়ার থেইকা 'পিরা' যাওনের আমল :goragori: :goragori:
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
আপনেও পিরা যান? পিরা তো খালি রবিন যাইতো। 😉
আর কইছনা, কি যে মুসিবতে পড়লাম, পিরতে পিরতে টায়ার্ড হয়া গেলাম কাইলকা থেইকা :bash: :bash:
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
যাক ভালই হইছে তাহলে।
:khekz: :khekz: :khekz:
দুর্দান্ত ......
পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥
আমিন ভাই ফাটাফাটি,ওপেনিং যেভাবে করছেন হাসতে হাসতে :goragori: খাইতাছি...ফুল :gulli: :gulli: :gulli:
কিরে কবি, আছোছ কেমন?
আরে দোস্ত আর কইছনা, একটা জার্নাল এর রিভিউয়ারদের কমেন্ট এর উত্তর প্রস্তুত করতে গিয়া মাথা খারাপ হয়ে গেছে। এমন সব কমেন্ট করছে, মনে হয় হাওয়ার বুলেট ছারলেও দোষ। এমনিতে এখন ভাল আছি।
তুই ত লেইখা ফাটায়া ফালাইছচ। চালায়া যা। পড়তে খুব ভাল লাগছে।
আমীন ভাই সাবাস। ভাই হাসতে হাসতে গরাগরি খাইতাছি =)) =)) =)) =)) =)) =)) =)) =)) =))
"আমি খুব ভাল করে জানি, ব্যক্তিগত জীবনে আমার অহংকার করার মত কিছু নেই। কিন্তু আমার ভাষাটা নিয়ে তো আমি অহংকার করতেই পারি।"
ভাল, একটু গরাগরি খায়া লও। তোমার কলেজে অবস্থান দেখে মনে হচ্ছে সবে বাহির হইলা। কলেজের হাল টাল একটু বল ভাই।
:khekz: :khekz: