দাউ দাউ করে জ্বলুক পাপ মোচনের এই খান্ডব দাহন

দাউ দাউ করে জ্বলুক পাপ মোচনের এই খান্ডব দাহন

(৭১ এর হায়েনা, হিংস্র রাজাকারদের ফাঁসি বাস্তবায়নের দাবিতে শাহবাগ মোড়ে দূর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা তরুণ মুক্তিসেনাদের উদ্দেশ্যে, জয় হোক নতুন প্রজন্মের)

কাদের-নিজামী-মুজাহিদ-সাঈদী আর গোলাম আযমদের রক্ত চাই- মৃত্যু চাই
মৃত্যু চাই- বিচার চাই, বিচার চাই- বিচার চাই দাবিতে
চীৎকার করে করে মায়েদের চীৎকার বোনদের চীৎকার-
ক্ষীণ হয়ে আসে সব শহীদের চীৎকার !
-এখনি সময়, এখনি সময় বিচার করার।

সময় হয়েছে রাজাকরাগুলোকে রাস্তার মোড়ে মোড়ে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেবার।
ধর্ষক, লম্পট, খুনী, লুটেরাদের পাপের ছায়া থেকে বাংলা-মাকে মুক্তি দিতে
আজ তারুন্য নেমেছে, জনতা নেমেছে মাঠে- শাহবাগ মোড়ে তরুণ মুক্তির হুংকার।

এখনই সময় থামিয়ে দেয়া জাতির বুকে জ্বলতে থাকা চার দশকের অবিচার
এখন সময়-এটাই সময়-কোটি কোটি ছাত্র-জনতার চোখের আগুন নেভাবার
সময় এসেছে নতুন প্রজন্মের কালিমা মুক্ত হবার।

জেগে ওঠো, জেগে ওঠো, জেগে ওঠো ছাত্র-জনতা
উপড়ে ফেল মায়ের মাটি থেকে অশুভ পিশাচদের বীভৎস কায়া।
এখনই সময়- মুছে ফেল চল্লিশ বছরের ব্যর্থতা।
জেগে ওঠো, জেগে ওঠো, জেগে ওঠো- মুক্তির রক্তভেজা মাটিতে বেড়ে ওঠা ছাত্র-জনতা।

এখনই সময় মোচন করা জাতির বুকে জিঁয়ে থাকা ৭১’এর অত্যাচার
এখন সময়-এটাই সময়-কোটি কোটি ছাত্র-জনতার মনের আগুন নেভাবার
সময় এসেছে নতুন প্রজন্মের কালিমা মুক্ত হবার।

আলীম হায়দার।
ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০১৩।

১,০৪৯ বার দেখা হয়েছে

৬ টি মন্তব্য : “দাউ দাউ করে জ্বলুক পাপ মোচনের এই খান্ডব দাহন”

  1. বুকের ভেতর জ্বলছে আগুন, ছড়িয়ে দাও সারা বাংলায়॥
    অস্ত্র জমা দিয়েছি, ট্রেনিং জমা দেই নাই ॥
    বিচারপতির বিচার চাই, কাদের মোল্লার ফাসিঁ চাই ॥
    একটা একটা রাজাকার ধর, সকাল বিকাল নাস্তা কর ॥

    জবাব দিন
  2. ড. রমিত আজাদ (৮২-৮৮)

    আর একবার জয় হোক বাংলার অপরাজেয় তারুণ্যের

    মুক্তিযুদ্ধের সেই উত্তাল দিনুলোতে, অজস্র তরুণ কি অসম সাহসিকতা নিয়ে দেশমাতৃকাকে রক্ষা করেছিল! ব্যাটা নিয়াজী বলেছিলো, “বাঙালী মার্শাল রেস না”। ২৫শে মার্চের পরপরই যখন লক্ষ লক্ষ তরুণ লুঙ্গি পরে হাটু কাদায় দাঁড়িয়ে অস্র হাতে প্রশিক্ষন নিতে শুরু করল, বাঙালীর এই রাতারাতি মার্শাল রেস হয়ে যাওয়া দেখে পাকিস্তানি শাসক চক্র রিতিমত আহাম্মক বনে যায়।

    মেজাজ ঠিক রাখতে পারছিনা। যা চলছে, মেজাজ ঠিক রাখা মুশকিল। এভাবেই কি চলতে থাকবে? সব কিছুরই তো শেষ আছে। এই সবের শেষ কোথায়? ভাবতে ভাবতে যখন অস্থির হয়ে পরি তখন মনে হয় শেষ ভরসা, আমাদের তরুণরা। এই তরুণরাই এক সময় বিপ্লবীর বেশে বৃটিশ বিরোধী আন্দোলন করে হটিয়ে দিয়েছিল দুশো বছরের গ্লানি। এই তরুণরাই আন্দোলন করে রক্ষা করেছিল ভাষার মর্যাদা। যার জ্বলজ্বলে স্বাক্ষর হয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে শহীদ মিণার। এই তরুণদের অবদান আমাদের আনন্দ-বেদনার মহাকাব্য '৭১-এর মহান বিজয়ের পর্বত হয়ে দাঁড়িয়ে আছে জাতীয় স্মৃতিসৌধ। এরশাদ বিরোধী আন্দোলন তো আমার স্মৃতিতে এখনও অম্লান।

    সেই অসম সাহস সেই পর্বত প্রমাণ মনোবল আবার ফিরে আসুক বাংলাদেশের তরুণদের মাঝে। দূর হোক দুর্র্নীতি, হতাশা, গ্লানি, অমঙ্গল। আর একবার জয় হোক বাংলার অপরাজেয় তারুণ্যের।

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : নূপুর কান্তি দাশ (৮৪-৯০)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।