রাষ্ট্র এবং দাউদ হায়দার

কবি কিংবা লেখক- যাই বলো না কেন, তুখোড় হাত ছিল লোকটার
পদ্য কিংবা গদ্য কবিতা- প্রেম কিংবা ধিক্কার- কিছুতেই কমতি ছিল না তাঁর।
তব কেন সে দেখা পায় না এইসব কুসুমমঞ্জরী
পাবনা কিংবা ঢাকার।
মার্কিন মুলকে- য়ূরোপ উপবাসে দিনকাটে বাঙাল স্বাধীনতার।

কই- কেউতো সম্পাদকীয় লেখে না!
পত্রিকা-চ্যানেল এরা সব আড়াই নম্বর চরিত্রের কর্পোরেট পামর-দালাল।
চিন্তা করা যায়, আটত্রিশ বছর নির্বাসনে একটা মানুষ-
লোকটা হয়তো অভিমানে অভিমানে ভার, মানুষটাওতো একেবারে সোজা কথার।
কৈ ভাইসাব- কোথায় গেল- কোথায় গেল আপনাদের রাষ্ট্রযন্ত্রের হুংকার-
গোলাম আযমকে তো কেউ চলে যেতে বলে না !
মাঝে মাঝে বড় হয়ে যায় অনেকের কাছে- ওই তসলিমা চটিকার!
তাহলে কেন নয়- কেন নয়- ঠোঁটকাটা ধাঁরালো তলোয়ার দাউদ হায়দার।

আমিও বলতে পারিনা কিছু- পারি না করতে চিৎকার-
মম- নগণ্য ভোটার।
আস্তিনে টাকা গুঁজে- কয়েকটা নোট মাত্র, বান্ডিলও জোটে না কপালে সবার !
লোভে লোভে ভোট বেঁচে- মিছেমিছি পিন্ডি চটকাই পরে- রাজনীতিক আর আমলার।
আমরা শালা খাঁটি দুই নাম্বার- ভণ্ড ভোটার- নগদ লাভের বাসনা পেলে-
ভরা বাজারেও- আমাদের চোখে-মুখে বের হয় লোভের বেলাজ শীৎকার।

কষ্ট পেও না দাউদ হায়দার, সংকটে আছি আমরা-
সততার বন্ধ্যাত্ব ঘুচাতে পারলে তোমাকে ফিরিয়ে আনবে য়ূটোপিয়ার নাগরিক সরকার।

৯৫৬ বার দেখা হয়েছে

৫ টি মন্তব্য : “রাষ্ট্র এবং দাউদ হায়দার”

মওন্তব্য করুন : শেখ সাদী (০৬-১২)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।