চিত্রপট: কেঁপে ওঠা এক মাধবীলতা

তোমার ছবিই একেঁছিলাম মনের চিত্রপটে

চাইলেও মুছতে পারবে না, ছিড়তে পারবে না,
নষ্ট করতে পারবে না পুরনো ছবিটা চিরতরে ,

কিভাবে যেন বুনো ফুল হয়ে গেলে
সবাই হামাগুড়ি দেয় তোমার বিছার শব্দে
কি আটসাট হয়ে চলে আসে তোমার কাছে!

অথচ কত লক্ষীটাই না ছিলে
যদিও তুমি দেবী হতে চেয়েছিলে ,
তবে অপদেবতা তো হলে!!

তাই বলে, ছবিটা তো আমি নষ্ট হতে দেব না।
অনেক পুরনো ছবি , অনেক আবেগ জড়িয়ে..

আজ দুপুরেও বসেছিলাম কলাভবনের গেটে
সেদিন তুমি ছিলে-
আর আজ বসেছিলাম বন্ধুদের সাথে

মাথার উপর ঝুলে থাকা মাধবীলতা
একা দুলছিল বাতাসে।

তোমার ছবিটা আমি নষ্ট করিনি
শুধু ইরেজার দিয়ে মুছে রেখেছি যতন করে

শেষ দুপুরের হালকা রোদে ডীনস্ গেটে গেলে
মুছে ফেলা ছবিটায় প্রাণ ফিরে আসে-
কি অভিমানের চাদর জড়িয়ে তুমি চেয়ে থাক আমার চোখে!

অiনমনা হয়ে যাই নিসঃঙ্গ মাধবীলতা দেখে..

গত হয়ে যাওয়া খানিকটা সময় শুধুমাত্র,
-কোন তীব্রতা নেই,
অথচ দীর্ঘশ্বাসের কতদীর্ঘ প্রতিবিম্ব..!!

১,৫৯৩ বার দেখা হয়েছে

১৭ টি মন্তব্য : “চিত্রপট: কেঁপে ওঠা এক মাধবীলতা”

  1. কিবরিয়া (২০০৩-২০০৯)

    😀 😀 😀
    ১ম


    যেমন রক্তের মধ্যে জন্ম নেয় সোনালি অসুখ-তারপর ফুটে ওঠে ত্বকে মাংসে বীভৎস ক্ষরতা।
    জাতির শরীরে আজ তেম্নি দ্যাখো দুরারোগ্য ব্যাধি - ধর্মান্ধ পিশাচ আর পরকাল ব্যবসায়ি রূপে
    - রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : আলীম (২০০১-২০০৭)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।