ভোট দিন… পৃথিবীর জন্য!!!

বেশ কিছুদিন আগে একটা মেইল পেয়েছিলাম পৃথিবীর জন্য ভোট করার জন্য, সাবজেক্ট দেখেই মুছে ফেলেছিলাম, আজাইরা কিছু মনে করে। গতকাল আবার মেইল পেলাম, এবার পড়ে জিনিষটা বেশ চমকপ্রদ মনে হলো, তাই এখানে শেয়ার করলাম।

এই ভোটকে বলা হচ্ছে পৃথিবী ও গ্লোবাল ওয়ার্মিং (বাংলা কি হবে??) এর মধ্যে ভোটযুদ্ধ। পৃথিবীর জন্য ভোট করতে হলে কোন ব্যালট পেপারে সিল দিতে হবে না, শুধু লাইটের সুইচ অফ করলেই হবে। মূল পরিকল্পনা হল ২৮ মার্চ ২০০৯ তারিখে সন্ধ্যা ০৮৩০ হতে ০৯৩০ সকল লাইট অফ করে রাখা, এর মাধ্যমে গ্লোবাল ওয়ার্মিং এর বিরুদ্ধে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা।

এই কার্যক্রম প্রথম শুরু হয় ২০০৭ সালে সিডনিতে সেবার এতে অংশগ্রহন করেছিল ২.২ মিলিয়ন মানুষ। ২০০৮ সালে এটি আরো ব্যাপক ভাবে পালন করা হয় সারা বিশ্বে ৫০ মিলিয়ন মানুষ সেবার অংশগ্রহন করে (আজব! জানলামই না!) এবার আশা করা হচ্ছে ১ বিলিয়নের বেশি মানুষ এতে অংশগ্রহন করবে। কেউ কি আগ্রহী?

vote earth

ভোট আর্থ এর অফিসিয়াল ওয়েব সাইট Vote Earth

২৭ টি মন্তব্য : “ভোট দিন… পৃথিবীর জন্য!!!”

  1. ফয়েজ (৮৭-৯৩)
    মূল পরিকল্পনা হল ২৮ মার্চ ২০০৯ তারিখে সন্ধ্যা ০৮৩০ হতে ০৯৩০ সকল লাইট অফ করে রাখা

    শুধু লাইট অফ? ফ্যান, এসি, মটর এইগুলা?

    অফিসের টেলিকম কোর সুইচের বাত্তি বন্ধ করলে সার্ভিস ডাউন হই যাইব? পাব্লিক তখন তো পিটানি দিতে আসব?

    জুক্স করলাম ভাইডি, আবাহনী হারছে তো, মনটা ইক্টু খারাপ।


    পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না

    জবাব দিন
  2. মুহাম্মদ (৯৯-০৫)

    অনেক ধন্যবাদ। জানতামই না। অথচ আমি নিজেকে গ্রিন মুভমেন্টের অন্তর্ভুক্ত মনে করি। দুঃখজনক।
    বৈষ্ণিক উষ্ণায়ন আমরা মোটেই গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করছি না। বাতাসে অনবরত কার্বন ডাই অক্সাইড ছড়াচ্ছে। এর জন্য অবশ্য আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোর কোন দোষ নেই। বাতাসে শতকরা ৯৮% কার্বন ডাই অক্সাইড এবং অন্যান্য গ্রিনহাউজ গ্যাস ছড়ানোর জন্য দায়ী বোধহয় গুটিকয়েক উন্নত দেশ। শুনলে অবাক হবেন: পৃথিবীর শতকরা ৪০ ভাগ দূষণের জন্য দায়ী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

    ব্যাপারটা নিয়ে আমি প্রথম সিরিয়াস হই আল গোরের অতি বিখ্যাত ডকুমেন্টারি "An Inconvenient Truth" দেখার পর। এটা দেখার পর আমি অবাক হয়েছি এই ভেবে যে, আমেরিকার মানুষ এই আল গোরকে বাদ দিয়ে প্রেসিডেন্ট হিসেবে বুশকে নির্বাচন করেছেন। এই প্রামান্য চিত্র ২০০৭ সালে সেরা প্রামান্য চিত্র হিসেবে অস্কার পেয়েছিল। মজার ব্যাপার হচ্ছে ঐ বছরই আল গোর শান্তিতে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। বর্তমান বিশ্বে পরিবেশ দূষণবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক ও প্রচারক হলেন এই আল গোর।

    অ্যান ইনকনভেনিয়েন্ট ট্রুথ সবার দেখা উচিত। আমার মনে হয় না এটা দেখে কারও এক মূহূর্তের জন্যও বোরিং লাগবে। আল গোর নিজে পরিবেশ দূষণের জন্য তার দেশকে দায়ী করেছেন। কিয়োটো প্রটোকলের নাম অনেকেই শুনেছেন। এটা হল উন্নত দেশগুলোর শিল্প কারখানা কমিয়ে আনার মাধ্যমে পরিবেশে ভারসাম্য ফিরিয়ে আনার একটি চুক্তি। এই চুক্তিতে প্রায় সব দেশই স্বাক্ষর করেছে। কিন্তু আমেরিকা এবং আরও একটি দেশ এখনও স্বাক্ষর করেনি। আল গোর সিনেটর হিসেবে এই কিয়োটো প্রটোকল স্বাক্ষরের পক্ষে কথা বলেছিলেন।

    An Inconvenient Truth যে কারও চোখ খুলে দেয়ার মত প্রামান্য চিত্র। আল গোর নিজে এর অভিনেতা, পরিচালক গাগেনহাইম। এটাতে সবচেয়ে বড় অ্যালার্মিং যে জিনিসটা পেয়েছি তা হল: এই বৈষ্ণিক উষ্ণায়ন আরেকটি গণবিলুপ্তি ঘটাতে পারে। পৃথিবীতে বেশ কয়েকটি সময় শতকরা ৯০ ভাগ প্রাণী বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল। এগুলোকেই গণবিলুপ্তি বলে। আমরা গ্লোবাল ওয়ার্মিং নিয়ন্ত্রণ না করতে পারলে আগামী ১০০ বছরের মধ্যেই অবস্থা খুব খারাপ হয়ে যাবে। বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়বে পৃথিবী।

    জবাব দিন
  3. সানাউল্লাহ (৭৪ - ৮০)

    রাত সাড়ে আটটা থেকে সাড়ে নয়টা পর্যন্ত এবিসি রেডিও অফিসের অর্ধেক বাতি, এসি নিভাইয়া দিছি। আমাদের কথাবন্ধু শৈলীও এ নিয়ে এখন বললো। বন্ধুদের সবাইকে অপ্রয়োজনীয় আলো নিভিয়ে রাখার অনুরোধ জানিয়ে এ আন্দোলনে :just: যোগ দিলাম।


    "মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"

    জবাব দিন
  4. জুবায়ের অর্ণব (৯৮-০৪)

    পোস্ট পড়ে ভাল লাগলো, আপনাকে ধন্যবাদ, আমারও একই মত, লেটস গো গ্রীন। বাংলা করলাম না এইটার, বাংলা করলে বোধহয় হাস্যকর হয়ে যেত, "চল সবুজ হয়ে যাই"?!! মুহাম্মদ ভাল লাগলো জেনে যে তুমি পরিবেশবাদী ক্যাম্পেইনের সাথে জড়িত, আমাদের জীবদ্দশায়ই হয়তো আমরা দেখে যাব যে যুদ্ধ, রাজনীতি ছাড়িয়ে পরিবেশবাদই পৃথিবীর ক্যাম্পেইনের প্রথম বিষয় হয়ে উঠেছে। আর পারলে "রেসিডেন্ট ইভল" ছবিটার সিকোয়েলগুলো দেখে ফেল।

    জবাব দিন
  5. সামিয়া (৯৯-০৫)

    পোস্টটা দেখলাম নয়টা সাতান্ন মিনিটে। 😐 আমার কি করা উচিৎ? :dreamy:
    ব্যাপারনা।
    আমার মনে হয় এই ঘটনাটুকু থেকে আস্তে আস্তে বাড়াতে বাড়াতে আমরা অপ্রয়োজনীয় সবকিছুই বাদ দিতে পারবো। প্রথমে নিজেদের ওপর চেষ্টা করলেই হবে।
    প্রথমে শুরু করুন লাইট দিয়ে, রুম থেকে এর হওয়ার সময় লাইট বন্ধ করে ব্রোন।
    তারপর পানির কল, হুদা হুদা হাত ধোয়ার সময় কল ছেড়ে না রেখে বন্ধ করে আবার ছাড়ুন।
    তারপর ফ্যান,
    তারপর চুলা,
    তারপর আরও কিছু...
    দেখবেন অপচয় ব্যাপারতা আর থাকবেই না।

    জবাব দিন
  6. সামি হক (৯০-৯৬)

    কানাডায় আগামীকাল নাকি পালন করবে 😕 রবিবার এমনিতেই সব শপিং সেন্টার ছয়টায় বন্ধ হয়ে যায় আর এরা ৮ টা থেকে লাইট অফ রাখবে, লাভটা কি হবে? বাসায় বাসায় লাইট অফ থাকবে আর কি, কয়জন পালন করবে তা?

    দুনিয়ায় যতো বিদ্যুত বাঁচবে এর মাধ্যমে তা বাংলাদেশে দেওয়া উচিত প্রাইজ হিসাবে একদিনের জন্য হাজার হলেও আমরা সবচেয়ে বেশী মনে হয় লাইট বন্ধ রাখি লোডশেডিং করে।

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : কুচ্ছিত হাঁসের ছানা (১৯৯৯-২০০৫)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।