বিদায় ক্রিকেটের কন্ঠস্বর

আমার টেলিভিশনে ক্রিকেট দেখার প্রথম অভিজ্ঞতা ছিল বিটিভির সাপ্তাহিক আয়োজন স্পোর্টস প্রোগ্রামে চ্যানেল নাইনের ক্রিকেট হাইলাইটস প্রোগ্রাম। যেটার উপস্থাপনা করতেন সাদা চুলের এক নাম না জানা ভদ্রলোক। একটা সময় পর্যন্ত কোমল কন্ঠের সাদা চুলওয়ালা ঐ ভদ্রলোকই ছিল আমার কাছে ‘ফেস অফ ক্রিকেট’, ‘ভয়েস অফ ক্রিকেট’।

এরপর ক্যাবল টিভির কল্যানে প্রচুর ক্রিকেট দেখা শুরু হলো, সেই সাথে পরিচিত হলাম প্রচুর কমেন্টেটর এর সাথে কিন্তু কেউই সেই সাদা চুলের মানুষটি যার নাম তত দিনে জেনেছি ‘রিচি বেনো’ হিসেবে কে ছাড়িয়ে যেতে পারেনি।
এরপর টিভিতে বা শর্ট ওয়েভ রেডিওতে অনেক কষ্টে অস্ট্রেলিয়ার রেডিও এবিসি টিউন করে কিংবা কম্পিউটারে ক্রিকেট গেমস খেলার সময় যখনই তার কন্ঠ শুনেছি, আলাদা আনন্দ পেয়েছি।

কমেন্ট্রি ছেড়েছিলেন কয়েকবছর আগেই, আজ পৃথিবী ছেড়েই চলে গেলেন।
রিচি বেনো, এবার শান্তিতে বিশ্রাম করুন।

সংক্ষিপ্ত জীবনীঃ
জন্মঃ ৬ অক্টোবর ১৯৩০, নিউ সাউথ ওয়েলস, অস্ট্রেলিয়া।
টেস্ট অভিষেকঃ ২৫ জানুয়ারী, ১৯৫২।
টেস্ট রেকর্ডঃ ৬৩ ম্যাচ, ২২০১ রান, ২৪৮ উইকেট। (টেস্ট ক্রিকেটে ২০০০ রান এবং ২০০ উইকেট সংগ্রহ করা প্রথম ক্রিকেটার)
প্রথম রেডিও কমেন্ট্রিঃ ১৯৬০ (বিবিসি)
প্রথম টিভি কমেন্ট্রিঃ ১৯৬৩ (বিবিসি)
শেষ টিভি কমেন্ট্রিঃ ২০১৩ (চ্যানেল নাইন)

রিচি বেনো মনে হয় একমাত্র ধারাভাষ্যকার যে কিনা ধারাভাষ্য থেকে অবসর নেবার সময় পুরো গ্যালারী এবং খেলোয়ারদের কাছ থেকে অভিবাদন পেয়েছেন। ২০০৫ সালের এসেজ সিরিজে বিবিসির হয়ে শেষ বারের মত ধারাভাষ্যে এলে এ ঘটনা ঘটেঃ

(লেখার প্রথম অংশ ফেসবুকে প্রকাশিত)

১,৫৬১ বার দেখা হয়েছে

৯ টি মন্তব্য : “বিদায় ক্রিকেটের কন্ঠস্বর”

  1. পারভেজ (৭৮-৮৪)

    চ্যানেল নাইনের আগে ক্রিকেটের যেসব অনুষ্ঠান বিটিভিতে হতো, তা ছিল অনিয়মিত।
    তাই মোটামুট সিরিয়াসভাবে যারা ক্রিকেট ফলো করে তাদের প্রায় সবারই প্রথম প্রিয়তা অর্জন করেছিলেন তিনি।
    ভাল লাগলো।


    Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : মোস্তাফিজ (১৯৮৩-১৯৮৯)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।