প্রসঙ্গঃ সাকিব, বিসিবি এবং আমরা

১। সাকিব অবশ্যই অপরাধ করেছে এবং অপরাধের জন্য সে জন্যই অবশ্যই তার শাস্তি প্রাপ্য।

২। সাকিবের যে অপরাধগুলোকে রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে সেগুলো হলো ক্যামেরার সামনে অশোভন অঙ্গভঙ্গি, ম্যাচ চলাকালে ড্রেসিং রুম থেকে বের হয়ে যাওয়া এবং এক ইভটিজারকে ধরে নিয়ে এসে বিসিবির লোকজনসহ মারধর করা, আইসিসির নিয়ম ভেঙ্গে বিনা অনুমতিতে হোটেল রুম ত্যাগ করা, বোর্ডের অনুমতি ছাড়া ক্যারিবিয়ান লীগে খেলতে যাওয়া এবং কোচের সাথে দূর্ব্যবহার।

৩। অঙ্গভঙ্গির জন্য ইতিমধ্যে সে শাস্তি পেয়েছে তাই এটা শুরুতেই বাদ দিচ্ছি। ম্যাচ চলাকালে ড্রেসিং রুম থেকে বের হয়ে যাওয়া এবং সেখান থেকে এক ইভটিজারকে ধরে নিয়ে এসে বিসিবির লোকজনসহ মারধোর করার (নিজে মারার কথা সাকিব অস্বীকার করেছে) জন্য সাকিবকে অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে। তবে বিসিবি এ ব্যাপারে এতদিনে কোন সিদ্ধান্ত দেয়নি, সাকিবকে প্রদান করা শাস্তিতে এ ঘটনা যুক্ত করা হলেও বিসিবির সাথে জড়িত অন্যান্য যারা ঐ মারামারিতে অংশগ্রহন করেছিল তাদের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।

৪। আইসিসির নিয়ম ভেঙ্গে হোটেল রুম পরিবর্তন করা অবশ্যই অপরাধ হয়েছে এবং সে জন্যও সে শাস্তি প্রাপ্য।

৫। উপরের দুই অপরাধকে মূল ফোকাস করা হলেও স্বাভাবিক ভাবেই বোঝা যাচ্ছে বোর্ডের কাছ থেকে NOC নিয়ে না যাওয়া এবং পরবর্তীতে কোচের সাথে দূর্ব্যবহারের ঘটনাই ছিল মূল ট্রিগার পয়েন্ট। NOC প্রদানের অথরীটি হলো ক্রিকেট অপারেশন যার প্রধান আকরাম খান। সাকিব বলেছে সে আকরাম খানের কাছ থেকে মৌখিক অনুমতি নিয়েছে এবং আকরাম তাকে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে এবং আস্বস্ত করেছে সে অফিসে বসলে NOC সাইন করে দিবে। আকরাম খান গনমাধ্যমে এ কথা স্বীকার করেছে। ইংল্যান্ডে পৌছানোর পরে সাকিবকে ফেরত আসতে বলার সাথে সাথে সাকিব দেশে ফিরে এসে বিসিবিতে রিপোর্ট করেছে। এই ঘটনায় কোচের সাথে সাকিব ফোনে দূর্ব্যবহার করেছে সেটা সাকিব স্বীকার করেছে। এখানে সাকিবের কোচের সাথে দূর্ব্যবহার শুধু অপরাধ হিসেবে আমার কাছে, NOC নেবার ক্ষেত্রে আমি ওর কোন অপরাধ দেখছি না। এর দায় আকরাম খানের স্বীকার করে নেয়া উচিৎ।

৬। ড্রেসিং রুম থেকে বের হওয়া, হোটেল রুম পরিবর্তন এবং কোচের সাথে দূর্ব্যবহার এই তিন ঘটনায় অবশ্যই সাকিবের শাস্তি হওয়া উচিত কিন্তু সেটা কি ৬ মাসের জন্য সকল ধরনের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ আর দেড় বছরের জন্য বিদেশের লীগে খেলা থেকে নিষিদ্ধ করা? আমার মতে পরিষ্কার ভাবে না।

৭। এবার নজর দিব শাস্তির মাত্রার প্রতি, বিসিবির বক্তব্য অনুযায়ী সাকিবের শাস্তি দেয়া হয়েছে তাকে শুধরানোর জন্য, তার কাছ থেকে বাংলাদেসের জন্য সেরা সার্ভিসটা আদায় করা। কিন্তু ছয় মাস সকল ধরনের ক্রিকেট থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখলে সেটা সাকিবকে কিভাবে শুধরাবে? উলটো যেটা হবে ছয় মাস পুরোপুরি ক্রিকেটের বাইরে রেখে ওর ফর্ম, ফিটনেস দুটোই হারাবে। আর নিষেধাজ্ঞা শেষ করার এক মাস পরেই বিশ্বকাপ। বিশ্বকাপের দল নির্বাচনে অবশ্যই খেলোয়ারদের সাম্প্রতিক ফর্ম দেখে নির্বাচক করা উচিত, তখন যদি ৬ মাস মাঠের বাইরে থাকা সাকিবকে দলে নেয়া হয় তখন সেটা কি বাংলাদেশ দলে ওর অপরিহার্যতা বা ওর প্রতি নির্ভরতা প্রমাণ করবে না? সেটা তো ওকে আবার বোর্ডের ভাষ্য অনুযায়ী ‘অহংকারী’ করে তুলতে পারে, দলের অন্য প্লেয়ারদের মাঝেও সাকিবকে স্পেশাল ট্রিটমেন্ট করা হচ্ছে এই মনোভাব তৈরী করে টিম স্পিরিট নষ্ট করতে পারে।

৮। দেড় বছর বিদেশের লীগে খেলতে না দেয়ার সিদ্ধান্তের পিছনে মনে হয় কারন সাকিবকে মাটিতে নামিয়ে আনা, টাকার গরমে সে কাউকে পরোয়া করছে না এই মতবাদে বিশ্বাষী হয়ে ঐ টাকার গরম কমানোর ব্যবস্থা করা। টাকার গরম কমানোর জন্য ওকে বড় অংকের জরিমানা করা যেত, বিদেশে লীগে ওকে দেড় বছর খেলতে না দিয়ে ওকে যেমন অভিজ্ঞতা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে যেটা আমাদের পুরো দলকে ভবিষ্যতে সাহায্য করতে পারতো একই ভাবে ওই লীগগুলোতে বাংলাদেশ প্রতিনিধিত্ব হারাচ্ছে।

৯। এবার প্রশ্ন হলো আমি তাহলে কি ধরনের শাস্তি গ্রহন যোগ্য মনে করছিলাম। সাকিবের সমস্যা আসলেই ক্রনিক আকার ধারন করেছিল তবে এর পিছনে যতটা ঘটনা আছে একই পরিমাণে আমাদের সাংবাদিকদের ক্রমাগত রটনা/রং মেশানো আছে। আগের তিন ম্যাচের শাস্তি থেকে এবারের শাস্তি বেশি হওয়া উচিৎ হবে সেক্ষেত্রে তাকে সর্বোচ্চ ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর থেকে নিষিদ্ধ করা যেত এবং সেই সময়ে ঘরোয়া লীগে খেলা চালিয়ে যেতে বলা যেত। এতে করে একদিকে যেমন ও যেমন খেলার ভিতরে থাকতো অন্যদিকে ওর নিচের লেভের খেলোয়ারদের সাথে নিয়মিত খেলে ওর এটিচিউড এও সংশোধনের সুযোগ তৈরী করা যেত। একই সাথে তার আচরনগত উন্নতি হচ্ছে কিনা সেটাও পর্যবেক্ষন করা যেত। বিদেশে লীগের খেলার NOC সাসপেন্ডেট করে রাখা যেত, ওর আচরন এর উপর ভিত্তি করে ভবিষ্যতে NOC দেয়া হবে এরকম একটা শর্ত জুড়ে দেয়া যেত। আর এসব কিছুর সাথে বড় অংকের আর্থিক জরিমানা।

১০। এবার বিসিবি প্রসংগ। বর্তমান বোর্ড আমাদের দেশের ক্রিকেটের উন্নতির জন্য ভাল কোন পদক্ষেপ নিয়েছে কি না সেটা অনেক চিন্তা করেও পেলাম না। সাকিব প্রসঙ্গে বললে, বহুদিন ধরে বোর্ডের বিভিন্ন সদস্য সাকিবের আচরন বিষয়ে প্রশ্ন তুলে এসেছে কিন্তু সেটার সমাধানের জন্য নিজেরা কোন ব্যবস্থা নিয়েছে বলে চোখে পড়েনি। বরং সাকিব ইস্যুকে কেন্দ্র করে টিম স্পিরিট নষ্ঠ করার সুযোগ দিয়েছে। বছরের শুরুতেই নতুন নির্বাচক মন্ডলী আর বোর্ডের সাথে দ্বন্দে মুশফিকের মত মৃদুভাষী ক্যাপ্টেনকেও মুখ খুলতে বাধ্য করেছে। ক্রমাগত ব্যর্থ খেলোয়াড়দের দলে টেনে নিয়ে দলের পারফর্মেন্স এর ভরাডুবি ঘটিয়েছে। সেই বিসিবির কর্তারা আজকে সব ব্যর্থতার দায় সাকিবের উপর চাপাচ্ছে। খালিদ মাহমুদ সিজনকে আজকে এক টিভি সাক্ষাৎকারে ভারতের সাথে সিরিজ হারের দায় পুরোপুরি সাকিবের উপরে চাপাতে শুনলাম।

১১। মাঠে সাকিবের যে জিনিষটা সবচেয়ে ভাল লাগে সেটা ওর ব্যাটিং বা বোলিং না, ওর ফাইটিং স্পিরিট। মাঠের বাইরেও সে এই ফাইটিং স্পিরিটটা ধরে রাখে, ব্যক্তিগত ভাবে আমার বিষয়টা ভাল লাগলেও আমরা জাতিগত ভাবে এধরনের চরিত্র পছন্দ করি না। সাংবাদিকদের সামনে ও যখন সোজা সাপ্টা উত্তর দেয় সেটা সাংবাদিকদের পছন্দ হয় না (প্রথম আলো/কালের কন্ঠে ওর লেখা ছাপানোর নিয়ে দ্বন্দ ত আছেই), তথাকথিত ক্রিকেটবোদ্ধাদের সমালোচনার যখন ও সরাসরি জবাব দেয় তখন তাদের সেটা পছন্দ হয় না, আগের সভাপতির আমলে বোর্ডের আচরনের বিরুদ্ধে ও যখন কথা বলে তখন তাদেরও সেটা পছন্দ হয়নি। এ কারনে পত্রিকায় ওর পক্ষে লেখার জন্য কোন কলমধারী গ্রুপ তৈরী হয়নি, উলটো ওর প্রতিটি কথা, প্রতিটি আচরন অবজেক্টিভলি পত্রিকায় তুলে আনার জন্য তারা সর্বদা প্রস্তুত।

১২। আমরা জাতিগতভাবে দলবাজিতে বিশ্বাষী, লীগ/দল, আর্জেন্টিনা/ব্রাজিল, বার্সা/রিয়েল থেকে শুরু করে সব কিছুতে। ক্রিকেট ফ্যানদের একটা বড় অংশও দলবাজিতে ব্যস্ত। এদের ভিতরে আছে আশরাফুল গ্রুপ, তামিম-সাকিব গ্রুপ, মুশফিক গ্রুপ আর এদের এন্টি গ্রুপ এরা একে অপরের প্রতি কতটা ঘৃণা পুষে রাখে সেটা ফেসবুকের কল্যানে দেখার দূর্ভাগ্য হয়েছে। সাকিব গ্রুপ যেমন সাকিবের কোন দোষই দেখে না তেমনি ভাবে এন্টি সাকিব গ্রুপ তার সব কিছুতেই দোষ দেখতে পায়। তার দামি গাড়িতে দোষ, বিয়ে করায় দোষ, তার স্ত্রীর পোষাকে দোষ, লাইফ স্টাইলে দোষ, বিদেশের লীগে খেলতে যাওয়ায় দোষ। এর মাঝামাঝি থেকে ওর দোষকে দোষ, গুণকে গুণ বলার আর ব্যক্তিগত জীবনকে না ঘাটানোর মত ফ্যানরা বেশ নগন্যই বলা যায়।

১৩। আজকে শাস্তি ঘোষনার পরে সাকিবের পক্ষে সমর্থনের জোয়ার বইছে (যাদের অনেকেই কালকে পর্যন্ত ওর মুন্ডুপাত করছিল) আমিও ফেসবুকে সাকিবের পক্ষে বিসিবির বিপক্ষে কথা বলেছি। তবে সেটা সাকিবকে সকল শাস্তির উর্ধ্বে তুলে নয়। অনেকে বলছে সাকিবের উচিৎ বিসিবির সাথে সকল সম্পর্ক ছিন্ন করে বিদেশে চলে গিয়ে অন্য লীগে খেলা শুরু করা, আমি যার ঘোর বিরোধী আর বিশ্বাষ করি সাকিব এরকম কিছু করবে না। সবার দাবী শাস্তি কমানোর বা মওকুফ করা, এর সাথে আমি আংশিক ভাবে একমত। যেভাবেই হোক বিসিবি একটা স্ট্যান্ড নিয়েছে সেটা থেকে পুরো ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গেলে সেটা মনে হয় কার জন্যই মঙ্গল হবে না। আমি চাইবো ওর আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা অন্তত ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ পর্যন্ত থাকুক তবে বিশ্বকাপের আগ পর্যন্ত ওকে ঘরোয়া লীগে খেলানো হোক। সেই সাথে জাতীয় দলের সাথে সব প্রশিক্ষন ক্যাম্পে রাখা হোক, এতে এক দিকে যেমন ফিটনেস ঠিক থাকবে আর গুরুত্বপূর্ণ ভাবে দলের অন্যান্যদের সাথে ওর বন্ডিং বাড়াতে সাহায্য করবে (যদি কমে গিয়ে থাকে) আর সবচেয়ে জরুরী ভাবে নতুন কোচ এবং কোচিং স্টাফ এবং তাদের বাংলাদেশ দল নিয়ে পরিকল্পনা/ফিলোসফির সাথে একাত্ম হবার সুযোগ করে দেবে। বিদেশে লীগের ব্যাপারে NOC আচরণগত উন্নয়ন এর শর্তে প্রদান করা যেতে পারে।

১৪। বিসিবির আজকের এপ্রোচে আমার পরিষ্কার ভাবে মনে হয়েছে সাকিব বা জাতীয় দলের স্বার্থের থেকে নিজের কর্তৃত্ত প্রমাণ করাটাই তাদের মুল চিন্তা ছিল। সাকিবের পক্ষে যে আবেগ, ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে সেটা সাকিবের ইনডেমনিটির পিছনে কাজে না লাগিয়ে আমাদের বোর্ডের কার্যক্রমের জবাবদিহিতা সৃষ্টি করার পিছনে কাজে লাগানো উচিৎ। দলীয়, ব্যক্তিগত স্বার্থ-রাজনীতির কারনে বোর্ড যেভাবে আমাদের ক্রিকেটকে উলটো পথে হাঁটিয়ে নিয়ে যাচ্ছে তার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে তাদেরকে জানান দেয়া দরকার যে ক্রিকেটকে টাকা তৈরীর কারখানা বানিয়ে নিজেদের আখের গুছাতে ব্যস্ত থেকে মাঠে দলের পার্ফমেন্সের বারোটা বাজাতে থাকলে দর্শক এক সময় ক্রিকেট থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে আর দর্শক একবার মুখ ফিরিয়ে নিলে তাদের সোনার ডিম পাড়া হাঁস ও ডিম দেয়াও বন্ধ করে দেবে।

১৫। ইদানিং ধীরে ধীরে নৈরাশ্যবাদি হয়ে যাচ্ছি, তাও স্বপ্ন দেখতে চাই অদূর ভবিষ্যতেই সাকিব বাংলাদেশের জার্সি গায়ে আগের চেয়ে আরো বেশি লড়াকু হয়ে মাঠ কাপাবে, সাকিব, মুশফিক, মাশরাফি, বিজয়, তাসকিনসহ মাঠে থাকা এগারো জন নিজেদের সর্বোচ্চ দিয়ে একটা দল হিসেবে খেলে আমাদের ম্যাচ জিতাবে। তবে তারও আগে দেখতে চাই বিসিবি রাজনীতি, দলবাজি, ব্যবসা, ইগোর উর্দ্ধে উঠে ক্রিকেটের সার্থে তৃণমূল থেকে সর্বোচ্চ পর্যায় পর্যন্ত কাজ করবে।

(শেষ লাইনটা লিখে মনে হলো আমি মনে হয় দিবা স্বপ্ন দেখছি )

২,৪২২ বার দেখা হয়েছে

২২ টি মন্তব্য : “প্রসঙ্গঃ সাকিব, বিসিবি এবং আমরা”

  1. আন্দালিব (৯৬-০২)

    খুবই চমৎকার লিখেছিস। আমি যে কথাগুলো ভেবেছি তা মোটামুটি এই একই লাইনের। আবেগের বশে আমারও মনে হচ্ছিল সাকিবের উচিত জাতীয় দল থেকে অবসর নেয়ার মতো একটা সিদ্ধান্ত নেয়া, কিন্তু সেটা আসলে তার বা বাংলাদেশের কারো জন্যেই ভাল হবে না। এই পর্যায়ে আসলে কিছু করারও নাই। সাকিবের উচিত মিডিয়ার সাথে যোগাযোগ বন্ধ রেখে এই ছয় মাস বিশ্রাম নেয়া। দলে ফিরতে হবে, খেলাটা খেলতে হবে। বিসিবির রাজনীতিতে পড়ে ওর খেলার প্রতিভা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

    জবাব দিন
    • আহসান আকাশ (৯৬-০২)

      আমি সাকিবের জায়গায় হলে হয়তো অনেক আগেই পুরোপুরি মিডিয়া বয়কটে চলে জেতাম, তাতেও সাংবাদিকরা ওকে রেহাই দিত কি না সন্দেহ। যে কদিন নিষিদ্ধ থাকবে আশা করি মিডিয়া এড়িয়ে চলবে, আর ভবিষ্যতের জন্য নিজের ভালটা বুঝে একটু ডিপ্লোমেটিক হতে শিখবে। তবে আমি কখনোই চাইবো না ও ওর ফাইটিং এটিচিউডটা হারাক।


      আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
      আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

      জবাব দিন
  2. রায়েদ (২০০২-২০০৮)

    সবার আগে প্রয়োজন সদিচ্ছা। এইটা থাকলে খুব একটা ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ কিন্তু হওয়া লাগে না। কারণ আশেপাশে বিশেষজ্ঞ লোকের অভাব নেই। কিন্তু সদিচ্ছার অভাব খুব বেশি।

    প্রধান নির্বাচক থাকাকালীন আকরাম খান অনেক সাহসী কিছু কাজ করেছিল। সেই আকরাম খানকে আর দেখা যাচ্ছেনা। সম্ভবত তামিমের অফ ফর্ম তাকে চুপ থাকতে বাধ্য করছে। বেশি কথা বললে যদি ভাতিজাকে আর সুযোগ না দেয়।

    খালেদ মাহমুদ সুজন সীমিত সামর্থ্যের হলেও তাকে আমার ভালো লাগত। কিন্তু ইদানীং তার অনেক কাজকর্মে সন্দেহ হয়। বিপিএলে ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্সে তার বেশ প্রভাব ছিল। কিন্তু সে কিছুই জানত না এটা বিশ্বাস করা কষ্টকর।

    ব্যাক্তি সাকিবকে অনেকেই পছন্দ করেনা এইটা একদমই পরিষ্কার। আপনার ১১ নং পয়েন্ট কিন্তু যথেষ্ট এইটা বোঝার জন্য যে সাকিব কখনোই কাউকে তোষামোদ করতে চায়নি আর এই ধরনের মানুষেরা একবার চিপায় পড়লে সবাই ছেকে ধরে।

    বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে বাংলাদেশের ভাল খেলোয়াড়দের ক্যারিয়ার লম্বা না হওয়া। রাজ্জাক বারবার একশনের সমস্যা আর মাশরাফীর ইঞ্জুরি, আশরাফুলের অধারাবাহিকতা আর বোকামি, আফতাবের হারিয়ে যাওয়া এই জিনিসগুলো বাংলাদেশকে উপরে আসতে দেয়নি। তাদের জেনারেশনটা যেরকম ভাল করার কথা ছিল তা করতে পারেনি। কিন্তু সাকিব্দের সাথেও যদি এমন হয় তাহলে বাংলাদেশের উন্নতির অনেক দেরি আছে।

    জবাব দিন
    • আহসান আকাশ (৯৬-০২)

      বোর্ডের সদিচ্ছা আছে শুধু টাকা কামাতে আর আর নিজেদের স্ট্যাটাস/পজিশন আপগ্রেড করতে।

      সুজনকে কখনোই পছন্দ করতাম না, জাতীয় দলে সে সমস্যা শুরু করছে বহু আগে থেকেই সিডন্স এর সহকারি হবার সময় থেকে। ঐ পদ হারানোর পর থেকে সে সিডন্সের ফেভারিট প্লেয়ারদের না না ভাবে সমালোচনা শুরু করে, ঢাকা গ্লাডিয়েটর এর ঘটনা তো আছেই। ও যেদিন থেকে বোর্ডের মেম্বার নির্বাচিত হলো সেদিন থেকেই ওকে নিয়ে ডাউট দিয়ে আসছি।


      আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
      আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

      জবাব দিন
  3. জুনায়েদ কবীর (৯৫-০১)

    ক) বিসিবি যা করতে পারত-
    ১। সাকিবকে ওর দোষের জন্য গণমাধ্যমে ক্ষমা প্রার্থনার জন্য বলা,
    ২। বক্তব্যের জন্য কারণ দর্শাতে বলা
    ৩। জরিমানা করা
    ৪। খুব খুব খুব...বেশি হলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সফরে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া

    কিন্তু বিসিবি যা করেছে তা কতখানি দেশের ক্রিকেটের স্বার্থে আর কতখানি ব্যক্তিগত দ্বন্দের জের এর ফল- তা নিয়ে আমার সন্দেহ আছে। যারা দেশের ক্রিকেট নিয়ে শঙ্কিত সেই বিসিবির হর্তাকর্তাদের কখনো দেশের প্রথম শ্রেনির ক্রিকেট নিয়ে চিন্তিত হতে দেখি না। বেশি বেশি দীর্ঘ মেয়াদী (তিন/চার দিনের) ম্যাচের আয়োজন করতে দেখি না। ক্লাব, জাতীয় লীগ বা বিপিএল এ খেলোয়ারদের বেতন বাকি থাকে সেটা নিয়ে তারা চিন্তিত না। দেশের ক্রিকেট অবকাঠামো প্রায় ভেঙ্গে পড়েছে- আগের মতন নির্মাণ স্কুল ক্রিকেট হয় না, অনেক একাডেমীতে পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা নেই - এসব নিয়ে কারও ভাবার সময় নেই। সবাই ব্যস্ত জাতীয় দলকে নিংড়ে জ্যুস খাওয়ায়।

    খ) সাকিবের মধ্যে 'এগ্রেসিভ এটিচ্যুড' আছে- এটা মানতেই হবে। যা খেলার ক্ষেত্রে কার্যকরী হলেও সামাজিক জীবনে কিছু সমস্যা বয়ে আনে। এই ধরনের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য বদলাতে প্রফেশনালদের সাহায্য লাগে, ব্যক্তি নিজে একা কখনো এটাকে বদলাতে পারবে না। সবচেয়ে বড় কথা বার বার একজনকে প্ররোচিত করলে সে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে অনেক কিছু বলতে পারে বা করতে পারে- এটাও সম্ভবত বিসিবি'র হর্তা-কর্তাদের মাথায় আসে নি।

    সাকিবকে আচরণগত কারণে নিষিদ্ধ করা হলে আরও আগেই অনেককে নিষিদ্ধ করার দরকার ছিল! অনেক ক্রিকেটারই এর আগে বেয়াদবি করে পাড় পেয়ে গেছে! আর দলে যদি টিমওয়ার্কের ঘাটতি থাকে এটার জন্য জবাব দেবে ক্যাপ্টেন এবং যাদের পারফরমেন্স দীর্ধদিন ধরেই খারাপ। দল নির্বাচন নিয়ে যে নোংরামির কথা আমরা শুনি, তা যদি সত্যি হয়- তাহলে দলে শৃঙ্খলা আনতে বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাদেরও শাস্তির প্রয়োজন আছে! সেই কুখ্যাত লোটাস কামাল থেকে শুরু করে পাপন, আকরাম, ফারুক- কেউ ই দায় থেকে রেহাই পাবে না।


    ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ

    জবাব দিন
    • আহসান আকাশ (৯৬-০২)

      সাকিব কিন্তু ইতিমধ্যে বোর্ড প্রেসিডেন্টের কাছে কারণ দর্শিয়েছে, ক্ষমাও চেয়েছে। আর বিসিবির এই সিদ্ধান্তের পিছনে দেশের স্বার্থের চিন্তা যদি ১০% ও থাকে তাহলে অবাক হবো। এই বোর্ডের ক্রিকেটের জন্য নেয়া একটা ভাল পদক্ষেপও চোখে পড়েনি এখনো, পদে পদে শুধু সমস্যাই সৃষ্টি করে যাচ্ছে। আর আমাদের সব ক্ষমতাধারীরাই শুধু জ্বী হুজুর জ্বী হুজুর শুনতে চায়, সাকিব সেই জিনিষ না , বোর্ডের এই জিনিষটাই মনে হয় সহ্য হয় না। They just wanted to say to Shakib that "See, who is the BOSS now?"

      সাকিবের এগ্রেসিভ এটিচিউডে আমার কোন আপত্তি নাই, মাঠের বাইরেও এটা পুরোপুরি চলে যাক তা কখনোই চাই না। এইটা জাস্ট একটু কারেক্ট চ্যানেলে ডাইভার্ট করতে হবে আর একটু ডিপ্লোমেটিক হতে হবে।

      ওর ক্যাপ্টেন্সি নিয়ে নেয়ার পর একটা কথা বলেছিলাম, We are not ready to have a captain like Shakib yet. He would be a perfect aussi captain.


      আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
      আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

      জবাব দিন
  4. আহসান আকাশ (৯৬-০২)

    কিছু পয়েন্ট মিস করেছি, কোচ আর বোর্ড সভাপতির মাঝে যোগাযোগের মেইল কনফিডেনশিয়াল হবার কথা, এটার খবর মিডিয়ার হাতে আসলো কিভাবে? এর পিছনে দায়ী ব্যক্তিকে খুঁজে বের করে শাস্তি দেয়া দরকার।

    একাত্তর চ্যানেলে আজকে সুজন যেভাবে স্টেডিয়ামের ঐ ইভ টিজারকে ইয়াং ভদ্র ছেলে, লন্ডনে পড়াশুনা করে, ছেলের বাবা ক্ষমা চাইতে এসেছিল তাতেও সাকিব রাজি হয়নি ইত্যাদি ইত্যাদি বলতে ছিল তখন মনে হচ্ছিল ওর মাথায় একটা বাড়ি দেই। এই এঙ্গেলেও কোন ঘটনা থাকতে পারে।


    আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
    আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

    জবাব দিন
  5. মোকাব্বির (৯৮-০৪)

    নিজের দিকে অর্থাৎ সমগ্র বঙাল জাতির দিকে অঙুলী নির্দেশ করিলে অনেকেই এহেন ঢালাও মন্তব্যের প্রতি অনাস্থা জ্ঞাপন করিয়া অসন্তোষ ও উষ্মা প্রকাশ করিয়া থাকেন। তথাপি, আমরা, লেহন-পারঙ্গম বঙাল জাতি কখনোই এরচেয়ে ভাল কিছু করিতে পারিব বলিয়া আমার মনে হয় না।

    সাকিব মিডিয়া এড়িয়ে চলুক আর না চলুক, সাংবাদিকরা এরকম "ফান্দে-পড়িয়া-সাকিব-কান্দে" সুযোগ হেলায় হারাবেন না। যেকেন মূল্যে ক্ষততে চুলকাবে, রিপোর্টে উঠে আসবে তার ব্যক্তিগত জীবন, স্ত্রী শিশিরের প্রসাধনী ব্যবসা নিয়ে চটুল গল্প। আর ফেইসবুকে শেয়ার হওয়া খবরে সঙ্গম-পিপাসু গার্টার সাপের মত কিলবিল করবে মুরাদ টাকলা সদ্স্যরা। উপরের লেখায় ও বিভিন্ন মন্তব্যে বিষয়গুলো পরিষ্কার উঠে এসেছে। এদেশের মানুষ বলেন, নির্বাচকরা বলেন, দিনের শেষে কেউ কারো দীর্ঘ-সুসময় দেখতে পারে না। সম্ভব না। আমাদের রক্তে নাই (আবার বঙাল জাতির প্রতি অঙুলী নির্দেশ করিলাম)

    আহসান ভাইয়ের মত আশা করবো কথা বলায় আরেকটু কৌশলী হব তবে এরকম তালপাতার সেপাই ক্রিকেট দল ও প্রতিশ‌োধপ্রবণ নির্বাচক নিয়ে ওর মুখ সামলে রাখা কঠিন হবে। আরো অনেকের মত আমিও বলতে চাই, বড় ভুল দেশে জন্মিয়েছ বালক। এ বড় ভুল এক দেশ।

    আনন্দে কিছুক্ষণ ডেনছ করে নেয়া যাক। :goragori: :tuski: :awesome:


    \\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
    অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\

    জবাব দিন
  6. টিটো মোস্তাফিজ

    আমরা দেখতে চাই বিসিবি রাজনীতি, দলবাজি, ব্যবসা, ইগোর উর্দ্ধে উঠে ক্রিকেটের সার্থে তৃণমূল থেকে সর্বোচ্চ পর্যায় পর্যন্ত কাজ করবে।
    :gulli2: :gulli2: :gulli2:


    পুরাদস্তুর বাঙ্গাল

    জবাব দিন
  7. টিটো মোস্তাফিজ

    B-) চর্বিত চর্বন হচ্ছে তবু বলি-
    ১। বৌ কে উত্যক্তকারীদের উপর চড়াও হওয়া :thumbup: ইভটিজিং :duel: :duel: :chup:
    ২। ড্রেসিং রুমে অনেক কিছুই হতে পারে। সেখানে ক্যামেরা যাবে কেন ? তবে ক্যামেরার সামনে ওরকম করা , ছিঃ ~x( :thumbdown:
    ৩। -------- (প্রকাশের অযোগ্য)। নিষেধাজ্ঞা অবরোধ বয়কট :brick: 😡 :duel: :chup: :bash: ~x( আত্মঘাতি বাঙালি। ক্রিকেট বুঝিস :-/


    পুরাদস্তুর বাঙ্গাল

    জবাব দিন
  8. সামিউল(২০০৪-১০)

    আহসান আকাশ ভাইয়ের সাথে একদমই একমত।
    বেশ কিছু ভাল প্লেয়ার হারিয়েছি আমরা কয়েক বছরে বিভিন্ন কারণে। সাকিবকে আর হারাতে চাচ্ছি না।
    সে গেলে এই বাংলাদেশ ক্রিকেট টিম নিয়ে আর কোন আশাই থাকবে না।
    অল্প কিছুদিনের জন্য নিষেধাজ্ঞা আর জরিমানা করে আত্মশুদ্ধির জন্য ছেড়ে দেয়া হোক সাকিবকে।
    আর ক্রিকেট বোর্ড এ আসলেই ক্রিকেট বোঝে এমন লোকদের নিযুক্ত করা হোক।


    ... কে হায় হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে ভালবাসে!

    জবাব দিন
  9. আমাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো আমরা লজ্যিকালি কোনো কিছুর সমাধান না খুঁজে ভেড়ার পালের মতো সবাই একই দিকে অন্ধের মতো দৌড়াতে শুরু করি। সাকিবের নিষেধাজ্ঞা পরবর্তী ফেসবুক আর ব্লগ গুলোতে যেভাবে শুধু পাপন আর বোর্ড কে সমস্ত দোষারোপ করে বিভিন্ন ব্যঙ্গাত্মক ছবি আর লেখায় ভরে উঠেছে সেগুলোকে এই ক্ষোভ আর আবেগকে ব্যবহার কিছু লাইক কামানোর উপায় ছাড়া আর কিছুই বলা যায়না। অনেকে পাপনকে আওয়ামী লীগের সূত্র ধরে ভারতীয় বোর্ডের দালালও বলা হচ্ছে। শুধু একা পাপন তো আর এই সিদ্ধান্তের সাথে জড়িত ছিলেননা। সব বোর্ড ডিরেক্টররাও তো মিটিং এ উপস্থিত ছিলো। আমরাই একসময়ে বিসিবিতে ক্রিকেটের বাইরের লোকজন হটিয়ে ক্রিকেটারদের বসাতে অনেক কথা বলেছি। এখন তো বেশিরভাগ ডিরেক্টররাই সাবেক খেলোয়াড় ছিলেন, তারপরো তো যেই লাউ সেই কদুই রয়ে গ্যালো! অনেকেই সাকিবকে অবসর নিয়ে দেশের হয়ে আর না খেলার পরামর্শ দিচ্ছেন, এই দেশ সাকিবকে ডিজার্ভ করেনা, আমরা সাকিবের যোগ্য না... হ্যাং ত্যাং নানা রকমের সদুপদেশ(!) দিয়ে যাচ্ছে। তো যারা এসব বলছেন তাদের কাউকে বোর্ড প্রেসিডেন্ট করে দিলেই কি তাহলে সবচেয়ে ভালো হয়না??
    সাকিবের শাস্তি অবশ্যই প্রাপ্য ছিলো, সেটা যদি কেউ অস্বীকার করে তাহলে সে কোনোভাবেই সাকিব এবং বাংলাদেশের ক্রিকেটের প্রকৃত শুভাকাঙ্ক্ষী নন। সাকিবের আপিল করার সুযোগ রয়েছে, আমাদের উচিত বোর্ডের উপর চাপ সৃষ্টি করা যাতে তার নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ কমানো যায়! তেমনি সাকিবেরও উচিত নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়া যাতে এই কোটি কোটি ভক্তের পক্ষে খেলতে না চাওয়ায় তার যে ঔদ্ধত্য প্রকাশ পেয়েছে তার পুনরাবৃত্তি যেনো আর না হয়। অথচ সবাই গড্ডালিকা প্রবাহে গা ভাসিয়ে হাত-পা ছুড়ে চিল্লা-চিল্লি করেই যাচ্ছে। এতে আখেরে কার লাভ হবে আর কার ক্ষতি হবে তা কি তারা বুঝতে পারছে?? জাতি হিসেবে আমরা যতোটা না বেশি যুক্তিপ্রবন তার চেয়ে বেশি আবেগপ্রবন। বোর্ডের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হলে সরাসরি সরকার প্রধানের উপরই চাপ সৃষ্টি করতে হবে, কারন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ কিংবা ক্রীড়া মন্ত্রনালয় বিসিবির জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে পারবেনা কোনোভাবেই।
    পরিশেষে আপনার সুচিন্তিত লেখার জন্য ধন্যবাদ। সবাই যদি এভাবে ভাবতে পারতো তাহলে এমন রং-তামাশা দেখতে হতোনা...

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : জুনায়েদ কবীর (৯৫-০১)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।