ঈদ মোবারক!

না, কালকে বাংলাদেশে ঈদ না। তবে বিশ্বের অনেক জায়গাতেই ঈদ। বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে অনেকেই ফেসবুক, এসএমএস এ ঈদ মোবারক জানানো শুরু করে দিয়েছে। আমিও এর দ্বারা অনুপ্রানিত হয়ে ঈদ মোবারক জানানো শুরু করেছি, সিসিবিতেও এবারের কোরবানীর প্রথম ঈদ শুভেচ্ছা দেবার লোভটা সামলাতে পারলাম না।

ঈদ মোবারক!

গত তিন সপ্তাহ যাবত ছুটি কাটাচ্ছি। এ সময়ে একচুয়াল জীবন নিয়ে অতীব ব্যস্ত, ভার্চুয়াল জগতে দেয়ার মত সময় নাই। তারপরো মোবাইলে মাঝে মাঝে ঢু দেয়া হয়। ঈদের শুভেচ্ছার সাথে সাথে এই সুযোগে সিসিবিতেও নিজের উপস্থিতি জানান দিয়ে গেলাম, কেউ আমাকে এ অঞ্চলে মিস করে থাকলে তাদের উদ্দেশ্যে বলছি, আমি ভাল আছি।

ব্লগটা বেশি ছোট হয়ে যাচ্ছে, তাই এর সাথে ফ্রিতে একটা আইডিয়া যোগ করে দিলাম। আজকাল আইডিয়া হইলো উপদেশের মত, দিতে পয়সাও লাগে না আর অধিকাংশ ক্ষেত্রে তা নিজের করে দেখানোও লাগে না। এই ঈদে যারা প্রায় লাখ টাকা দাম দিয়ে উট/গরু কিনেছেন তারা নিশ্চয়ই বেশি বেশি মাংস গরীব আর আত্মীয়স্বজনদের মাঝে বিলিয়ে দিতে পারেন সে জন্যই বড় সাইজ দেখে বেশি দাম দিয়ে গরুটি কিনেছেন। আমার মনে হয় কুরবানীর গরুর তিন ভাগের এক ভাগ মাংস চার/পাঁচ টুকরো করে শ বা হাজার খানেক গরীবের মাঝে বিলিয়ে দেবার থেকে ঐ লাখ টাকার তিন ভাগের এক ভাগ টাকা দিয়ে একটি গাভী/রিকশা/সেলাই মেশিন বা অন্য যে কোন আয়ের উৎস তৈরী করে এমন কিছু কিনে একটি বা দুটি পরিবারকে দান করে সে পরিবারগুলির সারা বছরের আয়ের উৎস তৈরী করে দিলে ব্যক্তি বা সমষ্টিগত উভয় দিক থেকেই বেশি উপকার হত। আমি নিশ্চিত, লাখ টাকার বাকি তিন ভাগের দুই ভাগ টাকা দিয়েও যথেষ্ট বড় গরু কিনে তার মাংস মানুষের মাঝে বিলিয়ে, নিজেরা খেয়ে, কুরবানী ভাল ভাবেই করা সম্ভব হবে। (আইডিয়াটি ফেসবুকে স্ট্যাটাস হিসেবে কিছুক্ষন পূর্বে প্রকাশিত)

আবারো ঈদের শুভেচ্ছা, তবে শুভেচ্ছার সাথে আইডিয়া খাওয়াতে গিয়ে কারো বিরক্তির কারন হলে আন্তরিক ভাবে দুঃখিত। সবাই ভাল থাকুন, পরিবারের, কাছের মানুষদের সাথে ঈদের আনন্দ উপভোগ করুন তবে কোপাকুপি আর খাওয়া দাওয়া একটু খিয়াল কইরা.

শেষ কথা হলো ঈদে ঢাকাতেই আছি, বড় ভাইয়েরা দাওয়াত দিতে চাইলে নিসঃঙ্কচে নিচের মন্তব্য বাক্সে উল্লেখ করুন, নিজ দ্বায়িত্বে হাজির হয়ে যাব।

৬৪৩ বার দেখা হয়েছে

২০ টি মন্তব্য : “ঈদ মোবারক!”

  1. আহসান আকাশ (৯৬-০২)

    সবার দাওয়াতে ত আর আলাদা আলাদা ভাবে যাওয়া সম্ভব না, তাই ঈদের পরে একটা জিটুজি আয়োজন করতে পারলে খারাপ হইতো, সবাই সবাইরে দাওয়াত খাওইতাম


    আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
    আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : কামরুলতপু (৯৬-০২)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।