অল্প স্বল্প গপ্পো

ন্টারনেট এডিকশন নিয়ে আজকাল সবাই বেশ চিন্তিত। নেশাগ্রস্থের মত ইন্টারনেট ব্যবহারের ফলে আমাদের শারীরিক, মানষিক, ব্যক্তিগত, সামাজিক ইত্যাদি ইত্যাদি বিভিন্নক্ষেত্রে যে বিরূপ প্রভাব পড়ছে তা নিয়ে বিস্তর গবেষনা চলছে। এর থেকে মুক্তির পথ খুঁজতেও কিছু মানুষ ব্যস্ত। এসকল গবেষনার অগ্রগতি সম্পর্কে আমি নিজে অবশ্য খুব বেশি ওয়াকিবহাল না। তবে নিজেই মনে হয় এক্ষেত্রে দারুন এক অগ্রগতি অর্জন করে ফেলেছি। ইন্টারনেট এডিকশনকে ইন্টারনেটফোবিয়ায় পরিণত করতে আমার খুঁজে পাওয়া এই পদ্ধতি এখন পর্যন্ত ১০০% সফল।

আমার ইন্টারনেট আসক্তি ঠিক এডিকশন পর্যায়ে না হলেও তার থেকে খুব বেশি পিছিয়ে ছিল না, বিশেষত গত চার মাসের প্রবাস জীবনে এটা সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌছেছিল। ভাগ্যগুনে দারুন গতি সম্পন্ন ইন্টারনেট সংযোগ পেয়েছিলাম, দেশের লোকাল বাসের তুলনায় যা পুরো বুলেট ট্রেন। কিন্তু সপ্তাহ দুয়েক আগে সেই বুলেট ট্রেন ছেড়ে উঠতে হলো যমুনা-টাঙ্গাইল লোকাল বাসে (কথিত আছে, যাত্রীরা ড্রাইভারকে “একটু দাড়ান, বাড়ি থেকে ভাতটা খেয়ে আসি” বলে চলে যায়, আর খাওয়া দাওয়া শেষ করে অপেক্ষা করতে থাকা বাসে ওঠে)। কোন পেজ ওপেন করে খেতে যাই, এসে ভাগ্য ভাল হলে দেখি যে পেজটা পুরোপুরি ওপেন হয়েছে, আর তা না হলে দেখা যায় ‘এরর’ দেখিয়ে বসে আছে। কয়েকদিন এই অবস্থা চলার পর এখন ইন্টারনেট আমার কাছে মোটামোটি ফোবিয়ায় পরিণত হয়েছে। খোঁজ নিয়ে দেখলাম আমি একা না, আশেপাশের সবাই এই ফোবিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে। অফিস থেকে যখন ফোনে মেসেজ পাই ইমেইল চেক করতে, তখন প্রায় গায়ে জ্বর চলে আসে। এরমাঝে ভরসা হলো মোবাইল ইন্টারনেট, কোন মতে ধাক্কাধাক্কি করে ফেসবুক আর সিসিবিতে চোখ বোলানো যায়, তবে কমেন্ট করতে যাওয়া দূরাশা। তবে মাঝেমাঝে গভীর রাতে হয়ত হঠাৎ করে অনন্ত জলিলের ‘স্পিড দ্যা গতি’ প্রাপ্ত হয়ে দু’একটা কমেন্ট করতে পেরে বিশাল কিছু করে ফেলার আনন্দ পাওয়া যায়।

তো যারা যারা ইন্টারনেটের মরণ থাবা থেকে মুক্তি চাচ্ছেন, তারা শুধু কোনভাবে এরকম ভয়াবহ গতির একটা কানেকশন জোগাড় করে ফেলেন, সব আসক্তি বাপ বাপ করে পালাবে।

ন্টারনেটের অভাবে অবসর সময় পার করার জন্য বেছে নিয়েছি সিনেমা। সব মিলিয়ে আমার স্টকে মুভির পরিমান প্রায় হাজারের কাছাকাছি। এতদিন এর মাঝ থেকে কোনটা দেখবো সেটা ঠিক করতেই বড় একটা সময় নষ্ট হত, কিন্তু এখানে এসে যেহেতু প্রতিদিন গড়ে ৩-৪টি মুভি দেখা হচ্ছে তাই বাছবিচার করা ছেড়ে দিয়েছি। হার্ডডিস্কের সিরিয়াল ধরে একটার পরে একটা দেখে যাচ্ছি। এর ফলে দুধরনের অভিজ্ঞতা হচ্ছে, কখনো নাম না শোনা দারুন কিছু মুভি দেখে যেমন চমকে দেয়ার মত তৃপ্তি পাচ্ছি আবার পুরো অখাদ্য, বিরক্তিকর কিছু মুভি দেখা হচ্ছে। যেগুলো শেষ পর্যন্ত দেখতে রীতিমত যুদ্ধ করতে হয়েছে। ভাল মুভিগুলি নিয়ে পরবর্তীতে আলাদা পোস্ট দেবার ইচ্ছা আছে, তাছাড়া ভাল মুভির কথা তো সবাই বলে, আমি আপাতত ভয়ঙ্কর কয়েকটা মুভির কথা বলে যাইঃ

১। EAT PRAY LOVE. জুলিয়া রবার্টসকে দেখে বেশ আগ্রহ নিয়ে দেখা শুরু করেছিলাম, কিন্তু পুরোপুরি হতাশ। পুরো সিনেমা জুড়ে সে ইন্দোনেশিয়া, ইন্ডিয়া আর ইটালি ঘুরে বেড়ায় মানসিক শান্তির খোঁজে আর এদিকে আমার মানসিন যন্ত্রনার কারন হয়ে দাঁড়ায়।

২। Drive Angry. মুভির নামকরন পুরোপুরি সার্থক। নিকোলাস কেজের এই মুভি খুব সফলতার সাথেই আমাকে এংগ্রি করতে পেরেছে। কেজ নরক থেকে পালিয়ে পৃথিবীতে ফেরত আসে ওর মেয়ের হত্যার প্রতিশোধ নিতে, আর তারপর পুরি মুভিটাকেই প্রায় নরক বানিয়ে ফেলে।

৩। A Sound of Thunder. সায়েন্স ফিকশন। ২০৫৫ সালের ঘটনা, সেখানে এক বিজ্ঞানী প্রাগৈতিহাসিক সব জীব জন্তু নতুন করে জন্মিয়েছেন আর সেগুলো রাখা হয়েছে একটা এমিউজমেন্ট পার্কে। কিন্তু হঠাৎ করে ঐ জীব জন্তু আক্রমনাত্মক হয়ে ওঠে, মানুষের উপর হামলা চালাতে শুরু করে। এদেরকে বিরুদ্ধে যুদ্ধই হলো সিনেমার কাহিনি।
(এগুলো আমার একান্তই নিজস্ব খারাপ লাগা, অন্য কারো ভালও লাগতে পারে, তবে সে বিষয়ে আমার যথেষ্ট সন্দেহ আছে।)

খনো কল্পনা করিনি আমি নিজে থেকে কখনো স্টার প্লাসের অনুষ্ঠান দেখবো। তাও আবার নেট থেকে স্ট্রিমিং করে। কিন্তু এই অকল্পনীয় কাজ করিয়ে ছেড়েছে আমির খান তার টিভি শো ‘সত্যমে জয়তে’ (উচ্চারনটা নিশ্চিত না) দিয়ে। অনুষ্ঠানটির প্রতিটি পর্বে ভারতের একটি নির্দিষ্ট সমস্যাকে তুলে ধরা হয়। আমি যে পর্যন্ত দেখতে পেরেছি তাতে যে বিষয়গুলো এসেছে সেগুলো হলো নারী ভ্রূন হত্যা, শিশুদের উপর যৌন হররানী, স্বাস্থ্য সেবা খাত, যৌতুক প্রথাসহ বিয়ের কেন্দ্রিক অন্যান্য সামাজিক সমস্যা, প্রতিবন্ধি মানুষদের সমস্যা, কৃষি ক্ষেত্রে অতিরিক্ত কিটনাশকের ব্যবহারের ক্ষতিকর প্রভাব ইত্যাদি। এখানে ভারতের যে চিত্র তুলে ধরা হয়েছে তা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আমাদের দেশের জন্যও প্রযোজ্য। এক একজন ভুক্তোভোগির সাক্ষাৎকার শুনে প্রায়ই চোখ ভিজে ওঠেছে। ইচ্ছে আছে পরবর্তীতে পর্বগুলি নিয়ে আলাদা ভাবে বিস্তারিত আলোচনা করার।

তবে আমির খানের অনুষ্ঠানটি আমার কাছে যে কারনে এতটা ভাল লেগেছে, আলাদা লেগেছে সেটা হলো এখানে শুধু সমস্যা তুলে ধরে, দর্শকের সহানুভূতি অর্জন করেই থেমে যাওয়া হয়নি বরং এর প্রতিকারের পথও দেখিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। সেই সাথে তুলে ধরা হচ্ছে সেই সব মানুষ বা প্রজেক্টকে যারা ইতিমধ্যে সমাধানের পথে এগিয়ে এসেছে, সফলতা পেয়েছে।

দ্রুত গতির ইন্টারনেটের অভাবে যেসব জিনিষ মিস করছি তারমাঝে অন্যতম হলো আমিরের এই অনুষ্ঠান। রবিবার স্টার প্লাসে এটি প্রচারিত হয়, তবে সময়টা ঠিক জানি না। আর ইউটিউবে এখান থেকে সব গুলো এপিসোড সম্পূর্ণ দেখা যাবে। একটু সময় করে দেখতে পারেন, আশা করি হতাশ হবেন না।

সেদিন ল্যাপটপে জমে থাকা অনেকদিন ধরে না শোনা পুরোনো গানগুলো শুনছিলাম। স্মৃতি রোমন্থন করতে পুরোনো গানের কোন জুড়ি নেই, তবে ‘ত্রিরত্নের ক্ষেপা’ এলবামের এই গানটি সেটাকে আলাদা মাত্রায় নিয়ে গেছে, কারন পুরো গান জুড়েই রয়েছে সেসময়ের আলোচিত সব বিষয়। গানটা প্রথম শুনেছিলাম ৯৩/৯৪ এর কোন এক ঈদের দিনে, রাস্তার পাশে পাড়ার বড় ভাইদের দেয়া চটপটি ফুসকার দোকানে। প্রথমে ভেবেছিলাম এটা হয়ত কোন কৌতুকের এলবাম টাইপের ক্যাসেটের গান। (সে সময় হানিফ সংকেত, কাজল এরা নিয়মিত কৌতুকের বের করতো, কলকাতার ভানুর ক্যাসেটও পাওয়া যেত)। পরে দেখি পার্থ বড়ুয়া, চারু, বাবুর গান। বাংলা র‍্যাপের নামে মূলত বিদেশী সুর কপি করে গানগুলো গাওয়া হলেও বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছিল ঐ এলবাম। এতদিন পরে আবার শুনতেও খারাপ লাগছেনা। গানে গানে শোনা আসলে কি কি চলছিল সে সময়…

শুভেচ্ছা।

৩,১৪৫ বার দেখা হয়েছে

২৯ টি মন্তব্য : “অল্প স্বল্প গপ্পো”

  1. আমিন (১৯৯৬-২০০২)

    চলছে -- গানটা দিয়েই শুরু করি। সেদিনও কার্ড খেলতে খেলতে এই গান ছেড়ে দিছিলাম। সাথে আরো শুনতেছিলাম মারো চিকা মারো -- হানিফ সংকেতের ।
    ইন্টারনেট ফোবিয়া আমার জন্য এখন খুব বেশি জরুরি হয়ে গেছে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ইন্টারনেট থেকে মুক্তি চাই। একটিভিটি কমাইছি গত দশ পনের দিন। এখন এমন হইছে কিছু করি না তবু ইন্টারনেট খোলা থাকে।
    সেদিন হঠাৎ করে কী মনে করে, লস্ট হরাইজন লিখে সার্চ মারলাম। একটা পুরান মুভির খোঁজ পাইলাম। সেটা দেইখা মনে পড়লো এই কাহিনী নিয়া একটা বই অনেক আগে পড়ছিলাম। ইন্টারনেট ঘাইটা বুঝলাম এইটা ঐ বইয়ের আদলে মেক করা।

    পোস্ট ভালো লাগলো।

    জবাব দিন
    • আহসান আকাশ (৯৬-০২)

      পোস্ট ভাল লাগছে যেনে ভাল লাগলো 😀

      মারো চিকা মারো বা তার আগের আমলের হানিফ সংকেতের ইত্যাদির প্যারোডিগুলো পরবর্তী তিনমাসের জন্য হিট হয়ে থাকতো, তিন মাস পরে নতুন ইত্যাদিতে আবার নতুন গান। 'চলছে' শুনতে শুনতেই ভাবছিলাম গানে বলা প্রায় সব কিছুই পুরোনা হয়ে গেলেও হানিফ সংকেতের রম্য অনুষ্ঠান এখনো চলছে।


      আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
      আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

      জবাব দিন
  2. সুষমা (১৯৯৯-২০০৫)

    মাঝে মাঝে আমারও মনে হয় ভাইয়া, ইন্টারনেট এডিকশন কমানো একটু আধটু না,ব্যাপক জরুরী হয়ে গেছে। কিন্তু সমস্যা হল আমরা প্রথম থেকেই গরুর গাড়ির স্পীডে ইন্টারনেট ব্যাবহার করে অভ্যস্ত হয়ে গেছি 🙁
    সুন্দর পোস্ট ভাইয়া 🙂

    জবাব দিন
    • আহসান আকাশ (৯৬-০২)

      ধন্যবাদ সুষমা। ইন্টারনেট এডিকশন আসলেই আমাদেরকে বেশ ভোগাচ্ছে। তবে আমার বর্তমান ইন্টারনেটকে গরুর গাড়ির সাথে তুলনা করলে গরুর গাড়ির অপমান হবে, প্রায় এক যুগ আগে যখন প্রথম ইন্টারনেট ব্যবহার করেছিলাম, তখনো আমাদের ইন্টারনেট স্পিড আমার এখনকার স্পিডের থেকে ভাল ছিল।


      আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
      আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

      জবাব দিন
    • আহসান আকাশ (৯৬-০২)

      এক ইন্টারনেট স্পিড ছাড়া বাকি সব দিক থেকেই বেশ ভাল আছি, আর ঐ একই কারনে ব্লগেও ঠিক আওয়াজ দিতে পারি না। তবে তোমাকেও কিন্তু অনেকদিন সেভাবে দেখা যাচ্ছে না। আছি আইভরি কোস্টেই, তবে আগের থেকে একটু দূর্গম এলাকায়।

      পোস্ট ভাল লেগেছে যেনে ভাল লাগলো 😀


      আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
      আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

      জবাব দিন
  3. আন্দালিব (৯৬-০২)

    Eat, Pray, Love বইটা ভাল। মুভিটা এত জঘন্য যে আমি দেখিই নাই। এরকম অটোবায়োগ্রাফিক্যাল বই পড়তে খারাপ লাগে না, জীবনের দর্শন নিয়ে ইন্টারেস্টিং আলোচনা আছে। সময় পেলে পড়িস।

    আমি নিজেও আমির খানের অনুষ্ঠানের ভক্ত হয়ে গেছি। সেলিব্রিটিদের সামাজিক দায় থাকে, অন্তত একজন হলেও সেটা মেটাচ্ছেন - এটা দেখাটা সুখকর!

    ইন্টারনেটের প্রভাব কাটানোর জন্য ধীরগতির পাশাপাশি মাসকাবারি বিল না দেয়ার পদ্ধতিটাও দারুণ। বিল না দিলে এমনিতেই লাইন কেটে দিবে। না থাকবে বাঁশ, না বাজবে বাঁশি! 😛

    জবাব দিন
    • আহসান আকাশ (৯৬-০২)

      বইটা কোনভাবে পেলে পড়ে দেখবো, তবে মুভিটা ইতিমধ্যে এর রেপুটেশনের বেশ ক্ষতি করে ফেলছে।

      বিল না দেয়া ভাল বুদ্ধি তবে এতে করে ইন্টারনেট এর প্রতি কোন বিতৃষ্ণা আসবে না, যেটা আমার পদ্ধতিতে গ্যারান্টেড 😛


      আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
      আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

      জবাব দিন
  4. কামরুলতপু (৯৬-০২)

    কিরে দোস্ত কেমন আছিস।
    দেশে আসার পর ইন্টারনেট কে প্রায় গুডবাই জানিয়ে দিয়েছি। এখন ইন্টারনেটে বসা হয় বড়জোড় ১০-১৫ মিনিট। মাঝে সাঝে তো ৭-৮ দিন কম্পিউটার ই খুলি না। কোন কারণ ছাড়াই বিদেশে থাকতে নেট এ থাকতে থাকতে বিরক্তি ধরে গিয়েছিল। এখন মহা শান্তিতে আছি। এর সাথে যদি মোবাইল কেও বাদ দিতে পারতাম... ।

    জবাব দিন
    • আহসান আকাশ (৯৬-০২)

      আছি ভালই, তুই দেশে এসে আসলেই পুরো ডুমুরের ফুল হয়ে গেছস। এতদিন পরে তোকে কমেন্ট করতে দেখে ভালই লাগছে।

      এখানে এসে এই মোবাইল যন্ত্রনা থেকে আপাতত মুক্তি পেয়েছি, স্কাইপ বা ভাইবার এর রিং ছাড়া সারাদিনে মোবাইল একদম বাজে না বললেই চলে।


      আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
      আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

      জবাব দিন
  5. রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

    :clap: :clap: :clap:
    পড়তে ভালো লাগলো।
    অনেকদিন পর
    পুরাই নষ্টালজিয়া
    ত্রিরত্ন শুনছি তোর লিঙ্ক ধরে
    হ্যাঁ আমির খানের অনুষ্ঠান ভাল লাগছে
    না স্টার এ দেখি না
    প্রিয় ইউ টিউব রয়েছে না!


    এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

    জবাব দিন
  6. রকিব (০১-০৭)

    সিনেমা একটাও কমন পড়ে নাই 😕 😕
    আমির খানের প্রোগ্রামটা দেখা হয় নাই। দেখি সময় করে উঁকি দেব। ভালোই আছেন আজকাল তাইলে 😉


    আমি তবু বলি:
    এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..

    জবাব দিন
  7. অনেক ভালো লিখেছিস। ত্রিরত্নের খেপা শুনেছি সেই বহু বছর আগে। আবার শুনলাম অনেক দিন পর। আর আমিরের অনুষ্ঠান এখন ও দেখা হয়নি। দেখবো ভাবছি। ভালো থাকিস। কষ্ট হচ্ছে জানি তবে বেশিদিন থাকবেনা আশাকরি।

    জবাব দিন
  8. Saif (95-01)

    🙂 ইনটারনেট স্পিদ অল্প থাক্লে আশলে ই মেজাজ তা চরম খারাপ হয়ে যায় । মাঝখানে Qubee and Banglalion বাবহার করে বর মজা পেয়েছি কিন্তু এখন যেখানে যাব সেখানে তার লআইন নাই।। 🙁 ।
    দেশে যখন ফ্রী ইন্টারনেট লআইন্ দিতে চেল তখন তা আম রা নিলাম না কিন্তু শুখবর হল্ নভেম্বের এর মুধয়ে Price of internet will go down in Bangladesh. And mobile companys r Planning to have wifi license. But still it's Bangladesh and we believe in সবুরে মেwআ ফলে 😀


    Saif

    জবাব দিন
    • আহসান আকাশ (৯৬-০২)

      নভেম্বরে না হোক, আগামী ফেব্রুয়ারীর মধ্যে দেশের ইন্টারনেটের উন্নতি ঘটলে আমি খুশি(আমি তখন দেশে ফিরছি কিনা 😛 )

      বাংলা টাইপ মনে হয় নতুন শুরু করা হয়েছে, কোন পদ্ধতি ব্যবহার করছেন জানি না, তবে অভ্র ট্রাই করে দেখতে পারেন। এটা আসলেই খুব সোজা আর হেল্পফুল।


      আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
      আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

      জবাব দিন
  9. সামিয়া (৯৯-০৫)

    আমির খানের অনুষ্ঠানটা চমৎকার। তবে আমার ব্যক্তিগত অবজার্ভেশন হল, উপস্থাপনাটা (শুধু উপস্থাপনাটাই, আর কিছু না) মাঝে মাঝে অভিনয় অভিনয় মনে হয়, বিশেষ করে আমির খান যখন কাঁদে কিংবা খুব গভীর মনোযোগে মাথা নাড়ায়। কে জানে হয়ত ও আসলেই এরম।
    আমার বলতে ভাল লাগে যে এটা 'আমির খানের অনুষ্ঠান'। হিন্দী সিনেমার একজন নায়ক এরম একটা অনুষ্ঠান করবেন এটা আমার কল্পনার বাইরে ছিল। কল্পনাটা মিথ্যে হল দেখে ভাল লাগছে।

    গত সপ্তাহেরটাই প্রথম পুরোটা দেখলাম, এর আগেরগুলো খামচি মেরে দেখেছি। গত সপ্তাহের পর্ব ছিল পানি নিয়ে। অসাধারণ আর চমৎকার কিছু গল্প জানা গেল। প্রথম বক্তার টেড টক দেখেছি, অসাধারণ। লিঙ্ক শেখার আছে অনেক কিছু।

    তবে আমাদের দেশেও এরম অনুষ্ঠান কম হয় না, কোয়ান্টিটি আর কোয়ালিটি দুই দিক থেকেই। হিন্দী চ্যানেলগুলোতে সিনেমা আর সিরিয়াল এত বেশি যে, এই একটা 'টকশো' (আক্ষরিক অর্থে না) টাইপ অনুষ্ঠান পেয়ে ওরা লুফে নিয়েছে। ঠিক একই বিষয় নিয়ে বহু বছর আমাদের দেশে কাজ হচ্ছে, সভা, সেমিনার হচ্ছে। স্থপতি নাহাজ খলিলের বাসায় একটা ঘরোয়া সভা হয় প্রতি মঙ্গলবারে, নাম 'মঙ্গলবারের সভা'। যে কেউ যেতে পারে। এখানেই এক মঙ্গলবারে পানি নিয়ে একটা আলোচনা হয়েছিল। সেদিন যে কথাগুলো শুনেছিলাম, তারই প্রায় পুনরাবৃত্তি শুনলাম যেন মনে হল সেদিনকার আমির খানের অনুষ্ঠানে। দূর্ভাগ্য যে আমরা আমির খান না, আর আমাদের শাকিব খান এই কাজগুলো করছেন না। তবে দিন বদল হবে, একসময় আমরাও... ইত্যাদি ইত্যাদি...

    জবাব দিন
    • আহসান আকাশ (৯৬-০২)

      আমাদের দেশে এসব বিষয় নিয়ে যে কাজগুলো হচ্ছে তার বেশিরভাগই লোকচক্ষুর আড়ালে থেকে যাচ্ছে, আমি নিজেই অলমোস্ট কিছুই জানি না। একজন 'আমির খানের' এই বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করা এজন্যই গুরুত্বপূর্ণ, সহজেই সবার দৃষ্টি আকর্ষন করা যায়। আমির খান না হলে অপরিচিত অন্য কেউ এই একই অনুষ্ঠান করলে আমি হয়ত এর কোন খোঁজই পেতাম না।

      আশা করি দিন বদল হবে, সবাই নিজ নিজ ক্ষেত্রে সামাজিক দায়বদ্ধতার ব্যাপারে সজাগ হবে...


      আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
      আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

      জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : রায়হান আবীর (৯৯-০৫)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।