১১.১১.১১

ক.
দু সপ্তাহের বেশি সময় ধরে ইন্টারনেটের বাইরে ছিলাম। টিভি খবর কিংবা খবরের কাগজ, কোন কিছুর সাথেই যোগাযোগ ছিল না। তাই আশেপাশের অনেক ঘটনাই টের পাইনি। আজকে দুপুর নাগাত ঘুম থেকে উঠে অনেকিন পরে ফেসবুকে ঢুকে দেখলাম বেশ একটা উৎসব উৎসব ভাব। আজকে ১১.১১.১১!!! ফেসবুক বা ইন্টারনেট না থাকলে মনে হয় টেরই পেতাম না, শুধু এই তারিখ না, আরো কত কিছুই যে টের পেতাম না কে জানে!

খ.
সিসিবিতে একদিনের জমে থাকা লেখাগুলো আরাম করে পড়বো ভাবতে ভাবতে ঢুকেছিলাম। কিন্তু শুরুতেই পেলাম মনোয়ারুল হাসান বিপ্লব ভাই ও রুখসানা লোপা আপুর দুঃসংবাদ। মহাসড়কে চলাচল দিন দিন আরো বিপদজনক হয়ে উঠছে। বহু বছর হরে এক ইলিয়াস কাঞ্চন এ নিয়ে কথা বলে গিয়েছেন। তারেক মাসুদ আর মিশুক মনিরের মৃত্যুর পর বেশ একটা তোলপাড় হয়েছিল কিন্তু সময় যেতেই সবাই চুপচাপ হয়ে যাচ্ছে। বরং সেই ঘাতক ড্রাইভারের মুক্তির দাবিতে আন্দোলন হচ্ছে, ইলিয়াস কাঞ্চনের ছবিতে জুতার মালা পরানো হচ্ছে। এসব মনে হয় শুধু আমাদের দেশেই সম্ভব।

গ.
ঢাকায় থাকতে টের পাচ্ছিলাম শীত আসি আসি করছে। কিন্তু গতকাল রাজেন্দ্রপুর এসে টের পেলাম শীত বলা যায় এসেই পড়েছে। শীতকাল আমার প্রিয় সময়, তাই যত তাড়াতাড়ি আসে ততই আমি খুশি। তবে গত কিছুইন ধরে টিভিতে বাংলালিঙ্কের বিজ্ঞাপন দেখে বারবার কনফিউসড হয়েছি, যেটাতে বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে মডেলেরা তাদের প্যাকেজের গুনগান করছে আর যতটুকু বুঝলাম তাতে বর্ষাকালকে আমন্ত্রন জানাচ্ছে। এই কার্তিক মাসের শেষে এসে কেন এভাবে বৃষ্টিতে নেচে গেয়ে বর্ষাকালকে স্বাগতম জানানোর রহস্য আমি এখনো উদঘাটন করতে পারিনি। যারা এখনো দেখেননি তারা এখান থেকে থেকে নিতে পারেন। আর রহস্য উদঘাটন করতে পারলে জানিয়েন।

ঘ.
আজ হঠাৎ করে তেলের দাম বেড়ে গিয়েছে, প্রত্যক্ষভাবে আমি এখনো এর দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করিনি, অর্থাৎ তেল খাওয়া কোন যন্ত্রের মালিক এখনো হইনি তবে পরোক্ষভাবে যথেষ্ঠই আক্রান্ত হয়েছি। তেলের দাম কমানো বাড়ানোর পিছনে কি সিস্টেম কাজ করে সে সম্পর্কে আমার কোন ধারনা নেই, তাই কিছুদিন পরপর এভাবে তেলের দাম বাড়ানো কতটুকু সঠিক হয়েছে বা নিয়ম মেনে হয়েছে তা বলতে পারব না। তবে প্রতিবার তেলেরদাম বাড়ানোর পরে সপ্তাহখানেক ধরে সিএনজি/বাস মালিকদেরকে সপ্তাহখানেক ইচ্ছেমত ভাড়া বাড়ানোর সুযোগ করে এবার মানে বুঝি না। তেল দাম বাড়ানোর সাথে সাথেই কেন বর্ধিত ভাড়ার হার ঠিক করে দেয়া হয় না?

ঙ.
ঢাকা শহরে চলাফেরা করার সময় নিজেকে রিকশা/সিএনজি চালকদের কাছে জিম্মি মনে হয়। সাধারনত তিন/চার মাস পরপর ছুটিতে যাওয়া হয়, প্রতিবারই গিয়ে দেখি আগের চেয়ে ভাড়া বেড়েছে, তবে সবসময় পাওয়াও যায় না, পাওয়া গেলে তারা সব জায়গায় যেতেও রাজি হয়না। আর বিভিন্ন রোদ, বৃষ্টি, হরতাল, জ্যাম ইত্যাদি অজুহাতে বেশি ভাড়া নেয়া তো আছেই। মাঝে মাঝে মনে হয় আমাদের মত নির্ধারিত বেতনে চাকরি করা লোকদের থেকে ওরা অনেক ভাল আছে। জিনিষপত্রের দাম বাড়ার সাথে সাথে নিজেদের আয়ও বাড়িয়ে নিচ্ছে, বিশেষ করে যারা সরকারি চাকরি করছে তাদের থেকে। নিজে বেতনের বাইরে বেশ কিছু সুযোগ সুবিধা পেয়েও ব্যাঙ্কের ওভার ড্র এর উপর নির্ভর করে মাস শেষ করি, তাতে ঢাকা শহরের একজন সীমিত আয়ের মানুষ কিভাবে টিকে থাকে তা ভেবে রীতিমত আতঙ্কিত হই। সরকার রুটিন মাফিক ৫-৬ বছর পরে একটা পে স্কেল ঘোষনা করে, কিন্তু দ্রব্যমূল্যের স্কেল ততদিনে ৫০ স্কেল লাফ দেয়। আর সরকারি চাকুরির বাইরে অন্যান্য ছোট খাট চাকুরি বিশেষ করে গার্মেন্টস কর্মিরা কিভাবে টিকে আছে সেটা এক বিষ্ময়।

চ.
বিভিন্ন সময়ে শুনে এসেছি এক দেশ থেকে অন্য দেশে, অন্য সংস্কৃতিতে গিয়ে নাকি অনেক ধরনের কালচারাল শক এর মুখোমুখি হয়। তবে আমার আমার সে অভিজ্ঞতা পেতে দেশের বাইরে যেতে হয়নি, ঢাকা শহরের কিছু তথাকথিত ‘অভিজাত’ দোকান, বিপনি বিতান আর রেস্টুরেন্ট এ গিয়েই আমি ইকোনোমিকাল, কালচারাল, সোশ্যাল বিভিন্ন ধরনের শক খাওয়ার অভিজ্ঞতা অর্জন করা হয়েছে। প্রথম দেখায় পছন্দ হয়ে যাওয়ার পাঁচ মিনিটের মধ্যে প্রায় ১৮ লাখ দামের গহনা কিনে নেয়া মানুষকে যেমন দেখলাম, একই ভাবে দেখলাম হাজারীবাগে ঈদের মাত্র একদিন পরে বস্তির ঘর আগুনে পুড়ে যাওয়ার পর পরে থাকা কাপড় বাদে আর সব কিছু হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে রাত কাটানো মানুষকেও দেখলাম। বেশ কিছুদিন আগে ব্লগে একটা ডায়লগ চালু ছিল, “দুনিয়া থেকে ইন্সাফ উঠে গেছে।” ইন্সাফ আসলেই উঠে গেছে।

ছ.
শেষ করছি একটা গান দিয়ে। ইদানিং কলকাতার তৈরী কিছু ছিনেমা দেখে রীতিমত হিংসা হয়, আমরা কেন সেরকম ছিনেমা বানাতে পারছি না? কিছু কিছু সিনেমার গানগুলোও দূর্দান্ত হচ্ছে। সেরকম একটা হল ২২শে শ্রাবন, এর মিউজিক করেছে অটোগ্রাফ ছিনেমার মিউজিক ডিরেকটর অনুপম রায়, এখনো দেখার সুযোগ হয়নি। ট্রেইলার দেখে অনেক আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছি দেখার। তবে গানগুলো শুনছি বেশ কিছুদিন ধরে, এখানে আমার প্রিয়টা দিলাম, ইউটিউবে বাকিগুলোও পাওয়া যাবে…

১,৬১৯ বার দেখা হয়েছে

২৩ টি মন্তব্য : “১১.১১.১১”

  1. সামিয়া (৯৯-০৫)

    আপনার এই ছোট ছোট প্যারার লেখাগুলো আমার খুবই ভালো লাগে। একেকটা প্যারার একেক রকম আবেদন, আবার সব মিলিয়ে একটা বিশেষ আবেদন। খুবই চমৎকার।
    তবে ফুটবল নিয়ে লেখাগুলোতে এটা আমাকে আরেকটা বিশেষ সুবিধা দেয় অবশ্য 😀 , খেলোয়াড়দের নিয়ে কেখাগুলো স্কিপ করলেও লেখাটার আবেদন কমে না B-)
    ঢাকা শহরের শকটা আমি ঢাকা শহরে কন্টিনিউয়াস থেকেই পেয়ে যাচ্ছি, আপনি তিন চার মাস পর পর আসেন, আপনি তো পাবেনই। আমার আইসক্রীমের শখ তো জানেন, আমার বেটার হাফ আবার এ ব্যাপারে খুবই উদারমনা 😐 । কয়েকদিন আগে একটা আইসক্রীমের দোকানে খুব শখ করে খেতে গিয়েছি, বিলটা দেখে মনটা এত খারাপ হলো, নিজেকে শ্রেণীশত্রু মনে হতে থাকলো।
    আজকে এক ফ্রেন্ডের কাছে শুনলাম, বিশ জন মিলে গুলশানের এক চাইনীজ দোকানে খেতে গিয়ে বিল উঠিয়েছে ৭৮হাজার টাকা, আমার এক বড়ভাই তিনজনে খেতে গিয়ে বিল উঠিয়েছিলেন ২০হাজার টাকা। এগুলো মনে হলে এমন ভাবে মনটা খারাপ হয়...
    আজকেই কোথায় যেন পড়লাম, পৃথিবীতে যে পরিমাণ খাবার উৎপাদিত হয়, তা দিয়ে গোটা পৃথিবীর মানুষের কেবল খেয়ে পরে বেঁচে থাকা না, রীতিমত স্বাস্থ্য উদ্ধার সম্ভব। হয়না কেবল কিছু জায়গায় উৎপাদিত খাদ্য নষ্ট হয় বলে।
    আমরা বিয়েতে খেতে বসলে পাতের মাংস, পোলাও নষ্ট করি। ভাবি যে এতটুকুতে কিছু হবে না। আসলে পুরো ব্যাপারটা একটা চেইন।

    জবাব দিন
    • সামিয়া (৯৯-০৫)

      বাই দ্য ওয়ে, গানটা অসাধারণ। প্রথম শুনেছিলাম রকিবের কাছ থেকে, মিউজিক ভিড্যু এই প্রথম দেখলাম। প্রথম রিফ্লেক্স হলো, সিনেমার নায়িকাদের অন্যদের ব্যবহার করা ব্রাশ দিয়ে ব্রাশও করতে হয়!!! নাহ, ওদের চেয়ে আমি বহুত সুখে আছি...

      জবাব দিন
    • আহসান আকাশ (৯৬-০২)

      ছোট ছোট প্যারায় লিখি নিজের সুবিধার জন্য, কোন এক বিষয় নিয়ে পুরো একটা ব্লগ লেখার বিদ্যা পেটে নেই (খেলাধূলা বাদে), তাই অনেকগুলো মিলিয়ে একটা লিখে ফেলি 😛

      পুরো ব্যাপারটা আসলেই একটা চেইন, আমি নিজেও যার একটা অংশ। যেই আমি এখানে হা হুতাশ করছি, সেই আমিই হয়ত কাল ২০-৩০ হাজার টাকা ইয়ে একটা মোবাইল কিনবো, পরশু লাখ টাকা দিয়ে ল্যাপটপ কিনবো... তারপর আবার সেই ল্যাপটপে বসেই আবার হা হুতাশের কথা লিখবো, অথচ মিনিমাম চাহিদা পূরন করে সেরকম একটা মোবাইল/ল্যাপটপ কিনে বাকি টাকা দিয়ে কত ভাল কিছুই না করা যেত!

      আর সিনেমার নায়ক নায়িকা হবার সুবিধা অসুবিধা নিয়ে আলোচনা বেশি দূর আগানো ঠিক হবে না, অনেক কারনেই নায়কদের হিংসা করা যায় তবে আমার এখন হিংসা হয় ওদেরকে দুনিয়ার সব সুন্দর সুন্দর জায়গায় ঘুরতে দেখ...


      আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
      আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

      জবাব দিন
      • মাহমুদ (১৯৯০-৯৬)

        এভাবেই 'মুক্ত বাজার অর্থনীতি' আমাদের চাহিদার (আসলে আকাঙ্ক্ষার) দ্বার মুক্ত করে দেয়...... এরপর ত শুধু দৌড়ের উপর থাকা। যতই প্রাপ্তি, ততই অতৃপ্তি।

        @আহসান,
        তিন/চার মাস পরে ঢাকা যেয়েই তুমি শক খাও। তাইলে ২/৩ বছর পরে গেলে আমি কি খাবো? 🙁


        There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx

        জবাব দিন
  2. নূপুর কান্তি দাশ (৮৪-৯০)

    তোমার এই জার্নাল/দিনলিপি টাইপের উপস্থাপনা আমার এত উপাদেয় লাগে!
    মুরগির ছোট ছোট টুকরো, যা কিনা ভালো মতো কষিয়ে রান্না করলে হাড়মজ্জার মধ্যেো মশলা ঢুকে যায় (আর তারিয়ে তারিয়ে হাড় চিবুতে তখন বেশ লাগে 😛 ) --- তোমার এই লেখাগুলো আমার সেরকম লাগে।

    জবাব দিন
  3. আন্দালিব (৯৬-০২)

    লেখা পড়ার পর একটু হতাশ লাগছিল। কী একটা শহরে বাস করি! গতকালই বাবা-মায়ের সাথে গল্পে গল্পে বলছিলাম, নিশ্চয়ই ষাট বা সত্তুরের দশকে ঢাকা শহরের একটা প্ল্যান ছিল। নিশ্চয়ই তখন ভাবা হয়েছিল যে এই শহরটা একদিন ফুলেফেঁপে উঠবে! এর পর থেকে কিছু নির্বুদ্ধি দূর্নীতিবাজ লোকের কারণে এখন এটা একটা জঙ্গল হয়ে গেছে। আর আমরা সেই জঙ্গলের পশুপাখি। কেউ ভেড়া, কেউ গাধা, কেউ বাঘ। 🙁

    তবে কমেন্টে এসে হতাশা কেটে গেছে। বিশেষ করে নূপুর ভাই কী অওছাম একটা কমেন্ট করসেন!! =))

    জবাব দিন
    • সামিয়া (৯৯-০৫)

      জানিনা আপনি অনুমান করে বলেছেন না জেনে বলেছেন, কিন্তু আপনি এক্কেবারে কারেক্ট। একেবারে মানে লিটারেলী একেবারে। ৫৯ সালে ঢাকা শহরের জন্য একটা মাস্টারপ্ল্যান করা হয়, অনেক ভেবেচিন্তে সামনের তিরিশ কি বিশ (আমার ঠিক মনে নেই) বছরের জনসংখ্যা মাথায় রেখে।

      জবাব দিন
    • আহসান আকাশ (৯৬-০২)

      আমাদের মাস্টার প্লানের উপরেও বহু মাস্টার থাকে, যারা নিজেদের সুবিধার জন্য কলমের দু এক খোঁচাতেই নিত্যনতুন প্লানের জন্ম দিতে পারে।


      আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
      আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

      জবাব দিন
  4. সামি হক (৯০-৯৬)

    আমি আজকাল ঢাকায় ফাস্ট ফুডের দাম শুনলে কিছুক্ষণ চিন্তা করি ফেসবুকে যে পোলাপান প্রায় প্রতিদিন ছবি দিচ্ছে বিভিন্ন দোকানে বসে ওরা কই টাকা পায়? ইউনি লাইফে আমরা টিউশনী করতাম তারপরও মাসে একবার হয়তো বিগ বাইটে একবার যেতাম।

    আকাশ বরাবরের মতো তোমার দিনলিপী ভালো লাগলো। একটা আইসক্রিম আইসক্রিম ভাব আছে ঠান্ডা ঠান্ডা।

    জবাব দিন
    • আহসান আকাশ (৯৬-০২)

      সমস্যা হচ্ছে ভাইয়া ঢাকা শহরে ঐ ফাস্ট ফুডগুলো ছাড়া সময় কাটানোর জন্য যাওয়ার মত তেমন আর কোন জায়গাই নেই।

      ধন্যবাদ সামি ভাই, ঠান্ডা আইসক্রিম এ এই শিতে আবার ঠান্ডা না লেগে যায় 😛


      আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
      আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

      জবাব দিন
  5. মোর্শেদ (৯৮-০৪প.ক.ক)

    ব্লগে হান্দাইলাম মেলা দিন পর । নূপুর দা :boss: :boss: :boss: ।একটা বিষয় লক্ষ্য করলাম। ইদানিং ব্লগ গুলায় কমেন্ট গুলা যা হচ্ছে না। মাইরি কইলাম :tuski: :tuski: :tuski: :tuski: :tuski: :tuski: :tuski: :tuski:


    মোর্শেদ_(৯৮-০৪)পাবনা ক্যাডেট কলেজ

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : সামিয়া (৯৯-০৫)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।