সর্বকালের সেরা একাদশঃ বাংলাদেশ

ক্রিকেটের শীর্ষস্থানীয় ওয়েব সাইট ক্রিকিনফো গত প্রায় এক বছর ধরে আটটি টেস্ট খেলুড়ে দেশের সর্বকালের সেরা একাদশ নির্বাচন করেছে। আর এখন চলছে বিশ্বের সর্বকালের সেরা একাদশের নির্বাচন পর্ব। এর দুটি অংশ রয়েছে, একটি হলো বিশেষজ্ঞদের দ্বারা নির্বাচিত একাদশ অপরটি ইন্টারনেটে উন্মুক্ত ভোটের মাধ্যমে। যে কেউ এখানে গিয়ে নিজস্ব সেরা একাদশ গঠন করতে পারে।

সংগত বা অসংগত যে কারনেই হোক, টেস্ট ক্লাবের নবীনতম সদস্য বাংলাদেশ বাদ পড়েছে এর থেকে। কিন্তু তাতে হতাশ না হয়ে আসুন আমরাই নির্বাচন করি আমাদের সর্বকালের সেরা একাদশ। আমার নিজের সেরা একাদশটা এরকম

তামিম ইকবাল
আতহার আলী খান
হাবিবুল বাশার সুমন
আমিনুল ইসলাম বুলবুল
মোহাম্মদ আশরাফুল
সাকিব আল হাসান
খালেদ মাসুদ পাইলট
মোহাম্মদ রফিক
মাশরাফি বিন মর্তুজা
আবদুর রাজ্জাক
শাহাদাত হোসেন

উদ্ভোধনী জুটিতে তামিম ইকবালকে মনে হয় অটোমেটিক চয়েস বলাই যায়। তবে তার পার্টনার ঠিক করা বেশ ঝামেলার কাজ। আতহার আলী খানের ক্যারিয়ার বাংলাদেশের ক্রিকেটের নতুন জুগের সূচনা হবার আগেই শেষ হয়ে গেলেও আন্তর্জাতিক ম্যাচে তার ব্যাটিং গড় (২৯.৫৫) বর্তমান সময়ের অনেক তারকার থেকেই বেশি। সাথে বাড়তি হিসেবে যোগ হবে তার পার্টটাইম মিডিয়াম পেস।

মিডল অর্ডারে হাবিবুল বাশারও তামিমের মত অটমেটিক চয়েস। আমাদের টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসের প্রথম তারকা মিঃ ফিফটি একাই ব্যাট হাতে টেনে নিয়ে গিয়েছে অনেক দিন। ক্যাপ্টেন হিসেবেও ভাল সার্ভিস দিয়েছে দলকে। আমিনুল ইসলাম বুলবুল আমাদের ক্রিকেটের নতুন দিনের সূচনাকারীদের একজন। এক সময়ের আমাদের মিঃ ডিপেন্ডেবল মিডল অর্ডারে খুটি হয়ে দাঁড়াবে। এরপরে মোহাম্মদ আশরাফুল। যতই গালাগালি, বিষাদাগার করি না কেন, আশরাফুল আমাদের সবচেয়ে ট্যালেন্টেড ব্যাটসম্যান। কিছুদিন আগেও বাংলাদেশের সাফল্যের পূর্বশর্ত ছিল আশরাফুলের ভাল খেলা। আপসোস একটাই, সে এখন দলেই জায়গা করে নিতে পারছে না। একজন ইনফর্ম আশরাফুল যেকোন সময়ে আমাদের সামর্থ্য কমপক্ষে ৩০% বাড়িয়ে দেয়।

অলরাউন্ডার হিসেবে সাকিব আল হাসান। এর বেশি কিছু বলবো না। উইকেটকিপার খালেদ মাসুদ পাইলট। কিপিং স্ট্যান্ডার্ডে পাইলট বিশ্বের যে কোন উইকেটকিপারের সাথে কমপিট করতে পারবে। ব্যাটিং এ হয়তো বর্তমান মুশফিক থেকে একটু পিছিয়ে থাকবে, তবে খুব একটা না। বহুবার দলের বিপদে বা মুখ রক্ষায় পাইলট ব্যাট হাতে ভূমিকা রেখেছে।

বোলারদের নির্বাচন করতে গিয়েই সবচেয়ে ঝামেলার মধ্যে পড়েছি। চারজনের মধ্যে দুইজন, মোহাম্মদ রফিক আর মাশরাফি বিন মর্তুজা অটোমেটিক চয়েস। আবদুর রাজ্জাককেও সহজেই নির্বাচন করা যায়। কিন্তু দলের দ্বিতীয় পেসার খুঁজে পেতে রীতিমত হিমশিম খেয়েছি। শাহাদাত হোসেনকে তাই অনেকটা র‍্যান্ডম সিলেকশন বলা যায়। ওর দিনে যে কোন দলের বিপক্ষেই ও ভয়ঙ্কর, কিন্তু সমস্যা হলো সেই দিনগুলো আসে খুবই কালে ভদ্রে।

দলের অধিনায়ক নির্বাচন করাও বেশ কঠিন হয়েছে, বেশ কয়েকজন ক্যাপ্টেন এই দলে থাকলেও মূলত ভেবেছি হাবিবুল বাশার আর সাকিবের ভেতরে। বাশার পরীক্ষিত, সফলতাও পেয়েছে। আর সাকিব সফলতা পেলেও এখনো খুব বেশিদিন হয় নি। তারপরো আমি সাকিবকে ক্যাপ্টেন হিসেবে রাখব। ওর ক্যাপ্টেন্সি কোয়ালিটির কারনে তো অবশ্যই, সেই সাথে ওর সেরা খেলাটা বের করে আনার জন্য।

যেকোন ধরনের লিস্ট করাই আমার জন্য কষ্টকর, কারন কিছুদিন পরপরই তা পরিবর্তন হয়। তবে এটার ক্ষেত্রে মনে হয় দু একটা পজিসন বাদে বাকি সবই টিকে যাবে।

এবার আসুন সবাই আমরা নিজেদের সেরা একাদশগুলো দিয়ে দেই। সেখান থেকে জনপ্রিয়তা ভিত্তিতে পরে না হয় সিসিবি বাংলাদেশ একাদশ তৈরী করা যাবে।
( বাংলাদেশের হয়ে খেলা সকল খেলোয়ারদের তালিকা এবং পরিসংখ্যান পাবেন ক্রিকিনফোর এই পেজে। )

২,৮৯৪ বার দেখা হয়েছে

২৯ টি মন্তব্য : “সর্বকালের সেরা একাদশঃ বাংলাদেশ”

  1. কিবরিয়া (২০০৩-২০০৯)

    ১ম
    😀 😀 😀


    যেমন রক্তের মধ্যে জন্ম নেয় সোনালি অসুখ-তারপর ফুটে ওঠে ত্বকে মাংসে বীভৎস ক্ষরতা।
    জাতির শরীরে আজ তেম্নি দ্যাখো দুরারোগ্য ব্যাধি - ধর্মান্ধ পিশাচ আর পরকাল ব্যবসায়ি রূপে
    - রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ

    জবাব দিন
  2. সামীউর (৯৭-০৩)

    ১ম। আপনার কষ্টের জন্য ধন্যবাদ। তবে আকাশদা আমার মনে হয় বাংলাদেশের সর্বকালের (!) সেরা একাদশ বাছাই করার সময় এখনো আসেনি। আপনি ক্রিকইনফোর একাদশ বাছাইর প্রক্রিয়া গুলোতে দেখবেন কিভাবে একটা পজিশনে অনেক ক্রিকেটারের মধ্য থেকে চুলচেরা বিশ্ল্বেষণে তাদের সেরা একাদশে নেয়া হয়। সেখানে বাংলাদেশ দলের এক পজিশনে দুই প্লেয়ার পাওয়াই এখনো টাফ। আর একাদশে রকিবুল হাসান, উইকেটরক্ষক শফিকুল হক হীরা, নাসির আহমেদ নাসু, কিংবা মিনহাজুল আবেদিন এর মতো খেলোয়াড়রাও নেই।
    আর দলটা টেস্ট না ওয়ানডে এই ব্যপারেও পরিষ্কার কিছু বলছেন না। আর শাহাদাত হোসেন কিন্তু জাতীয় দলেও নিয়মিত না। মাশরাফি নাজমুলের ইনজুরিতে ব্যাকআপ হিসেবে রাসেল-ডলারকে ডাকা হয়েছে কিন্তু শাহাদাতকে আনা হয়নি, কারণ তার লাইন লেংথ, বলের উপ কন্ট্রোল খুবই কম। ধৈর্য্য ধরুন, একসময় ক্রিকইনফো সেরা একাদশ কিংবা আইসিসি হল অফ ফেমেও আমাদের ক্রিকেটাররা জায়গা করে নেবে। সর্বকালের সেরা বাছতে এখুনি নেমে পড়াটা মনে হয় একটু তাড়াতাড়ি হয়ে যায়।

    জবাব দিন
    • শাহাদাত মান্না (৯৪-০০)

      সামীউরের কথার সাথে একমত পোষন করছি। আর সেই সাথে আরেকটু যোগ করতে চাই তা হল- এ ধরনের দল নির্বাচনের ক্ষেত্রে ক্রীড়া সাংবাদিকতা ও একটা গুরুত্বপূর্ন ব্যাপার। আর আমাদের দেশে স্বাতন্ত্র্য ক্রীড়া সাংবাদিকতার ও বয়স খুব বেশি হয়নি, যেটি দল নির্বাচনে প্রভাব ফেলে।

      তার উপর এই যেমন বর্তমান সময়ে বিশ্বমানের দলের সাথে নিয়মিত খেলা হয়, আগে যেটি ছিল অনুপস্থিত। এরকম নানা তুলনা চলে আসে। আবার অনেকের খেলা নতুন প্রজন্ম দেখেওনি, আবার অতীতে পূর্নাংগরুপে ক্রিকেট বিষয়ক লেখার ও অভাব রয়েছে। তা ও নাম বলতে গেলে মনে পড়ছে 'জাহাঙ্গীর শাহ বাদশাহ'র কথা। যিনি একবার বিশ্বএকাদশের সাথে খেলায় খুব সম্ভবতঃ চার উইকেট পেয়ে খুব আলোড়ন তুলেছিলেন। 🙂

      জবাব দিন
        • কামরুল হাসান (৯৪-০০)

          শোনা কথায় কান দিতে নেই মাস্ফ্যু।
          যার জন্মই ১৯৬৪ সালে সে ওয়েস্ট পাকিস্তানকে কিভাবে নাকানি-চুবানি খাওয়াবে?
          গোলাম মোহাম্মদ নওশের প্রিন্স ক্রিকেট খেলেছেন মূলত আশির দশকে। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারটা ছিল ১৯৮৫/৮৬ থেকে ১৯৯০/৯১ পর্যন্ত। ঘরোয়া ক্রিকেটে তার আগে-পরে আরো কিছুদিন খেলেছেন। বাঁ হাতি মিডিয়াম পেসার হিসেবে এক সময় কিছুটা নামডাক ছিল, কিন্তু সেটা এখনকার মাসরাফি জেনারেশনের পেসারদের কাছে কিছুই না।
          অল্প দুয়েকটা ব্যতিক্রম বাদ দিলে বাংলাদেশের আগের প্রজন্মের ক্রিকেটারদের চেয়ে এখনকার ক্রিকেটাররা অনেক ভালো।


          ---------------------------------------------------------------------------
          বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
          ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।

          জবাব দিন
          • মাসরুফ (১৯৯৭-২০০৩)

            এই কারণেই আপনেরে আমি ভালো পাই 🙂
            আসলে আমাদের আগের জেনারেশনের প্লেয়ারদের সম্পর্কে একেবারে কিছুই জানিনা 🙁 এই ব্যাপারে কেউ একটু হেল্প করবেন? আমি তখন পিচ্চি- ৯০' এর দশকে বাহাতি পেসার বাবুলের কথা শুনেছি আর আনিসের খেলা তো টিভিতেই দেখেছি।আইসিসি ট্রফিতে সালাহউদ্দিন নামে খুব ভালো একজন অফস্পিনার ছিলেন-খুলনায় বাড়ি।

            জি এম নওশের প্রিন্স সম্পর্কে পাকিস্তানের কোচ নাকি বলেছিলেন "নওশের ইজ ফাস্টার দ্যান আওয়ার বোলারস 🙁 " এইটাও মনে হয় চাপা।

            ধুরো 🙁

            জবাব দিন
            • আহসান আকাশ (৯৬-০২)

              ৯১/৯২ সালের দিকে পাকিস্তান বাংলাদেশে এসেছিল ২/৩ টা ওয়ান্ডে খেলতে। যার একটা ম্যাচ দেখতে ঢাকা স্টেডিয়ামে গিয়েছিলাম, আমার জীবনে প্রথম মাঠে গিয়ে দেখা ক্রিকেট ম্যাচ। ঐ ম্যাচে যতদূর মনে পড়ে বোলিং ওপেন করেছিল প্রিন্স আর দুলু। পাকিস্তান আগে ব্যাটিং করে ২৭০ এর মত করেছিল আর বাংলাদেশ ২২০ এর মত। বাংলাদেশ ২০০ ক্রস করাতেই পাবলিক দারুন খুশি হইছিল।


              আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
              আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

              জবাব দিন
  3. কামরুল হাসান (৯৪-০০)

    আমারও মনে হয় এখনই সর্বকালের সেরা একাদশ নির্বাচনের সময় আসেনি। 😀


    ---------------------------------------------------------------------------
    বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
    ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।

    জবাব দিন
  4. শিবলী (১৯৯৮-২০০৪)

    আহসান স্যার , আপনারটা যদি টেষ্ট দল হয় তাহলে দলটা ভালই । ওপেনারদের পর ওয়ান ডাউন ফাইন । তবে স্যার আমি বুলবুলের আগে আশরাফুলকে চাইবো তাদের দুই জনের ব্যাটিং ষ্টাইলের জন্য । বুলবুলের তুলনায় আশরাফুল অনেক বেশি এটাকিং । এতো পরে নামালে ও হয়তো ওর নরমাল খেলাটা খেলতে পারবে না । আর বুলবুল তো ভরসা হয়ে থাকবেই সুমন আর আশরাফুলকে হাত খুলে খেলতে দেওয়ার জন্য । সাথে থাকছে এটাকিং সাকিব আর ধৈর্যের চুড়ান্ত পাইলট । অনেকটা একই কারনে শাহাদতকে রাজ্জাকের আগে ব্যাটিং এ পাঠানো যেতে পারে ।

    জবাব দিন
    • আহসান আকাশ (৯৬-০২)

      টেস্ট না হয়ে ওয়ানডে হলে কাকে বদলাতে? আমি কিন্তু ওভারঅল চিন্তা করেছি।


      আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
      আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

      জবাব দিন
      • শিবলী (১৯৯৮-২০০৪)

        স্যার ওয়ানডে হইলে আমি শাহাদতকে না নিয়া হয়তো সাইফুলকে নিতাম তার সুইং এর জন্য । আর আশরাফুলকে ৪ এ পাঠিয়ে ৫ এ আকরামকে নিতাম তার বিগ হিট খেলার সামর্থের জন্য । কেননা এক সাইড ধরার জন্য আপনি শুরুতেই একজন পারফেক্ট ম্যান নিয়ে নিছেন--আতাহার আলী - গ্রেট ওপেনার আমাদের জন্য ।

        জবাব দিন
    • আহসান আকাশ (৯৬-০২)

      আকরাম খান আমার অল্টাইম হিরো, ওকে বাদ দিতে আমার অনেক কষ্ট হইছে, তবে সুমন, বুলবুল, আশরাফুল... এই তিনজনের আগে আকরামকে আনতে পারি নাই। মনির তুলনায় রফিক, রাজ্জাক কে আমি এগিয়ে রাখব। মনির উপর আমার অবশ্য একটা ক্ষোভ আছে, যতদূর জানি দলের আভ্যন্তরিন রাজনীতির কারনে ( দূর্জয় বা অন্য কারো প্রভাবে) মনি'র কারনে রফিকের জায়গা হয় নি দলে। তা না হলে রফিকের ক্যারিয়ারে আরো অনেক টেস্ট জমা হত।


      আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
      আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

      জবাব দিন
      • মাসরুফ (১৯৯৭-২০০৩)

        ১৯৯৯ সালের ওয়ার্ল্ড কাপে আমরা কলেজে বসে মনির টার্নকে স্পিনের একক ধরছিলাম।যেমনঃ সাকলায়েন মুশতাক এর স্পিন ২ মনি,অনিল কুম্বলের স্পিন ১.৫ মনি,শেন ওয়ার্নের স্পিন ৫ মনি,মুরালিধরনের স্পিন সাড়ে সাত মনি ইত্যাদি।এদের কার বলের তার্ন মনির টার্নের চেয়ে কত গুন বেশি এই নিয়ে ছিলো হিসাবটা 🙁

        জোকিং এপার্ট,১৯৯৭ আইসিসিতে মনির অনেক অবদান ছিলো এতে কোন সন্দেহ নাই।আরসিসির কোচ সম্ভবত ছিলেন মনির বড় ভাই-এইটা নিয়া ওরা ব্যাপক পার্ট নিতো(বেটারা অবশ্য খেলতোও ফাটাফাটি x-( )

        জবাব দিন
        • আহসান আকাশ (৯৬-০২)

          :)) :))

          মনি'র প্রতি কিছুটা বিদ্বেষ থাকার কারনেই হয়তো, ৯৭ এর আইসিসি ট্রফি নিয়ে একটু ঘাটাঘাটি করলাম, এখানেও ও রফিক থেকে বেশ পিছিয়ে, রফিক ১০.৬৮ গড়ে ১৯ উইকেট নিয়েছিল আর মনি ১৮ এভারেজে ১২ উইকেট। তবে সবচেয়ে অবাক করলো আকরাম খান, ১৫.৬৬ এভারেজে ৯ উইকেট 😉

          বিস্তারিত এখানে


          আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
          আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

          জবাব দিন
  5. সামীউর (৯৭-০৩)
    যেকোন ধরনের লিস্ট করাই আমার জন্য কষ্টকর, কারন কিছুদিন পরপরই তা পরিবর্তন হয়

    তাহলে শুধু শুধু কষ্ট করারই কি দরকার?
    আর শিবলিকে বলছি, এ ধরণের দল (ক্রিকেট ফুটবল হকি যেটাই হোক না কেন, সর্বকালের, ক্লাবের, দশকের ইত্যাদি) যখনই বেছে নেয়া হয়, তখন বাস্তবিক ভাবেই ধরে নেয়া হয় এই দলটা কখনো মাঠ এ খেলবে না। বরং দেখা হয় কোন জায়গাটায় কোন খেলোয়াড়এর পারফর্ম্যান্সটা সবচেয়ে ভালো, অধিক শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিপক্ষে কার পারফরম্যান্স কতটা জোরালো, এবং অন্যান্য দক্ষতা (এক পজিশনে একাধিক ক্যান্ডিডেট থাকলে যেমন ব্যাটসম্যানদের জন্য ফিল্ডিং
    /পার্ট টাইম বোলিং, ডিফেন্ডারের ক্ষেত্রে গোল করার হার, এই সব বাড়তি যোগ্যতা তবে অবশ্যই মূল কাজকে বাদ দিয়ে নয়)।

    জবাব দিন
  6. আহসান আকাশ (৯৬-০২)

    বাংলাদেশের সর্বকালের সেরা একাদশ নির্বাচনের সময় এখনো আসেনি, এ কথার সাথে আমি পুরোপুরি একমত। এই লিস্টটা মাথায় এসেছিল অবশ্য ভিন্ন কারনে। গত ম্যাচে বাংলাদেশের খেলা শেষে অনেক দিন পরে ক্রিকেট নিয়ে আড্ডা জমেছিল। সেখানে এশিয়া কাপ ৮৮/৮৯ এর এশিয়া কাপ থেকে এখন পর্যন্ত পুরো ক্রিকেট স্মৃতি রোমন্থন হয়ে গেছে। সেখান থেকেই এই আইডিয়া মাথায় আসে। লিস্ট তৈরী করতে গিয়ে অবশ্য ভালই লেগেছে, পুরোনো সব খেলোয়ারদের প্রোফাইল গুলো ঘুরে দেখা হয়েছে।


    আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
    আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

    জবাব দিন
  7. শিবলী (১৯৯৮-২০০৪)

    সামিউর ভাই্‌, আমিও আপনার সাথে একমত যে এই দল কখনো একসাথে খেলবে না । আসলে বাংলাদেশ টীমে সবার পজিশন এতো বেশি চেঞ্জ হইছে যে কে ঠিক কোন পজিশনে পারফেক্ট আমার মত পাবলিকের জন্য তা বলাটা একটু ডিফিকাল্ট । আর আমাদের হাতে এমন খুব বেশি অপসনও নাই যে আতশ কাঁচের নীচে তাদের ফেলে মুল্যায়ন করতে যাবো । আমি জাস্ট টীমের কম্বিনেশনের ব্যাপারে আমার মতামত দিছি ।

    জবাব দিন
  8. আমিন (১৯৯৬-২০০২)

    যেহেতু সর্বকালের সেরা একাদশ বানানোর সময় আসেনি আমি বিকল্প কাজে নেমে পড়লাম। বাংলাদেশের সর্বকালের মফিজ একাদশ গঠন। এই একাদশে অবশ্য পরিসংখ্যানের চেয়ে আবেগ প্রাধান্য পাইছে বেশি।
    প্রথমেই ওপেনিং। ওপেনিংএ জাভেদ ওমর আর হান্নার সরকার আমার অটোমেটিক চয়েজ। জাভেদ কেন অটোমেটিক চয়েস সেটা নিয়ে আমি কিছু বললাম না তবে হান্নান দু লাইন বলার দাবি রাখে । লেগ স্ট্যাম্প অফ স্ট্যাম্প দুদিকে বল ছেড়ে দিয়ে বোল্ড হওয়ার দক্ষতা তার মতো দেখাতে পারেনি বিশ্ব ক্রিকেটের কেউ। আর ইনিংসের প্রথম বলে শূন্য মারাটকে শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হান্নান অস্ট্রেলিয়ায় দুর্দান্ত খেললেও আমার দলে থাকলো।
    ওয়ান ডাউন বিবেচনায় শিপন এবং সেলিম শাহেদের নাম বেশ মনে পড়েছিল। তারপরেও এই জায়গায় থাকবে আমাদের ক্রিকেটকে চার বছর পিছিয়ে দেওয়া ফারুক। ১৯৯৪ সালের আইসিসিতে কেনিয়ার সাথে ২৯৫ চেজ করে ১৩ রানে হেরেছিলো বাংলাদেশ। সেইখানে দলনায়ক ফারুক ২২ বলে ৪ বা ৭ রানের একটি ধ্রুপদী ইনিংস খেলেছিলেন। ফলে বুলবুলের ৭৪ নান্নুর ৭৬ ও জাহাঙ্গীরের ৫৮রানের চমৎকার তিনটি ইনিংস বৃথা যায়। চার নম্বর পজিশনটা বেশ ভাবনায় ফেলে দিয়েছিলো। পরিসংখ্যানের সাহায্য নিয়ে আমাদের ক্রিকেট বোর্ডের হর্তাকর্তা লিপুকে মনোননয়ন দিলাম অধিনায়ক হিসাবে। লিপুর খেলা খুব বেশি দেখিনি তাকে দলে নেবার অনুপ্রেরণা তার ওয়ানডে ক্যারিয়ার। ৯ ম্যাচে ৮ গড়ে ২৪ স্ট্রাইক রেটে ৫৯ রান করা লিপুর ওডিআই রেকর্ড আসলঈ ঈর্ষনীয়। পাঁচ নাম্বার প্লেসে আমাদের সানোয়ার মামাকে নিলাম। তাকে মামা বলার কারণ সে আমাদের ওমরের এলাকা সূত্রে মামা। ওমরের থেকেই শোনা যায়, মামার বাপ নাকি কয়, সবাই মারলে গ্যালারিতে যায় আর আমার ছেলে মারলে যায় ছোট বাউন্ডারির দিকে!!! এ সব অবশ্য জনশ্রুতি। তবে মামার লেগ বাই নেবার ক্ষমতা ছিলো অসাধারণ। অলরাউন্ডার হিসাবে জামাল বাবুর কথা মনে আসলেও নামের ভারে মফিজুর রহমান মুন্নাকে নিবো।কিপারের জায়গাতে বেশ বেগ পোহাতে হলো। বাংলাদেশের কিপারদের মান আসলেই ভালো। তারপরেও পাইলটকে বাদ দেবার ষড়যন্ত্রের পুতুল সেলিমকে বেছে নিতে চাইছিলাম। আইসিএলগামী ধীমান ঘোষকেই শেষম্যাচ বিবেচনা করলাম তার দুরন্ত ডায়লগের জন্য "দেশ আমার জন্য করেছে, আমিও দেশকে অনেক দিয়েছি"।
    স্পিনার হিসাবে বেঙ্গল বিস্কুট মনি ভাইকে নিবো। তার তুমুল জনপ্রিয়তা ছিলো আমদের কলেজে । "মনি" এবং "এন্টিমণি" নামে দুই গ্রুপও হয়ে গেছিলো। এন্টিমনি গ্রুপের লোক হিসাবে মফিজ একাদশে মণিকে রাখা যায়। বিকল্প হতে পারেন ওডিআই এ একটি স্কোরিং শট (৬, স্ট্রাইকরেট ১৬৬.৬৭) করা শরিফুল হক প্লাবন কিংবা আম্পায়ার শরফৌদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকত।তিন পেসার বিবেচনার প্রথমেই আনিসের নাম আসবে।যে প্রথম বলটা বেশিরভাগ সময় ওয়াইডকরতো। ওয়াইড না হলে বাউন্ডারি খেতো। বিবেচনায় আসবে আমিনুল ইসলাম ভোলা পেস ছেড়ে স্পিনার হয়ে যাওয়া বিকাশ অথবা চার খেয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট শুরু করা কর্ণেলের নাম।
    আরো অনেক নাম উঠে আসবে। আমার মাথায় ইমিডিয়েট ভাবনা থেকে বলা। কেউ আড়ো কারো নাম মনে করালে আপডেট হবে। আমার মফিজ একাদশটা কেমন হইলো আকাশ?

    জবাব দিন
      • ফয়েজ (৮৭-৯৩)

        লিপুর ওডিআই ক্যারিয়ার কিন্তু লিপুকে ভুলভাবে উপস্থাপন করছে। লিপুর ক্রিকেট ব্রেন ছিল সেইসময়ের তুলনায় বেশ এডভান্স, অনেক ভালো দলনেতাও ছিল সে। ঘরোয়া ক্রিকেটে একাই অনেক ম্যাচ জিতিয়েছিল আবাহনীর। তার ভালো সময়ে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক খেলা খেলতো খুব কম, যতদূর মনে পড়ে, অধিকাংশ খেলাই ছিল ফ্রেন্ডলি, ইন্টারন্যাশনাল ওডিআই এর মর্যাদা ছিল না।


        পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না

        জবাব দিন
        • কামরুল হাসান (৯৪-০০)

          সবই বাংলাদেশি মানদন্ডে।
          আমার ধারণা আন্তর্জাতিক মান্দন্ডে লিপু উৎরাতে পারতো না। ওকে ওভাররেটেড মনে হয়।


          ---------------------------------------------------------------------------
          বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
          ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।

          জবাব দিন
        • আহসান আকাশ (৯৬-০২)

          লিপুর ব্যাপারে ফয়েজ ভাইয়ের সাথে একমত। ওয়ানডে পরিসংখ্যান ওকে চূড়ান্তো মফিজ বলে প্রমান করলেও আমার মনে হয় ও এর থেকে অনেক ভাল ক্রিকেটার ছিল। আবাহনীকে অনেকদিন দারুন সার্ভিস দিয়ে গেছে (যদিও একবার কি এক গ্যাঞ্জামের কারনে ওল্ড ডিওএইসএস এ চল গিয়েছিল, তখন ওকে মোটামোটি গাদ্দার হিসেবে ধরে নিয়েছিলাম 😛 )


          আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
          আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

          জবাব দিন
    • আহসান আকাশ (৯৬-০২)

      মফিজ একাদশের আইডিয়াটা পছন্দ হইছে 😀 তোর একাদশের বেশিরভাগের সাথেই একমত দু একটা বদলাবে... সময় করে পরে দিবো।


      আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
      আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

      জবাব দিন
  9. মাহমুদ (১৯৯৮-২০০৪)

    সময় হোক বা না হোক,একাদশটা আমার খুব ভাল লেগেছে।এসব একাদশ দেখার একটা মজা আমি পাই এই কল্পনা করে যে তারা একসাথে খেলছে 🙂 🙂
    তবে আমার প্রিয় আকরাম খানকে একটা জায়গা দেন না,দরকার হইলে আমি লবিং করমু :grr: :grr:

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : কামরুল হাসান (৯৪-০০)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।