সিসিবির সাথে পরিচয়ের দুই বছর হয়ে গিয়েছে। নির্দিস্ট দিন তারিখ যদিও মনে নেই, এদিকে সদস্য ডিরেক্টরির আপগ্রেডেশন চলতে থাকায় সদস্য হবার দিন তারিখ ও খুঁজে পাচ্ছি না, তাই ঘটা করে দুই বছর পূর্তি উদযাপন করা হলো না। তবে গত ২-৩ সপ্তাহ যে ব্যস্ততার মধ্যে ছিলাম তাতে হয়ত সুযোগ ও হতো না। আজ অনেকদিন পরে একটু সময় পেয়ে নিজের ব্লগ স্টোর রুমে একটু ঢুঁ মারছিলাম। সেখানে খেয়াল করলাম বিগত ২৩ মাসে মাত্র ৩ মাস বাদে প্রতি মাসে আমার একটা হলেও পোস্ট আছে, তাও ২ মাস হলো একদম শুরুর দিকে। এছাড়া শুধু এ বছর জানুয়ারীতে জঙ্গলবাসের সময় নেটওয়ার্কের বাইরে থাকায় বাদ পড়ে গিয়েছে। নিজের ধারাবাহিকতায় নিজেই মুগ্ধ। সেটা বজায় রাখতেই সময় থাকতে এ মাসের কোটা পূরনের সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলাম। তবে ব্লগ স্টোর রুম ঘেটে আরো যেটা আবিষ্কার করলাম সেটা হলো আমার পোস্টের মূলভাব হয়ে দাড়িয়েছে ‘কোয়ালিটি নয় কোয়ান্টিটি’, এ পোস্টও হয়ত তার থেকে আলাদা কিছু হতে পারবে না তাই আগেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। সিসিবির অসাধারন লেখকদের দূর্দান্ত সব লেখার মাঝে পোস্ট দিতে মাঝেমাঝে ভয়ই লাগে।
গত সপ্তাহের প্রায় পুরোটাই কেটেছে বাইরে। সিলেটের বিভিন্ন গ্রামে জঙ্গলে রাত কাটিয়েছি। যদিও এটা নতুন কিছু না তবে এবার নতুন এক অভিজ্ঞতা হয়েছে। সেটা হলো একেবারে আদি ও অকৃত্রিম গ্রাম দেখে এসেছি। নাগরিক প্রায় সকল সুযোগ সুবিধা এসে যাওয়ায় আমার নিজের গ্রামকে আর গ্রাম বলেই মনে হয় না। এর বাইরেও বিভিন্ন সময়ে সে সব গ্রামে গিয়েছি সেগুলোতে পুরোপুরি গ্রামের আমেজ পাই নি। তবে এবার সে অভিজ্ঞতা হলো। বিদ্যুৎ সংযোগ নেই, সন্ধ্যা নামার আগেই সবাই ঘরে ফিরে যায়। পুরোপুরি রাত নামার আগেই প্রায় সবাই ঘুম। আবার সূর্য ওঠার আগেই সবাই জেগে উঠে যার যার কাজে ব্যস্ত। সবচেয়ে অবাক লেগেছে এটা দেখে যে পাশের গ্রামেই বিদ্যুৎ আছে, তারা অভ্যস্ত শহুরে টাইম টেবিলে, কিন্তু সেটা তেমন কোন প্রভাবই এদের জীবনে ফেলেনি। একে তো নিজে ভিজে পুড়ে, মাটি টাটি কেটে চরম কষ্টে আছি, তার উপর এদের এই ঝামেলাহীন নিশ্চিন্ত জীবন দেখে বেশ হিংসাই হচ্ছিল। তবে সেটা বেশিক্ষন টেকেনি। পরদিন পাশের বাড়ির পিচ্চির কাছে খোঁজ নিয়ে জানতে পারলাম সকালে তার কিছুই খাওয়া হয় নি, কখনো হয় ও না, দুপুরের সাধারন রুটিন হচ্ছে লবন আর ভাত। রাতে অর্থাৎ সন্ধ্যার পর পর সবজি, ভাত। সেদিন বাড়ির কর্তা কিছু মাছ ধরে নিয়ে আসতে পারায় বিশেষ আয়োজন মাছ। কি অল্পতেই জীবন কেটে যাচ্ছে এদের। আর আমরা আরো বেশি বেশি পাবার জন্য সবসময় ছুটছি।
খাওয়া দাওয়া আমার কাছে ছোটবেলা থেকেই একটা ঝামেলার ব্যাপার, সময় নষ্ঠ। সে রকম কোন বাছ বিচারও নেই, একমাত্র শুটকি মাছ ছাড়া সবই খাই। তবে গত কিছুদিন খাবার নিয়ে বেশ কষ্টে আছি। কারন আর কিছুই না, এনথ্রাক্স। মাছ মাংসের মধ্যে আমার ফেভারিট হলো গরুর মাংস। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে দারুন ভাবে গরুর মাংস মিস করছি। দিন গুনছি কবে এনথাক্স দূর হবে আর আবার গরম গরম গরুর মাংসের ভুনা দিয়ে ভাত খাব। আরেক দিকে টেনশনে আছি যদি কোরবানির আগে এনথ্রাক্স না যায় তাহলে কি হবে।
আমার জীবনে প্রথম ক্যাসেটে যার গান শোনা হয়েছে সে হলো হেমন্ত মুখোপাধ্যায়। প্রায় প্রতি রাতেই আব্বু হেমন্তের গাওয়া উত্তম কুমারের সিনেমার গাঙ্গুলো শুনতো। আর মাঝে মাঝে ভিসিপি ভাড়া করে এনে উত্তম-সুচিত্রার সিনেমা দেখা হতো। সেই তখন থেকেই হেমন্তের গান আমার কাছে বিশেষ কিছু। এখনো প্রায় সে গানগুলো শোনা হয়, ভাল লাগার সাথে সাথে গানগুলোর সাথে সাথে গান গুলোর সাথে জড়িয়ে আছে ছোট বেলার অনেক স্মৃতি। গত ২৬ তারিখ ছিল হেমন্তের মৃত্যুবার্ষিকী। তাকে স্মরন করে হেমন্তের গাওয়া আমার প্রিয় গানটা সবার সাথে শেয়ার করলাম…
আমি ঝড়ের কাছে রেখে গেলাম আমার ঠিকানা
🙂
:clap:
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
খেলবো না.....আমার নেট কেন বিট্রে করলো....আমি ১ম হতে পারি নাই :((
একবার না পারিলে দেখ শতবার... 😉
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
শুটকি খাওনা! কি যে মিস করলা নিজেই বুঝলানা...
নুপুরদা আমি অনেক ট্রাই কইরাও স্যারকে খাওয়াইত পারি নাই......আপনারাই একটু বোঝান......তবে এই লোক কিন্তু একবার খাইতে বসলে থামার নাম কমই নেয় । 😀 😀 😀 😀 😀
নূপুরদা, শুটকির ব্যাপারে একটা ট্যাবু ইনবিল্ড হয়ে গিয়েছে, তাই খাওয়া হয় না... তবে ট্রাই করে দেখার ইচ্ছা আছে।
@ শিবলি, আমার খাওয়া নিয়ে ডাউট দিচ্ছ মনে হয়, খাবার টেবিলে আমার পার্টনার শেষ পর্যন্ত কে থাকে?
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
ভাই....আর্সেনাল নিয়া কিছু বললেন না !!!....আপনার ফেসবুক স্ট্যাটাস টা এখানে দিয়ে দিতেন .....!!আজকেও ভয়ে আছি ....!!এদের যে কখন কি হয় !!...ডিফেন্সের দিকে বল গেলেই মনে হচ্ছে ১ টা ক্যালামিটি হয়ে যাবে.....আল্মুনিয়ার চেয়ে ফাবিয়ান্স্কি রে বেশি ভয় পাই ....!!
গানটা ভালো ছিল .......ধন্যবাদ....উত্তমের কন্ঠে হেমন্তের গান সবসময় প্রিয় ....
😮 😮 😮 😮 😮 😮
ধন্যবাদ ভাই ....খেলা দেখার তালে ছিলাম তো 🙂 ....কি লিখছি এখন বুঝতেছি ... :frontroll: .প্যাচ লেগে গেছে .....এইখানে কি হবে, উত্তমের লিপে হেমন্তের গান .....না হেমন্তের কন্ঠে উত্তমের গান...??...
উত্তমের কন্ঠে হেমন্তের গান
:khekz: :khekz:
People sleep peaceably in their beds at night only because rough men stand ready to do violence on their behalf.
ইচ্ছাকৃত ভাবে এই ব্লগে খেলাধূলা আনি নাই, কারন আমার ব্লগে ঐ জ়িনিষই বেশি থাকে। আর্সেনাল নিয়ে কিছু বলার নেই, আর্সেনালের গোলকিপিং প্রবলেম নিয়ে সিজন শুরুর আগে থেকেই বলছিলাম, ওয়েঙ্গার কেন যে সারাজীবন গোলকিপার পজিসন নিয়ে সিরিয়াস না এখনো বুঝলাম না।
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
গানটার জন্য ধন্যবাদ।
পিউর গ্রাম অবশ্য আমি দেখে ফেললাম এই কানাডায় বসেই "হারিকেনের তীব্রতাসম্পন্ন প্রচণ্ড ঘূর্ণিঝড়" ইগোর এর কল্যানে। ইলেকট্রিসিটি কাট ছিলো । আর ক্লিয়ার হওয়ার পরেও কারেন্ট না থাকায় আমার এই জায়গাটা একেবারে বাংলাদেশের গাঁয়ের ফ্লেভার নিয়ে আসছিলো।
যাউকগা প্যাচাল বহুত পারলাম। ক্রিকেট নিয়া কিছু কইলি না? নেক্সট উইকে বাংলার বাঘেদের খেলা। তোর প্রিয় শাহরিয়ার নাফীস কি খেলবো?
খেলা ইচ্ছা কইরাই আনি নাই... দেখি সামনে আসবে। আর শাহরিয়ার নাফিস খেলবে বলে মনে হয়, ওর জন্য শুভকামনা... ও কি জিনিষ তা অনেক আগেই প্রুভ করছে, আশা করি এবার তা বদলাতে পারবে। তবে ওর কাম ব্যাকটা কোন ভাবে জিম্বাবুয়ে- আয়ারল্যান্ডের সাথে করতে পারলে ভাল হতো।
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
:thumbup:
আমার বন্ধুয়া বিহনে
গানটা শুনাইয়া আমার ক্লাস টেনের ১লা বৈশাখের কথা মনে করায়া দিলেন স্যার 🙂 🙂
হুম, অনেক দিন তুমি পাকুড়া খাচ্ছো না মনে হচ্ছে, একটা কালচারাল প্রোগ্রাম আয়োজন করার ব্যবস্থা করতে হয় 😉
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
হেমন্ত আমার খুব পছন্দের গায়কদের মধ্যে অন্যতম। ধন্যবাদ পোষ্টে তাকে স্মরণ করার জন্য।
You cannot hangout with negative people and expect a positive life.
ধন্যবাদ আপু...
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
অনেকদিন পর তোমার সাপ্তাহিক আর তুমি,
কেমন আছো ভাইয়া?
শুটকি খাওনা? আসলেই কি যে মিস করতাসো 😛
গানটার জন্য ধন্যবাদ, হেমন্তের গান আমার মায়ের জন্য শোনা শুরু হয়েছিলো এখনো শুনতেই আছি 🙂
ভালো থেকো।
আছি একরকম ভালই... তোমাকেও তো অনেক দিন ধরে দেখি না আপু।
শুটকি যারা খায় তারা সবাই এ কথাই শোনায়, কিন্তু আমি কাঁচা শুটকির গন্ধটা মাথা থেকে দূর করতে পারি না, তাই খাওয়ার রুচি পাই না। তবে ভবিষ্যতে চেষ্টা করে দেখব।
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
আর্সেনাল নিয়া একটা রিভিউ দেন না...অনেক দিন খেলাধূলা নিয়া কোনো কমেন্ট দেই না।
আমি অবশ্য শুধু ফুটবল ক্রেজি।আমার রুমমেট বলে যে কোনো চ্যানেলে ফুটবল খেলা দেখালে আমার নাকি সবকিছু আউলাইয়া যায়,সব কিছু বাদ দিয়া শুধু ঐ টাই...
এখন পর্যন্ত এ সিজনের কোন খেলা দেখা হয় নি... এ বছর হবার সম্ভাবনাও খুব কম, তাই কোন রিভিও দিতে পারছি না আপাতত। তুমিই একটা ব্লগ দাও না।
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
ক্যাডেট কলেজে যাওয়ার আগে প্রায়ই গ্রামে যেতাম। গ্রামগুলো ছিলো তোমার বাতিহীন গ্রামগুলোর মতো। দেশের মানুষ এখনও খেতে পায়্না সেটা মনে করিয়ে দেবার জন্য ধন্যবাদ। কিছু না করতে পারি অন্তত অপচয়টা তো রোধ করতে পারি।
আমেরিকাতে সামারে আমরা ক্যাম্পিংএ যাই। তখন কখনও গভীর জংগলে, কখনওবা পাহাড়, নদী কিম্বা বেলাভূমিতে তাবু খাটিয়ে রাত পার করি।
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi
ধন্যবাদ আপু মন্তব্যের জন্য।
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷