স্মৃতির বিশ্বকাপ-১

আর মাত্র ২৩ দিন। শুরু হয়ে যাচ্ছে আরেকটি বিশ্বকাপ, দ্যা গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ। সবাই আবারো মেতে উঠবে ফুটবল উৎসবে। ব্যক্তিগতভাবে আমার এই বাকি দিনগুলো অনেক লম্বা মনে হচ্ছে। কবে যে ১১ তারিখ আসবে। গত কয়েকদিন বেশ ব্যস্ত ছিলাম, রাতদিন দম ফেলার সময় পাইনি। আজকে একটু ফ্রি হয়ে আগের বিশ্বকাপগুলো নিয়ে একটু গুগল করলাম। দারুন দারুন সব স্মৃতি মনে পড়ে গেল। সেগুলো সবার সাথে শেয়ার করার লোভ সামলাতে পারলাম না।

১৯৯০ (ইটালি) 1

আমার বিশ্বকাপ অভিজ্ঞতার শুরু ‘৯০ এর ইটালির বিশ্বকাপ থেকে। ফুটবল সম্পর্কে সে সময় জ্ঞান প্রায় শুন্যের কাছাকাছি থাকলেও আব্বুর প্রভাবে ততদিনে আমি আবাহনী ফ্যানাটিক হয়ে গেছি, সেই সাথে রাস্তায় টেনিস বল দিয়ে ফুটবল খেলাও শুরু হয়ে গিয়েছে। বিশ্বকাপ শুরুর আগের তেমন কোন ঘটনাই মনে নেই, কোন দল সাপোর্ট করবো সেটাও বুঝিনি। তবে প্রথম খেলার স্মৃতি মোটামোটি টাটকা বলা যায়। তখন আমরা অনেকগুলো কাজিন একসাথে থাকতাম, ছোট খাট একটা যৌথ পরিবার ছিল। তাদের বেশিরভাগই ছিল আর্জেন্টিনার সাপোর্টার, কিন্তু আব্বু কেন জানি এন্টি আর্জেন্টিনা ছিল আর সে কারনেই সেদিন থেকেই আমিও এন্টি আর্জেন্টিনা বনে গেলাম। আর প্রথম খেলাতেই ক্যামেরুনের সাথে আর্জেন্টিনার পরাজয় এবং তারপরে কাজিনদের সাথে ব্যাপক গলাবাজি, আমি তখন পুরো হাওয়ায় উড়ছি কারন পুরো বাসায় ক্যামেরুন সাপোর্ট করছিল মাত্র দুই জন, আমি আর আব্বু।

এরপরে অনেক খেলারই কথা মনে আছে, তবে সব এলোমেলো, কোনটার পরে কোনটা হয়েছিল, কে জিতেছিল সে সব নিয়ে অনেক ডাউট আছে। তবে মনে আছে রোমানিয়ার সাথে গোল করে রজার মিলা’র কর্নার ফ্লাগের আছে গিয়ে সেই নাচ, আমার মনে হয় এটা ৯০’র বিশ্বকাপের অন্যতম স্মরনীয় মুহুর্ত।

2

বিশ্বকাপে যে আমি হল্যান্ড সাপোর্ট করছি সেটা বুঝতে পেরেছিলাম কোন খেলায় সেটা মনে নেই। এটাও পেয়েছি আব্বুর কাছ থেকেই। বাস্তেন, রাইকার্ড, গুলিত এদের নাম শুনে শুনেই এদের ফ্যান হয়ে গিয়েছিলাম। তবে গুলিতের খেলা যখন প্রথম দেখলাম তখন ওর হেয়ার স্টাইলের জন্যই আমার ফেবারিট ফুটবলার হয়ে গিয়েছিল।

3

হল্যান্ড আর জার্মানীর খেলাটার কথা অবশ্য বেশ ভাল ভাবেই মনে আছে। রুডি ভলার আর রাইকার্ড একসাথে লাল কার্ড পেয়েছিল। রাইকার্ড ভ্লারকে থুথু দিয়েছিল।তখন যেটা বুঝেছিলাম ভলার ইচ্ছে করেই রাইকার্ডের সাথে গ্যাঞ্জাম লাগিয়েছিল, কারন রাইকার্ড ছিল জার্মানীর মূল ভয়। শেষ পর্যন্ত জার্মানীর কাছে হল্যান্ড হেরে গেল। ম্যাচ শেষ হতেই আব্বু ঘোষনা করলো আজ থেকে সে জার্মানীর সাপোর্টার, সেই সাথে আমিও।
4

ব্রাজিল আর্জেন্টিনা খেলাটাও মোটামোটি মনে আছে। ঐ বিশ্বকাপে ব্রাজিল দলের মাত্র একজনেরই নাম জানতাম, সেটা হলো ক্যারেকা। এন্টি আর্জেন্টিনা হয়েও সেই ম্যাচ থেকেই আমি পেয়ে গেলাম আমার প্রথম ফুটবল হিরো, গয়কোচিয়া, আর্জেন্টিনার গোলকিপার। ছোটবেলা থেকেই আমার ফেবারিট পজিসন গোলকিপার (বলাই বাহুল্য এটাও আমার মহামান্য পিতার কারনেই, সে নিজেও গোলকিপার ছিল। তার হায়ারে খেলতে যাওয়ার বিভিন্ন গল্প শুনে আমি বেড়ে উঠেছি)| গয়কোচিয়া পুরো বিশ্বকাপ জুড়ে আমার কাছে ছিল লিজেন্ড। মিথ শুনেছিলাম সে নাকি দলেই ছিল না, এমনিতে খেলা দেখতে মাঠে এসেছিল। কিভাবে কিভাবে দলে ঢুকে পড়েছে (আসল ঘটনা গুগল করে দেখতে হবে)।

5

আরেক গোলকিপারের কথা মনে আছে, কলম্বিয়ার রেনে হিগুইটা। একে তো তার হেয়ার স্টাইল, তার সাথে পাগলামি। ক্যামেরুনের সাথে মাঝ মাঠ পর্যন্ত উঠে এসে রজার মিলা’র কাছে গোল খাওয়া। হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খেয়েছিলাম। হেয়ার স্টাইলের কারনেই মনে আছে কলম্বিয়ার ভালদেমারাকে, খুব অবাক হয়ে ভাবতাম ও রাতে বালিশে মাথা দেয় কিভাবে। রজার মিলা, হিগুইতা

৯০’র বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছিল ইটালির সিলাচ্চি। সিলাচ্চির শুধু একটা গোলের কথাই মনে আছে, পুরো শরীর বাতাসে ভাসিয়ে দিয়ে ফ্লাইং হেডে দারুন একটা গোল করেছিল, কাদের সাথে মনে নেই। সিলাচ্চি

কোয়ার্টার ফাইনাল, সেমিফাইনালে কে কার সাথে খেলেছিল মনে নেই, শুধু মনে আছে গয়কোচিয়ার পেনাল্টি সেভের কথা। কিন্তু কেন জানি ম্যারাডোনার মিস করা পেনাল্টি কিকটা মনে পড়ে না।

ফাইনাল হলো জার্মানি আর আর্জেন্টিনার মধ্যে।জার্মানীকে তো আগেই সাপোর্ট করা শুরু করেছি, তার উপর এন্টি আর্জেন্টিনা। তাই বেশ উপভোগ করেছিলাম আর্জেন্টিনার পরাজয়। তবে সবচেয়ে আনন্দ পেয়েছিলাম অন্য এক ঘটনায়। একটা ফাউলের পরে ম্যারাডোনা মাঠে গড়াগড়ি খাচ্ছিল, সে সময় রেফরীর অগোচরে এক জার্মান প্লেয়ার ম্যারাডোনাকে পাড়িয়ে দিয়েছিল… পাশবিক আনন্দ :grr:
লোথার ম্যাথিউস

বিশ্বকাপ চলাকালে আমাদের বন্ধু মহলে সবচেয়ে আকর্ষনীয় ছিল খেলোয়ারদের ভিউকার্ড। যার যত বেশি ভিউকার্ড ছিল তার ভাব তত বেশি ছিল, তবে একই খেলোয়ারের অনেক ভিউকার্ড হয়ে গেলে (যেমন ম্যারাডোনার) সেটার গুরুত্ব কমে যেত। আলাদা আলাদা খেলোয়ারের কার্ড বেশি হলে সেটার গুরুত্ব বেশি ছিল। আমার সবচেয়ে প্রিয় ছিল গয়কোচিয়ার একটা কার্ড, যেখানে ডান দিকে ঝাপিয়ে পরে বল ঠেকাচ্ছে। বিশ্বকাপ শেষ হবার অনেকদিন পর পর্যন্ত ওটা আমার কাছে ছিল। মনে আছে আমরা পাড়ার পিচ্চিরা একটা বাজীর ফুটবল ম্যাচ খেলেছিলাম, টেনিস বলের ম্যাচ। কিভাবে দল ভাগ হয়েছিল মনে নেই। তবে পুরষ্কার ছিল ভিউ কার্ড। সবাই পাঁচটা করে ভিউকার্ড নিয়ে আসবে, যে দল জিতবে তারা হারা দলের ভিউকার্ডগুলো পেয়ে যাবে। খেলা শেষ পর্যন্ত ড্র হয়েছিল, সবাই যার যার কার্ড নিয়ে বাড়ী ফিরেছিলাম।

১৯৯০ এর বিশ্বকাপ এখানেই শেষ। তবে বলে রাখি, এটা তৎকালীন এক নাদান বাচ্চার স্মৃতি, অনেক ভুল থাকতে পারে। বড় ভাইদের প্রতি সেগুলো শুধরে দেবার সেই সাথে তাদের স্মৃতি শেয়ার করার অনুরোধ থাকল।

শুভেচ্ছা।

৩,২৪৪ বার দেখা হয়েছে

৩৬ টি মন্তব্য : “স্মৃতির বিশ্বকাপ-১”

  1. কামরুলতপু (৯৬-০২)

    90 বিশ্বকাপের কথা মনে হইলেই সবার প্রথমে মনে পড়ে খেলা শুরু হওয়ার আগের মিউজিক। একটা বল সারা পৃথিবী ঘুরে গিয়ে মাঠে যেত। প্রথম খেলায় ক্যামেরুনের কাছে হার রুমানিয়ার সাথে ড্র দিয়ে আর্জেন্টিনা মাথা খারাপ করে দিয়েছিল। আর ফাইনালে জার্মানীর কাছে হারের পর আমরা ছোটমামার নেতৃত্বে সকালের নাস্তাতে অনশন করেছিলাম এটুকু মনে আছে। আরেকটা জিনিস মনে আছে যে গভীর রাতের খেলা গুলা পরদিন বিকেলে আবার দেখাত বাংলাদেশ টিভি। আর ব্রাজিলের সাথে সারা ম্যাচ ডিফেন্স করে ম্যারাডোনার একটা পাসে বুরুচাগা মনে হয় গোল দিয়েছিল।

    অট উপরে দেখলাম ২০০২ ব্যাচের পোলাপান ৯০ বিশ্বকাপের কথা বলতেছে ওদের তো তখন জন্ম হইছে মাত্র? আমি কি ভুল দেখলাম নাকি ওরাই ভুল কইতাছে। আল্লাহ মালুম ।

    জবাব দিন
    • আহসান আকাশ (৯৬-০২)

      হুম ক্যানিজিয়াই দিছিল, ম্যারাডোনার পাস থেকে...

      অফটপিকঃ মনে আছে ম্যারাডোনা আর ক্যানিজিয়াকে নিয়ে দুষ্ট লোক স্ক্যান্ডাল ছড়িয়ে ছিল 😛


      আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
      আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

      জবাব দিন
  2. সাল্লু (৯২/ম)

    গয়কোচিয়া আর্জেন্টিনার স্ট্যান্ডবাই কিপার ছিলো, পম্পিডো ছিল ফার্স্ট কিপার। ক্যামেরুনের সাথে বীভৎস্য এক গোল খাইয়াও টিমে টিক্যা গেছিল, বাট পরের ম্যাচেই পা ভাইন্গ্যা আউট।

    জবাব দিন
  3. আমিন (১৯৯৬-২০০২)

    গত কয়েকদিন ধরেই এতকালে ভারী হয়ে উঠা বিশ্বকাপ স্মৃতি শেয়ার করতে ইচ্ছা করছিলো। আমিও লিখার কথা ভাবছিলাম তা সুযোগ যখন পেলাম এই পোস্টেই আস্তে আস্তে শেয়ার করি। বিশ্বকাপ কি না বুঝলেও ফুটবল জিনিসটা বুঝি ছোটবেলা থেকেই। হাঁটতে শিখার সাথে বলে লাথি দিতে শিখলেও ফুটবল খেলতে শিখেছি অনেক পরে । তবে ফুটবল উম্মাদনার সূচনা হয়েছিল আমার এক চাচাতো ভাইয়ের হাত ধরে।তার সূত্র ধরেই প্যাশনের সূত্রপাত। ইটালিয়া ১৯৯০ এর সময় আমি ওযানে পড়ি। আমার মেমোরি বেশ ভালো হওয়ার কারণে আমার ভাই বিশেষ ব্যবস্থা নিলেন বিশ্বকাপ ফুটবলের উপর রঙচঙে এক ম্যাগাজিন আমার হাতে ধরিয়ে দিলে উদ্দেশ্য যে দলগুলো ভালো মত উনি চিনেন না আমি ঐ ম্যাগাজিন পড়ে আমি উনাকে চিনিয়ে দেই।
    প্রথম পাতায় ছিলো গ্রুপ এর ইতালি। প্রথম পাতাতেই যেমন বিশ্বকাপকে ভালোবেসে ফেলে তেমনি প্রথম ভালো লাগার দল হয় ইতালি। সেখানে ওয়াল্ডার জেংগা আর ঝিয়াল্লুকা (মতান্তরে গিয়ানলুকা ) ভিয়ালির ছবি ছিল তারকা হিসাবে। দলটির গ্রুপ ছবি ছিল। আর তার সম্পকে ছোট প্রিভিউ। এমনি ২৪ দলেরই ছিল। ইতালির ভিয়াল্লির ভক্ত হয়ে যাই। এর পিছে আমার চাচাতো ভাইয়ের হাত ছিলো। ব্রাজিল বিদ্বেষী আমার ভাই প্লাতিউনির ভক্ত আড় ফ্রান্সে সাপোর্টার ছিলেন সেবার ফ্রান্স না থাকায় তিনি ধারে ইতালির সাপোরটার। আর উনার জোরে জোর তুলে মুক্ত স্লোগান দঈ। ঝিয়াল্লুকা ভিয়ালি, ইতালি ইতালি। বিশ্বকাপ গল্পের শুরু এখানে। তারপরে বাকিটা টাইম নিয়ে বলছি।

    জবাব দিন
  4. আমিন (১৯৯৬-২০০২)

    তপু যে স্মৃতির কথা উল্লেখ করেছে সেটা আমারো মনে আছে। সারা বিশ্ব ঘুরে বল এসে পড়তো এবং গোলবারে ঢুকতো আর গোলবারের উপর ভেন্যুর নাম উঠতো। আবছা আবছা ভাবে ১৯৯০ সালের বিশ্বকাপকে স্মরণ করতে পারি। খেলার টেকনিক্যাল দিকের চাইতে একসাথে রাত জেগে খেলা দেখার মজাটাই টানতো বেশি। জম্পেশ করে আমরা কজন কাজিন মিলে বসতাম দেখতে। এদের মধ্যে আমরা ছোটরা বেশিরভাগ সময়ই খেলা ছেড়ে নিদ্রার দেশে চলে যেতাম । জার্মানি আরব আমিরাত খেলাটা বেশ মনে আছে। রাত ঝেগে দেখেছিলাম। সংগে গ্রামের এক আত্মীয় যিনি এশিয়া আর মুসলিম বলে আরব আমিরাতের সাপোর্ট দিয়েছিলেন। তার পর্যুদস্ত অবস্থা দেখতেই রাত ঝেগে খেলা দেখা। আড় সে ম্যাচে আড়ব আমিরাত কে ৫ টি খেতে দেখার পর প্রতি বিশ্বকাপ এলেই আমি সর্বশেষ হওয়া দলটি নিয়ে ব আজি ধরি আড় বেশির ভাগ সময় আমার বাজি এশিয়া তথা মরুভূমির ভাইদের দিকে যায়। আগে খেলা দেখার জন্য ডিশ ছিল ণা তাই তালিবাবাদ কেন্দ্র ছিলো ভরসা। ঘোষিকার তালিবাবাদ অর্ধেক কানে ঢুকতেই আমি আনমনে তালি শুনতে পেতাম।

    যা হোক ভিয়াল্লি নামে শুরু করলেও ভিয়াল্লিকে মাঠে দেখার সৌভাগ্য কমই হয়েছে। বরং অখ্যা সালভাদর টোটো শিলাচ্চি চমক দেখিয়েছিলেন যদিও বেশির ভাগই মনে হয় অফ চান্স গোল। চেকোস্লাভাকিয়ার টমাস স্কুরভির কথা মনে পড়ে বেশ। সে সেই বিশ্বকাপে ৫ গোল করেছিলো সবগুলো হেড দিয়ে। তার মাঝে হেডের হ্যাটট্রিকও ছিলো।

    লুং আর হ্যাজির জন্য রুমানিয়া বেশ ভালো লেগেছিলো। তবে তাদএর বিদায়টা ছিলো প্যাথেটিক। টাইব্রেকারে হেরেছিলো তারা আয়ারল্যাণ্ডের কাছে। আয়ারল্যান্ড আজীব দেখাইছিলো। কোন ম্যাচ না জিতে কোয়ার্টার ফাইনালে গেছিলো। তারপরে মনে হয় ইতালির সামনে থামছে। আর্জেন্টিনার খেলা খুব আগ্রহ নিয়ে দেখতাম কারণ বাড়ির বেশিরভাগ বিশেষত মহিলা মহলে দলটির জনপ্রিয়তা ছিলো তীব্র। দাড়িওয়ালা গবদা এক ডিফেন্ডারকে বেশ মনে পড়ে বাতিস্তা। আর গায়কোচিয়া তো পুরা হিরৈ বনে গেলো কোয়ার্টার সেমিতে টাইব্রেকার জিতিয়ে। যুগোস্লাভিয়ার দশজনকে ১০০ মিনিট পেয়েও আর্জেন্টিনা কিছু করতে পারেনি। পরে টাইব্রেকারে জিতে। ডিটেইলস মনে নেই তবে ম্যারাডোনা আর ড্রাগন স্টয়চকোভিচ দুই স্টার পেনাল্টি মিস করেছিলেন।

    জবাব দিন
  5. আমিন (১৯৯৬-২০০২)

    ব্রাজিলের বিরুদ্ধে গোল দিয়ে ব্রোলিন আমার ইমপ্রেশন কামাইছিল। তবে কারেকা আড় মুলারের গোলে থেমে যায় তারা। কারেকা ডুঙ্গা আর ব্রাংকোর ছবি দেখছিলাম ভিউ কার্ডে। পরে আরেকজনকে চিনে যাই। আমার ২য় ফেভারিট গোলরক্ষক তাফারেল। বেচারা ক্যানিজিয়ার সামনে হুমড়ি খেয়ে পড়েছিল। পুরা বিশ্বকাপে গায়কোচিয়ার হিরোয়িক বাদ দিলে আর্জেন্টিনা নাকি ঐ এক মিনিটই ফুটবল (!!!) খেলেছে।
    ২য় ফেভারিট যখন বলেছি ১ম ফেভারিট গোলরক্ষকের নামটা আড় বাদ যাবে কেন? তিনি অবশ্যই রেনে হিগুইতা। তার বিরাট স্কিল ছিল যার প্রমান দিতে তিনি প্রায়ই মিডফিল্ডে উঠে যেতেন। তাকে দেখে আমি প্রথমে খুবই ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেছিলাম। ক্যামেরুনের কাছে তার ভুলে গোল খাওয়া দেখে কষ্ট পেয়েছিলাম সেটা এতটাই তীব্র যে হিগুইতার ভি্য কার্ড সংগ্রহ করেছিলাম।
    ভিউ কার্ড আরো ছিলো যেগুলোর নাম মনে আছে কিন্তু খেলা মনে করতে পারি না -- এমন নাম শিফো বুত্রাগুয়েনো লিনেকার । সেমিতে ইটালিকে হারায়া আর্জেন্টিনা আমার কাছে চিরতরে এন্টি দল হিসাবে পরিগণিত হয়েছিলো। ফাইনালে ম্যারাডোনার কান্নায় যারা আপ্লুত হয়েছিলেন তাদের দেখে হেসে একটা রামঝাড়ি খাইছিলাম বাসায়। আরো অনেক অনেক স্মৃরতি মনে আসে সময়ের অভাবে কিছুই শেয়ার করা গেলো না। আলাদা ব্লগ লেখার ইচ্ছা আসলেই ছিলো। সময়ের অভাবে এখানেই শেয়ার করে গেলাম।

    জবাব দিন
  6. আমিন (১৯৯৬-২০০২)

    ও হ্যা আমার অলটাইম ফেভারিট গুলিতের কথা বলতে ভুলে গেছিলাম। চুল ছাড়া গুলিতের তেমন কিছুই মনে নেই আর হল্যান্ড ওি বিশ্বকাপে বিরাট কিছু করছিলো এমন কিছুও মনে পড়ে না। তবে গুলিতের ভক্ত হই বিটিভির স্পোর্টস প্রোগ্রামে এসি মিলানের হয়ে খেলা দেখে (কিংবা খেলার হাইলাইটস দেখে)....। পরে সময় করে আরো ডিটেইলস বলবো।

    জবাব দিন
    • আহসান আকাশ (৯৬-০২)

      বিটিভির স্পোর্টস প্রোগ্রামগুলো জোস ছিল... ইউরোপিয়ান ফুটবল, চুয়ানেল নাইনের ক্রিকেট (রিচি বেনো হোস্ট ছিল), টেনিস... মিস দিতাম না।


      আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
      আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

      জবাব দিন
  7. মাহমুদ (১৯৯৮-২০০৪)

    আমার বড় ভাইও ঘোর ডাচ সমর্থক,সে বলে যে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার সাপোরটারদের পাগলামি দেখে সে এন্টি ব্রাজিল ও এন্টি আর্জেন্টিনা।
    আমি অবশ্য সুবিধাবাদী,তবে একটু ব্রাজিল ঘেঁষা O:-)
    '৯০ এর স্মৃতখুবই কম,খালি মনে ছে গয়কোচিয়ার খেলা দেখে আমি নিজেও ওইরকম হতে চাইতাম,আম্মা তাই আমাকে একটা চেইন দিয়েছিল গলায়(গয়কোচিয়া একটা চেইন পড়তো)।
    ২য় রাউন্ড আর সেমিতে ক্যানিজিয়াই গোল করেছিল,তার মধ্যে সেমির গোলটা ছিল বিপরীত হেডে।আর ৩য় স্থান ম্যাচে ব্যাজ্জিও একটা অসাধারন গোল করেছিল(against England)

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : স্বপ্নচারী (১৯৯২-১৯৯৮)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।