খেলা, খেলা এবং ……… খেলা

শনিবার আমার কাছে সাপ্তাহিক ঈদের দিনের মত, কলেজে যেমন ছিল বৃহঃস্পতিবার। কারন আর কিছুই না, বিকাল থেকেই খেলা আর খেলা, বিশেষ করে ফুটবল। আজকের শনিবারও ব্যতিক্রম না। এনসিএল এর খেলার কারনে আজকের ঈদ শুরু হয়েছিল সেই সকাল থেকেই।

এনসিএল টি২০ দেখে যাচ্ছি, তবে তেমন একটা মজা পাচ্ছি না, কারন ঢাকা ডায়নামাইটসকে সমর্থন দিলেও এখনো তেমন একটা প্যাশন তৈরী হয়নি। তবে ঢাকা যেভাবে সবাইকে উড়িয়ে দিতে সেমিফাইনালে উঠলো তাতে তারা যদি চ্যাম্পিয়ন না হতে পারে তাহলে সেটা হবে দুঃখজনক। আর ঢাকার অধিনায়ক আমাদের প্রিয় আশরাফুল ব্যাট হাতে এখানেও ভয়াবহ ভাবে ব্যর্থ, তবে বল হাতে আবার দারুন সফল। তবে এটিএন যেভাবে প্রতি বলে বলে বিজ্ঞাপন দেখানো শুরু করেছে, লোলিত মোদি মনে হয় এর থেকে কিছু শিক্ষা নিতে পারে।

আজ ছিল ফর্মুলা ওয়ান এর চায়না গ্রান্ড প্রিক্স এর কোয়ালিফাইং রাউণ্ড। এবারের সিজনটা অসাধারন ভাবে শুরু হয়েছে, এখন পর্যন্ত তিনটি রেসে তিনজন ড্রাইভার জিতেছে, তিন রেসে মোট আটজন পোডিয়াম ফিনিশ করেছে। আজকের কোয়ালিফাইং ও দারুন হয়েছে, Q3 তে একদম শেষ মুহুর্তে সাবস্টিয়ান ভ্যাটেল, মার্ক ওয়েবারের টাইম বিট করে পোল পজিসন দখল করেছে। এবার অবসর ভেঙ্গে মাইকেল সুমেখার ফিরে আসলেও এখনো তেমন কিছু করতে পারেনি, আর এই সুমেখারের ফ্যান হয়েই ফরমুলা ওয়ান দেখা শুরু করলেও এবার সাবসটিয়ান ভ্যাটেলকে সাপোর্ট করছি। কালকে রেস ডেতেও আশা করি ভ্যাটেল তার ফর্ম ধরে রাখতে পারবে, তবে সুমেখার ভাল কিছু করতে পারলে আও বেশি খুশি হবো। ( কেউ কি আছেন ফর্মুলা ওয়ান ফলো করেন? )

আইপিএল এর গ্রুপ পর্বের খেলা প্রায় শেষ, এবার আইপিএল একদম আমার মনের মত করে এগুচ্ছে। সাপোর্ট করি মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স(অবশ্যই শচীনের জন্য), শোচীন দূর্দান্ত খেলছে। সেই সাথে বলিউডি নায়ক নায়িকাদের তিনটি দলই আটকে যাচ্ছে সেমিফাইনালের আগেই, এদেরকে আমি প্রথম থেকেই সহ্য করতে পারি না(কোন যুক্তি নেই)। আজকেও মুম্বাই ব্যাঙ্গালোরকে উড়িয়ে দিল, যদিও শচীন তেমন কিছু করতে পারেনি। আর পরের ম্যাচে শিল্পার দলের সাথে শাহরুখের দল জিতলেও তাদের আর আশা নেই বললেই চলে। তবে গাঙ্গুলীকে রান করতে দেখে ভাল লাগল। তবে এবারের আইপিএল এ সবচেয়ে বেশি অবাক হয়েছি গাঙ্গুলীর ফিল্ডিং দেখে, পুরো ক্যারিয়ারে ও এতো ভালো ফিল্ডিং করেনি, আজকেও দুর্দান্ত একটা ক্যাচ ধরলো।

এসব কিছুর বাইরে আজকের দিনের মূল আকর্ষন ছিল ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগ। ম্যাঞ্চেস্টার ডার্বি দিয়ে শুরু আর চেলসি- টটেনহাম দিয়ে শেষ। শিরোপা লড়াই আর ৪র্থ স্থানের জন্য লড়াই এর অনেক কিছুই নির্ভর করছিল এই দুই ম্যাচের উপরে। ম্যাঞ্চেস্টার ডার্বি শুরু থেকে বেশ হতাশই করেছে। ম্যান ইউ অপ্রত্যাশিত ভাবে রুনিকে নিয়ে খেলা শুরু করলেও তেমন কিছু করতে পারছিল না, আর ম্যান সিটিও ছিল নিস্প্রভ। মানের দিক থেকে খুব একটা উন্নত ছিল না এই ম্যাচ, তবে নাটকীয়ভাবে ইঞ্জুরি টাইমে স্কোলস এর গোলে ম্যান ইউ শিরোপার লড়াইয়ে দারুন ভাবে ফিরে এসেছে, আর সেই সাথে ম্যান সিটির ৪র্থ স্থানের স্বপ্নতেও অনেক বড় একটা ধাক্কা খেয়েছে। এই নিয়ে এ মৌসুমে তিনবার ইঞ্জুরি টাইমে ম্যান সিটিকে গুড়িয়ে দিল ম্যান ইউ। অবাক হলেও সত্যি আমি এই ম্যাচে ম্যান ইউকে সাপোর্ট করেছি। আমি কখনোই চাই না ম্যান সিটি বা চেলসির মত বিলিওনিয়ারদের দলরা সফল হোক।
manu

একই কারনে চেলসি-টটেনহাম ম্যাচে আমি টটেনহামকে সাপোর্ট করছিলাম( নিজে আর্সেনাল সাপোর্টার হওয়া সত্ত্বেও)। টটেনহাম আরো একটি অসাধারন পারফর্মেন্সের মধ্য দিয়ে আর্সেনালের পর এবার চেলসিকেও হারিয়ে দিয়েছে। এতে করে শিরোপার দৌড় আরো জমে উঠার সাথে সাথে টটেনহামের আগামী বছর চ্যাম্পিয়ন্স লীগ খেলার সম্ভাবনা আরো উজ্জ্বল হলো।

চেলসি এ মুহুর্তে ম্যান ইউ থেকে ১ পয়েন্ট এগিয়ে আছে, দুদলেরই তিনটি করে খেলা বাকি আছে। চেলসির খেলা স্টোক (হোম), লিভারপুল(এওয়ে), উইগান(হোম)। আর ম্যান ইউ খেলবে টটেনহাম(হোম), সান্ডারল্যান্ড(এওয়ে) আর স্টোক(হোম)। কোন প্রেডিকশন করবো না, এবার যে পরিমানে টুইস্ট হচ্ছে, কোন পেডিকশন করাই বিপদ। আর এসবের মাঝে আর্সেনালের সম্ভাবনা? who knows.. any thing can happen 😉

এই লেখাটা লিখছিলাম আরেকটা ডার্বি দেখতে দেখতে, বার্সিলোনা ডার্বি। এসপানিওল আর বার্সিলোনার মধ্যে। স্প্যানিশ লীগের উপর আকর্ষন দিন দিন কমছে, স্কটিশ প্রিমিয়ার লীগের সেলটেক আর রেঞ্জার্সের মত এটাও পুরোপুরি দুই দলের লীগ হয়ে গিয়েছে, অন্যান্য দল গুলোর সাথে ব্যবধান বাড়তে বাড়তে আলোকবর্ষে গিয়ে ঠেকেছে। তবে এসপানিওল আজ বার্সিলোনাকে ০-০ তে আটকে দিয়েছে, ৪৪ ম্যাচ পর বার্সিলোনা কোন ম্যাচে গোল করতে ব্যর্থ হলো। দেখা যাক রিয়াল এ থেকে কোন ফায়দা লুটতে পারে কিনা, যদিও আমি কখনোই সেটা চাইবো না…

২,৭৩৬ বার দেখা হয়েছে

৪২ টি মন্তব্য : “খেলা, খেলা এবং ……… খেলা”

  1. মাসরুফ (১৯৯৭-২০০৩)

    আরে এ যে দ্বেকচি আমাদের আকাশদা!তা দাদা এতোদিন কোতায় চিলেনগো? বৌদিকে নিয়ে পুরী বেড়াতে গ্বিয়েচিলেন বুজি?আজ তো কলকাতা জিতে গেলো... চলুন এই খুশিতে নিউমার্কেট পাড়ার বাদশা রেস্তোরায় চিকেন রোল খেয়ে আসি... :clap:

    জবাব দিন
  2. তানভীর (৯৪-০০)

    - এনসিএল দেখি না, এত খেলা দেখার সময় এবং সুযোগ (বিদ্যুতের জন্য) কোনটাই নাই।

    - ফর্মুলা ওয়ান দেখা শুরু করেছিলাম মাইকেল শুমেখারের জন্য। আগে তো ফেরারী বেশ বড় ব্যবধানে চ্যাম্পিয়ন হত, এখন ওদের যে কি হল বুঝি না। এখন আগের মত প্রতিটা গ্রাঁ প্রি দেখা না হলেও খবর রাখি। 🙂

    - আইপিল দেখা হয় না, এর জন্য দায়ী ক্রিকেটের প্রতি আমার কমে যাওয়া আকর্ষণ আর বিদ্যুৎ সমস্যা। কলকাতাকে সমর্থন করি- কিন্তু এখন পর্যন্ত ভালো করতে পারল না। শচীনের খেলা মাঝে মধ্যে চোখে পড়ে- তখন মুগ্ধ হয়ে দেখি।

    - টটেনহামের সাথে হারার সাথে সাথেই আর্সেনাল শিরোপা দৌড় থেকে নিশ্চিতভাবে ছিটকে পড়েছে, অবশ্য আমার মতে বার্মিংহামের সাথে ড্র করার সাথে সাথেই ওরা বাদ হয়ে গেছে। এখন আর্সেনালের কাগজে কলমে সম্ভাবনা থাকলেও গোলের ব্যবধানে চেলসি কিংবা ম্যানইউকে ধরতে পারার কোন সম্ভাবনা নাই। কালকের ডার্বি ম্যাচটা দেখেছি (পুরোটা দেখার সৌভাগ্য হয়নি বিদ্যুতের জন্য 🙁 )- ভালো লাগেনি, তার চেয়ে টটেনহাম-চেলসি খেলাটা অনেক বেশি ওপেন ছিল। টটেনহাম নিশ্চিতভাবেই চার-পাঁচ গোল ব্যবধানে জিততে পারত।

    জবাব দিন
    • আহসান আকাশ (৯৬-০২)

      আমিও মনে করি বার্মিংহামের সাথে ড্র এর পর থেকেই আর্সেনালের আশা শেষ হয়ে গিয়েছে। যদিও মন থেকে আশা ছাড়ি নাই। দুই বছর আগেও এই বার্মিংহামের সাথে ড্র থেকেই শিরপার দৌড় থেকে বাদ পড়ে গিয়েছিল আর্সেনাল।


      আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
      আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

      জবাব দিন
  3. মইনুল (১৯৯২-১৯৯৮)

    বরাবরের মতই কলকাতা সাপোর্ট করছি। শাহরুখের টিম বলে না, দাদা খেলছে বলে। তবে দাদা কদিন আগে খেলোয়ারদের নিয়ে যে বিবৃতি দিলে তা একেবারেই ভাল্লাগেনি। আমার মতে টিম ক্যাপ্টেন, অন্তত মিডিয়ার কাছে, টিমমেটদের পক্ষে কথা বলা উচিৎ।

    ইপিএল এর স্বপ্ন মোটামুটি বাদ দিয়ে দিয়েছিলাম ব্ল্যাকবার্নের সাথে ড্রটার পরে। তবে এখন খেলা আসলেই জমে গেসে। আশা করি, ম্যান সিটির সাথে জয়টাতে ম্যান ইউ একটু চাঙ্গা হয়ে টটেনহামের জায়ান্ট কিলিং মিশন থামাতে পারবে। আর যদি ব্যর্থ হয় আর চেলসিও যদি পরের ম্যাচ হারে বা ড্র করে, আমি নিশ্চিত, আর্সেনাল চ্যাম্পিয়ন হয়ে যাবে।

    জবাব দিন
    • আহসান আকাশ (৯৬-০২)

      গাঙ্গুলীর ঐ বক্তব্য একটুও পছন্দ হয়নি, টিম স্পিরিটের বারোটা বাজিয়ে দেবার জন্য যথেষ্ঠ। ও নিজেও কিন্তু ক্যাচ ফেলেছে। যাই হোক, শাহরুখের মাঠের পাশে তাফালিং সেই সাথে ক্রিকেট বিষয়ে বিশেষজ্ঞ বক্তব্য বন্ধ হয়েছে তাতেই আমি খুশি 😛

      আর্সেনালের আমি কোন আশা দেখছি না, সত্যি কথা বলতে আর্সেনাল যে মিড এপ্রিল পর্যন্ত যে টাইটেল রেসে টিকে ছিল তাতেই আমি খুশি, সিজনের শুরুতে তো টপ ফোরেই দেখছিল না পন্ডিতরা, তার উপর এত ইঞ্জুরি... যাই হোক দেখা যাক ট্রান্সফার মার্কেটে কি হয়।


      আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
      আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

      জবাব দিন
  4. রেজওয়ান (৯৯-০৫)

    দাদা কদ্দিনপর :hug:
    খেলা দেখা হয় না খুব একটা....তবে আপনি যে কয়টার কথা কইলেন, কেমনে কেমনে যেন সবগুলাই দেখছি 😀
    ফর্মুলা ফলো না করলেও চাইয়া আছি মোটো এর দিকে B-)

    জবাব দিন
  5. আহসান আকাশ (৯৬-০২)

    চাইনিজ গ্রান্ড প্রি শেষ হয়েছে, রেস দারুন হয়েছে, বৃষ্টির কারনে আরো বেশি এক্সাইটিং হয়েছে (বৈদ্যুতিক গোলযোগের কারনে বেশিরভাগটাই দেখতে পারেনি, নেটে লাইভ কমেন্ট্রির উপর ভরসা করতে হয়েছে) রেস জিতেছে গতবারের চ্যাম্পিয়ন ম্যাকক্লারানের জেনসন বাটন, ২য় একই টিমের লুইস হ্যামিলটন আর ৩য় মার্সিটিজের নিক রসবার্গ। ( ভ্যাটেল ৬ষ্ঠ আর সুমেখ্যার ১০ম 🙁 )


    আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
    আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

    জবাব দিন
  6. আহসান আকাশ (৯৬-০২)

    হায় হায়,এইটা আমি কি দেখলাম 😮 এক কালে ম্যারাডোনা আর ক্যানিজিয়ারে নিয়ে এরকম কিছু আওয়াজ শুনছিলাম, কিন্তু এরা কোটি কোটি মানুষের চোখের সামনে এইটা কি করলো?
    a ম্যান ইউ'র সাপোর্টাররা মনে হয় ভাল বলতে পারবে...


    আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
    আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

    জবাব দিন
  7. হাসান (১৯৯৬-২০০২)
    আজকে আমাদের দুই সেন্টার ডিফেন্ডারের মোট বয়স ছিল ৭০ বছর, ভাবতেই ভাল লাগে

    আমি খেলা দেখি নাই, বিবিসিতে লাইভ টেক্সট দেখতে ছিলাম, এরা তো বলল ক্যাম্পবেল খুব ভালো খেলছে, অনেক আর্সেনাল ফ্যান ওরে ওয়ার্ল্ড কাপের দলে নেয়া উচিত বলতেছে 😕

    জবাব দিন
  8. আমি কখনোই চাই না ম্যান সিটি বা চেলসির মত বিলিওনিয়ারদের দলরা সফল হোক।

    স্প্যানিশ লীগের উপর আকর্ষন দিন দিন কমছে, স্কটিশ প্রিমিয়ার লীগের সেলটেক আর রেঞ্জার্সের মত এটাও পুরোপুরি দুই দলের লীগ হয়ে গিয়েছে, অন্যান্য দল গুলোর সাথে ব্যবধান বাড়তে বাড়তে আলোকবর্ষে গিয়ে ঠেকেছে।

    কথা দুইটা যে হালকা কন্ট্রাডিকটরি খেয়াল করলেন?

    চেলসি আর ম্যান সিটির উত্থানের আগে পর্যন্ত ইপিএলে চ্যম্পিয়নশীপ ফাইট দেয়ার মত দল কিন্তু মাত্র তিনটাই ছিল, ম্যান ইউ, আর্সেনাল আর লিভারপুল ... এভার্টন কিংবা স্পার্স কিংবা নিউক্যাসেল কিংবা অন্য কোন টিম হয়তো কোন কোন সীজনে খুব ভালো করতো, কিন্তু সীজন শেষে তাদের সাথে টপ তিন দলের পার্থক্য থাকতো আলোকবর্ষের মতই ... গত দুই তিনটা সীজন দেখেন, এভার্টন আর এস্টন ভিলা নিজেদের ডেভেলপ করা প্লেয়ার দিয়ে বেশ ভালো ফাইট দিচ্ছে, কিন্তু শেষমেষ এদের কেউ কি লীগ জিতবে? ধারেকাছেও আসবে না ... বড় টিমগুলির মনোপলি ভাংতে চাইলে আসলে বিলিয়নিয়ারদের টাকা ছাড়া উপায় নাই ... চেলসি বা ম্যান সিটির বস্তা বস্তা টাকা ছড়িয়ে প্লেয়ার কেনাটা আমারো পছন্দ না, কিন্তু ইংলিশ লীগটা যে এখনো স্প্যানিশ লীগের মত মনোপোলাইজড হয়ে যায় নাই তার কারণ এই বিলিয়নিয়াররাই ...

    স্পেনেও কিন্তু থার্ড-ফোর্থ প্লেস নিয়ে প্রতিবছর সেই রকম ফাইট হয় ... এই বছর যেমন ফাইট দিচ্ছে ভ্যলেন্সিয়া, মায়োর্কা, সেভিয়া আর ভিয়ারিয়াল; গতবার ছিল এথলেটিকো ... কিন্তু এদের কারো পক্ষে রিয়েল-বার্সাকে টাকার দিকে দিয়ে ছাড়িয়ে যাওয়া কোনদিনই সম্ভব না; যদি না কোন বিলিয়নিয়ার আগায়ে আসে ... খেলাটাই এমন হয়ে গেছে, কিচ্ছু করার নাই ...

    জবাব দিন
    • আহসান আকাশ (৯৬-০২)

      আমি নিজেও ফিল করি এটা খানিকটা কন্ট্রাডিকটরি। তবে আমার সমস্যা যেটা, সেটা হলো খেলাধুলার ব্যাপারে যুক্তি খুব কমই কাজে আসে, আবেগ সব সময় জিতে যায়। টাকার জোরে দল গড়ে তোলার ব্যাপারে আমার এলার্জির জন্ম ঢাকার ফুটবলে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আগনের কারলে। সে সময় বাবার সাথে মাঠে গিয়ে খেলা দেখতাম, পুরো জাতীয় দলকেই প্রায় কিনে ফেলেছিল।
      তবে ইংলিশ লীগের প্রতিদ্বন্দিতা বেড়ে যাওয়া সব সময়ই আমি পজিটিভলি দেখেছি, আর সত্যি কথা বললে ম্যান সিটিকে হয়ত আমি সাপোর্টও করতাম যদি না আদাবয়েরকে নিয়ে এত কাহিনি না হতো 😛 আমার কাছে খেলাধূলার ব্যাপারে heart সবসময়ই head এর চেয়ে বেশি কাজ করে।


      আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
      আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

      জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : আহসান আকাশ (৯৬ - ০২)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।