আজকের বিশেষ ক্রিকেট বুলেটিন!

সেই আইসিসি ট্রফি জেতার পর থেকেই আমাদের দেশে ক্রিকেটের যে জোয়ার শুরু হয় তার পর থেকে আমরা সবাই মোটামোটি এক একজন বিশিষ্ঠ ক্রিকেট বোদ্ধা হয়ে উঠেছি। আমি নিজেও এর ব্যতিক্রম নই। যদিও ক্রিকেটের প্রতি আমার আকর্ষন কখনোই ফুটবলকে অতিক্রম করতে পারেনি। আর একটা পর্যায়ে এসে বাংলাদেশের খেলা বাদে (আর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সাপোর্ট দেয়া ছাড়া) ক্রিকেটের প্রতি তেমন একটা আকর্ষন বোধ করি না। তবে খোঁজ খবর সবগুলোরই রাখা হয়, সুযোগ করতে পারলে দেখাও হয়। একটু আতেল টাইপ শোনালেও এই ২০/২০ এর যুগে একটা ভাল টেস্ট ম্যাচ ওয়ানডে বা ২০/২০ থেকে আমাকে অনেক বেশি আকর্ষন করে। আর গত প্রায় এক বছর ধরে যেভাবে একের পর এক অসাধারন টেস্ট ম্যাচ হচ্ছে তাতে টেস্টের প্রতি আকর্ষন আরো বেড়ে যাচ্ছে।

ব্যক্তিগতভাবে আমি শচীন টেন্ডুলকারের একজন পুরা উড়াধুড়া ফ্যান। কলেজে লকার জুড়ে বিশাল পোস্টার থাকত শচীনের, আলাদা একটা স্ক্রাপবুক ছিল পেপারে শচীনকে নিয়ে লেখা সব আর্টিকেল নিয়ে। ভারতের টেস্ট দেখতে বসলে অপেক্ষা করতাম কখন দুটো উইকেট পড়বে আর শচীন ব্যাটিং এ আসবে। শচীনের খেলা দেখার উদ্দেশ্যেই ভারতের খেলা প্রায় সবসময়ই দেখা হয়। কিন্তু এবারের ভারত দক্ষিন আফ্রিকা সিরিজের প্রতি আগ্রহ ছিল সম্পূর্ণ অন্য কারনে। দাম্ভিক শেভাগের বাংলাদেশ নিয়ে করা মন্তব্যগুলোর জবাব দক্ষিন আফ্রিকার হাতে কড়ায় গন্ডায় ভারত পেয়ে যাবে, এই আশাতেই বুক বেধে ছিলাম। প্রথম টেস্টে ডেল স্টেইনের অসাধারন এক স্পেলেই হুড়মুড় করে ভেঙ্গে পড়ে ভারত। অনেকদিন পর এরকম অসাধারন বোলিং দেখলাম। আর বাংলাদেশের বোলিং নিয়ে মন্তব্য করা শেভাগের নিজের দলের বোলাররা একবারই অলআউট করতে পারল না, ২০ উইকেট তো দূর অস্ত!

২য় টেস্টেও শুরুটা হয়েছিল অসাধারন আমলা আর ডেবুটেন্ট পিটারসন যেভাবে খেলা শুরু করেছিল তাতে এক সময় মনে হচ্ছিল পুরো সিরিজেও হয়ত ২০ উইকেট পাওয়া হবে না শেভাবের ভারতের। কিন্তু হঠাৎ কি ভর করলো দঃ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানদের উপর, চোখের পলকে সব শেষ। ভারতের চার চারজন ব্যাটসম্যানের সেঞ্চুরিতে রানের পাহাড় গড়ে তুলল ভারত। দঃ আফ্রিকার সামনে ছুড়ে দিল ইডেনের পিচে শেষ দুদিন টিকে থাকার চ্যালেঞ্জ। ৪র্থ দিনে আবহাওয়ার কারনে বেশ খানিকটা সময় নস্ট হলো, তাতে লাভের লাভ যেটা হলো তা হলো আমরা পেলাম অসাধারন একটা শেষ দিনের খেলা। একপাশে অতিমানবীয় ফর্মে থাকা হাশিম আমলা দাঁড়িয়ে থাকল, আর অন্য দিক থেকে একে একে উইকেট তুলে নিতে থাকল ভারতীয় স্পিনাররা। টেল এন্ডারদের সাথে নিয়ে আমলা প্রায় অসম্ভবকে সম্ভবের দিকে নিয়ে যাচ্ছিলেন আস্তে আস্তে। ৭ম ব্যাটসম্যান হিসেবে স্টেইন যখন আউট হল তখনো দিনের প্রায় ৫৫ ওভার খেলা বাকি, দঃ আফ্রিকার হার শুধু সময়ের ব্যাপার মাত্র! কিন্তু তখন বাধা হয়ে দাঁড়িয়ে গেল ৯নং ব্যাটসম্যান পার্নেল। প্রায় ২৫ ওভার স্থায়ী এক পার্টনারশীপ দাঁড়িয়ে গেল আমলার সাথে, যার মধ্যে পার্নেল খেলেছে ৬৪ বল। পার্নেলের ক্রিজে আসা পল হ্যারিসও ক্রিজে কাটিয়ে গেল প্যার ৯ ওভার। ৯ম উইকেট যখন পড়ল তখন বাকি ২২ ওভার। ১১ নম্বর ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে ঢুকল মরকেল। আর তখনই শুরু হলো পুরো সিরিজের সবচেয়ে উত্তেজনাকর এবং tensed(বাংলা কি?) অংশ। হরভজন, মিসরার এক একটি ওভার যেতে লাগল আর ভারতীয়দের হতাশা বাড়তে লাগল। শেষ পর্যায়ে এতটাই ডেস্পারেট হয়ে গিয়েছিল যে মরকেলকে পরের ওভারে স্ট্রাইকে রাখার জন্য বাউন্ডারি লাইনের কাছ থেকে শেভাগ বল না থামিয়ে বলে লাথি মেরে চার বানিয়ে দিয়েছিল( আমির খানের লাগান সিনেমার স্টাইলে)। সেজন্য অবশ্য পানিশমেন্ট হিসেবে ৫ রান দেয়া হয়েছিল।

দিনের আর তখন দু ওভার বাকি। ভারতের মূল অস্ত্র হরভজন নিজের শেষ ওভার বল করতে আসল। স্ট্রাইকে ছিল মরকেল। এর মধ্যে সে ক্রিজে পার করে দিয়েছে ৭০ মিনিটের উপরে খেলে ফেলেছে প্রায় ৬০ বল। প্রথম দুই বল নিরাপদেই পার করে দিলেও ৩য় বলে এলবিডব্লিও হয়ে যায় মর্কেল। মাত্র ৯ বলের জন্য ম্যাচটা বাচাঁতে ব্যর্থ হয় দঃ আফ্রিকা। সিরিজ ড্র করে আইসিসি র‌্যাঙ্কিং এ শীর্ষস্থান ধরে রাখে ভারত। অন্য প্রান্তে অপরাজিত হয়েই থেকে যায় আমলা, পুরো সিরিজে ২৩ ঘন্টা ২২ মিনিট ক্রিজে ছিল সে যার মাঝে মাত্র একবারই আউট হয়েছে। এভাবেই শেষ হয় চরম নাটকীয়তা পূর্ণ এক টেস্ট ম্যাচ। এ জন্যই টেস্ট ক্রিকেট হচ্ছে আসল ক্রিকেট, আফসোস একটাই বিশ্বের এক এবং দুই নম্বর টেস্ট টীমের মধ্যে সিরিজে টেস্ট হলো মাত্র দুটো।
Amla

এ ম্যাচে যখন পুরোদস্তুর বোলার পারনেল আর মরকেল এর ক্রিজে টিকে থাকার জন্য, দলের জন্য একটি ম্যাচ বাচানোর জন্য লড়াই দেখছিলাম তখন বার বার শুধু মনে পড়ছিল আজকের দিনেই দেখা অন্য একটি খেলার। যেখানে আমাদের সোনার ছেলেরা সুদূর নিউজিল্যান্ডে গিয়ে দেশের হয়ে লড়ছে। দেড় দিনে ৪০৪ রানের টার্গেট সামনে রেখে তারা মনে হয় চাচ্ছিল এক সেশন হাতে রেখেই ম্যাচ জিততে। তা না হলে তামিম ওভাবে ২০/২০ স্টাইলে ব্যাটিং শুরু করবে কেন, আগের বলে ৬ মারার পরও আবারো ডাউন দ্যা উইকেটে এসে মারতে হবেই বা কেন? আফতাব মনে হয় রান আর বলের হিসাব মাথায় রেখে খেলছিল, তাই ওয়ানডে স্টাইলে এক রিস্কি সিঙ্গেল নিতে গিয়ে হলো রান আউট। ইমরুল কায়েস তো ব্যাটটাকে সাদা পতাকার মত তুলে ধরে আত্মসমর্পন করলো আর তাকিয়ে তাকিয়ে নিজের বোল্ড হওয়া দেখল। তবে আশরাফুল যথেষ্ঠ ভাল খেলছে, এই টেস্টে দুই ইনিংস মিলিয়ে ১৪ রান করেছে, পুরাটাই বোনাস (আমি ওকে গোনার মধ্যে ধরি না)। সিডন্সের ভাষায় আর যাই হোক এতদিনে আশরাফুল ব্যাটিং এ ধারাবাহিকতা পেয়েছে, এখন সে ধারাবাহিক ভাবেই খারাপ খেলছে।

পারনেল, মরকেলদের ব্যাটিং দেখার পর আমার মনে হচ্ছে আমাদের সোনার ছেলেদেরকে ওদের কাছে ব্যাটিং এর উপর প্রাইভেট পড়তে পাঠিয়ে দেই, শিখে আসুক টেস্ট ক্রিকেটে ব্যাটিং কি জিনিষ, দলের জন্য কিভাবে কমিটমেন্টের মাধ্যমে নিজেদের সাম্যর্থের উর্ধে উঠে বুক চিতিয়ে লড়াই করে যেতে হয়।

তবে স্বপ্ন এখনো দেখছি, সাকিব, মুশফিক এখনো ক্রিজে আছে আমাদের নতুন হিরো মাহমুদুল্লাহ (বিশ্বের সেরা ৮ নং ব্যাটসম্যান?) আছে রুবেল, শাহাদাত, শফিউল হয়তো ওদের দরকারই পড়বে না। প্রয়োজন তো মাত্র ৩১৬ রান, হাতে আছে পুরো একটা দিন, ব্যাপারই না। আপনি কি বলেন, পারবে না বাংলাদেশ?

২৫ টি মন্তব্য : “আজকের বিশেষ ক্রিকেট বুলেটিন!”

  1. আছিব (২০০০-২০০৬)

    :boss: কি আর বলব ভাই,মনের কথা গুলা আপনিই লিখে ফেললেন...। :clap:
    x-( আমার মতে আশরাফুল কে কয়েক দিনের জন্য বিশ্রাম দেয়া উচিত,অনেক দিন পর পর আলেয়ার মত দুই-একটা ভালো ইনিংস খেলে দলে পজিশন টিকিয়ে রাখাটাই তার ধারাবাহিকতা,রান করাটা তার ধারাবাহিকতা না।আরে ভাই,একদিন দেখি উড়াধুরা স্ট্রোকিং খেলা দেয়,আরেকদিন দেখি বিলো ৫০.০০ স্ট্রাইক রেট করে দলীয় রানরেট ডুবাইয়ে আউট হয়ে যায়!! x-(

    x-( তামীম যথেষ্ট ভাল খেলতেছে,কিন্তু এদেশের আর বাকি সবার মতই সে মাথা-গরম,এখনো শিখল না যে,সাইকোলোজিরও ব্যাপার আছে ক্রিকেটে!! 😕

    :-B আমি মনে করি,এদের সাইকোলোজিকাল ট্রীটমেন্ট দেয়া উচিত ~x(

    জবাব দিন
  2. আন্দালিব (৯৬-০২)

    শেষে এসে কী বললি এটা! বাংলাদেশে পারবে? এই যাবৎ খেলা দেখে আমার মনে হয় নাই যে পারবে। সম্ভবত ৪০৪ রানকে পড়তে ভুল করেছে সোনার ছেলেরা, মাঝের শূন্যটা চোখেই পড়ে নাই!

    সারা দিন ৯০ ওভার টিকে থাকার মন মানসিকতা, উদ্যম আর টেম্পারামেন্ট বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের নাই। আগে আমিনের পোস্টেও বলেছিলাম, দায়বদ্ধতার অভাব- সেটাও প্রবল। আজকের শেষদিকে এসে চড় মারতে ইচ্ছা করছিলো এক একটা আউট হয়ে ফিরে আসা ব্যাটসম্যানগুলোকে...

    জবাব দিন
    • আহসান আকাশ (৯৬-০২)

      খেলা দেখে আমারো মনে হয় নাই যে পারবে , তাও আশাবাদি হইতে মঞ্চায় 🙂

      আমার কাছে বাংলাদেশ দলের মূল সমস্যা হলো কমিটমেন্টের অভাব, কমিটমেন্ট থাকলে বাকি সব দুর্বলতাই কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। লোটাস কামালের মন্তব্য নিয়ে অনেক হাউ কাউ হয়েছে, কিন্তু ও কিন্তু একদম ভুল কিছু বলে নাই।


      আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
      আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

      জবাব দিন
    • রকিব (০১-০৭)

      তামিমের শুরুটা সুন্দর ছিলো; তবে প্রতি বলেই এভাবে মারতে যাওয়াটা বোধহয় টেস্ট ক্রিকেটীয় আচরন হয়নি (আমি ভুলও বলে থাকতে পারি)।
      তবে মানতে হবে ক্যাচটা ভালো নিয়েছিলো টাফি।
      আসলে কবিতা আছে না; আশাই জীবন, জীবনের শ্রী (এইরকমই মনে হয়। 😕 )। এই জন্য এতকিছুর পরো হু.মো.এরশাদের মতো আশা ছাড়তে পারি না। 😀


      আমি তবু বলি:
      এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..

      জবাব দিন
    • আহসান আকাশ (৯৬-০২)

      কোন ক্রিকেটটা যে এরা বুঝছে সেটাই আমি এখনো বুঝতে পারলাম না... টেস্টে পারলে এরা ২০/২০ খলে আর এই ২০/২০ তেই তুলনামূলক ভাবে বাংলাদেশের পারফর্ম্যান্স সবচেয়ে খারাপ।


      আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
      আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

      জবাব দিন
  3. মইনুল (১৯৯২-১৯৯৮)

    নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিং কিছুটা দেখার পরে ভুলেই গিয়েছিলাম এই টেশ্তের কথা। পরে দেখি বাংলাদেশ ভালোই ব্যাটিং করে ফেলসে।
    পরে আবার ফলো করতে গিয়ে দেখি খারাপ অবস্থা। আশা করি আগামি কালকে এই টেস্টের কথা ভুলে থাকতে পারবো ......

    জবাব দিন
  4. মুস্তাকিম (৯৪-০০)

    খেলার শুরুটা ভালেই ছিলো।বাংলাদেশ ২য় ইনিংসে পুরা দিন ব্যাট করতে পারছে এইটা খুব কমই হইছে। তাই রান চেজ করার প্ল্যনটা আমি সাপোর্ট করি। কিন্তু তার মানে এই না যে পাগলামি করতে হবে।
    ২০-২০ তে তো টেস্টের মতো খেলে। বাংলাদেশের সবই উল্টাপাল্টা

    জবাব দিন
  5. কামরুল হাসান (৯৪-০০)

    এতো বেশি আশা করা ঠিক না।
    তারচেয়ে বরং ফুটবল নিয়ে এখন স্বপ্ন দেখা যায়। আজকে মিয়ামারের কাছে ২-১ ব্যবধানে হেরে গেছে যদিও, কিন্তু শ্রীলংকার সংগে জিতলে এখনও এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপের সেমিফাইনালে যাওয়ার সুযোগ আছে।


    ---------------------------------------------------------------------------
    বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
    ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।

    জবাব দিন
    • আহসান আকাশ (৯৬-০২)

      খেলায় সাপোর্টের ব্যাপারে আমি প্রচন্ড রকম আশাবাদী টাইপ, দেখেন না বছরের পর বছর ধরে আমি আর্সেনালকে সাপোর্ট দিয়ে যাচ্ছি 😛

      ফুটবল নিয়ে আমি সবসময়েই বেশি আশাবাদী, শ্রীলংকাকে হারাতে মনে হয় তেমন একটা বেগ পেতে হবে না,তবে তাজাকিস্তান যদি মায়ানমারকে হারিয়ে দেয় তাহলে গোল ব্যবধান নিয়ে পেচগি লেগে যেতে পারে।
      ( মোহামেডানে যোগ দিয়েই এমিলির কি কুফাটা যে লাগল, গোলই করতে পারতেছে না, আর আবাহনীর এনামুল তো পুরা ফর্মে 🙂 )


      আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
      আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

      জবাব দিন
      • আহসান আকাশ (৯৬-০২)

        মাহমুদুল্লাহকে এখনই ব্যাটিং অর্ডারে বেশি উপরে তোলা মনে হয় ঠিক হবে না। ও এই পজিশনে এখন মানিয়ে গেছে, আপাতত এখানেই কিছুদিন খেলে আরেকটু হাত পাকাক, মনে রাখা দরকার ও মাত্র ৫/৬ টি টেস্ট খেলেছে। তবে একটা কাজ করা যায়, আশরাফুলকে বাদ দিয়ে সাকিব, মুশফিক আর মাহমুদুল্লাহকে এক প্লেস এগিয়ে নিয়ে যাওয়া আর ৮ নং এ নাইমুল ইসলাম বা ওর মত কোন বোলিং অলরাউন্ডারকে খেলানো।


        আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
        আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

        জবাব দিন
  6. বন্য (৯৯-০৫)

    আশরাফুলের অধারাবাহিকতা এখন এতই ধারাবাহিক যে,সবাই ধরেই নিসে যে ও অনেকদিন পর পর একটা ভাল ইনিংস খেলবে আর ওইদিন বাংলাদেশের জিতার একটা চান্স থাকবে।আমি তো ভাবতেসি মাহমুদুল্লাহ সেঞ্চুরিটা যদি বাই এনি চান্স আশরাফুল খেলতো তাইলে যে কি হইতো!!!!প্রথম আলো তো ফাটায়া ফেলতো...বলছিলাম না আশরাফুল খেললেই কেবল বাংলাদেশ জেতে বা জেতার চান্স থাকে, আশরাফুল কইতো..এইবার আমি ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারব বলে আশা রাখি...আসলে এইগুলা দেখতে দেখতে ক্লান্ত...অন্যকিছু না হোক..দর্শকের মানসিক শান্তির জন্য হলৈও ওরে বাদ দেওয়া দরকার।ক্রাপ একটা,পেইন।ওর পেতিভার ক্ষ্যাতা পুড়ি। 😡

    তবে বাংলাদেশের পজিটিভ খেলার অ্যাটিচুড নিয়ে অনেক প্লেয়ার আসে...এই জিনিসটা ভাল লাগে।হারার আগেই হেরে যায়না..পারুক না পারুক। :thumbup:

    তামিমরে নিয়া কিছু কমু না..আমার প্রিয় প্লেয়ার.. 😡

    মাহমুদুল্লাহ আটেই ঠিক আছে...আগে আনলেই ভাব বাইড়া আশরাফুল হইয়া যাওয়ার চান্স আসে..তলাতেই থাক আরো কিছুদিন... :-B

    আফতাব বসের সেই দিন মনে হয় আর নাই...

    সাকিব অনেক পজিটিভ এইটা খুব ভাল লাগে..আমরাও যে ওয়ার্ল্ড হতে পারি এইটা ও মনে প্রাণে বিশ্বাস করে বলেই মনে হয়..কিন্তু এখনও খেলার সিচুয়েশনের সাথে আ্যাডাপ্টেশনে সমস্যা আসে...সবসময় ডমিনেট করে খেলতে যাওয়াটা বোকামি।তবে ও আসলেই বস।

    বাংলাদেশের ফুটবল নিয়া তো আমি চরম হতাশ,চেষ্টা কইরাও ইন্টারেষ্ট জাগাইতে পারতেসিনা।স্টেডিয়ামে খেলা দেখতে গেসি..টিভিতেও যা দেখাইসে মোটামুটি সবই দেখসি...আমার মনে হয় ক্যাডেট কলেজের বেষ্ট ইলেভেনরে ঠিকমত প্র্যাকটিস করাইলে বাংলাদেশের মেইন টিমরে ইজিলি হারায়া দিতে পারবে...

    কতকিসু বইলা ফেললাম... আমিতো ব্যাপক কাবিল দেখা যায়... 😀 😀 :grr:

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : মাহমুদ ফয়সাল (৯৯-০৫)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।