সানাউল্লাহ ভাইয়ের চুল নিয়ে মন্তব্য ধরে কামরুলের সম্ভুদা’র চুল কাটা’র প্রসঙ্গেই আমার এই লেখাটি লেখার ইচ্ছে জাগলো। ঘটনাটি আমার দুই বন্ধুকে কেন্দ্র করে। দুজনেই ছিলো শরীয়তউল্লাহ হাউসে। ঘটনাটি ছিল বোধ হয় আমরা যখন ক্লাশ নাইনে পড়ি তখনকার। কলেজে আমরা এমন একটা বয়স পার করে এসেছি যেটা হলো কৈশোর এবং যৌবনের সন্ধিঃক্ষন। এই বয়সটা বড়ই জটিল। এই বয়সে সবাই একটু নিজেকে আলাদা করে ভাবার চেষ্টা করে। নিজের রুপ সচেতনতা, নিজের স্বাতন্ত্র, সবার মাঝে নিজেকে একটু আলাদা করে উপস্থাপন করা এই ব্যাপারগুলো অনেকটা বেশীই প্রাধান্য পায় চিন্তায় চেতনায় (আমি ভূলও হতে পারি)। আমার যতদুর বিশ্বাস, ক্যাডেট জীবনে আমাদের প্রতিটি ক্যাডেটেরই এই ব্যাপারগুলো ঘটেছে। তবে কারো কারো ক্ষেত্রে ব্যাপারটা এসেছে সজ্ঞানে আর কারো কারো ক্ষেত্রে অলক্ষ্যেই চলে এসেছে।
জুনিয়র ডিভিশনের সিনিয়রমোস্ট ক্লাশ হিসেবে তখন আমাদের মাঝে যথেষ্ট ভাব চলে এসেছে। কলেজের দেয়া পোষাক পরিচ্ছদ না পড়ে পার্সোনালভাবে কিনে আনা পাঞ্জাবী, কিংবা শার্ট-প্যান্ট অথবা সুযোগ সুবিধামত পার্সোনাল জুতা পরাটা অনেক বড় একটা ব্যাপার ছিল। আমরা যেমন জুনিয়র থাকতে সিনিয়রদের এরকম পোষাকগুলো দেখে নিজেদের মাঝে মন্তব্য করতাম, “অমুক ভাইর শার্টটা দেখছিস?” কিংবা “অমুক ভাই যা একটা জুতা আজকে পরছেন কি আর বলবো…।” ঢাকার ছেলেরা তখন স্মার্টলি দুই তিনটা শপিং কম্পলেক্স বা দোকানের নাম বলতো যেখানে এগুলো পাওয়া যেতে পারে। আমরা মফস্বলের ছেলেরা কেবল চোখ বড় বড় করে ওদের আলোচনা শুনতাম।
যাইহোক, এইরকম কাজগুলো করা আর নিজের রুপ সৌন্দর্য্যকে ফুটিয়ে তোলা ছিল কলেজে হিরোইজমের একটা অংশ। রুপ সচেতনতার অংশ হিসেবে তখন আমি সিনিয়র, জুনিয়্র, ক্লাশমেট কাউকে কাউকে ফেয়ার আ্যন্ড লাভলী (তখনকার সময়ে সবচেয়ে হিট রং ফর্সাকারী ক্রিম) মাখতেও দেখেছি। আর হেয়ার স্টাইল ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটা ব্যাপার। কোন সময়টাতে গেলে বারবার দুলাল ভাই’র কিংবা বূড়া চাচা’র চুল একটু কম কাটার সম্ভাবনা আছে তা নিয়ে রীতিমত গবেষনা হত। হঠাৎ কোনদিন যদি দেখতাম আজ দুলাল ভাই নতুন একজন বারবার নিয়ে এসেছেন, তবে আনন্দে চোখ চিক চিক করত। কারণ নতুন বারবারকে ভূলিয়ে ভালিয়ে চুলটা একটু কম কাটানোর প্রয়াস চালানো যেতে পারে। তবে বুড়া দাদুর কাছে কেউই আমরা চুল কাটাতে চাইতাম না। ওনার কাছে চুল কাটালে চেহারা আর চেহারা থাকেনা। অনেকটা গরু চোরের মত চেহারা বানিয়ে দিতেন তিনি।
তো এই যখন অবস্থা, তখন আমার এক বন্ধু ডিসিশান নিল, সে এই সপ্তাহে বারবারের কাছে চুল কাটাবেনা। কিন্তু চুল না কাটালে শনিবার প্যারেডে তো ধরা খেতে হবে। কি করা যায় কি করা যায় ভেবে অবশেষে আমাদের আরেক বন্ধু রিয়াদের কাছে সাহায্য চাইলো। রিয়াদ ও সাহায্য করতে প্রস্তুত। মুহূর্তের মধ্যে কাগজ কাটার ছোট্ট একটা কেঁচি, চিরুনী, ক্লাশের একমাত্র শেভকারী’র নিকট থেকে রেজার, ডেটল সব কিছুই যোগাড় করা হলো। রিয়াদ একদম প্রফেশনালের মত মিলু (আমার সেই বন্ধুটির ডাক নাম)কে চেয়ারে বসিয়ে তোয়ালে দিয়ে শরীর মুড়িয়ে নিয়ে কেঁচি আর চিরুনী হাতে নিয়ে কাজ শুরু করে দিলো। এর পরের অংশটুকু আমি রিয়াদের ভাষায় বলছি।
দুলাল ভাইয়ের মত করে প্রথমেই ঘাড়ের পিছনের অংশে কেঁচি চালালাম। হাতটা কি একটু কেঁপে উঠলো? মনে হচ্ছে, না ঠিক এরকম না। দুলাল ভাই মনে হয় আরেকটু কেমন করে যেন কাটেন। ঠিক আছে একটু সেরকম চেষ্টা করে দেখি। আচ্ছা আমি তো এক জায়গাতেই বেশি কেটে ফেলছি। দেখি আরেক জায়গা ধরি। উফস…একটু মনে হয় বেশি হয়ে গেল…। থাক এ জায়গাটা। অন্য আরেক জায়গা ধরি। ঘটনা কি…? এরকম হচ্ছে কেন? দুলাল ভাই যেমনটা করে আমিওতো ঠিক সেরকম করছি। তাহলে মিলছে না কেন? আরো কয়েকবার চেষ্টা করে যখন পারলামনা তখন একটু পেছনে সরে গিয়ে মাথার পেছনটা পুরোটা একসাথে দেখতে চেষ্টা করলাম। আমার মাথা এবার ঘুরে গেল। হায় হায় এই জিনিষ মিলু দেখার আগেই আমাকে কেটে পড়তে হবে। “আমি একটু আসছি” বলেই রুম থেকে কেটে পড়লাম।
মিলু চেয়ারে বসে থাকতে থাকতে বিরক্ত হয়ে যাচ্ছে। ঐদিকে জুম্মা’র নামাজের হুইসেল দিয়ে ফেলেছে ডিউটি ক্যাডেট। কি করা যায়। এর মধ্যে মিলুর রুমমেট দুইজন চলে রুমে এসেছে নামাজের জন্য রেডি হতে। রুমে এসে ওরা এই অবস্থা দেখে তো হেসেই খুন। পরে অনেক কসরত করে ২/৩ টি আয়নার সাহায্য নিয়ে মিলুর মাথার পিছনের অংশের কিছুটা দেখানো হলে মিলু তো হতভম্ব। মাথার পিছনের অংশে বেশ কয়েকটি জায়গার চুল মনে হয় যেন কেউ খাবলা মেরে তুলে নিয়ে গেছে। একদম মাথার চামড়া বের হয়ে গেছে। হায় হায়, রিয়াদ এ কি করে গেল? এজন্যই শয়তানটা মিথ্যে বলে পালিয়ে গেছে। এখন কি করা যায়? এই অবস্থায় তো রুমের বাইরেই যাওয়া যাবেনা নামাজ তো দূরের কথা। কিন্তু নামাজে না গেলে ধরা খেলে কি হবে তা চিন্তাই করা যাচ্ছেনা। এতকিছু ছাপিয়েও মিলুর একটাই চিন্তা এই চুল ঠিক হবেতো? নইলে যে ওকে সুন্দর আর স্মার্ট দেখাবেনা…।
যাহোক, রুমমেটদের সাথে যুক্তি পরামর্শ করে নামাজে না যাবারই সিদ্ধান্ত নেয়া হলো। রুমমেটরা বললো, চিন্তার কারণ নেই। আমরা কাভার দেবো। নামাজে মিলু ধরা খায়নি। নামাজ শেষে লাঞ্চের সময় মিলু হাউস থেকে এসে চুপি চুপি আমাদের সাথে জয়েন করলো। ডিউটি মাস্টারের সামনে দিয়ে যাবার সময় মিলু হাত দিয়ে মাথা চুলকানোর মত ভাব করে মাথার খাবলা মারা অংশটুকু ঢেকে ডাইনিং হলে ঢুকে পড়লো। ইনফ্যাক্ট পুর লাঞ্চ টাইমটাই মিলুকে মাথা চুলকাতে হয়েছিল।
লাঞ্চ শেষে মাথা চুলকাতে চুলকাতে মিলু হাউসে গেল। দূত পাঠিয়ে বূড়ো দাদুকে কনভিন্স করার চেষ্টা চলতে থাকলো। কিভাবে যেন দাদু কনভিন্সড হয়ে গেলেন। এজন্য মনে হয় দাদুকে উপঢৌকন হিসেবে বেশ কিছু অর্থও দিতে হয়েছিল। রিয়াদ এত সুন্দর করে মিলুর মাথায় খাবলা মেরে দিয়েছিল যে মিলুর চুল ড্রেসিং করতে দাদুর অবস্থা খারাপ হয়ে গিয়েছিল। আর মিলুর অবস্থা? চান্দি পুরাটা ছিলে একদম কল্লা ছিলা মুরগী। মিলুর চুল কাটা দেখে তখন কেউ ওকে গরু চোর তো দূরে থাক, মুরগী চোরও বলতে নারাজ হতো।
ফলাফল, মিলুর সৌন্দর্য্যে প্রায় মাসখানেকের জন্য ভাটা। কলেজ জীবনে আর কখনো এরকম কোন সৌন্দর্য্য ভেঞ্চারে মিলু যায়নি। তবে ওর স্মার্টনেস এর কোন কমতি হয়নি কখনো।
🙂 😀 :)) =)) :clap: :boss: :salute: :gulli:
একদম ফাটাফাটি।
আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই
আহসান ভাই ছবিটাও ফাটাফাটি।
দেইখা মনে হইলdiz s ur poyet look
আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই
থ্যাঙ্কস টিটো।
এইটা হইল কলেজে ক্লাশ টুয়েলভে তোলা ছবি...যখন টাইয়ের নট টা একটু ঢিলা করে রাখলে নিজেকে অনেক স্মার্ট মনে হতো (এখন বুঝি কতটা ক্ষ্যাত চিন্তা ধারা ছিল তখন)।
আমার চুল এতো ঘন আর মোটা ছিলো যে কাটতে গিয়া সম্ভুদা'র মেজাজ খারাপ হইয়া যাইতো। :grr: :grr: ফলাফল আমার পরে যারা ছুল কাটতে বসতো তারা কল্লা ছিলা মুরগী হইয়া ফিরা আসতো। 😀 😀
এদের মধ্যে কে কে ছিলো? :-/
:))
আপনার ক্ষ্যাত কথাটার কারণে বরিশাল নিয়ে একট প্রচলিত কথা মনে পড়ল।
বরিশালের লোক নাকি প্রথম ঢাকায় এসে বলে
ও মনু! মোগো দ্যাশে মোরা জমিরে কই ক্ষ্যাত, আর ঢাকায় দেহি মোগোরে কয় ক্ষ্যাত
আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই
=)) =)) =))
আহারে...। বেচারা রা...।
আহসান ভাই,
আপনি সঠিক 🙂 ।
কলেজের প্রথম কয়েক বছর টের না পেলেও এই ব্যাপারটা শেষের দিকে নিজের ভিতর ঠিকই ফিল করতাম। আমি নিশ্চিতভাবে জানি জ্ঞান, মেধা, বুদ্ধি, বিবেচনা, অভিজ্ঞতা, শক্তি, সহনশীলতা, কৃতিত্ব ইত্যাদিতে আমি অনেকের চাইতে অনেক পিছনে পড়ে আছি। কিন্তু এও জানি যে কিছু বিষয় আছে যেগুলো একান্ত আমার, যেগুলো দিয়ে একমাত্র আমাকেই আইডেন্টিফাই করা যাবে (এখনও নিজেকে "অনেকের মাঝে একজন" মনে হয়)। একই কথা প্রযোজ্য পৃথিবীর সমস্ত ইনডিভিজুয়ালের জন্য।
আর এই অনুভূতিটা মানুষের পজিটিভ মেন্টালিটির একটা অংশ বলেই বিশ্বাস করি।
Life is Mad.
দোকানদারের সাথে কাস্টমারের কথোপকথনে বুঝলাম বেচারা বরিশাল থেকে ঢাকায় নতুন এসেছে। আর চান্সে পেয়ে দোকানদার মজা করছে। এক পর্যায়ে শুনি দোকানদার বলছে, "আপনেরে ঢাকার ভিসা দেছে ক্যাডা" 😀 ?
Life is Mad.
🙁 🙁
🙁 🙁
এইগুলা কি...।আমি তীব্র প্রতিবাদ করছি...।হগল বরিশাইলাআরা এক হও...মোগো বারি বরিশাল...।
ও মনু ডাইলে নুন দিছ না দেবা...।মোর বাপ কোলোম আইনের লোক......
আহসান ভাই লেখাটা কিন্তু বরাববের মতন সিরাম......
খুব শুন্দর লিখা হইসে আহসান ভাই!!! আমাদের এক ক্লাসমেট একবার সেইম কাজ করসিলো...বাট...বাচতে পারে নাই...গেইমস প্রিফেক্টের কাছে ধরা খাইয়া খুব পাঙ্গানি খাইসে...
ও জিহাদ,
আ... অ কি? য্যারা মন্তব্য ল্যাখছে হ্যাগো মন্তব্যের দেহি জবাব দেওন যায়না আগের নাহান। আলাদা কইররা দেওয়া লাগে দেহি এহন…। মনু এট্টু দ্যাকবা সমস্যাডা কোনহানে…?
সিরাজের লগে মুইও একমত। ব্যাবাক বরিশাইল্লারা একখানে অওদেহি। দেহি কেডা মোগো ক্ষ্যাত কয়? মোগো ঢাকার ভিসা লইয়া খোডা দ্যায়…।
ও মেয়া, ঐ শুদ্ধ মুদ্ধ বাদ দ্যাও…। সিরাম টিরাম বুঝিনা… হেইরোম অইছে নাহি হেইয়া কও…।
শাহেদ,
তোমারে ব্যামালা ধইন্যবাদ। তয় তোমার দোস্তের কতাডা হুইন্যা ব্যামালা কষ্ট পাইছি।
হ্যা য্যা-ই অউক, তুমি ভালো থাইক্কো কইলো।
=)) =)) =))
আপনার লেহা হেইয়া জম্মের মজা.........।। :salute:
আর্মি কম্যান্ডো কোর্সে অংশগ্রহণকারী আমার এক কোর্সমেটের দৌড়ে ভালো পার্ফমেন্স দেখে আরেক কোর্সমেটের মন্তব্য,
"এ ফারুক তুই তো খুব ভালো দৌড়াও"।
Life is Mad.
=)) =))
বরিশাল নিয়ে আর একটা কথা আছে..
এরা দৌড়ায়ে দৌড়ায়ে লঞ্চ ধরতে আসে। কিন্তু যখন ব্যর্থ হয় তখন আফসোস করে বলে
আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই
আসলেই জিহাদ, ঘটনাটা কি? মাঝখানে আর লেখা যাচ্ছে না
আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই
একটু অপেক্ষা করেন। জিহাদের পরীক্ষা দিতে গেসে। আইসা ফাস্টেই এই মন্তব্য ঠিক করনের কাজে হাত দিব।
থ্যাংকস বাডি
আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই
আহা!
=)) =)) =))
আগের মন্তব্যটা স্নৃতিকাতর করার জন্য।
ধন্যবাদ তৌফিক।
আছো কেমন...।
তোমারে অনেক দিন ধইরা দেখিনাই এইখানে...।
সব কিছু ঠিক ঠাক তো বাডি?
আহসান ভাই, জটিল কাহিনি বস্....
সব কলেজেরই কত অদ্ভুতভাবে ক্যাডেটজাতির সাইকোলোজি একই রকম হয় :boss: :boss:
আমাদের একজন 9 এ থাকতে সেইম কাজ কইরা একগাদা ইডি খাইছিলো :grr: :grr:
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
আহসান ভাই, এই কাহিনী আমার জবিনেও ক্লাশ নাইনে থাকতে হয়েছিল,তবে আমাদের ফারদিল সুন্দর ভাবে কেটে ছিল...কিন্তু ২দিন পর জুনিয়র প্রিফেক্ট বুঝতে পেরেছিল...ফলাফল: দুলাল দাদার ব্লাকমেইলের শিকার হয়ে ৫০ টাকা উৎকোচ প্রদান তাকে এবং প্রিফেক্টের কাছে স্টেটমেইন্ট প্রদান....। কি কাকতালীয় ব্যাপার দুটোই শরিয়তউল্লাহর পোলাপানের ঘটনা এবং ক্লাশ নাইনের... 😛 মাহমুদ ভাইকে পেলে, একদিন এই কাহিনী তার মুখ দিয়ে শুনবো ভাবছি...আমাদের দুইজনের অফিস বর্তমানে কাছাকাছি...
ভাই লেখা পড়ে ভাল লাগল... :boss:
ফৌজি,
এইল্লাইগাইতো আমরা ক্যাডেট...মানে ঐ রসুন এর মত আর কি...। 😀
আরিফ,
বুঝছি। এইটা তাইলে শরীয়তিয়ানদের স্বভাবজাত সমস্যা...।। 😉
আহসান ভাই,
আছি ভালোই, আপনার কি অবস্থা?
খুব ব্যস্ত আছি। তাই কম কম দেখা যায়। 🙂
চুল ভিজা থাকলে কম কাটা পড়ে - এইরকম আইডিয়ার বশবর্তী হয়ে একবার কেউ একজন চুল ভালো করে ভিজিয়ে নিয়ে দুলাল ভাইয়ের কাঁচির নিচে বসেছিল। দুলাল ভাইও তক্কে তক্কে ছিলেন। নিমিষে বেচারার চুল টুপটাপ মাথা খালি করে নেমে মাটিতে আশ্রয় নিয়েছিল 😛 ।
Life is Mad.
আমি নিজে একবার আমার batch এর একজনের চুল কেটে দিছিলাম। ফলাফল... আবার দুলাল দার কাছে গিয়া টাকা দিয়া চরম একটা কাটিং(crew cut এর মত)... by the way আমি ক্লাস নাইন থেকে দুলাল দা কে ঘুষ দিয়া চুল বড় রাখার একটা system করসিলাম। মাঝে মাঝে ঢাকার জন্য নারকেল তেল দিয়া স্যার দের সামনে ... জেতে হত।
আপনারা সবাই দেখি চুল নিয়ে মহা সমস্যায় ছিলেন? 😮