শিথিলায়ন

ঘুম ধরানো আরাম বলয়, হালকা বোজা চোখ
মনের মাঝে চিন্তাগুলো একটু শিথিল হোক;
শ্বাস-প্রশ্বাসের উঠা-নামায় ছন্দ হবে ঢিল,
মনের সাথে ভাবের সাথে প্রকৃতির এ কি মিল!
গাত্রে যত দূষণ সবই হারাবে বাতাসে,
ধীরে ধীরে শরীর যেন শান্ত হয়ে আসে;
গভীর কল্পদেশে এবার হবে ভেসে যাওয়া ~
থিতিয়ে যাওয়া শরীর উড়ায় কোন উত্তুরে হাওয়া!
অস্তিত্বের পরিচয়ে শুধুই আমার মন
চিন্তাশক্তির নিমজ্জনে করে বিচরণ।
হৃদয়ে যদি থাকে কোনো অস্থিরতার দাগ,
প্রশান্তির স্পর্শে তারা ধুয়ে-মুছে যাক!
এবার হবে যাত্রা শুরু নীলাভ আলোক-রথে;
চড়লো চেতন, শান্ত ভীষণ মনের বাড়ির পথে।
উনিশ থেকে গণনা শুরু, শুন্যে অবস্থান
অপার সুখের বিলাস এখন মনে বিরাজমান।
ফটক খুলে প্রবেশ করি কল্প-স্বর্গলোকে —
সব কিছু কি মধুর, রাতে কিংবা দিবালোকে!
আবেশ যেন বিশেষ কোনো ভাললাগার ঘ্রাণ
আকাশ দূরে প্রকৃতিরে সাজাচ্ছে আপ্রাণ।
বাড়ির পাশে দিঘির জলে সেই বর্ণীল ছাপ,
প্রশান্তির স্পর্শে এ মন হারায় সব উত্তাপ…
ঘুরি-ফিরি, দেখি আমার প্রিয় দৃশ্যায়ন;
ভাবিঃ চলুক মনের-ভাবের অনন্ত কথন!
হাজার জটিলতার মাঝে শান্তি-সুখের ছোঁয়া
মনকে করে সতেজ দারুণ, কলুষতা-ধোয়া।
ভাল লাগায় পূর্ণ করে আমার মনের ভাঁজ
শুরু করি ফিরতি যাত্রা এবার তবে আজ!
শুন্য থেকে আবার গুনি, বিরতি দেই সাতে;
ফিরে আসি বাস্তবতায়, অতিচেতনা হতে।
শিথিলায়ন প্রকৃয়ার এই সহজ সম্পাদন
এর-ই সাথে হইল আমার ধ্যানের সমাপন।

১৫ টি মন্তব্য : “শিথিলায়ন”

মওন্তব্য করুন : স্বপ্নচারী (১৯৯২-১৯৯৮)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।