সেটা ২০০০ সালের কথা। আমার মেডিকেলের ১ম দিন। তো হোস্টেলে উঠলাম বিকাল বেলা। ঘুরাঘুরি করছি, দেখি কেউ পরিচিত পাই কিনা। সিনিয়র বা ক্লাসমেট পাচ্ছি অনেক কিনতু কাউকেই তো আর চিনি না তাই কথা বলতে পারছি না। এভাবে সন্ধা হয়ে এলো, দম বন্ধ লাগছে। এভাবে কথা না বলে কতক্ষণ আর থাকা যায়? এসময় এক সিনিয়র রুম এ এলো পরিচিত হতে। আমি ক্যাডেট কলেজ থেকে শুনে বলল তিনি অন্য আরেক রুম এ আরেকজন পেয়েছেন ক্যাডেট কলেজের। শুনে আমি বললাম, কোন রুম? দ্রুত রুমটি খুজে বের করলাম, এবং ১ম তার সাথে আমার দেখি হল। দেখা হবার পর তাকে বললাম, “আমি ক্যাডেট কলেজের, মেডিকেলের ফার্স্ট ইয়ার।” জীবনের ১ম যে কথাটি সে আমাকে বলল, ” কোন কলেজ?” আমি বললাম, ” PCC”. জীবনের ২য় যে কথাটি সে আমাকে বলল, ” মশারি কিনতে যাব আমি, চল যাই।” দেখা হবার ১০ সেকেন্ডের মাথায় তুই এবং ৩০ সেকেন্ডের মাথায় আমরা এক সাথে রিকশায়- এমন কি কখনো ক্যাডেট কলেজের বাইরের ছেলেদের মধ্যে হয়? আমার জানা নাই। রিকশায় তার সাথে আমার পরিচয় পর্ব শুরু হল যা কিনা হওয়ার কথা ছিল প্রথমে! আমি তাকে জিগ্যেস করলাম, ” তুই কোন কলেজের?” তার উত্তর- CCC। নাম কি জিগ্যেস করলাম। উত্তর, “ইমরুল।” আমি একটু ভেবে বললাম, “শুনি নাই তোর নাম আগে।” ও বলল, ” নাম না শুনলেও চিনতে পারবি। তোরা আমাদের কলেজ এ এক্সকারশনে ১৯৯৭ সালে যখন গেলি রাত ১০ টায় গিয়ে পৌছালি, মনে আছে?” আমি বললাম, ” হুমম।” ও বলল, ” তখন CCC এর তোদের এক ক্লাসমেট -PCC আসছে- বলে চিল্লাতে চিল্লাতে তোদের সাথে দেখা করতে আসার সময় প্রেপ গার্ড রাখাল স্যারের হাতে ধরা খেল, আর সাথে সাথে ৪/৫ টা বিশাল সাইজের থাপ্পর এর আওয়াজে একাডেমি ব্লক কেঁপে উঠছিল, মনে আছে?” সাথে সাথে আমার সেই রাতের কুমিল্লা ক্যাডেট কলেজের মাইরের আওয়াজের কথা মনে পড়ল। সে তখন একটা হাসি দিয়ে বলল, “ঐ ছেলেটা আমি ছিলাম।” আমি তার দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলাম।
এরপর ইমরুলের সাথে আমি হাসি ঠাট্টায় মেডিকেলের ৬টি বছরই রুমমেট হিসেবে পার করে দিয়েছি। অন্য কারো সাথে থাকার কথা ভাবতেই পারি নি। ইমরুলের কাছে আমি অনেক কিছু আমি শিখেছি এই ৬টি বছরে। অনেক, অনেক কিছু।
ইমরুল আমি জানি তুই নেট ব্যবহার করিস না। এই লেখার কথা জানতেও তুই পারবি না। তবুও আজকের এই লেখাটা তোরই জন্য।
🙂
ক্যাডেট ছাড়া আর কারো মধ্যে এরকম ফার্স্ট এন ফিউরিয়াস ফ্রেন্ডশীপ হয় কীনা সেটা আামারও জানা নাই।
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
খুব উন্নত মানের স্মৃতি কথা।
বেশ ভাল লাগল।
ইমরুল ভাই কে ইন্টারনেটের আওতায় আনার জোরাল দাবী জানাচ্ছি।
সাব্বির ভাইয়ের এই সেমিস্টারে "কোয়ালিটি এন্ড ম্যানেজমেন্ট" এর কোন কোর্স আছে নাকি? :grr:
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
ইমরুলকে নেট আনার চেষ্টা আমি মেডিকেলে কম করি নাই। but ও এসে বেশী interest পায় নাই। এখন সে পড়াশোনা নিয়ে অনেক ব্যস্ত একজন ডাক্তার।
আদনান ভাই, দারুণ লেখা। :salute:
অতি সাধারণ লেখা কিন্তু আবেগ গুলো সত্যি ১০০ ভাগ
আদনান ভাই..আসলে এটা ক্যাডেট ছাড়া সম্ভব নয়..আমি একদিন অন্য কলেজের আমার এক ব্যাচমেটের সাথে পরিচয় হলো,ও প্রথমেই "....র ভাই,এতদিন আমি খুলনায় আছি,আর আজ তোর সাথে পরিচয় হলো..........
আদনান,
অত্যন্ত খাঁটি কথা। খুবই ভালো লেগেছে। ক্যডেটদের এই ফিলিংস কোটি টাকা দিয়েও পাওয়া যাবেনা...।
তবে ইমরুল কে একদিন সিসিবি ভিজিট করিও।
ভালো থেকো। আল্লাহ হাফেয।
জম্পেশ =))
Life is Mad.
আসলেই কেমনে হয়?? ক্যাডেট শুনলেই কেন চোখের মাঝে ১০০ পাওয়ারের বাতি জ্বলে উঠে?
:salute:
আর যখন শুনি আমার নিজের কলেজের তখন lignt এর voltage আরো বেড়ে যায়।
😀 😀
ছালাম ব্রাদার 🙂 ।
আমার ফটুকটা দেইখা মনে করেন তো ব্রাদার, চিনবার পারেন কিনা 🙂 ।
আমি কিন্তুক আপনি জে.পি. হওয়নের পর হেভি খুশী আছিলাম :clap: ।
পাঙ্গানি কম ই দিসিলেন :)) ।
বেয়াদবের মত কথাবার্তা কইলে মাফ কইরা দিয়েন 😛 ।
আপনি সিলেটে তা শুনছিলাম,তয় এক অপ্রত্যাশিত জায়গা থেইকা।
নিঝুম আপুর কাছ থেইক্যা :shy: ।
যাহা হউক, অতীতের কথা ভবিষ্যতে আরেকদিন কমুনে 🙂 ।
আপাতত, ঈদ মোবারক 🙂 ।
Yes nahid tomar chobi dekhe tomake chinte parsi. kemon aso tumi? Nighum apu ta ke? chinlam na...
নিঝুম আপু কি আপনার :just: ফ্রেন্ড?
অফ টপিক- :frontroll:
Nah Mashroof. Nighum was my junior in my medical college? Any way, tumi ki chino naki?