তোমরা শান্তিতে ঘুমাও, আমরা জেগে আছি

পিলখানা গণহত্যায় শহীদদের স্মরণে গত বছরের মত আজ সিসিবির পক্ষ থেকে আমরা সবাই একত্রিত হয়েছিলাম বিডিআর এর ৪ নম্বর গেটে। উদ্দেশ্য ছিল মোমবাতি জ্বালিয়ে আমাদের প্রিয়জনদের – যাদের আমরা হারিয়েছিলাম আজ থেকে ঠিক এক বছর আগে, তাদেরকে স্মরণ করা। তাঁরা আমাদেরই প্রিয়জন ছিলেন – কারও ভাই, কারও বাবা কিংবা কারও কাছের মানুষ। আমরা পাশাপাশি কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে তাঁদের স্মরণ করেছি পরম ভালোবাসায়।
এসেছিলেন অনেকেই। সিসিবির সদস্যরা যেমন ছিলেন, তেমনি শ্রদ্ধা জানাতে এসেছিলেন সিসিবির বাইরের অনেকেও। সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি আমাদের সাথে থাকার জন্য। শহীদদের পাশে থাকার জন্য।
পাশাপাশি যারা আসতে চেয়েছিলেন কিন্তু অনিবার্য ব্যস্ততায় সময় করে উঠতে পারেননি, ধন্যবাদ তাঁদেরকেও।
বিশেষ ধন্যবাদ লাবলু ভাইকে – ব্যানার এবং প্রোগ্রামটি আয়োজনের ব্যাপারে এগিয়ে আসার জন্য।

আমরা সেখানে মিটিং করিনি, মিছিল করিনি। কিংবা বক্তৃতা করে,কথার তুবড়ি ছুটিয়ে আকাশ বাতাস প্রকম্পিত করিনি। শুধু নীরবে দাঁড়িয়ে ছিলাম। আর তোমাদের স্মরণ করছিলাম। আমরা জানান দিতে চেয়েছিলাম – আমরা তোমাদের ভুলিনি। যতদিন না এ নৃশংস গণহত্যার সুষ্ঠু বিচার না হয় ততদিন আমরা জেগে থাকবো।

তোমরা শান্তিতে ঘুমাও, আমরা জেগে আছি।

Kame004

Kame009

Kame006

Kame011

৫,৯৬০ বার দেখা হয়েছে

৫২ টি মন্তব্য : “তোমরা শান্তিতে ঘুমাও, আমরা জেগে আছি”

  1. জিহাদ (৯৯-০৫)

    অংশগ্রহণকারী সবাইকে স্যালুট।

    নয়টার মাঝেই মোটামুটি সবাই চলে যাবার পর আমরা কয়েকজন থেকে গিয়েছিলাম। দেখে খুব ভালো লেগেছে যখন দেখেছি অনেক পরেও একা কিংবা কয়েকজন এসে মোমবাতি জ্বালিয়ে গেছেন চুপচাপ। আর স্মরণ করেছেন শহীদদের। আবার আরেকজন পথচারী এসে কয়েকটি নিভে যাওয়া মোম জ্বালিয়ে দিয়ে গেছেন পরম মমতায়।


    সাতেও নাই, পাঁচেও নাই

    জবাব দিন
  2. আন্দালিব (৯৬-০২)

    আজকে মনের মধ্যে অনেকগুলো অনুভূতি একসাথে আলোড়ন তুলছিলো। সেগুলো আমি কখনই সঠিক ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না। আজকে যখন বিডিআর ফটকের সামনে গেলাম- প্রায় দুইঘন্টা জ্যাম ঠেলে যাওয়ার সময়ে উৎকণ্ঠা ছিলো, ভাবছিলাম সময় মতো পৌঁছাতে পারবো কী না। সবাই যখন ব্যানার ধরে দাঁড়িয়ে সামনে একটা একটা করে মোমবাতি জ্বালাচ্ছিলেন, কোনো কথা নেই - সাড়াশব্দ নেই- সবাই নীরবে এক টুকরো আলো জ্বালিয়েই পাশে সরে দাঁড়াচ্ছিলেন, তখন আমার কেমন লাগছিলো আমি বলে বুঝাতে পারবো না।

    মোমবাতিগুলো একটার পর একটা সাজানো, পেছনে কালো ব্যানার, তারও পেছনে মোমের আলোতে খানিক আবছা কতোগুলো মুখ। এরকমই অনেকগুলো মুখ ঠিক এক বছর আগে হারিয়ে গিয়েছে। আমি তাদের কাউকেই সেভাবে চিনতাম না, ব্যক্তিগত পরিচয় ছিলো না। কিন্তু তারা হারিয়ে যাওয়ার পরে আমার মাঝে যে শোক, ক্ষোভ আর কষ্ট জমা হয়েছিলো তা স্বজন হারানোর। সেই অনুভূতি আবার ফিরে ফিরে এলো।

    তবে খেয়াল করলাম আমাদের কারো মাঝেই সেই বিলাপ বা নিজেকে হারিয়ে ফেলার অবস্থা আজ নেই। এক বছরে অনেক কঠোর বাস্তবতাই আমাদের সামনে উঠে এসেছে। অনেক অনেক অভিযোগ বিডিআর পরবর্তী ঘটনা নিয়ে। সরকার, প্রধানমন্ত্রি, সামরিক বাহিনী- সব বিভাগেই বিডিআর হত্যাকাণ্ড নিয়ে অনেক অভিযোগ জমা করতে পারি আমরা। তারপরেও সেটা আজ ঘটেনি। আজকে সবাই যে প্রতীকটি স্থাপন করলেন সেটা একটা নীরব প্রতিবাদ।

    কোনো চিৎকার নাই, অযথা হৈহুল্লোড় নাই। আমাদের অপরিসীম শোককে সংহত করে আমরা এখন কেবল বিচার চাই। শুধু গুলি করা রাইফেল ধরে থাকা অমানুষটির নয়, বরং পুরো হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের সাথে জড়িত সকল পালের গোদাকে আমরা বিচারালয়ে দেখতে চাই। কাঠগড়ায় তাদের মুখগুলোও আমরা চিনে নিতে চাই। তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হলে জাতি ও রাষ্ট্র হিসেবে আমরা বিশ তিরিশ বছর পিছনেই থেকে যাবো।

    সকলের মাঝে এই উপলব্ধি জেগে উঠুক। সকলের মাঝে বিডিআর শহীদদের আত্মার সবলতা সংবদ্ধ হোক।

    (আকারে বড়ো ও অসংলগ্ন মন্তব্য মার্জনা করবেন, এডু)

    জবাব দিন
  3. মাসরুফ (১৯৯৭-২০০৩)

    (নিচের ঘটনাটির ফলে এতই অস্বস্তিবোধ করছি যে ভাগাভাগি করে কিছুটা হলেও স্বস্তি পাওয়ার জন্যে নিচে তুলে দিলাম-অপ্রাসঙ্গিক হলে এডু স্যার মুছে দেবেন প্লিজ)

    আজ বিডিয়ার গেটে আমাদের মোমবাতি প্রজ্জ্বলন দেখে সেখানের ভেতর থেকে আসা জনৈক মেজর “হ” আমাকে আলাদা করে ডেকে নিয়ে পরামর্শ দিলেন এগুলো নিয়ে মাতামাতি বেশি না করতে।আসলে তাঁর জুনিয়র কর্তব্যরত অফিসার বিএমএতে আমার ব্যাচমেট হওয়ায় তার মাধ্যমে তিনি আমাকে ডেকে নেন এবং কথা বলেন।মেজর সাহেবের ভাষায়ই বলি-

    “আচ্ছা বল তো এখন কটা বাজে?বৃহষ্পতিবার ৮ টা বাজতে ৫ মিনিট বাকি তো?মনে কর আমার জুনিয়র “স” কে ঠিক এ মুহূর্তে আমি একটা থাপ্পর মারলাম-মারার পর আমার খুব মন খারাপ হল।এর পর প্রতি বৃহষ্পতিবার তাকে ঠিক ওই সময়ে ফোন করে তার কাছে আমি দুঃখ প্রকাশ করতে লাগলাম।এভাবে বার বার দুঃখ প্রকাশ করলে যাকে আমি থাপ্পড় মেরেছি সে কি আর অপমানিত হবেনা? বিডিয়ারের এই ঘটনা নিয়ে এভাবে বার বার মাতামাতি করলে তাদেরকেই কষ্ট দেয়া হবে,বুঝলে?এত মাতামাতি না করাই ভাল এটা নিয়ে।”

    মেজর সাহেবের মন্তব্যে আমি এতটাই হতবাক হয়েছি যে তাঁর সাথে তর্ক করবার মত রুচি আমার হয়নি।আমরা যারা সেখানে শোক প্রকাশ করতে গিয়েছিলাম তাদের সাথে তিনি কিভাবে ওই থাপ্পড় মেরে তারপর বার বার ক্ষমা চাওয়া লোকটিকে মিলিয়ে উদাহরণ দিলেন সেটা সম্ভবত আন্দালিব ভাইয়ের লেখায় ব্যবহৃত বেল্ট ব্যবহার করেও আমি বুঝতে পারবনা।কথা না বাড়িয়ে উনাকে জানালাম যে আমাদের ভেতরে যাবার প্ল্যান নেই,গেটে দাঁড়িয়েই শোক প্রকাশ করব এবং চলে যাব।

    মেজর সাহেবের কথা অনুসারে ১৯৫২ বা ১৯৭১ এর শহীদদের নিয়েও এত মাতামাতি করা ঠিক না-কারণ এতে বার বার মনে করিয়ে তাদের কষ্ট দেয়া হবে।

    আশার কথা, এ জাতীয় মেজর সাহেবের সংখ্যা সম্ভবত আমাদের সেনাবাহিনীতে খুবই কম,এদের মত চিন্তাধারার লোক বেশি থাকলে নিঃসন্দেহে বিশ্বজুড়ে আমাদের আর্মি এত সুনাম বয়ে নিয়ে আসতে পারতনা।

    ২৫এর শহীদদের সেলাম...

    জবাব দিন
  4. রায়হান রশিদ (৮৬ - ৯০)

    অংশগ্রহণকারী সবার প্রতি শ্রদ্ধা এবং অশেষ কৃতজ্ঞতা উদ্যোক্তাদের প্রতি, বিশেষত সানা ভাইয়ের প্রতি। :salute:
    ঢাকায় থাকলে অবশ্যই আসতাম। মন ছুঁয়ে যায় এই লাইনগুলো:

    আমরা সেখানে মিটিং করিনি, মিছিল করিনি। কিংবা বক্তৃতা করে,কথার তুবড়ি ছুটিয়ে আকাশ বাতাস প্রকম্পিত করিনি। শুধু নীরবে দাঁড়িয়ে ছিলাম। আর তোমাদের স্মরণ করছিলাম। আমরা জানান দিতে চেয়েছিলাম – আমরা তোমাদের ভুলিনি।
    জবাব দিন
  5. রায়হান রশিদ (৮৬ - ৯০)

    একটি প্রস্তাব:
    পিলখানা গণহত্যা নিয়ে দু'দুটো পৃথক তদন্ত হয়েছে। তদন্ত রিপোর্টও নাকি পেশ করা হয়েছে সরকারের কাছে। সম্ভবত সে সবের ভিত্তিতেই বিডিআর জওয়ানদের দেশের বিভিন্ন জেলার আদালতগুলোতে বিচার করা হচ্ছে। এই জওয়ানদের কেউ কেউ সত্যিই ঘটনার সাথে জড়িত হলেও হতে পারে (সে বিচারের ভার এখন আদালতের), কিন্তু এটা সত্যিই বিশ্বাস করা কঠিন তাদের মধ্যেই মূল পরিকল্পনাকারী/ষড়যন্ত্রকারীরা রয়েছে। প্রশ্ন হল, তাহলে সেই মূল পরিকল্পনাকারীরা কোথায়? তাদের কথা মিডিয়ায় বা আদালতে উত্থাপিত হচ্ছে কি? রিপোর্টেও কি উল্লেখ করা হয়েছে তাদের?

    গত বছরের সেই বিখ্যাত "উদ্দেশ্যমূলক ইমেইল প্রচারণাকারী সেনা অফিসারের" মতো হঠকারী কিছু না, কিন্তু বিষয়টি নিয়ে এবার মনে হয় আসলেই কিছু সিরিয়াস পর্যায়ে কাজ করার সময় এসেছে, সম্ভব হলে সিসিবি'র পক্ষ থেকেই।

    তাই, কারও পক্ষে কি সম্ভব অনানুষ্ঠানিকভাবে হলেও নিজেদের ব্যক্তিগত যোগাযোগ কাজে লাগিয়ে এই রিপোর্ট দু'টো জোগাড় করা? তাহলে সিসিবি'র পক্ষ থেকে একটা ছোট সেল গঠন করে রিপোর্টগুলোর ওপর খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে কাজ করা যেতো, একেকটা প্যারাগ্রাফ/অধ্যায় ধরে ধরে সেগুলোর বিশদ ময়নাতদন্তের মাধ্যমে। সেই কাজের ধরণ হতে পারে এরকম:

    ১)
    যাচাই এবং বিচার করা ঠিক কি ধরণের টার্মস অব রেফারেন্স দেয়া হয়েছিল তদন্ত কমিটিগুলোকে?
    ২) টার্মস অব রেফারেন্স নির্ধারণে (দৃশ্যত) কোন ইচ্ছাকৃত/পরিকল্পিত সীমাবদ্ধতা রেখে দেয়া হয়েছিল কি না? অথবা সে সবের সম্ভাব্য/যৌক্তিক কোন বিকল্প ব্যাখ্যা রয়েছে কি না?
    ৩) টার্মস অব রেফারেন্স এর ভিত্তিতে ঠিক কি প্রক্রিয়ায় তদন্তগুলো করা হল? এখানে দেখা যেতে পারে: তদন্তকারীদের যোগ্যতা, তাদেরকে কি ধরণের একসেস, সহায়তা কিংবা সময় দেয়া হয়েছে ইত্যাদি বিষয়গুলো।
    ৪) রিপোর্টে, এর যুক্তিগঠনে, কিংবা এর উপসংহারে - কোন বড় ধরণের ফাঁক, সীমাবদ্ধতা বা কোন বিষয় (সচেতনভাবে) এড়িয়ে যাওয়ার ইঙ্গিত রয়ে গেছে কি না?

    কাজ শুরু হলে প্রশ্নগুলোকে নিশ্চয়ই আরও গুছিয়ে নেয়া যাবে। সিসিবি'র কোন টিম যদি এই উদ্যোগ নেয় তাহলে আমি নিশ্চিত সেখানে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে অনেকেই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে এগিয়ে আসবেন।

    জবাব দিন
  6. ওয়াহিদা নূর আফজা (৮৫-৯১)

    বিডিয়ারের ঘটনা আর তারপর টিভিতে হায়দারের গানটি যতোবার শুনেছি ততোবার চোখ ভিজে উঠেছে। সবার সাথে মিলে একটা মোম জ্বালাতে না পারার কষ্ঠ এখনও বুকে জ্বলছে। আমার জায়গা থেকেই শ্রদ্ধা জানিয়ে যাচ্ছি।
    আমরা ভুলবো না। ভুলবো না।


    “Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
    ― Mahatma Gandhi

    জবাব দিন
  7. আহ্সান (৮৮-৯৪)

    দিনে দিনে কষ্টের বোঝা কেবল ভারী ই হচ্ছে...
    জানিনা, পরোপারে গিয়ে কি জবাব দেব তাঁদের কাছে...ভেবে পাইনা...

    কৃতজ্ঞতা সবার প্রতি যারা আমাদের ভাইদেরকে এখনও স্মরণ করছে...পাশে থাকছেন আমাদের চলে যাওয়া ভাইদের পরিবারের...

    জবাব দিন
  8. কাইয়ূম (১৯৯২-১৯৯৮)

    শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি।
    যারা এসেছেন তাদের সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা।
    এবং, লাবলু ভাইকে অযুত ধন্যবাদ আবারো নিজেই পুরো দায়িত্ব নিয়ে আমাদেরকে শ্রদ্ধা প্রদর্শনের সুযোগটি করে দেয়ার জন্য।


    সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!

    জবাব দিন
  9. দিহান আহসান

    হয়তো শারিরীক ভাবে ওখানে উপস্থিত হতে পারিনি, কিন্তু মানসিক ভাবে শ্রদ্ধার অশ্রু নিয়েই উপস্থিত ছিলাম পিলখানার গেটে অবস্থানরত সিসিবি'র প্রতিটি সদস্যের সাথে।

    শহীদদের জন্য স্রষ্টার নিকট প্রার্থনা এবং প্রিয়জন হারানো পরিবারগুলোর জন্য গভীর সমবেদনা।

    জবাব দিন
    • সানাউল্লাহ (৭৪ - ৮০)

      দিহান অনেক চেষ্টা করেছে সাড়ে ৭টা থেকে আমাদের সঙ্গে ফোনে থাকার জন্য। কিন্তু কোনোভাবেই আমাকে ফোনে পায়নি। যখন পেয়েছে, তখন আমি অফিসে ফিরছি। নিজে গাড়ি চালাচ্ছিলাম। যানজটে আটকে শব্দ, হৈচৈ, চিৎকার চেচামেচিতে ওকে বুঝতেই অনেকটা সময় চলে গেল। আবার ফোনে দেখাচ্ছিল একটা স্থানীয় মোবাইল কোম্পানির নম্বর। আমি এবিসির বার্তা বিভাগের সহকর্মী দিনা মনে করেছিলাম প্রথমে। পরে সব গ্লাস তুলে দিয়ে বুঝলাম দিহান। রাগ করোনি তো আপু?


      "মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"

      জবাব দিন
  10. জুনায়েদ কবীর (৯৫-০১)

    আজ দুই ধরনেরই অভিজ্ঞতা হল...

    একজন লোক আমার সামনের এক সিসিবিয়ানকে প্রশ্ন করল,
    -'আপনারা কিসের জন্য মানব-বন্ধন করছেন???? 😮

    আর একজন পথচারী কাছে এসে বললেন,
    - ভাই, আমি কি আপনাদের সাথে দাঁড়াতে পারি??? :hug:
    শুধু তাই না, তিনি আমাদের একজনের কাছ থেকে মোমবাতি চেয়ে পরম যত্নের সাথে তা জ্বালালেনও... :thumbup:


    ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ

    জবাব দিন
  11. মাসরুফ (১৯৯৭-২০০৩)

    আমরা বেশিরভাগ মানুষ চলে আসার পরেও অনেককেই দেখেছি নিভে যাওয়া মোমবাতিগুলো জ্বালিয়ে দিতে,গেটের ফটকে নিজেরা নিজেরা চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকতে।

    জবাব দিন
  12. মাসরুফ (১৯৯৭-২০০৩)

    @রায়হান ভাই- আপনার প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়ন যদি করতে পারি তাহলে সত্যিকারের কাজের মত একটা কাজ করা হবে।রিপোর্তদুটো যগাড় করাই মনে হয় সবচেয়ে কঠিন হবে...

    জবাব দিন
  13. রকিবুল ইসলাম (৯৯-০৫)

    আমরা সেখানে মিটিং করিনি, মিছিল করিনি। কিংবা বক্তৃতা করে,কথার তুবড়ি ছুটিয়ে আকাশ বাতাস প্রকম্পিত করিনি। শুধু নীরবে দাঁড়িয়ে ছিলাম। আর তোমাদের স্মরণ করছিলাম। আমরা জানান দিতে চেয়েছিলাম – আমরা তোমাদের ভুলিনি। যতদিন না এ নৃশংস গণহত্যার সুষ্ঠু বিচার না হয় ততদিন আমরা জেগে থাকবো।

    তোমরা শান্তিতে ঘুমাও, আমরা জেগে আছি।


    :salute: :salute:
    শ্রদ্ধা সেইসব নিরস্ত্র শহীদ ভাইদের প্রতি

    জবাব দিন
  14. আশিক (২০০০-২০০৬)

    ভালো লাগলো ......আপনাদের ছোট্ট চেষ্টা এর জন্য......কষ্ট একটু হলেও কমে যায়...যখন ভাবি আমদের কষ্ট ভাগ করে নিতে অনেকেই আছে...আমি army তে আছি...... নিজে হাতে আমার senior এর লাশ দাফন করেছিলাম...জানি না বিচার হবে কিনা...কিন্তু আপনারা আমদের সাথে থেকেন plzzzzzzzzz

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : রেজওয়ান (৯৯-০৫)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।