আঁতলামি আপডেট ২

আন্ডারগ্রাজুয়েশনের পাট চুকিয়ে কয়েকদিন বেশ ভালোই ছিলাম। নিজেকে কেমন বড় বড় মনে হত। যখন দেখতাম ক্লাস ১/২ তে পড়া আন্ডাবাচ্চা সারাদিন ঘাড়গুজে পড়াশুনা করছে তখন মনে হত আমাকে আর এমন করে পড়তে হয় না । আত্বতুষ্টিতেই মনটা ভরে যেত।

মিডটার্ম নেই, সেমিস্টার ফাইনাল নেই, এ যেন এক শান্তির জীবন।

এই সুখ কপালে সইলো না বেশীদিন। লোকজনের খালি একই প্রশ্ন,
” বাপের হোটেলে আর কত দিন ?”
অতএব স্যান্ডেলের তলা ক্ষয় করে চাকরি খোঁজা শুরু কর।

চাকরির কপাল ভালোই বলতে হবে। প্রথম ইন্টারভিউয়েই চাকরি। শুরুতে শুরুতে সব কিছুই ভালো লাগে। আমাকেও সেই রোগে ধরলো। চাকরিতে এসে যাই করি ভালো লাগে। এক মাস গেল, দুই মাস গেল, তিন মাস গেল, ধুর চাকরি আর ভাল্লাগে না। এর চাইতে রিকশা চালানো ভালো।

অফিসে লোক দেখানোর জন্যে এ.সি. লাগানো। গরমে প্রান বাইর হয়ে গেলেও এ.সি. চলে না, চলে কেবল ইনস্পেকশনের দিন। বুইড়া বস কথা এক কান দিয়া শুইনা আর এক কান দিয়া বাইর কইরা দ্যায়। এক গল্প সপ্তাহে তিন বার করে শুনতে হয়। সেই হিসাবে এক গল্প মাসে বারো বার (কমপক্ষে)শুনি । সারাদিন বসের কোন কাজ থাকে না। ঠিক অফিস থেকে বের হবার সময় তার এই কাজ সেই কাজ করে দৈনিক এক ঘন্টা (কমপক্ষে) লেট করতেই হবে। এই অত্যাচার আর কাহাতক সহ্য হয়? মেজাজটাই গেল বিগড়ায়। আহা এর চেয়ে ইউনিভার্সিটি কত্ত ভালো ছিল। এখন চাকরি ছেড়ে আবার ছাত্র হবার ধান্দায় আছি।
সকলের নিকট দোয়াপ্রার্থী।

১,৪৪৮ বার দেখা হয়েছে

৭ টি মন্তব্য : “আঁতলামি আপডেট ২”

মওন্তব্য করুন : ফখরুল (১৯৯৭-২০০৩)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।