তিন দশক পর সফল হলেন জিয়াউর রহমান

গত শতকের আশির দশকে নেওয়া জিয়াউর রহমানের ‘কর্মসূচি’র সাফল্য দাবি করতে পারি এখন আমরা! পার্বত্য চট্টগ্রামে আদিবাসী : বাঙালি অনুপাত এখন প্রায় ৫০ : ৫০! তিন পার্বত্য জেলার মধ্যে দুটিতে এখন আমরা বাঙালিরা সংখ্যায় পাহাড়িদের চাইতে বেশি! আমরা বাঙালি শাসকগোষ্ঠি এখন ‘নাকে তেল দিয়ে ঘুমাতে পারি’ এই ভেবে যে পার্বত্য চট্টগ্রাম আর স্বাধীন হতে পারবে না! পাহাড়িরা বড়জোর আগামী দশকে প্রকৃতভাবেই নিজভূমে পরবাসী হবে!

যারা জানেন অথবা জানেন না তাদের সবার জন্যই বলি, জিয়াউর রহমান তার শাসনামলে পার্বত্য চট্টগ্রামকে পুরোপুরি সামরিক অঞ্চলে পরিণত করেন। তিনি পাহাড়ি আদিবাসী জনগোষ্ঠিকে সংখ্যালঘুতে পরিণত করার জন্য সমতল থেকে দরিদ্র, নদীভাঙা উদ্বাস্তু, ভূমিহীন, চরের বাঙালিদের পার্বত্য চট্টগ্রামে নিয়ে বসতি গড়ে তুলেছিলেন। জিয়াউর রহমান আজ নেই। তিনি বেঁচে থাকলে আজ ভীষণ আনন্দ পেতেন এই দেখে যে, বাঙালিদের দিয়ে আদিবাসীদের ‘প্লাবিত’ করার তার তিন দশকের পুরনো সামরিক নীতি শেষ পর্যন্ত সফল হয়েছে।

‘শান্তিচুক্তি’কে এবার আমরা লাথি মেরে আবর্জনার স্তুপে ফেলতেই পারি! পাহাড়ে আমরা কবরের শান্তি প্রতিষ্ঠা করেছি। আসুন, আমরা জোর গলায় আওয়াজ তুলি, “জাগো বাঙালি জাতীয়তাবাদ”। বিশ্বের তাবৎ নিপীড়ক জাতির মতো আমরা বাঙালিরা এখন বিশ্বের সবচেয়ে সুখী জাতি!

বাংলাদেশ জনশুমারি (আদমশুমারি) প্রতিবেদন ২০১১

পার্বত্য চট্টগ্রামের জনসংখ্যা
মোট: ১৬ লাখ ৬৩ হাজার ২১৪ জন
আদিবাসী জনসংখ্যা: ৮ লাখ ৫৬ হাজার ৫৪১ জন
বাঙালি জনসংখ্যা: ৮ লাখ ০৬ হাজার ৬৭৩ জন

রাঙামাটি
মোট: ৬ লাখ ২০ হাজার ২১৪ জন
আদিবাসী: ৩ লাখ ৬৫ হাজার ১৫৩ জন
বাঙালি: ২ লাখ ৫৫ হাজার ৬১ জন

বান্দরবান
মোট: ৪ লাখ ৪ হাজার ৩৩ জন
আদিবাসী: ১ লাখ ৭২ হাজার ৪০১ জন
বাঙালি: ২ লাখ ৩১ হাজার ৬৩২ জন

খাগড়াছড়ি
মোট: ৬ লাখ ৩৮ হাজার ৯৬৭ জন
আদিবাসী: ৩ লাখ ১৬ হাজার ৯৮৭ জন
বাঙালি: ৩ লাখ ২১ হাজার ৯৮০ জন

(তথ্য সৌজন্য: হরি কিশোর চাকমা, সাংবাদিক)

৭,১১৬ বার দেখা হয়েছে

৩৮ টি মন্তব্য : “তিন দশক পর সফল হলেন জিয়াউর রহমান”

    • রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

      হ্যাঁ মুহিব সাহেব সানা ভাই দুটোই বলছেন বাঙালি উৎখাত এবং পাহাড়ীদের স্বাধীনতার কথাই বলছেন। অলরেডি তাদের (তথাকথিত বিচ্ছিন্নতাবাদীদের) জন্য আমরা পতাকা ও জাতীয় সঙ্গীত নির্বাচন করেছি; এটাও রবি ঠাকুরের লেখা।
      আমরা পাহাড়ীদের মুক্তি আন্দোলনের জন্য তহবিল সংগ্রহ শুরু করেছি। শীঘ্রই অত্যাধুনিক অস্ত্রের চালানটি হেলিকপ্টারে করে পাহাড়ীদের গ্রামে গ্রামে ফেলা হবে।
      পাহাড়ী জাতিয়তাবাদ জিন্দাবাদ।


      এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

      জবাব দিন
    • জানার আছে অনেক কিছু

      মিস্টার সানাউল্লাহ কী চাইছেন তিনিই ভালো বলতে পারবেন। তবে আমার মনে হয় তাঁর কিংবা তাদের মত চিন্তার মানুষের জন্যই এই অঞ্চলের শান্তি নষ্ট হচ্ছে এবং এদের কারণেই পাহাড়ে জাতিগত হানাহানি আর বিশ্বাস অবিশ্বাসের ঘটনাগুলো ঘটে। শান্তির পক্ষের চাইতে উসকানি দেয়ার মত কথাগুলোই এদের মত মানুষের ব্লগে স্থান পায়।মি. সানা উল্লা আপনার মত এত বিজ্ঞ! আমি নই তবে আমার মনে হয় পাহাড়ে অশান্তির জন্য আমাদের মানসিকতাই সবচাইতে বড় প্রতিবন্ধক......একটু ভেবে দেখবেন।

      জবাব দিন
      • আন্দালিব (৯৬-০২)

        ব্লগারের নামটাও যে ঠিক করে লিখতে পারে না, তার এমন আক্রমণমূলক মন্তব্য ছাড়ার কোন মানে হয় না।

        রাজনীতিবিদদের মত দোষ চাপানো মন্তব্য এটা। না আছে যুক্তি, না আছে ফোকাস। ধুর!

        জবাব দিন
      • সানাউল্লাহ-কে ধন্যবাদ। অপ্রিয় সত্য কথনের জন্য। এর মাধ্যমে তিনি ইতিহাসের সত্যতার অংশ বিশেষ তুলে ধরেছেন মাত্র। ...সেই সাথে তাদের উদ্দেশে একটি কথা না বলে পারা গেল না... যারা সানাউল্লাহদের লেখায় উস্কানির গন্ধ পান... তারা আসলে এসব অভিযোগ তুলে মুজিব, জিয়া, এরশাদ, খালেদা, হাসিনা'দের মানবতার বিরূদ্ধে জঘন্য অপরাধগুলোকে ধামাচাপা দিতে চান কিংবা দেওয়ার সুযাগ করে দিয়ে থাকেন...। কাজেই সানাউল্লাহ'দের কাছে এই জাতির কিছু পাওয়ার থাকলেও তাদের কাছে আপাতত পাওয়ার কিছুই নেই। কারণ তারা উস্কানির ধোয়া তুলে সত্যেক এড়িয়ে যেতে পছন্দ করেন...অন্যদের প্রতিবাদ করার ক্ষেত্রকে সংকোচিত করেন...

        জবাব দিন
  1. আন্দালিব (৯৬-০২)
    জাগো বাঙালি জাতীয়তাবাদ।

    ভুল বললেন লাবলু ভাই! বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ হবে! বাংলাদেশ জিন্দাবাদ!

    বিশেষ করে বান্দরবানের পরিসংখ্যানটা দেখে আমার বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদে ভরা বুকটা কাপ্তাই হ্রদের পানির লাহান ফুইলা উঠলো! সোভানাল্লা!

    জবাব দিন
  2. রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

    সানা ভাই
    :boss: :boss: :boss:
    ভাষা নাই।
    বাংলাদেশী জাতিয়তাবাদ জিন্দাবাদ।


    এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

    জবাব দিন
  3. রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

    এইরকম একটা পোষ্টের সাথে মহান জাতীয়তাবাদী নেতা শহীদ জিয়ার একটা ছবি ভালো যাইতো। তার ছবিরেও দুইটা পেন্নাম ঠুকতাম।


    এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

    জবাব দিন
  4. সাইফ শহীদ (১৯৬১-১৯৬৫)

    লাবলু,

    সমস্যার শুরুটা কিন্তু করেছিলেন মুজিব, যখন পাহাড়ীদের বলেছিলেন - "তোরা বাঙ্গালী হয়ে যা।"

    এখন চেষ্টা করা উচিত কি করে সম্পূর্ণ আরাকান দখল করে নেওয়া যায়। এর পরের পদক্ষেপ আসামসহ '৭-বোন রাজ্যগুলি'তে ঢুকে পরা। আমি সহ প্রায় ১ কোটি বাঙ্গালী পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ইতিমধ্যে ঢুকে পড়েছি। আশা করবো এই সংখ্যা শিঘ্রই দ্বিগুন হয়ে যাবে।

    জবাব দিন
    • রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

      সাইফ ভাইয়া
      সালাম।
      মুজিব কিন্তু আরো অনেক কিছুই বলেছিলেন, যেমন
      লাল ঘোড়া দাবড়াইয়া দিমু।
      এখন সিরাজ সিকদার কই?
      আমার কম্বল কই?
      ইত্যাদি
      কিন্তু পাহাড়ীদের সমস্যার জন্য মুজিব কে দায়ী করা যায় না।
      রাষ্ট্র ধর্ম তো ইসলাম। হ্যাঁ অবশ্যই এতে অন্য ধর্মের অনুসারীদের খাটো করা হয়েছে। কিন্তু এতে কিন্তু বাংলাদেশের হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান রা বিপন্ন হচ্ছে না।
      ঠিক একই কথা বলা যায় মুজিবের তোরা বাঙালি হইয়া যা উক্তির ক্ষেত্রে।
      ৭৫ থেকে (মূলত ৭২ থেকেই) আজ পর্যন্ত মুজিব বিরোধী যে প্রপাগান্ডা চলেছে তার জন্যই এসব কথাকে বড় করে দেখা হয়।


      এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

      জবাব দিন
    • মুজিব (১৯৮৬-৯২)

      সাইফ ভাইয়া
      সালাম।
      বাংলাদেশের ভূখণ্ডে বসবাসকারী চাকমা, মারমা কিংবা উর্দুভাষী বিহারীরা তো সাংস্কৃতিক পরিচয়ে বাঙালী নন। তাহলে তাঁদেরকে কেন বাঙালী হয়ে যেতে হবে? খুব সংক্ষেপে এর উত্তর হল, সাংস্কৃতিক পরিচয় আর জাতীয়তা এক জিনিস নয়। বিশদ ব্যাখ্যায় না গিয়ে ছোট একটা উদাহরন দেই। ফ্রান্সের সকল মানুষ কিন্তু ফ্রেঞ্চ নয়। সেখানে নানান জাতের-বর্ণের-ভাষার মানুষের বসবাস। আজ যদি আমি কোনভাবে ফ্রান্সের নাগরিকত্ব লাভ করি তবে, সাংস্কৃতিক ও নৃতাত্বিক ভাবে বাঙালী এই আমারও জাতীয়তা হবে ফ্রেঞ্চ (ফ্রান্সিয়ান বা এই জাতীয় কিছু নয়)। অর্থাৎ, আমাকে তখন "তোরা সবাই ফ্রেঞ্চ হয়ে যা" - এই হুকুমটা অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে হবে। ফ্রান্সের মত ভাষাসংস্কৃতির উপরে ভিত্তিকরে গড়ে ওঠা প্রত্যেকটি দেশের ক্ষেত্রেই একই ব্যাপার ঘটে। তেমনি বাংলাদেশের সকল অধিবাসীর জাতীয়তা হবে বাঙালী, কেউ তাঁকে তাঁর সাংস্কৃতিক পরিচয় পরিবর্তন করতে বলছে না। তাহলে এখানে এত আপত্তি করার কি আছে?

      একটি বিশেষ ঘরানার মানুষদের কাছে, এই জেনারেল জিয়া যখন হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান সহ সকল অমুসলিম "বাংলাদেশী" দেরকে আল্লাহর উপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস রাখতে বাধ্য করেন তখন সেটা খুবই যুক্তিসঙ্গত মনে হয়, আর বাংলাদেশের অধিবাসী অবাঙালীদেরকে জাতীয়তার ঘরে "বাঙালী" শব্দটা লিখতে বললে বিরাট বড় দোষের কাজ বলে মনে হয়। জাতীয় পরিচয় বাঙালী হলে কারোর ব্যক্তিগত বিশ্বাস বা সংস্কৃতির ওপরে কোন প্রকার আঘাত আসে না, কিন্তু একজন অমুসলিমকে আল্লাহর উপর বিশ্বাস ও আস্থা রাখতে বাধ্য করা আর একজন মুসলমানকে মুরগি জবাই করার আগে শীবের নাম স্মরন করতে বলা - দুটোই একই মাত্রার অপরাধ। জেনারেল জিয়া ইসরাইলের মত পরিকল্পিত ভাবে পাহাড়িদেরকে নীরবে উচ্ছেদ করে সেখানে অপাহাড়ীদেরকে স্থাপন প্রক্রিয়ার সূচনা করেছেন। এতে করে পাহাড়িদের সংস্কৃতির উপরে ভয়াবহ রকমের আঘাত এসেছে, তাঁদের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়েছে। আধুনিক গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় রাষ্ট্রের কাছ থেকে এরকম কোন আচরণ একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়। বিশেষ করে তিনি যেখানে "বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা" হিসাবে বহুল প্রচারিত, সেখানে তাঁর কাছ থেকে এহেন আচরণ একেবারেই অনাকাঙ্খিত ছিল।


      গৌড় দেশে জন্ম মোর – নিখাঁদ বাঙ্গাল, তত্ত্ব আর অর্থশাস্ত্রের আজন্ম কাঙ্গাল। জাত-বংশ নাহি মানি – অন্তরে-প্রকাশে, সদাই নিজেতে খুঁজি, না খুঁজি আকাশে।

      জবাব দিন
  5. নূপুর কান্তি দাশ (৮৪-৯০)

    কি বলবো সানা ভাই,
    বাঙালিত্বের লজ্জা রাখি কই।
    রাষ্ট্রযন্ত্র যখন নিপীড়কের ভূমিকায় তখন মানুষের যে কি পরিণতি হয়!
    এবং আরো এক-দেড় দশকের মধ্যেই এই পরিসংখ্যান আরো ঘুরে যাবে বাঙালিদের দিকে,
    প্রান্তিক মানুষগুলো একসময় হাওয়ায় মিলিয়ে যাবে।

    জবাব দিন
  6. রাব্বী (৯২-৯৮)

    পার্বত্য চট্টগ্রামের জনসংখ্যা অর্ধেক আদিবাসী এবং অর্ধেক বাঙালি এই পরিসংখ্যানে অবাক হইনি। কারণ ২০০১ এর সেনসাসে এটা ছিল ৫১:৪৯। কিন্তু যেটা অবাক করলো তা হলো, বান্দরবানে বাঙালির সংখ্যা আদিবাসীদের দ্বিগুন বেশি। আমার ধারণা ছিল হয়তো সংখ্যাটা রাঙ্গামাটি বা খাগড়াছড়িতে বেশি হতে পারতো। অবশ্য কারণ হয়তো এটা যে বান্দরবানে এথনিক ডাইভারসিটি বেশি হবার কারণে সেটেলার বাঙ্গালি তেমন প্রতিরোধের মুখোমুখি হয়নি। যেটা রাঙ্গামাটি এবং খাগড়াছড়িতে প্রতিরোধের মুখোমুখি হতে হয়। আর বাঙালি অভিবাসন প্রক্রিয়া এখনো চলমান। পার্বত্য চট্টগ্রাম দিন দিন পুরোপুরি একটি সেটেলার্স কলোনিতে পরিনত হচ্ছে। সেই একই পুরোনো নীতি, সামরিক শক্তি দিয়ে ইন্টারন্যাল কলোনি প্রতিষ্ঠা করা। কোন ভৌগলিক জনগোষ্ঠির জন্য তিন দশকের বেশি সময় সর্বোচ্চ সামরিক শক্তি জারি রাখা রাষ্ট্র হিসেবে গ্লানির এবং ব্যর্থতার পরিচয় দেয়।

    পার্বত্য চট্টগ্রামে সামরিক শক্তি ব্যবহার ব্রিটিশ উপনিবেশ আমল থেকেই চলে আসছে - এর মাঝে সবচেয়ে কলঙ্কজনক অধ্যায়টা বাংলাদেশ সময়ে। অবশ্য সেনসাসের ৫০:৫০ "সাফল্যের" এথনিক পপুলেশন ইঞ্জিনিয়ারিংটার "কৃতিত্ব" জিয়াউর রহমান এবং তৎকালীন চট্টগ্রামের জিওসিকে দেয়া যেতে পারে! 'পার্বত্য চুক্তি ১৯৯৭' অনেক বছর ধরেই শুধু একটি কাগুজে দলিল দুঃখজনক হলেও। নতুন সেনসাসের ফলাফল তুলে ধরে সমঅধিকার আন্দোলন এবার চুক্তি বাতিলের দাবি যথাযথভাবে তুলে ধরতে পারবে।


    আমার বন্ধুয়া বিহনে

    জবাব দিন
  7. কি আর বলব লাভলু ভাই । আর ৫ টা বছর যাক , তারপর আমাদের আপনারা পাগলের মত খুজে বেড়াবেন । কথায় বলে চোখের সীমানায় যা থাকে তার দাম কেউ বুঝে না। দূরে চলে গেলে কিংবা হারিয়ে গেলে কেবল বুঝা যায় ।

    জবাব দিন
    • জানার আছে অনেক কিছু

      সত্যই বলেছেন! দাঁত থাকতে দাঁতের মূল্য না বোঝার মতই!!!!
      তবে ব্লগের লেখা গুলো পড়ে মনে হচ্ছে আসল সত্য না জেনেই অনেকে মন্তব্য লিখছেন। জিয়া কিংবা মুজিব কি করেছেন তা চিন্তার আগে এখনকার রাজনীতি ও পাহাড়ীদের নেতৃত্ব কিভাবে বিষয়গুলো দেখছে তা নিয়ে চিন্তার সময় এসেছে!!!!! একে অন্যকে দোষ না দিয়ে সমাধানের পথ খঁজতে হবে। আজ যারা জাতি, উপজাতি, ক্ষুদ্র-নৃ-গোষ্ঠি কিংবা আদিবাসী যাই বলি না কেন নিয়ে বড় বড় কথা বলছেন তারা নিজেরাও মনে হয় চান না এ এলাকায় শান্তি প্রতিষ্ঠা হোক । পাহাড়ীদের মধ্যে জাতিগত হিংসা’টা অনেক বেশী!!!! আর বিদেশীরা যে ভাবে পাহাড়ীদের নগদ সহায়তা করছে তাতে তাদের নিজস্ব স্বকীয়তাই হয়তো একটা সময় বিলীন হয়ে যাবে। পাহাড়ীদের সরলতার সুযোগে তাদের পরিচয় পাল্টানো নগদ সহায়তা, বিদেশে পড়ার সুযোগ সৃষ্টি, দামী গাড়িতে চড়ার সুযোগ, ভালো কাপড়-চোপড় ব্যবহারের প্রতি আকৃষ্টতার মাধ্যমে যে আপনাদের শরীর থেকে কাপড় যে খুলে নিচ্ছে তা আপনারা টেরও পাচ্ছেন না অথবা পেয়েও না পাওয়ার ভাণ করছেন। বাস্তবে নেমে আসুন আর নিজের জাতিকে বাচাতে যা করনীয় তার প্রতিই মনোযোগী হন......আপনাদের সময় ভালো কাটুক.

      জবাব দিন
      • রাব্বী (৯২-৯৮)

        আসল সত্যটা কি শুনি?

        মুজিব বা জিয়ার কি করেছেন কোন অর্থেই বর্তমানে অপাংতেয় না - এখনকার সমস্যাগুলো সব দাড়িয়ে আছে অতীতের ভুলের উপর। আপনি একবার বললেন জাতিগত হিংসার কথা, আবার বলছেন পাহাড়ীদের সরলতার কথা - দুটো পরষ্পরবিরোধী কথা বললেন একই সাথে। আমরা পার্বত্য অঞ্চলের মানুষদের বঞ্চিত করবো, পরিচয় স্বীকৃতি দিবো না, চুক্তি করে প্রতিশ্রুতি রাখবো না, অঞ্চলটিকে মিলিটারি টেরিটোরি বানিয়ে রাখবো দশকের পর দশক আবার শান্তি প্রতিষ্ঠার দায়টুকুও তাদের দিকে ঠেলে দিবো - বেশ চমৎকার আবদার!

        বিদেশি সাহায়্যের সমালোচনা হতেই পারে। কিন্তু বিদেশি সাহায্য, পরামর্শ, মাতব্বরি, স্কলারশিপ, লাইফস্টাইল এসব কি আমরা সমতলে কোন দিক দিয়ে কম নিয়েছি বা নিচ্ছি? ভুলে যাবেন না, বিদেশি দাতারা বাংলাদেশের নামই দিয়েছিল "তলাবিহীন ঝুঁড়ি।" একই দেশের মানুষদের সাংস্কৃতিক পার্থক্যের জন্য একপেশে সমালোচনা করার আগে সে বিষয়ে নিজের অবস্থানটা দেখুন না একবার যাচাই করে। ভাল কাপড়চোপড় এবং ভালটা খাবার প্রতি আপনি আমি কি কোন অংশে কম আকৃষ্ট হই?


        আমার বন্ধুয়া বিহনে

        জবাব দিন
  8. এই সংখ্যায় কিছুটা এরর আছে ।যেমন-চট্টগ্রাম ইপিজেটে প্রায় ৫০ হাজার পাহাড়ী শ্রমিক বাদ পড়ে গেছে,আর অন্যান্য পেশাজীবি এবং ছাত্র হিসেব করলে আরও ৫-৬হাজার পাহাড়ী বাদ পড়ে যায় চট্টগ্রাম শহরে আবস্হানের কারণে, ঢাকা ইপিজেটে প্রায় ১০-১২ হাজার নিয়োজিত আর অন্যান্য পেশাজীবি এবং ছাত্র হিসেব করলে আরও ৫-৬হাজার পাহাড়ী বাদ পড়ে যায় ঢাকায় আবস্হানের কারণে,আর পার্বত্য চট্টগ্রাম দুর্গম হওয়ার কারণে পাহাড়ীদের সঠিক গণনা করা কখনও সম্ভব হয় না।তাই প্রতি বারেই ১০-১৫ হাজার মানুষ গণনার বাহিরে থেকে যায়।আর বাঙালি যারা গণনায় আছে এর মধ্যে ১৫% ভ্রাম্যমান শ্রমিক যারা আসা যাওয়ার মধ্যে থাকে।

    জবাব দিন
    • লিও, আমিও গণনায় বাদ পড়েছি। প্রসঙ্গ সেটা নয়। প্রসঙ্গ হচ্ছে সেখানে দ্রুত জনমিতির পরিবর্তন--- যা রাজনৈতিক আর অস্বাভাবিক-- যার মধ্যে মুজিব, জিয়া প্রভৃতি শাসকদের অভিলাস প্রতিফলিত---

      জবাব দিন
  9. লাবলু
    কিছু জীব আছে যারা ভাবে দুটি চোখ দুটি কান দুটি পা দুটি হাত আর শরীরে কিছু গোস্ত ও পানি থাকলে মানুষ এর পরিচয় দেয়া যায়, অথচ ওরা ভুলে যায় মানুষ হতে হলে মনুষ্যত্ব প্রয়োজন। আর মনুষ্যত্বহীন
    মানুষ মাকেও চিনে না

    বিপ্রঃ পশুরা মা বোন চিনে না ॥

    জবাব দিন
  10. ইসলাম কি শান্তির ধর্ম ??? বীর বাঙ্গালি জাভি না ইসলাম ধর্মের অনুসারি ??? কেয়ামতের দিন আসুক, ঐ দিন বীর বাঙ্গালি জাভির বিচার হবে| বীর বাঙ্গালি জাতি এদিকে পাহাড়ীদের জমি দখল করছে,আর ঐদিকে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনিদের (ইসলাম ধর্মের অনুসারী ) জমি দখল করছে। বা !!! কি ভারসাম্য !!!!

    জবাব দিন
  11. উনি সব দেখছেন,এই দুনিয়াতে কারো প্রতি অন্যায় অবিচার করে কেউ রেহাই পাইনি। যেদিন এই অন্যায় অবিচার সীমা ছাড়বে সেদিন কেয়ামত হবে ,আগুনে পুড়ে দুনিয়া ছাই হবে। বাংলাদেশের আজ যে অবস্থা ,মনে হচ্ছে আমরা কেয়ামতের দিকে দ্রুত ধাবিত হচ্ছি

    জবাব দিন
  12. মুহিব (৯৬-০২)

    ভাই পার্বত্য চট্টগ্রামকে আলাদা ভূখন্ড হিসাবে কেন দেখছে কেউ কেউ তাই তো বুঝতে পারছি না? দেশ স্বাধীন হবার সময় কি ঐ অংশটা ছাড়া হয়েছিল না কি? হতে পারে সেখানকার সংস্কৃতি, ভাষা আলাদা কিন্তু জাতিয়তা কেন আলাদা হবে?

    জবাব দিন
  13. এ পৃথিবী ছেড়ে চলে যাওয়ার আগে সত্য কথনের জন্য সানাউল্লাহ'কে ধন্যবাদ জানাচ্ছি-- সত্যের জয় হোক। আশাকরি তিনি এই পরিস্থিতির জন্যে সবার আগে মুজিবের নাম বলবেন---

    জবাব দিন
  14. হুমায়ূন আজাদের বইতে দেয়া টাইম লাইন অনুযায়ী শান্তি বাহিনীর সশস্ত্র কার্যক্রমের চিন্তা এবং প্রশিক্ষণ শেখ মুজিবুর রহমান জীবিত থাকতেই হয়েছিল।
    শেখ মুজিবুর রহমান আগস্টে মারা গেলে এম এন লারমা মহোদয় ভারতের সবুজ সঙ্কেতে ৭৬ এঁর শুরুতেই শান্তি বাহিনীর কার্যক্রম শুরু করেন। পাহাড়ে বাঙ্গালি মাইগ্রেসন তারও ৪ বছর পরের কাহিনী।

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : সাইফ শহীদ (১৯৬১-১৯৬৫)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।