দিনযাপন : কেটে যাচ্ছে, রক্ত ঝড়ছে না

এক. রোববার রাতে মামুনের বাসায় বন্ধুদের আড্ডা বসেছিল। রাত পৌণে বারটায় বাসা থেকে ফোন, “কোথায় তুমি?” বললাম, এখনও আড্ডায়। বললো, “শোনো, দেরি করো না। হাউজিংয়ের লোকজন এসে বলে গেছে, সাবধানে থাকবেন। বাসার পাহারাদারকে রাতে জাগিয়ে রাখবেন। হাতে লাঠি আর বাঁশি দেবেন। প্রায় প্রতিদিনই এখানে ডাকাতি হচ্ছে। এসব শুনে বাসায় সবাই বিশেষ করে আম্মা খুব টেনশন করছেন।” ঠিক আছে- বলে আমি বাসার লোকজনকে আশ্বস্ত করলাম। সাড়ে বারোটায় বাসায় পৌঁছেও গেলাম।

জুলাই মাসের শুরুতে মিরপুরে ইস্টার্ণ হাউজিংয়ের পল্লবী-দুইয়ে একরকম স্থায়ী আস্তানা গেড়েছি। এখানে আসার কয়েকদিনের মধ্যে সামনের দোতলা বাসায় ডাকাতি হলো। সকালে ঘুম থেকে জেগে খবর জেনে নিচে নেমে বুঝলাম, ডাকাত চক্রটি আমাদের বাসায়ও হানা দিয়েছিল। কিন্তু আমাদের দুই বিশ্বস্থ পাহারাদার- আদরের সারমেয় ‘এডি’ ও ‘ইউনিও’র চিৎকার-চেচামেচি আর বাসার নিরাপত্তা ব্যবস্থার কারণে তারা সফল হয়নি। তারপর প্রায়ই আশেপাশে ডাকাতির খবর পাই। নভেম্বরে প্রথম সপ্তাহে এক পারিবার এসে হাজির। কর্তাটির হাতে বড় ব্যান্ডেজ। তারা মরিয়া। আমাদের বাসা ভাড়া চান। দুই গলি সামনে ওরা বাড়ি করছেন। সেখানেই বসবাস উপযোগী করে একটা ফ্লাটে থাকছিলেন। কিন্তু ডাকাতদল হানা দিয়ে তাদের সবকিছু নিয়ে গেছে। বোনাস হিসেবে আবার কর্তার হাতে কোপও দিয়েছে! মানবিক কারণে রাজি না হয়ে উপায় ছিল না। তারপর থেকে প্রায় প্রতিদিনই আরো খবর আসছে। গতকাল শুনলাম আরো দুটি ঘটনা।

১৯৯৩ সালে এক ভোর রাতে গায়ে ধাক্কা আর কিছু কথায় ঘুম ভেঙ্গে গিয়েছিল। দেখি একেবারে অন্দরমহলে ৬-৭জন লোক; মুখ বাধা, কেউ খালি গা, কেউ হাফ প্যান্ট, লুঙ্গি পড়া। বললো, “উঠ। একদম চুপ। কোনো আওয়াজ না। আমরা ডাকাত। ডাকাতি করতে আসছি।” তারপর আমাকে ওরা বাধলো, আমার স্ত্রী, মা, ছোট ভাই ও ভাগ্নেকে এক কক্ষে পাহারায় রেখে ওরা পুরো বাড়ি তছনছ করলো। ওদের তাণ্ডবে অতিষ্ট হয়ে এক পর্যায়ে আমার স্ত্রী উঠে গিয়ে স্টিলের আলমারির লক খুলে দিয়ে আসলো। নগদ টাকা আর স্বর্ণালংকার সব ওরা লুটে নিল। ওই ট্রমা এখনো আমরা কাটিয়ে উঠতে পারিনি। একজন ব্যক্তি মানুষের সবচেয়ে ব্যক্তিগত অবস্থান- শোয়ার ঘরে ভোর রাতে বহিরাগতের উপস্থিতি মেনে নেওয়া ভীষণ কঠিন। এরপর থেকে কুকুর পালা আমাদের পরিবারের অনুসঙ্গ হয়ে গেছে। আর এখনো প্রতি রাতে বারবার দরজা, জানালার লক খেয়াল করা, নিরাপত্তা নজরদারি, কোনো আওয়াজ হলেই চমকে ওঠা- এসব আমার অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।

এটা কেমন জীবনযাপন? আতংকের সঙ্গে বসবাস! নিরাপত্তাহীনতায় দিনযাপন! একদিন, এক সপ্তাহ, এক বছর, এক দশক, এক যুগ, যুগ যুগ……. আমৃত্যু?? জানালা খুলে ঘুমোনো যাবে না। পাহারা ছাড়া বাঁচা যাবেনা!

দুই. ছেলে উদয়ের ফাইনাল পরীক্ষা শেষ। ও এবার ক্লাস নাইনে উঠবে। ফাইনাল পরীক্ষার সময় পড়াশুনা করা নিয়ে মা-ছেলের মধ্যে সপ্তাহ দুয়েক যুদ্ধাবস্থা চলছিল। পড়াশুনা না করে ছেলের পিএসপি খেলা, নেট-টিভিতে মগ্ন থাকা, সেলফোনে বন্ধুদের সঙ্গে কথা কথা আর কথায় ত্যক্ত-বিরক্ত মা যুদ্ধ ঘোষণা করলো। মায়ের বকাঝকা খেয়ে ছেলে সেলফোন ছুড়ে ফেললো। মা পিছিয়ে থাকবে কেন? সেও দিল এক আছাড়! ব্যস, সেলফোন বাবাজি অক্কা পেলেন। এরপর মা আর ছেলের স্নায়ুযুদ্ধ চললো দুই সপ্তাহ। মা ভাঙে, কিন্তু ছেলে অনড়। বাবা পড়ল বিপদে, মা আর ছেলের মাঝখানে। প্রতিদিন খোঁজখবর নেয়- যুদ্ধ থামলো কিনা। মা সন্ধি করতে রাজি, কিন্তু ছেলে অটল! এরই এক পর্যায়ে ছেলের হাতে একটা গুটলি দেখা দেওয়ায় বাবা সুযোগটা নিল। মাকে টেনে নিল ছেলের ঘরে। তারপর একরকম জোর করে সমঝোতা স্থাপন হলো। শান্তি, ওম শান্তি। কিন্তু কিসের কি!

পরীক্ষা শেষ তাই ছেলে এখন প্রতিদিন একটা করে তার চাহিদার তালিকা করে। এই তালিকায় প্রতিদিন নতুন নতুন পণ্য যোগ হচ্ছে। নতুন সেলফোন চাই। চাই ফুটবল বুট, জার্সি। পিএস-থ্রিও আছে কেনার তালিকায়। নতুন নতুন গেম, আরো কতো কি! ছেলের মা এখন কপট রাগের সঙ্গে আমার কাছে অভিযোগ করে, “সমঝোতা করে তো বিপদেই পড়েছি। যুদ্ধাবস্থাই ভালো ছিল। কোনো আবদার ছিল না।”

বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলে জানলাম, মা-ছেলে-মেয়ের যুদ্ধ আর সমঝোতা সব সংসারেই প্রতিদিনের ঘটনা। আর বাবারা এখানে বেশ একটা সুবিধাজনক অবস্থানে আছে। একরকম মধ্যস্থতাকারী? খারাপ না পরিস্থিতিটা। নিজে চাপমুক্ত। ভালোই উপভোগ করছি।

তিন. ফৌজদারহাটের সুবর্ণজয়ন্তী আর এবিসি রেডিও’র প্রথম জন্মদিন নিয়ে কিছুটা ব্যস্ততা আছে। পঞ্চাশটা বছর পেরিয়ে গেছে। কলেজটা বুড়িয়ে গেছে। আমরাও। কিন্তু মনে-প্রাণে তো এখনো কিশোর-তরুণ!! গতকাল আড্ডায় এ নিয়েই কথা, পরিকল্পনা হচ্ছিল। কি করা যায়! ২১তম ব্যাচ কিছু করবে কিনা- ইত্যাদি ইত্যাদি। পূনর্মিলনী উপলক্ষে একটা সংকলন প্রকাশ হবে। এর দায়িত্বটা মামুন আমার ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়েছে। ফলে লেখা সংগ্রহ, সম্পাদনা, ছাপার সবকিছু তদারকি করা, পূনর্মিলনী কমিটির সঙ্গে কাজের সমন্বয়- কত্তো কাজ!! ভাবলেই মাথা গরম! না ভাবলে ঘোড়ার ডিম। ডিসেম্বরের ১০ তারিখের মধ্যে সবকিছু ছাপাখানায় পৌঁছাতে হবে যে।

শেষ পর্যন্ত কিছুই আটকাবে না। আমি জানি হয়ে যাবে নিশ্চিত। পরিকল্পনা থেকে কাজের অগ্রগতি তেমন পিছিয়ে নেই। আর ক্যাডেটরা সব সময় সব গুরুত্বপূর্ণ কাজ শেষ মূহুর্তে করে! এ আর নতুন কি!

চার. আগামী ৭ জানুয়ারি এবিসি রেডিও’র প্রথম জন্মদিন। সেটাও বেশ সশব্দে করতে হবে। বেশ কিছু পরিকল্পনা হয়েছে। আগামী ৭ থেকে ১৩ জানুয়ারি পর্যন্ত ৭ দিন ধরে এবিসি’র জন্মদিন উৎসব চলবে। ওপেন-এয়ার কনসার্ট, মিনি ম্যারাথন, দেশের প্রধান সব শিল্পীদের দিয়ে স্টুডিওতে লাইভ গানের অনুষ্ঠান ইত্যাদি ইত্যাদি। মূল কথা হলো মিডিয়া হিসাবে এফএম রেডিও’র নাড়া দেওয়া আর এবিসি’র একটা ভালো প্রচার। যেটা গত এক বছরে তেমন হয়নি। দেখা যাক, কতোটা কি করা যায়।

এবং পাঁচ. সিসিবিতে তেমন একটা সময় দিতে পারছিনা গত বেশ কিছুদিন ধরে। তবে যখনই আসি খেয়াল করি কে কে আছে আর কে অনুপস্থিত। নিজের ব্যস্ততা আর চাপের কারণে সিসিবির দ্বিতীয় জন্মদিন নিয়ে তাই ভাবতেই পারছি না। তেমন মন্তব্যও করছি না এ নিয়ে। অথচ ছোট ভাই-বোনদের মন্তব্য পড়ে বুঝতে পারছি, তারা আমার দিক থেকে একটা কিছু শুনতে চাইছে। আমি একটা কিছু বললেই ওরা ঝাঁপিয়ে পড়বে। কিন্তু আমি তো নিজের অবস্থা বুঝি। ১৩ জানুয়ারির আগে আমার নিজের জন্য কোনো সুযোগও দেখছি না। কি করি?

তাই ভাবছি, সবাইকে বলে দেব ওরা যাতে নিজেরাই একটা কিছু করে ফেলে। আমার জন্য ওদের আনন্দ নষ্ট হবে? এটা কেমন কথা! আবার মনে মনে ভাবি, আনন্দ-উৎসব শেষে ওরা যখন আবার পোস্ট দেবে সেটা পড়ে আমিই তো ঈর্ষান্বিত হবো! চুল ছেড়ার মতো অবস্থা। কি যে করি!

শেষ অথচ শেষ না ছয়. আরো একটা কাজ গত দুই মাস ধরে জমে আছে। আমার এবং আমার স্ত্রী নাসমিনের একটা মেডিক্যাল চেকআপ জরুরি হয়ে পড়েছে। এটা বুড়ো হওয়ার লক্ষণ! সিসিবির সক্রিয় সবচেয়ে বুড়ো সদস্য বলে কথা। গত দুইমাসে তিনজন বন্ধু ধরা খেয়েছে। এনজিওপ্লাস্টি হয়েছে ইকরাম, শামীম আর মুস্তাফিজের। মুস্তাফিজের তো দুটো ১০০% ব্লক ছিল। কলেজে আমাদের ইমিডিয়েট জুনিয়র হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. ধীমাণ জাপানি বিশেষজ্ঞ দিয়ে যেভাবে মুস্তাফিজকে নতুন জীবন দিয়েছে, তাকে কি বলা যায়! ওকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছি। কিন্তু জানি এটা যথেষ্ট না। ভাবছি এবার আমরা স্বামী-স্ত্রী ওকে যন্ত্রণা দেবো!

কি করবো? আমাদের বয়সটাই যে এমন ঝুঁকির। তাই ভাবছি আগামী সপ্তাহের মধ্যে চেকআপটা করিয়ে ফেলবো। হৃদযন্ত্রটা ঠিক আছে কিনা, ভালো আর মন্দ কোলস্টরেলরা কেমন লড়াই করছে, রক্তের শর্করার উপস্থিতি কেমন- ইত্যাদি জেনে নেবো। দিহানের মেইল পড়ে উত্তরে এসব কিছু কিছু ওকে জানিয়ে ভাবলাম- আমি কেমন আছি সেটা বাকিদের সঙ্গেও ভাগাভাগি করে নিই। শুভরাত্রি।

২,৮৩৩ বার দেখা হয়েছে

৫০ টি মন্তব্য : “দিনযাপন : কেটে যাচ্ছে, রক্ত ঝড়ছে না”

  1. কামরুল হাসান (৯৪-০০)

    চেক আপ করাইয়া ফেলেন। আর তার আগে সিগারেটটা কমিয়ে ফেলেন। 😀

    গেট টুগেদারের জন্যে স্পট খুঁজে পাচ্ছিনা, পেলে বাকি সব আমরা করে ফেলতে পারবো। ১১ তারিখ শুক্রবার, কেমন হয়?

    ৯৪ ব্যাচ পর্যন্ত সবার জন্যে কিছু চাঁদা ঠিক করি, বাকিরা স্টুডেন্ট হিসেবে ফ্রি।

    তাইফুর ভাই রিকুইজিশনে একটা গাড়ি দিতে পারবে কিনা, একদিনের জন্যে, তাহলে ঢাকার কাছাকাছি কোথাও যাওয়া যায়।

    ব্যস্ত আছেন জানি, তবু ছোটভাই যেহেতু আছে এতোগুলি, কিছু ঝক্কি তো পোহাতেই হবে।


    ---------------------------------------------------------------------------
    বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
    ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।

    জবাব দিন
  2. ফয়েজ (৮৭-৯৩)

    ঠিক ঠিক, ভাবলে মাথা গরম, না ভাবলে ঘোড়ার ডিম।

    নিজের চেক-আপ্টা তাইলে তের বছর পরে করলেও চলবো, আলহামদুল্লিলাহ 🙂


    পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না

    জবাব দিন
  3. সাব্বির (৯৫-০১)
    দিহানের মেইল পড়ে উত্তরে এসব কিছু কিছু ওকে জানিয়ে ভাবলাম- আমি কেমন আছি সেটা বাকিদের সঙ্গেও ভাগাভাগি করে নিই।

    তাহলে তো আমারও একটা পোষ্ট দিতে হয় 😕
    কি কও দিহান আপ্পি 🙁

    জবাব দিন
  4. দিহান আহসান

    ভাইজান মেইলে উত্তর দিবো ভাবছিলাম, আপনি সত্যি সত্যি ব্লগ নামিয়ে ফেললেন। 😮
    প্রিন্সু স্যার আসলেই ড়ক করে :salute:

    খেয়াল রাখবেন নিজের ভাইয়া 🙂
    মনে হচ্ছে মা-ছেলে যুদ্ধ শিগগির আমাদের বাসায় ও অবতীর্ন হতে যাচ্ছে। 😕

    জবাব দিন
  5. তানভীর (৯৪-০০)

    সাধারণ শব্দগুলো দিয়ে অসাধারণ করে এভাবেই লিখা যায়! লেখাটা খুব ভালো লাগল লাবলু ভাই।

    আমাদের সবারই উচিত বছরে একবার করে হেলথ চেক-আপ করানো। আমি তো আমার কোলেস্টেরল লেভেল হাই দেখে ব্যাপক ভয় পেয়ে গরুর মাংস, খাসীর মাংস, চিংড়ি মাছ- এগুলা খাওয়া মোটামুটি ছেড়েই দিয়েছি। 🙁

    লাবলু ভাই, শরীরের যত্ন নিবেন আশা করি। 🙂

    জবাব দিন
  6. রবিন (৯৪-০০/ককক)

    সান ভাই,

    জোস লিখছেন। এতো সিম্পল করে কেমনে এতো ভালো লেখেন? এই জন্যই তো আমি লেখা ছাইড়া দিছি।
    তিন তলায় যাইয়েন না বেশি।

    ভাইয়া, গেট টুগেদার এ আমার সবাই কেই চাই। আপনার প্রব্লেম থাকলে পরেও করতে পারি একসাথে। আয়োজক ভাই/বোনরা কি বলেন?

    জবাব দিন
    • সানাউল্লাহ (৭৪ - ৮০)

      তানভীর, ধন্যবাদ। আমি সব লেখাই সহজ-সরল ভাষায় সারার চেষ্টা করি। সচেতন থাকলে সবই সম্ভব।

      রবিন, আমার নামটা সংক্ষিপ্ত করতে করতে একেবারে 'সান'? ঠিক আছে সিসিবির জন্মদিনের উৎসবে আমি থাকবো। প্রস্তুতি নাও।


      "মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"

      জবাব দিন
  7. লাবলু ভাই, সবার আগে ব্রি ট্রি কমাইয়া দেন।
    সাবধানে থাইকেন। রাত কইরা বাইরে ঘুইরেন না।
    এখনো কাউরে দৌড়াইতে দেখলে কেমন যেন লাগে আমার, হাত পা নাড়তে পারি না।
    সাবধানে থাকবেন ভাই।
    অল দা বেস্ট।

    জবাব দিন
  8. সামিয়া (৯৯-০৫)

    আমার বাসায় তো উলটা হতো, বাপ মেয়ের সিরিয়াস ঝগড়া, সমঝোতাকারিণী আম্মাজান। :))
    চেকাপের সময় অভিভাবক কাউকে লাগলে বইলেন, আমি নিয়ে যাব আপনাকে আর ভাবীকে। :ahem:

    আর ক্যাডেটরা সব সময় সব গুরুত্বপূর্ণ কাজ শেষ মূহুর্তে করে! এ আর নতুন কি!

    😀 চরম।

    জবাব দিন
  9. সানাউল্লাহ (৭৪ - ৮০)

    যাক একজন অভিভাবক অন্ততঃ পাওয়া গেল। ধন্যবাদ আপু। কিন্তু আইসক্রিম খাইতে তো এখনো আইলা না!! পরিবারে যুদ্ধ কি মা-ছেলে আর বাবা-মেয়েতে হয় নাকি! কি জানি বাবা, আমার তো আর মেয়ে নাই!

    মজার কাহিনী মনে হলো একটা। এইবার বাসার পাশে ঈদের জামাতে ইমাম দোয়ায় বললেন, "হে আল্লাহ, যাদের পুত্র সন্তান নাই, তাদের পুত্র সন্তান দাও।" বিষয়টা আমি খেয়াল করেছি। মোনাজাত শেষে উদয় আমাকে ধরলো, "বাবা উনি এরকম প্রার্থনা করলেন কেন?" ছেলেও যে বিষয়টা খেয়াল করেছে সেটা বুঝে আমার ভালোই লাগলো।

    কিন্তু একটা বিষয় বুঝলাম না সামিয়া, তোমাকে জবাব দেওয়ার অপশনটা কেন কাজ করছে না!! ওখানে ক্লিক করলেও বক্স খুলছে না। বাকি সবারটা কাজ করলেও তোমার ক্ষেত্রে এ সমস্যার একটাই কারণ হতে পারে, তুমি এখন থেকে আমার অভিভাবক। ~x( ~x( ~x(


    "মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"

    জবাব দিন
    • রকিব (০১-০৭)

      একই সমস্যা আমারো হয়েছে। আমার পোষ্টে আমি সামিয়াপ্পুর কমেন্টের জবাব দিতে পারিনি। বাক্সটি কেন যেন খুলে না, পরে এডিট অপশনে গিয়ে উত্তর দিয়েছি। 😕 😕
      কেনু কেনু কেনু!!!


      আমি তবু বলি:
      এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..

      জবাব দিন
      • সামিয়া (৯৯-০৫)

        হে হে। তারমানে আমি সবার অভিভাবক, কেউ আমার উপ্রে কোন কথা বলতে পারবে না 😀
        কারও কাছে যদি এই সমস্যার সমাধান থাকে, প্লীজ জানায়েন 🙁
        মেয়ে থাকলে আপনার লাইফ হালাক হয়ে যেত ভাইয়া, মেয়েরা বাপের সাথে শুধু ঝগড়া করে, শুধু ঝগড়া করে। 🙂
        আপনার অফিসে ৬ বা ৭ তারিখে আসব ভাইয়া, অল্প একটুক্ষণের জন্য, না জানায়ে আসব, আপনি এখন যেই পরিমান ব্যস্ত, বেশিক্ষণ পেইন দেয়া যাবে না 🙁

        জবাব দিন
    • সানাউল্লাহ (৭৪ - ৮০)

      ফৌজদারহাটে হবে না। গত ২ মাস ধরে তো এই নিয়েই গ্রুপে বিতর্ক চললো। দেখা যাক, এবিসি'র জন্মদিনের কনসার্টে হয় কিনা!!

      মহিবের কি এই নিয়া উপন্যাস লেখার প্রকল্প আছে নাকি? ইদানিং ও নিজেরে মিলার বিরাট পাঙ্খা প্রমাণের চেষ্টা করছে!! 😕 😕 😕


      "মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"

      জবাব দিন
  10. আহসান আকাশ (৯৬-০২)

    ভাইয়া শরীরের যত্ন নেন, সময় করে এক ফাকে চেক আপটা করে ফেলেন।

    সিসিবি'র গেট টুগেদারে যাবার সম্ভাবনা শুন্যের কোঠায় গিয়ে ঠেকছে, এমনিতেই আগেরটাও মিস করছি... :মন খারাপ:


    আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
    আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

    জবাব দিন
  11. কাইয়ূম (১৯৯২-১৯৯৮)

    লাবলু ভাই,
    আমাদের সাঈদ এর কথা বলছিলাম আপনাকে,
    প্রথম আলোর সংবাদের লিঙ্ক দিলাম।

    সবচে ভয়াবহ হলো, এর দুদিন আগে একবার একই দল এসে বাসার কলাপ্সিবল গেইট ভাঙ্গার চেষ্টা করেছিলো। বাসার সবাই মিলে টেবিল সহ ভারী জিনিস পত্র দিয়ে ঠেকনা দিয়ে আটকে রেখেছিলেন। ভেতর থেকে পুলিশে খবর দেয়ার পর ১০\১৫ মিনিট পর পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতরা চলে যায়, তবে বেশি দূর যে যায়নি, তার প্রমাণ জাস্ট একদিন পরই এসে এই ঘটনা ঘটিয়ে যাওয়া।

    লাবলু ভাই, নিশ্চয়ই ভাবীকে সহ খুব দ্রুতই ডাক্তারী চেকআপগুলো করিয়ে নিবেন শত ব্যস্ততার মধ্যেও।
    আপনাকে ধন্যবাদ দিয়ে শেষ হবেনা কোনদিন, তাও বলি থ্যাঙ্কস ফর এভরি থিং 😀 এই রকম কর্মোদ্যম এবং তরুণ থাকুন আরো মিনিমাম পঞ্চাশ বছর।


    সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!

    জবাব দিন
  12. আহমদ (৮৮-৯৪)

    সানা ভাই ... লেখাটা পড়ে কিছুক্ষন চুপ হয়ে ছিলাম ... মনে হয় আমরা সবাই একটু একটু করে বুড়ো হয়ে যাচ্ছি ... আজ সকালে একটু জগিং করার চেষ্টা করলাম ... মনে হচ্ছিল ক্লাস সেভেনের প্রথম পিটি করছি ... অথচ CCR-এ আমি একজন লং রানার ছিলাম ... এখন ভাবতেই পারি না ... 🙁 🙁 🙁


    চ্যারিটি বিগিনস এট হোম

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : রকিব (০১-০৭)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।