চলো আমরা নতুন লড়াই শুরু করি

Time_Cover_Birth_of_Bangladesh_Dec_20_1971

ক্যাডেট কলেজ ব্লগ- সিসিবি’র সূচনাকালটা এখন প্রায় সবাই জানি। বিভিন্ন ক্যাডেট কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মধ্যে পারস্পরিক মতবিনিময়, স্মৃতিচারণ, যোগাযোগ-সম্পর্ক বাড়ানোর আগ্রহ থেকে এর জন্ম। ক্রমেই এটা বড় হয়েছে। কিছু দ্বৈত সদস্যপদ বাদ দিলেও দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ১১’শর বেশি প্রাক্তন ক্যাডেট ও তাদের স্ত্রী-স্বামী সিসিবিতে যুক্ত হয়েছে।

সিসিবি’র জগতটা যতোটা বড় হচ্ছে, বিভিন্ন সময় ততোই একে আরো বড় ভূমিকায় নিয়ে যাওয়ার দাবি উঠেছে। শুধু ভারচ্যুয়াল জগৎ নয়, এর বাইরেও অবদান রাখার প্রস্তাব এসেছে। অনেক সময় আমরাই কিছুটা নিরুৎসাহিত করেছি, কারণ সিসিবি সদস্যদের একটা বড় অংশ এখনো শিক্ষার্থী। কেউ কেউ চাকরি করি। এ নিয়ে প্রত্যেকেরই ব্যস্ততা আছে। তারপরও আমরা কিছু সামাজিক আন্দোলনে কখনো কখনো ভূমিকা রাখতে পারি বলে আলোচনা এসেছে। পিলখানায় বিডিআর বর্বরতা ও নৃশংসতার পর আমরা আহত-নিহত ও ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে সংহতি জানিয়েছি। হিংসা, অসহনশীলতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছি। আমরা বলেছি, মানুষে-মানুষে আমরা ভালোবাসার সম্পর্ক তৈরি করবো, সমাজটাকে সুস্থ করবো। অন্যায়কে ঘৃণা করবো। ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়াবো।

সম্প্রতি শওকত হোসেন মাসুম আর একটি পোস্টে যুদ্ধপরাধীদের বিচার বিষয়ে কিছু প্রশ্ন তুলেছিল। ষেখানে একটা চমৎকার আলোচনা-বিতর্ক হয়েছে। এর পরপরই রায়হান রশীদ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দাবিতে জনমত গঠনসহ বাস্তব কিছু কাজের প্রসঙ্গ এনে সিসিবিতে স্বেচ্ছাসেবক চেয়ে আরেকটি পোস্ট দিয়েছে। “হুইস্পারিং” শিরোনামে আরেকটি পোস্ট দিয়ে ফয়েজ জানান দিয়েছে, আমাদের করার আছে অনেক কিছু। প্রতিদিন আমরা কিছুটা করে সময় দেশের জন্য পরিকল্পিতভাবে দিতে পারি। সিসিবি ইতোমধ্যে “যুদ্ধাপরাধ ও বিচার আর্কাইভ” নামে পৃথক একটি জানালা খুলেছে। নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধ, যুদ্ধাপরাধ ও এর বিচার বিষয়ে জানাতে এটা আমাদের কাজে দেবে। এরই মধ্যে সিসিবির সদস্যদের বেশ কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবকের খাতায় নাম লিখিয়েছে এবং যুদ্ধাপরাধ বিষয়ে নানা তথ্য সংগ্রহ ও আর্কাইভ তৈরির কাজ শুরু করেছে। আমাদের প্রত্যেকের সংগ্রহ করা নুড়ি পাথরগুলো জমে একসময় তথ্যের পাহাড়ে পরিণত হবেই।

সিসিবি সদস্যদের কাছে আমার আহ্বান, অনুরোধ- আসো যতো বেশি সংখ্যায় আমরা এ কাজে যুক্ত হই। স্বাধীনতার ৩৮ বছর পর আরেকটি মুক্তি সংগ্রামের সুযোগ এসেছে আমাদের সামনে। আমাদের অনেকেই মুক্তিযুদ্ধ দেখেনি। কিন্তু এ নিয়ে সবার মধ্যে জানা-বোঝার তীব্র আগ্রহ আছে। আমরা সিসিবি এবং ওয়ার ক্রাইম ওয়ার্কগ্রুপের আর্কাইভকে মুক্তিযুদ্ধ ও যুদ্ধাপরাধ বিষয়ক তথ্যের ভান্ডারে পরিণত করতে চাই। সেখানে সংবাদপত্রসহ গণমাধ্যমে প্রচারিত তথ্য জমা করা দরকার। দরকার নিশ্চিত যুদ্ধাপরাধীদের নামের একটা তালিকা করা। প্রয়োজন এ সম্পর্কিত বইসহ প্রামান্য দলিলের তালিকা। যুদ্ধাপরাধ সম্পর্কিত দেশীয় ও আন্তর্জাতিক আইনের কপিগুলো এবং এ সম্পর্কিত নানা লিংক সংগ্রহ ও যুক্ত করতে হবে। আমরা কাজ করতে করতে অনুভব করবো আরো কি কি করতে পারি। সিসিবির সদস্যরা এ বিষয়ে নানা পরামর্শ ও প্রস্তাব দিতে পারো।

পূর্বপুরুষরা রক্ত, শ্রম-ঘাম, অশ্রু, সম্মান বিলিয়ে দিয়ে আমাদের একটি দেশ দিয়ে গেছেন। আমাদের হাতে তারা একটি পতাকা তুলে দিয়ে গেছেন যাতে আমরা তাকে সসম্মানে উড্ডীন রাখতে পারি। আমাদের একটা পরিচয় দিয়ে গেছেন মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর জন্য। শুধু এই গৌরব গলায় মালা করে ঝুলিয়ে আত্মহারা হওয়ার সুযোগ নেই। এবার আমাদের দেওয়ার পালা। ৩৮ বছরে যে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা যায়নি, যে গ্লানি আমরা এতোদিন ধরে মাথা নত করে বয়ে বেড়াচ্ছি; সেটা ঝেড়ে ফেলে প্রকৃত মানুষ হিসাবে মেরুদণ্ড সোজা করে দাঁড়াতে চাই। আমরা বলতে করতে চাই, কলংক বয়ে বেড়ানো আমাদের আর নয়। আমরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই। যারা নির্বিচারে মানুষ হত্যা করেছে, যারা পরিকল্পিতভাবে ধর্ষন-হত্যা করে আমাদের ধ্বংস চেয়েছে, যারা লুটতরাজ করেছে, আমাদের ঘরে আগুন দিয়েছে, পুড়িয়ে মেরেছে আমাদের- তাদের ক্ষমা নেই।

চলো আমরা হাতে হাত রাখি, নতুন লড়াই শুরু করি।

৩,৭৬৩ বার দেখা হয়েছে

৩১ টি মন্তব্য : “চলো আমরা নতুন লড়াই শুরু করি”

  1. সাব্বির (৯৫-০১)

    লাবলু ভাই,
    অনেক ভাল লাগল লেখা টা পড়ে।
    সত্যি কথা বলতে কি,
    দেশে থাকতে যত না চিন্তা করতাম দেশ নিয়ে,
    দেশ ছাড়ার পর সেই চিন্তা হাজার গুন বেরেছে।
    খুব কষ্ট হয় যখন দেখি সর্বস্বীকৃত রাজাকার রা দেশ নিয়ে কথা বলে, আর আমরা সবাই মুখ বুঝে তা সহ্য করি।
    খুব ইচ্ছা দেশ টা কে সবার সামনে তুলে ধরব স্বয়ং সম্পূর্ন বাংলাদেশ হিসাবে। চোর,বাটপার আর রাজাকারের দেশ হিসাবে না।
    ভাইয়া আরেক টা যুদ্ধের জন্য অপেক্ষা করছি।
    (ইমোশনাল হইয়া যাইতাছি, ক র কালা কুর্তা ভাই)

    জবাব দিন
    • সানাউল্লাহ (৭৪ - ৮০)

      ইমোশনাল হইলেই হবে না সাব্বির। সবাইকে অবস্থান নিতে হবে, ভূমিকা রাখতে হবে। চলো সেই চেষ্টাই করি। এই পোস্টে ও সবার মন্তব্যে নানা কাজের কথা এসেছে। এখনি লেগে যাও। সার্চ করো, কোথায় কি পাও। বাংলাদেশ শুধু নয়, বিভিন্ন দেশের অভিজ্ঞতা এবং এ সম্পর্কিত লেখা আর্কাইভে জমা করো আগে।


      "মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"

      জবাব দিন
  2. কামরুল হাসান (৯৪-০০)

    আপাতত শুধু সিসিবি'র যুদ্ধাপরাধ ও বিচার সংক্রান্ত পোস্ট গুলি সব এক্ত্র করে আর্কাইভে জমা করা হচ্ছে। কিন্তু আমার মনে হয় শুধু সিসিবি নয়, অন্তর্জালে ছড়িয়ে থাকা এ বিষয়ক অন্যান্য তথ্য ও লেখার লিংকগুলো এখানে জমানোর একটা ব্যবস্থা করা দরকার।

    সেই সঙ্গে একটা পোস্ট রাখা দরকার সিসিবির সকল সদস্য+অতিথিদের মন্তব্যের জন্যে উন্মুক্ত করে। সেখানে সবাই যুদ্ধাপরাধ ও বিচার নিয়ে কি ভাবছেন, কিভাবে সাহায্য করতে পারেন কিংবা এ বিষয়ক কোন দরকারী লিংক যোগ করতে পারবেন।

    ওয়ার ক্রাইম ওয়ার্কগ্রুপ যে আর্কাইভটা তৈরি করছে সেটার লিংক সিসিবির এই আর্কাইভে দিয়ে রাখা যেতে পারে। তাহলে সিসিবির নতুন সদস্যরাও সেটার খোঁজ পাবে সহজেই।

    এ ব্যাপারে টেকিদের দৃষ্টি আকর্ষন করছি।


    ---------------------------------------------------------------------------
    বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
    ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।

    জবাব দিন
    • মোস্তফা (১৯৮৮-১৯৯৪)
      সেই সঙ্গে একটা পোস্ট রাখা দরকার সিসিবির সকল সদস্য+অতিথিদের মন্তব্যের জন্যে উন্মুক্ত করে।

      সবাই যে পজিটিভ মন্তব্য করবে তাও কিন্তু নয়। বিরোধী পক্ষ গালাগালিও করতে পারে। তাই মন্তব্যের জন্য সরাসরি উম্মুক্ত না করে মডারেশনের মাঝ দিয়েই যেতে পারে। তবে যাদেরকে ব্যক্তিগত ভাবে চিনি তাদেরকে সরাসরি মন্তব্যের সুবিধে দিতে পারি।

      জবাব দিন
    • রায়হান রশিদ (৮৬ - ৯০)
      কিন্তু আমার মনে হয় শুধু সিসিবি নয়, অন্তর্জালে ছড়িয়ে থাকা এ বিষয়ক অন্যান্য তথ্য ও লেখার লিংকগুলো এখানে জমানোর একটা ব্যবস্থা করা দরকার।

      সিসিবি'র এই যুদ্ধাপরাধ পোর্টালটা খুব কাজে দেবে। আর কোয়ালিশন ('ওয়ার ক্রাইমস স্ট্র্যাটেজি ফোরাম'-WCSF) এর উদ্যোগে যে সাম্প্রতিক তথ্য আর্কাইভে বর্তমানে কাজ চলছে, সেখানে সিসিবি'র এই পোর্টালের সবগুলো ব্লগই আমি সাবমিট করে ফেলেছি:
      http://www.nirmaaan.com/forums/viewforum.php?f=22

      সেখানে একে একে সচল, সামহোয়ার, আমারব্লগ, দৃষ্টিপাত ব্লগ থেকে খুঁজে প্রাসঙ্গিক লেখাগুলো যোগ করে নেয়ার দায়িত্ব কেউ নিলে ভাল হতো।

      জবাব দিন
  3. ফয়েজ (৮৭-৯৩)

    ভিডিও নিয়ে একটা আলাদা একাউন্ট খোলা হয়েছে ইউ টিউবে। উদ্দেশ্য ছড়ানো-ছিটানো ভিডিওগুলো একসাথে জমিয়ে রাখা।

    দেখা যাক কতদূর যেতে পারি আমরা।


    পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না

    জবাব দিন
  4. মোস্তফা (১৯৮৮-১৯৯৪)

    লাভলু ভাই

    আপনি সামনে থেকে আমাদের নেতৃত্ব দিয়ে যান আমরা সাথে আছি। আমার শেষ পোষ্টেও এই কথাটি আমি বলেছিলাম যে সিসিবে সামাজিক আন্দোলনগুলোতে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য এগিয়ে আসতে। আমরা যদি এটা করতে পারি তখন মুক্তচিন্তার মানুষগুলোকে এই ব্লগেই দেখতে পাবো।

    আমরা যারা দেশে কিংবা দেশের বাহিরে আছি সবাই যে যার অবস্থান হতে দেশের জন্য কাজ করে কিছুটা ঋণ শোধ করতে পারি। এখানে আমি কার্য ক্ষেত্রগুলো দিচ্ছি যে যার অবস্থান হতে যতটুকু সময় পাই দেওয়ার চেষ্টা করি।

    প্রথম ক্ষেত্রঃ যুদ্ধাপরাধীদের জন্য আর্কাইভ বিষয়ে যা এই পোষ্ট এ এসেছে।
    দ্বিতীয় ক্ষেত্রঃ বাংলা উইকিপিডিয়া এবং বাংলা উইকি সংকলনকে সমৃদ্ধ করা। আমি বিশ্বাস করি উইকিপিডিয়া আমাদের সামনে বিশাল এক সুযোগ এনে দিয়েছে। আমরা যদি শুধু উইকিকে সমৃদ্ধ করতে পারি তবে আমি নিশ্চিত আমরা এমন এক প্রজন্ম পাবো যারা দেশ গড়ার কাজে নেতৃত্ব দিতে পারবে।
    তৃতীয় ক্ষেত্রঃ দূর্নীতি দূরীকরণ। আমার মতে বাংলাদেশের প্রধান সমস্যা এই দূর্নীতি। এট দূর করার জন্য সিসিবি র পক্ষ থেকে একটী সামাজিক আন্দোলন আমরা শুরু করতে পারি।

    জবাব দিন
    • সানাউল্লাহ (৭৪ - ৮০)

      মোস্তফা, আমি তো আছিই। কিন্তু এই যুদ্ধে আমাদের নেতা রায়হান রশীদ। ওর পরামর্শ মতো আমরা সবাই মিলে কাজ করবো। এভাবে কিছুদিন কাজ করতে থাকলে আমরা প্রত্যেকে সহজেই যার যার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে পারবো। :thumbup:


      "মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"

      জবাব দিন
  5. মোস্তফা (১৯৮৮-১৯৯৪)

    লাভলু ভাই

    কাজ আর পত্রিকা কয়েকজনের নেতৃত্বে ভাগ করে দিতে পারেন। এর মাঝেই ফয়েজ ভাই, আমি অল্প অল্প কাজ শুরু করেছি। আমাদের সাথে যদি আরো কিছু ছেলে পেলে দেন তাহলে একটি পত্রিকার সংবাদ গুলোর দায়িত্বে থাকলাম। এভাবে আপনিও একটি পত্রিকার দায়িত্ব নিতে পারেন।

    তবে নিরাপত্তার খাতিরে আমার মনে হয় ব্লগে উম্মুক্ত ভাবে মত বিনিময় না করে, ফোরামের গ্রুপ মেইলের মাধ্যমে বলতে পারি অথবা সিসিবির মেইল ব্যবহার করতে পারি।

    জবাব দিন
  6. মাসরুফ (১৯৯৭-২০০৩)

    পোস্টটা কিছুদিনের জন্যে স্টিকি করা হলে আমার মনে হয় ভাল হয়।যুদ্ধাপরাধের বিচার প্রক্রিয়া সংক্রান্ত একটি অসাধারন ইংরেজি আর্টিকেল হাতে এসেছে-আপাততঃ অনুবাদের কাজ করছি।২৫ তারিখ ভাইভা হয়ে গেলে পূর্ণ উদ্যমে শুরু করব।ইংরেজি ল টার্মগুলোর বাংলা পরিভাষা করতে সহায়তা করতে পারেন এমন কোন আইনের ছাত্র(বা পরিচিত) যদি থাকেন দয়া করে ইমেইল করবেন mash34th@hotmail.com এ।

    আমার ক্ষুদ্র সামর্থ দিয়ে এ লড়াইয়ে আমি সামিল হচ্ছি-আমৃত্যু।

    জবাব দিন
  7. এই ব্যাপারে ইংরেজি উইকিপিডিয়া হতে পারে সবচেয়ে কার্যকর মাধ্যম। একটু খেয়াল করে দেখুন, মুক্তিযুদ্ধের কথা জানানোর লক্ষ্য হলো দুইটি শ্রেণী -- বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্ম, আর বিশ্ববাসী।

    দেশের তরুণ প্রজন্মকে জানাতে হলে মিডিয়া/ব্লগ/ওয়েব এসবের মাধ্যমে জানানো যেতে পারে। কিন্তু বিশ্ববাসীকে জানাতে হলে ব্যক্তিগত বা গ্রুপ ব্লগের ভূমিকা অত্যন্ত সামান্য। কারণ গুগল সার্চে বা তথ্যসূত্র হিসাবে এসব বাংলাদেশী ব্লগে বিদেশীদের আসার সম্ভাবনা কম। এটা বাস্তবতা হিসাবে মানতে হবে। এখন আমরা কী করতে পারি? বর্তমান যুগে কেউ ইন্টারনেটে তথ্য খুঁজতে হলে কোথায় যাবে? অবশ্যই উইকিতে। গুগল সার্চ করলেও উইকিই সবার আগে আসে। এখন উইকিতে যুদ্ধাপরাধীদের ব্যাপারে তথ্য যথাযথ সূত্র সহ তুলে ধরতে পারলে এক নিমেষে সারা বিশ্বের সবার কাছে সেই তথ্য পৌছে যাবে, বিনা কষ্টেই।

    উইকিতে মুক্তিযুদ্ধ সংক্রান্ত নিবন্ধের খুব দুরবস্থা। বিশেষত যুদ্ধাপরাধীদের তথ্য নাই বা তাদের ছানাপোনারা সুকৌশলে গায়েব করে দেয় মাঝে মাঝেই। যেমন, গোলাম আযমের জীবনীটা তার নাতি বসে বসে হোয়াইট ওয়াশ করছিলো। সচলায়তনে এই ব্যাপারে আমি আহবান জানাবার পর ক্যাডেট মুহাম্মদ এটাকে কিছুটা ঠিক করে। কিন্তু এখনো জামাত, নিজামী ও অন্যান্য সবার কথা নাই বললেই চলে।

    এই ব্যাপারে বিদেশী কেউ এসে কিছু লিখে দিবে না, কেউ এসে গবেষণা করতে যাবে না। যুদ্ধাপরাধীদের দায়টা বেশি, নিজেদের মান বাঁচাতেই তারা নিজেদের ভালো সাজাতে চাইবে। তাই সঠিক তথ্য উপস্থাপন করাটা আপনার, আমার সবার একান্ত দায়িত্ব। অন্য কেউ করে দেবে, এই অজুহাতে বসে থাকলে গোলাম আজমের নাতির লেখা ইতিহাসই বিশ্বের সবাই জানবে, লাখো মুক্তিযোদ্ধার হাতে গড়া মুক্তিযুদ্ধের কাহিনীটা থাকবে অজানাই।

    (আমি এই ব্লগের সদস্য বা পাঠক নই, কাজেই আমার সাথে যোগাযোগ করতে হলে ragibhasan অ্যাট জিমেইলে করুন। ধন্যবাদ।)

    জবাব দিন
  8. শওকত (৭৯-৮৫)

    খুব ভাল উদ্যোগ। সামুতে একবার চেষ্টা করেছিলাম। অনেক কাজও হয়িছিল। জন্মযুদ্ধ নামে আলাদা একটি জানালা খোলা হয়েছিল। অমি রহমান পিয়ালের ব্লগেও প্রচুর ভাল লেখা রয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে একটা ই-বুকও আছে।

    মোট কথা সাথে আছি।

    জবাব দিন
  9. জুলহাস (৮৮-৯৪)

    সানা ভাই,
    শুধু এই কাজে-ই নয়...বাংলাদেশকে পৃথিবীর বুকে সঠিক এবং সুন্দর কোনরূপে উপস্থাপনের বিষয়েও আপনার...আপনাদের...আমাদের মাঝে যে কারও (দৃপ্ত পদক্ষেপ গ্রহণকারী) সাথেই আছি।
    অসাধারণ উদ্দীপ্ত লেখা... :hatsoff:


    Proud to be an ex-cadet..... once a cadet, always a cadet

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : রকিব (০১-০৭)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।