স্মৃতির ঝাঁপি : জিয়ার নৃশংস শাসনকাল

প্রথম পর্ব ।। দ্বিতীয় পর্ব ।। তৃতীয় পর্ব ।। চতৃর্থ পর্ব ।। পঞ্চম পর্ব

‘৭৫-এ বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর কেন্দ্রীয় কারাগারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করে একই খুনি চক্র। এরই ধারাবাহিকতায় গায়ে ভারতপন্থী লেবাস পড়িয়ে হত্যা করা হয় খালেদ মোশাররফ, হায়দারসহ সেনা কর্মকর্তাদের। ৭ নভেম্বর মূলতঃ সেনা সদস্যদের এক বিশৃঙ্খল অভ্যূত্থানে জিয়াউর রহমান বন্দিদশা থেকে মুক্তি পান। কর্নেল তাহেরের নেতৃত্বে গণবাহিনী তাকে ক্ষমতায় বসিয়ে দেয়। তাহেরসহ জাসদ নেতারা মনে করেছিলেন, জিয়া তাদের বিপ্লবী কর্মসূচি বাস্তবায়ন করবেন। কিন্তু ক্ষমতায় বসেই জিয়া তার মুক্তিদাতাদের উপর খড়গহস্ত হন।

‘৭৬ সালের শুরু থেকেই জিয়াউর রহমান ক্ষমতার ওপর নিজের প্রভাব প্রতিষ্ঠা করলেন। বিচারপতি সায়েমকে সামনে রেখে প্রথমে, তারপর তাকে হটিয়ে নিজেই পুরো ক্ষমতা হাতে নেন জিয়া। ছোট-খাট আকারের স্লিম, প্রকাশ্যে প্রায় সব সময় কালো সানগ্লাস চোখে পড়া এই মানুষটা আওয়ামী লীগ বিরোধী জনমত আর রাজনৈতিক শক্তির কাছে মুজিবের বিকল্প নেতা হিসাবে আবির্ভূত হলেন। এ ব্যাপারে অনেকের মতো আমারো একটা বিশ্লেষন আছে।

‘৪৭ সালে উপমহাদেশ বিভক্তির আন্দোলনে বাঙালি মুসলমানের ভূমিকাই ছিল প্রধান। “কান মে বিড়ি, মু মে পান, লাড়কে লেঙ্গে পাকিস্তান” আন্দোলন বাঙালি মুসলমানকে যতোটা নাড়া দিয়েছিল, পাকিস্তানের পশ্চিম অংশকে ততোটা নয়। এটা ইতিহাসের কথা। সেই বাঙালির মাত্র ২৪ বছরের মধ্যে মোহভঙ্গের ঘটনা, অবিশ্বাস্যই বটে। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে তখনকার পূর্ব পাকিস্তানে আওয়ামী লীগ অকল্পনীয় সংখ্যাগরিষ্টতা পেলেও আওয়ামী লীগ বিরোধীরা কিন্তু ভোট কম পায়নি। গণতন্ত্রের এই সংখ্যার খেলাটা আমরা এখন নিশ্চয়ই জানি। এখন আওয়ামী লীগ-বিএনপির মধ্যে ভোটের পার্থক্য ৫ থেকে ৭ শতাংশ বা ১০ শতাংশ হলে সংসদে আসনের পার্থক্য দেড়শ থেকে প্রায় আড়াইশ পর্যন্ত গিয়ে দাঁড়ায়।

বাংলাদেশবিরোধী এই রাজনৈতিক শক্তি মুক্তিযুদ্ধে পরাস্ত হলেও হারিয়ে যায়নি। তারা মঞ্চ খুঁজছিল, জায়গা খুঁজছিল, নেতা চাইছিল। স্বাধীনতা পরবর্তী আওয়ামী লীগের দুর্বলতা, দলের ভেতর অনৈক্য-দলাদলি, দুর্নীতি, দুর্ভিক্ষ, জনপ্রিয়তায় ধ্বস এই শক্তিকে উত্থানের সুযোগ করে দেয়। মুসলিম লীগ, জামায়াতের রাজনীতি তখন নিষিদ্ধ ছিল। বাংলাদেশবিরোধী এই রাজনৈতিক শক্তি যেমন আওয়ামী লীগে ঢুকে পড়ে, তেমনি জাসদসহ আওয়ামী লীগবিরোধী শিবিরেও আশ্রয় নেয়। কর্নেল তাহের ও জাসদের অদূরদর্শী এবং সিপাহী জনতার অভ্যূত্থানের নামে বিপ্লবের তথাকথিত বালখিল্য রাজনীতি জিয়াউর রহমানকে নেতা হিসাবে প্রতিষ্ঠা করে।

জিয়ার মতো খালেদ মোশাররফও মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। এই দুজনের মুক্তিযুদ্ধে যোগদানের ইতিহাসও ভিন্ন। জিয়া অনেকটা পরিস্থিতির চাপে আর খালেদ মোশাররফ পরিকল্পিতভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে খালেদ মোশাররফের যতো বীরত্বগাঁথা পাওয়া যায়, জিয়ার ততোটা নয়। খালেদ ছিলেন মনেপ্রাণেই একজন বিপ্লবী। ‘৭৫-এর ৩ নভেম্বর খালেদ মোশাররফের অভ্যূত্থান সফল হলে হয়তো ইতিহাস আজ অন্যভাবে লেখা হতো বলে আমার মনে হয়। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পড়ে খালেদ মোশাররফকে আমার সময়ের সবচেয়ে “মিসআন্ডারস্টুড” (এই শব্দটার যথার্থ বাংলা পাচ্ছি না) চরিত্র মনে হয়।

মুক্তিযোদ্ধা সেনা কর্মকর্তা, বিশেষ করে সেক্টর কমান্ডারদের মধ্যে খালেদ মোশাররফ সম্ভবত ছিলেন সবচেয়ে মেধাবী। তার সহযোদ্ধাদের কাছ থেকে শোনা তার একটা উদ্ধৃতি আমি কখনোই ভুলতে পারি না। মুক্তিযুদ্ধে মূলতঃ গেরিলা যোদ্ধাদের সংগঠিত করেন সেক্টর দুই-এর এই প্রধান। এক সম্মোহনী চরিত্রের অধিকারী ছিলেন তিনি। অনেকটা চেগুয়েভারার মতো। তার ভাষণ শুনে গেরিলারা পতঙ্গের মতো মরনপণ লড়াইয়ে ঝাঁপিয়ে পড়তো। খালেদ মোশাররফ সে সময় প্রায়ই বলতেন, “স্বাধীন দেশের সরকার জীবিত গেরিলাদের চায় না, নো গভর্নমেন্ট ওয়ান্টস অ্যান অ্যালাইভ গেরিলা, নিতে পারে না………”।

কিন্তু ৭ নভেম্বর পরিকল্পিতভাবে খালেদ মোশাররফ ও হায়দার- মুক্তিযুদ্ধের দুই সহযোদ্ধাকে ‘৭৫-এর খুনি বাহিনী হত্যা করে। নাকি এ কাজ করেছিল গণবাহিনী? জিয়া সফল হলেন, বিভ্রান্ত বিপ্লবী তাহের কোলে তুলে জিয়াকে ক্ষমতায় বসিয়ে দিলেন। ইতিহাস বলে তাহের যতোটা জিয়াকে বিশ্বাস করেছিলেন, জিয়া ততোটাই তার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেন। এর অর্থ জিয়ার একটা লুকোনো রাজনীতি ছিল। তাহের তার সব কার্ডই জিয়াকে দেখিয়ে ফেলেছিলেন। ফলে প্রথম সুযোগেই তাহেরকে ফাঁসিতে ঝুঁলিয়ে জিয়াউর রহমান ‘৭৫-এর ৭ নভেম্বর তাকে বাঁচানোর প্রতিদান দিয়েছিলেন! জাসদের রাজনীতি দেশকে কতোটা পেছনে ঠেলে দিয়েছিল তা আজ আর নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখেনা।

জিয়ার ক্ষমতা দখল দেশকে স্বাধীনতার উল্টো পথে নিয়ে গেল। তিনি মুক্তিযুদ্ধবিরোধীদের আশ্রয়দাতা হয়ে উঠলেন। মুক্তিযুদ্ধের পর পাকিস্তানি দালাল শাহ আজিজ, খান এ সবুরকে রক্ষা করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। আর তাদের পূনর্বাসন করেন জিয়া। এরকম আরো অনেক নাম বলা যায়। জিয়া সেনাপ্রধানও করেছিলেন পাকিন্তানপন্থী এক বিতর্কিত সেনা কর্মকর্তা এইচ এম এরশাদকে। কিন্তু জিয়া শান্তিতে ছিলেন না। বলা হয়, তার ৫ বছরের শাসনামলে কমপক্ষে ১৯ থেকে ২১টি সেনা অভ্যূত্থানের চেষ্টা হয়েছিল। এরই একটায় ১৯৮১ সালে ৩০ মে তিনি চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে নিহত হন।

জিয়ার শাসনামলে একটি ঘটনা আমাদের পরিবারকে নাড়া দিয়েছিল। যা আমার পরবর্তী রাজনৈতিক চিন্তায় অজান্তেই অনেকটা প্রভাব ফেলে। ১৯৭৭ সালে সেপ্টেম্বরের শেষে জাপানের একটি সন্ত্রাসবাদী সংগঠন “রেড আর্মি” জাপান এয়ারলাইন্সের একটি উড়োজাহাজ অপহরণ করে এনে ঢাকা বিমানবন্দরে নামায়। সেটা ছিল বর্তমানের পুরনো বিমানবন্দর। একই সময়ে অর্থাৎ ২ অক্টোবর বিমানবাহিনীতে একটা ব্যর্থ অভ্যূত্থান হয়। এই অভ্যূত্থান চেষ্টাটা আসলে কেন হয়েছিল, আদৌ এর পেছনে বিমানবাহিনীর নিচের পর্যায়ের লোকজন জড়িত ছিল কিনা- সেটা একটা বড় রহস্যই রয়ে গেছে এখনো। ঠিক এর আগে আগে ৩০ সেপ্টেম্বর, ১৯৭৭ বগুড়া সেনানিবাসে ২২ বেঙ্গল রেজিমেন্টের একটা অভ্যূত্থান চেষ্টা ব্যর্থ হয়।

আমরা কলেজে বসে ওই জাপানি উড়ে[জাহাজ অপহরণের খবর পেয়েছিলাম। অভ্যূত্থানের খবর পেলাম ছুটিতে বাসায় এসে। তখন শুনেছিলাম আমাদের বাকী মামার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। বাকী মামা আমার মায়ের চাচাতো ভাই। তিনি ছিলেন কুমিল্লা সদর থেকে এবার নির্বাচিত আওয়ামী লীগের সাংসদ এ কে এম বাহাউদ্দিন বাহারের মেঝ ভাই। বাকী মামা বিমানবাহিনীতে ছিলেন। দারুণ স্মার্ট, নায়ক নায়ক চেহারা ছিল তার। আমি ভীষণ পছন্দ করতাম তাকে।

আমার জন্মের এক বছর পর ১৯৬৩ সালে বাকী মামা এয়ারম্যান হিসাবে পাকিস্তান বিমানবাহিনীতে যোগ দেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন তিনি। জাপানি এয়ারলাইন্সের উড়োজাহাজটি অপহরণের সময় ফ্লাইট সার্জেন্ট এ কে এম মাঈনউদ্দিন (বাকী মামা) বিমানবন্দরে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তিনি তখন এয়ার কমান্ডোতে কর্মরত ছিলেন। ২ অক্টোবরের অভ্যূত্থানের পর বাকী মামার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। তার ভাইয়েরা মামার খোঁজে সব স্থানে গেছেন। গিয়েছিলেন তৎকালীন বিমানবাহিনী প্রধান এম এ জি তওয়াবের কাছেও। এর বেশ কিছুদিন পর কুমিল্লার মুন্সেফবাড়িতে সরকারের পক্ষ থেকে একটি চিঠি আসে। এতে লেখা ছিল অভ্যূত্থান চেষ্টায় জড়িত থাকায় তাকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ফাঁসি হলেও তার মরদেহটা তো পরিবার পাবে! কিসের কি? আজো আমাদের মামারা, বাকী মামার ভাইয়েরা জানেন না কোথায় তাদের ভাইকে কবর দেওয়া হয়েছে। কি ভয়ংকর বর্বরতা! কি অকল্পনীয় নৃশংসতা!

জিয়াউর রহমানের শাসনকালটা সামরিক বাহিনী ভীষণ অস্থিরতার মধ্য দিয়ে গেছে। একের পর এক অভ্যূত্থান চেষ্টা, নজিরবিহীন হত্যাযজ্ঞ, ভয়াবহ নৃশংসতা ছিল তার শাসনামলের প্রায় অনালোচিত এক কালো অধ্যায়। ১৯৭৭-এর সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরের ওই ব্যর্থ অভ্যূত্থানের বলি হয়েছিল মোট ১ হাজার ১৪৩ জন সেনা সদস্য ও বিমান সেনা। তাদের গোপন বিচারে ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল। বিচারের নামে তখন রীতিমতো প্রহসন হয়েছিল। শুধু বিমান সেনাই হত্যা করা হয়েছিল ৫৬১ জন।

সময়টা মনে নেই, আমরা কলেজে ঢোকার পর জিয়াউর রহমান ও বেরোনোর আগে এইচ এম এরশাদকে ক্যাডেট কলেজ গভার্নিং বডির চেয়ারম্যান হিসাবে পেয়েছিলাম। দুজনই ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজ সফরে এসেছিলেন। তবে এই দুই চরিত্রের কেউ আমাকে কখনো আকৃষ্ট করতে পারেননি।

[এই পর্ব থেকে সমসাময়িক রাজনীতির কথা আমার লেখায় অনেক জোরালোভাবে আসবে। আমার বিশ্লেষণ একান্তই আমার। এর সঙ্গে সবাই একমত হবে এমনটা মনে করি না, আশাও করি না। আমার বিশ্লেষণ কারো রাজনৈতিক বিশ্বাসে আঘাত করলে দুঃখিত। আমি রাজনীতি নিরপেক্ষ মানুষ নই। সেটা হতেও চাই না। তবে কাজ ও পেশায় আমি দল নিরপেক্ষতা কঠোরভাবে মেনে চলি।]

১৩১ টি মন্তব্য : “স্মৃতির ঝাঁপি : জিয়ার নৃশংস শাসনকাল”

  1. জুনায়েদ কবীর (৯৫-০১)

    কি অস্থির সময়টাই না তখন দেশের মানুষ পার করেছে...!!!! 😮
    আর এই সময়টাতেই আমাদের প্রজন্মের শুরু... B-)


    ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ

    জবাব দিন
  2. আহসান আকাশ (৯৬-০২)

    মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে যতটুকু জেনেছি তার ভিতরে খালেদ মোশাররফ আর মেজর হায়দারকে আমার কাছে সত্যিকারের 'হিরো' মনে হয়েছে... বিশেষ করে মেজর হায়দার, সব গেরিলারা ছিল তার নিজের হাতে তৈরি করা। আমাদের কলেজ লাইব্রেরিতে তার নিচের ছবিটা ছিল, সেটা দেখেই আমি তার সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হই
    maj haider
    নিয়াজীর ডান পাশে সাদা প্যান্ট পরা শার্টের কলার উঁচু করা ব্যক্তি হলো মেজর হায়দার।

    কি কৃতঘ্ন জাতি আমরা


    আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
    আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

    জবাব দিন
  3. শওকত (৭৯-৮৫)

    দারুণ লাবলু ভাই।
    খালেদ মোশারফের বড় ভুল ছিল সে অভ্যুত্থান করে মোশতাকের কাছে গিয়েছিলেন সেনা প্রধান পদ পাওয়ার তদ্বিরে। এটা না করে তিনি নিজেই ক্ষমতায় বসতে পারতেন। ফলে যা হওয়ার হয়েছে।
    তাহেরের ভুল ছিল জিয়াকে বিশ্বাস করা। দুজনেই এই ভুলের মাশুল দিয়েছেন জীবন দিয়ে।
    আর এরশাদ কি পাকিস্তানপন্থী? নাকি ভারতপন্থী? নাকি দুটোই??

    জবাব দিন
  4. ওয়াহিদা নূর আফজা (৮৫-৯১)

    "আমি রাজনীতি নিরপেক্ষ মানুষ নই। সেটা হতেও চাই না। তবে কাজ ও পেশায় আমি দল নিরপেক্ষতা কঠোরভাবে মেনে চলি।"

    -এটা পড়ে ভালো লাগলো। সবাই কথাটা এতো সহজে স্বীকার করে না।


    “Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
    ― Mahatma Gandhi

    জবাব দিন
    • সানাউল্লাহ (৭৪ - ৮০)

      ধন্যবাদ মোস্তফা। ইতিহাসের কি দুঃসময় পার করে এসেছি আমরা, এই বাঙালি জাতি! যতো জানি, যতো পড়ি তবু মনে হয় আরো কিছু বাকি থেকে যায়। অনেক রহস্য আজো উম্মোচিত হয়নি। গবেষকরা সে কাজটা নিশ্চয়ই একদিন করবে।


      "মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"

      জবাব দিন
      • টিটো রহমান (৯৪-০০)

        বস প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি উত্তর দেরিতে দেয়ার জন্য। একটু দেরিতে ঢুকলেও ভালই লাগল এটা দেখে........ বেশ একটা আলোচনা হচ্ছে দেখে( যে যেভাবেই দেখুক না কেন....প্রত্যেকেরই আলাদা দৃষ্টিভঙ্গি থাকাই স্বাভাবিক।) যাই হোক আলোচনায় পরে যোগ দিচ্ছে আগে আপনার প্রশ্নগুলোর(অরাজনৈতিক 😀 ) জবাব দেই।

        বস আমি ব্যক্তিগত ভাবে ভীষণ অলস কিন্তু েকানো কাজে মন লেগে গেলে সেটার প্রতি প্রচন্ড লয়্যাল হওয়ার চেষ্টা করি, সেটা সামান্য কাগজ ছেড়া হলেও। এ্যাডভার্টাইজিং মন রাগানোর মতই কাজ। তাই এনজয় করার চেষ্টা করি।

        তবে... ব্যাংকের কাজ করতে করতে হাপিয়ে উঠছি....এদের কাজ না হয় খারাপ না হয় ভালো...আইডিয়া করার সুযোগ কম 🙁 🙁 🙁 🙁 🙁 ( তাই ভাবতাছি আপনার কাছে একটা সিভি পাঠামু কি না)

        আর নতুন ইন্ডিয়ান এ্যাডের অনুবাদ ছাড়া কোনো কাজ নাই। তবে টাটা এইস পিক-আপ নিয়ে টিভি বিজ্ঞাপনের একটা দারুণ অাইডিযা করছি...ইন্ডিয়াও এপ্রেসিয়েট করছে.....এখন অপেক্ষা........... :dreamy: :dreamy:


        আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই

        জবাব দিন
  5. রায়হান আবীর (৯৯-০৫)

    জিয়া স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম জঘণ্য ব্যক্তিদের একজন। অন্যতম না বলে তাকে সেরাও বলা যেতে পারে। স্বাধীনতার পর যেই দলটি বাংলাদেশকে আরেকটি ছোট্ট পাকিস্তান বানানোর চেষ্টায় লিপ্ত ছিল জিয়া তাদের স্বপ্নকে বাস্তবায়নের অনেকটা পথ তৈরি করে দেন। বাংলাদেশে মৌলবাদের জনক এই জিয়াউর রহমান। জামাত এ ইসলামের লোকজন জিয়াকে গোলাম আজমের মতোই শ্রদ্ধা করে (এই ব্যাপারে মুহাম্মদ নিশ্চিত করতে পারবে। কারণ তারা বাবা জামাত এর উচ্চ পর্যায়ের নেতা)।

    বিমান বাহিনী কর্মকর্তাদের অভ্যুত্থান সম্পর্কে শুনেছিলাম। আপনার আত্মীয়ের খবরটা শুনে মনটা ভীষণ খারাপ হলো ...

    তাহের তো অনেকদূরই চলে গিয়েছিলেন। প্ল্যান মোতাবেক যদি শুধু জিয়াকে ক্যান্টনমেন্ট থেকে বের করে আনা যেত তাহলেও হয়তো বাংলাদেশের ইতিহাস অন্যভাবে লেখা হতো।

    জবাব দিন
  6. সানাউল্লাহ (৭৪ - ৮০)

    জিয়াকে নিয়ে এরকম জুয়া খেলাটা তাহের বা জাসদের পরিকল্পনার সবচেয়ে দুর্বল দিক। জিয়া সামরিক বাহিনীর লোক। তিনি কেন সেনানিবাসের বাইরে যাবেন? এরকম ভাবনাটাই ছিল পুরো ছেলেমানুষি আবীর।


    "মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"

    জবাব দিন
  7. সাল্লু (৯২/ম)

    "কর্নেল তাহের ও জাসদের অদূরদর্শী এবং সিপাহী জনতার অভ্যূত্থানের নামে বিপ্লবের তথাকথিত বালখিল্য রাজনীতি জিয়াউর রহমানকে নেতা হিসাবে প্রতিষ্ঠা করে।" -- তুমুল লিখছেন এই লাইনটা :salute:

    আর আমার মনে হয় নিজের সুবিধার জন্য করলেও ৭৫ পরবর্তী সময়ে জাসদের কোমর ভাঙ্গার কাজ জিয়া ভালভাবেই করেছিলেন, এতে আখেরে বাংলাদেশের লাভই হইছে।

    বাংলাদেশবিরোধী এই রাজনৈতিক শক্তি যেমন আওয়ামী লীগে ঢুকে পড়ে, তেমনি জাসদসহ আওয়ামী লীগবিরোধী শিবিরেও আশ্রয় নেয়।

    "বাংলাদেশবিরোধী এই রাজনৈতিক শক্তি" - কথাটা খুব অর্থবহ। আমরা প্রায়ই এটার সাথে জামাতকে গুলিয়ে ফেলি। জামাত বাদেও বিশাল সংখ্যক বাংলাদেশবিরোধী বহাল তবিয়তেই ছিল। উদাহরণ - সিভিল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন। এরা আর্মীর মতো ছিলনা - বাঙ্গালী সেনাবাহিনীর যারা দেশে ছিল বেশীরভাগই সক্রিয়ভাবে মুক্তিযুদ্ধে ছিল। গুটিকয়েক ব্যতিক্রমবাদে পূর্ব পাকিস্তানের সিভিল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের সবাই পুরো মুক্তিযুদ্ধের সময়টুকুই পশ্চিম পাকিস্তানের আজ্ঞাবহ ছিলেন, চাকরী করছিলেন । ১৬ই ডিসেম্বর সবাই গলা ফাটিয়ে বিজয় মিছিলে যোগ দেয়ায় এদের "16th division" বলা হতো। মুজিব ironically নতুন বাংলাদেশের পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন/সেক্রেটারিয়েট এদের দিয়েই পূরণ করেছিলেন।
    এম আর আক্তার মুকুলের ভাষ্য ("মুজিবর রক্তলাল") - পৃথিবীর ইতিহাসে এমন আর কোনো নজির নাই যেখানে একটা দীর্ঘ রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর পরাজিত প্রশাসনের লোকজন বহাল তবিয়তে চাকরী চালিয়ে গেছে।

    জবাব দিন
  8. কামরুল হাসান (৯৪-০০)

    মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সবচেয়ে বড় দুই যোদ্ধার নাম ছিলো খালেদ মোশাররফ আর কর্নেল তাহের। অথচ কি বিচিত্র, এই দুই জনকেই মরতে হলো দেশদ্রোহীর অপবাদ নিয়ে!

    জিয়াউর রহমানের ব্যাপারে আমার মতামত রায়হানের মতোই। স্বাধীন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বেইমান লোকটার নাম জিয়া। সবচেয়ে জঘন্য এই লোকটার নীতিবোধ বলতে কিছু ছিলোনা। ক্ষমতার লালসায় জিয়া করে নাই এমন কোন কাজ নাই। অন্য সব কিছু বাদ দিয়ে শুধু হাজার হাজার মুক্তিযোদ্ধাকে ফাঁসি দেয়ার জন্যে তাকে প্রতিটা বাঙালির হাজার বছর ধরে শুধু ঘৃনাই করা উচিত।

    লেখা খুবই ভালো হচ্ছে লাবলু ভাই।
    সিসিবি প্রকাশনা থেকে এটা আমাদের আগামী ই-বুক করার প্ল্যান করে রাখলাম।


    ---------------------------------------------------------------------------
    বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
    ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।

    জবাব দিন
    • আমিন (১৯৯৬-২০০২)

      বস, বাঙালি বানানটা বাঙ্গালী লেখায় দেখতে খারাপ লাগছে। কিছু কিছু বিশেষ বানানে আমার এলার্জি আছে বলেই কথাটা বল্লাম।

      মন্তব্যের ব্যাপারে বলি, আপনার এবং রায়হানের মন্তব্যে এক ধরণের দলীয় ফ্লেভারের গন্ধ পেলাম যেটাতে একজন রাজনীতি নিরপেক্ষ ( বর্তমান প্রেক্ষাপটে) হিসাবে বিরক্ত লাগলো।

      জবাব দিন
      • কামরুল হাসান (৯৪-০০)

        বানানের জন্যে দুঃখিত। ঠিক করে দিলাম।

        মন্তব্যের ব্যাপারে বলি, তোমার নাকের প্রশংসা করতে হয় তুমি যে দলীয় ফ্লেভাররের গন্ধ খুঁজে বের করেছো। কিন্তু আরেকটু খুশি হতাম যদি আমার কোন লাইনটা ভুল বলেছি নির্দিষ্ট করে বলতে।

        বিরক্তি লাগতেই পারে। তোমাকে খুশি করার জন্যে তো আর আমি মতামত দেবো না , তাইনা? আমি যেটা বুঝি আমি সেটাই বলবো।

        উপরে দেখলাম তুমি রায়হানকে বলেছো মন্তব্য দেয়ার আগে নিজস্ব মত এইকথাগুলো লিখতে। কেন? সবাই তো এখানে তার নিজের মতই দেয়। আমি নিশ্চয়ই আমার মন্তব্যে তোমার মত দেবোনা। এটা বুঝতে বেশি মাথা খরচ করতে হয় কি?

        ভাসা ভাসা কথা না বলে সরাসরি বলো জিয়া সম্পর্কে কোন লাইনটাতে তোমার আপত্তি। আমি যা বলছি, কনফিডেন্স নিয়েই বলছি।


        ---------------------------------------------------------------------------
        বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
        ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।

        জবাব দিন
        • আমিন (১৯৯৬-২০০২)

          এই ধরণের মন্তব্যের জবাব কিভাবে দিতে হয় সত্যি সত্যি আমি জানি না। আমি সিসিবিতে ব্লগিং করি বছর খানেক কখনো কাউকে ব্যাক্তিগত আক্রমন করেছি এটা কেউ বলতে পারবেন না। অথচ আমার খুব পছন্ডের একজন ব্লগার কামরুল ভাই আমার মন্তব্যটিকে আক্রমন হিসাবে নিলেন কেন ক্লিয়ার হলো না।
          আপনি কোন জায়গায় ভুল বলেছেন এমন কথা কি আমি কোথাও বলেছি??? দলীয় ফ্লেভারের কঠা যেটা বলছিলাম সেটার কারণ হচ্ছে আমাদের রাজনীতির কালচারটা অদ্ভুত রকম নোংরা। খুব অদ্ভুতভাবেই এখানে মুজিব আর জিয়াকে পাশাপাশি দাঁড় করিয়ে দেয়া হয়েছে যেটা আদতে হাস্যকর। যে কোন একদলের পরমত সহিষ্ণুতা ব্যাপারটা থামাতে পারে কিন্তু আমরা উদার হতে রাজি নই।
          কামরুল ভাই খুব সম্ভবত আমাকে জিয়ার সৈনিক ধারণা করে ভুল করেছেন। জিয়াকে নিয়ে বলবেন অবশ্যই, আমার ব্যাক্তিগত কঠা হচ্ছে যার যতটুকু প্রাপ্য ততটুকু বলা উচিত নয় কি? বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে জিয়ার কি কোন ভূমিকাই নেই?
          আর আপনি জিয়াকে জঘন্য বলে দিয়েছেন শুধু মুক্তিযোদ্ধা নিধনের অভিযোগে তার মানে হচ্ছে মুক্তিযোদ্ধারা খারাপ হতে পারেন না - এমন একটা ভাব প্রকাশ পায়। সেই ভাব ধরলে যেহেতু একজন মুক্তিযোদ্ধা তিনি , তিনি রাজাকারদের চেয়ে বেশি ঘহৃণার কিংবা এরশাদ সাহেব যিনি ১৯৭১ সালে পাকিস্তানে আত্মগোপন করেছিলেন তার চেয়ে ঘৃণ্য হতে পারেন???

          বস, আমি কিন্তু আপনারে দলমত দ্বারা বায়াসড বলি নাই বরং আপনার বক্তব্যগুলা বায়াসড লোকদের মত হচ্ছে এমন বলেছি।
          এর পরেও আমার মন্তব্যে আহত হয়ে থাকলে বেয়াদবি মাফ করে দেবেন বস।

          জবাব দিন
          • কামরুল হাসান (৯৪-০০)

            ব্যাক্তিগত আক্রমণ হিসেবে নেই নাই। তুমি যেই টোনে কমেন্ট করেছো সেই টোনে জবাব দিয়েছি শুধু। তবে একটু আশ্চর্য হয়েছি আমার মন্তব্যে দলীয় ফ্লেভারের গন্ধ পাওয়ায়, এর বেশি কিছু না।

            কামরুল ভাই খুব সম্ভবত আমাকে জিয়ার সৈনিক ধারণা করে ভুল করেছেন। জিয়াকে নিয়ে বলবেন অবশ্যই, আমার ব্যাক্তিগত কঠা হচ্ছে যার যতটুকু প্রাপ্য ততটুকু বলা উচিত নয় কি? বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে জিয়ার কি কোন ভূমিকাই নেই?

            তোমাকে জিয়ার সৈনিক হিসেবে ভাববো কেন? এটাও ভুল বলেছো।
            লাবলু ভাইয়ের এই পোস্টটা 'জিয়ার শাসনকাল' নিয়ে, তাই সেটা নিয়েই মন্তব্য করেছি। মুজিব আর জিয়ার তুলনা বা মুক্তিযোদ্ধা জিয়ার কথা এখানে মুখ্য নয়। তাই সেই প্রসঙ্গে যাইনি।

            মুক্তিযোদ্ধা জিয়া এবং রাজনীতিবিদ, শাসক জিয়া সম্পূর্ণ ভিন্ন ব্যক্তি। শাসক জিয়া আমার কাছে একজন উচ্চাভিলাসী প্রতিহিংসাপরায়ন মানুষ। শত শত মুক্তযোদ্ধাকে নিষ্ঠুরভাবে তিনি হত্যা করেছেন - ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখার জন্য। এই দেশে রাজাকারকে তিনিই প্রথম মন্ত্রী বানিয়েছিলেন (শাহ আজিজ)। রাজাকার, ধর্মান্ধ জামাত শিবিরকে ইসলাম বেঁচে রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছিলেন। ঠান্ডা মাথায় মানুষ আর মুক্তিযোদ্ধা হত্যা করা তার কাছে পানিভাত ছিলো। স্বাধীনতা-বিরোধীদের সঙ্গে জোট বেঁধে জিয়াউর রহমানই বাঙ্গালি জাতিকে শিখিয়েছেন প্রথম, কিভাবে করতে হয় অশুভ আঁতাত। এদেশে প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতির তিনি অগ্রপথিক। কেউ কেউ বলে তিনি সৎ ছিলেন কিন্তু প্রায় সব সময় কালো রেবন সানগ্লাস পরা এই লোকটা সারাজীবন বলে গেছেন... – মানি ইজ নো প্রবলেম । – সেই মানি তিনি কোথায় পেতেন? দল ভাঙার পেছনে যে অর্থ, রাজনীতিবিদদের আলু-পটলের মতো ক্রয় করার যে অর্থ, তার যোগান আসতো কোথা থেকে?

            রাস্তাঘাট মেরামত করে আর সাদা গোল গলার গেঞ্জি পরে উনি বেশ কিছু মানুষকে খুশি করছিলেন এটা সত্য কিন্তু একের পর এক যেই সামরিক ফরমানগুলো জারি করছিলেন সেটা এই দেশকে কতোটা পিছাইয়া দিছে সেই হিসাব কেউ রাখে নাই। মরে যাওয়ার আগে তিনি আমাদের জন্যে একপাল সুবিধাবাদী রাজনীতিবিদ , ভাঙ্গা সুটকেস আর ছেড়া গেঞ্জির মতো একটা দেশ ছাড়া আর কিছুই রেখে যান নি।

            শাসক জিয়া তাই শুধুই একজন অবৈধ ক্ষমতা দখলকারী, হত্যাকারী, ষড়যন্ত্রী, একজন সুযোগসন্ধানী খুনী জেনারেল ছাড়া আর কিছুই না।


            ---------------------------------------------------------------------------
            বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
            ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।

            জবাব দিন
            • টিটো রহমান (৯৪-০০)
              মুক্তিযোদ্ধা জিয়া এবং রাজনীতিবিদ, শাসক জিয়া সম্পূর্ণ ভিন্ন ব্যক্তি। ঠান্ডা মাথায় মানুষ আর মুক্তিযোদ্ধা হত্যা করা তার কাছে পানিভাত ছিলো।

              :thumbup: :thumbup: :thumbup:

              রাস্তাঘাট মেরামত করে আর সাদা গোল গলার গেঞ্জি পরে উনি বেশ কিছু মানুষকে খুশি করছিলেন এটা সত্য

              আর্মিতেও বেশকিছু সিনিযর -জুনিযর ছিল যারা তার নায়োকোচিত স্মার্টনেসে মুগ্ধ ছিলেন


              আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই

              জবাব দিন
            • আমিন (১৯৯৬-২০০২)

              কামরুল ভাই, বস আমি মনযোগ দিয়ে আপনার কথাগুলো পড়লাম আমার আগের মন্তব্যটা আমি প্রত্যাহার করে নিচ্ছি। আপনার মন্তব্যে দলীয় ফ্লেভারের কথা বলে ফেলাটায় বেশি হুট করে ডিসিশন নেয়ার অপরাধে আমি অপরাধী। মানুষ মেরেছেন এজন্যই জিয়া অপরাধী কিন্তু আপনি আবার এর সাথে মুক্তিযোদ্ধা আলাদা করে বলেছেন সেটা আমার ভালো লাগেনি। ( আমার ভালো লাগা অনুযায়ী আপনি কমেন্ট করবেন না এটা জেনেও বলার জন্য ক্ষমা করবেন)। আমি বিশ্বাস করি চেতনায় আমরা সবাই মুক্তিযোদ্ধা এবং সকল বাঙালি মুক্তিযোদ্ধা।(রাজাকরদের আমি বাঙালি মনে করি না বলেই এই কথাটা বললাম)।

              জবাব দিন
      • সামীউর (৯৭-০৩)

        প্রত্যেক মানুষের দলীয় আদর্শ আছে, এটাই স্বাভাবিক। পাগল ও প্রতিবন্ধী ছাড়া সবাই ভোট দেয় এবং সেটা একটা রাজনৈতিক দলের মনোনীত ব্যক্তিকেই দেয়।তাই কেঊ রাজনীতি নিরপেক্ষ হতে পারেনা বলে আমার বিশ্বাস, তবে আমাদের দেশের রাজনীতি তে যেটা নেই তা হলো পরমত সহিষ্ণুতা। আর খাবারে ধূলাবালিতে বা ফুলের রেণুতে এলার্জির কথা শুনেছি কিন্তু বানানে এলার্জির কথা শুনি নাই, চিকিৎসকরা এ ব্যপারে ভালো বলতে পারবেন!

        জবাব দিন
        • আমিন (১৯৯৬-২০০২)

          আমার চেনাজানা অনেক লোককেই নির্বাচনে ভোট দিতে দেখিনি । তারা পাগল কিংবা প্রতিবন্ধী এটা ভাবাটা কঠিন।
          গত নির্বাচনে খুব সিগনিফিকেন্ট না হলেও বেশ কিছু "না " ভোট পড়েছে, সে লোকগুলোকে কি রাজনীতিক আলোচনায় নিরপেক্ষ ধরা যায়?? আমি নিজেও ঠিক শিউর না।
          আমি রাজনীতি নিরপেক্ষ বলতে যা বোঝাতে চেয়েছি সেটা হলো বর্তমান প্রেক্ষাপটে আমাদের মূল রাজনীতির ধারা যেগুলো আছে আমি সেগুলোর কোনটারই পক্ষপাতী না।

          বানানে এলার্জি শব্দটা ব্যবহার করাটা মনে হচ্ছে বেশ উদ্ভট হয়ে গেছে। আমি বোঝাতে চেয়েছি কিছু কিছু বানান ভুল দেখলে আমার ভালো লাগে না, তেমন একটি শব্দ "বাঙালি" । এর সাথে খাবারের এলার্জি ফুলের রেণুর এলার্জি মেলানোটা কি ঠিক হলো???

          জবাব দিন
          • সামীউর (৯৭-০৩)

            @ আমিন ভাই
            গত নির্বাচনে খুব সিগনিফিকেন্ট না হলেও বেশ কিছু “না ” ভোট পড়েছে, সে লোকগুলোকে কি রাজনীতিক আলোচনায় নিরপেক্ষ ধরা যায়?
            না ভোট মানে কিন্তু নিরপেক্ষ না। ব্যপারটা বুঝবেন আশা করি। কারণ না ভোটের ক্রাইটেরিয়া হচ্ছে- উল্লেক্ষিত প্রাথীদের মধ্যে কাউকে নয় । ধরুন ভোটারের পছন্দসই সরকার -কাঠামো হলো খেলাফত, এখন হিজবুল তাহরীর নির্বাচনে অংশ না নেয়াতে সেই ভোটার যদি না ভোট দেয় তাইলে কি সে নিরপেক্ষ? (উদাহারণ পুরাই কাল্পনিক)
            আর এলার্জি খাবারে, ফুলের রেণুতে কিংবা অন্য কিছুতে হয় বানানে হয় না! এলার্জি -এই শব্দটা আপনিই আগে বানানের সাথে মিলিয়ে ব্যবহার করে ঠিক /বেঠিক যেইটাই হোক কাজটা করসেন। আমি অসঙ্গতিটা ধরাই দিসি মাত্র।
            ভালো থাকবেন, আশা করি ইফতার পার্টিতে দেখা হবে।

            জবাব দিন
            • সামীউর (৯৭-০৩)

              আরেক্টু যোগ করি
              আমার চেনাজানা অনেক লোককেই নির্বাচনে ভোট দিতে দেখিনি । তারা পাগল কিংবা প্রতিবন্ধী এটা ভাবাটা কঠিন।
              কেউ ভোট না দিলেই যদি আপনে ধইরা নেন তার কোন রাজনৈতিক বা দলীয় আদর্শ নাই ( রাজনীতিবিদরাই রাজনৈতিক কারণেই দল গঠন করে) তাইলে ভাই আমার আর কিছু বলার নাই।

              জবাব দিন
  9. রকিব (০১-০৭)

    লেখা খুবই ভালো হচ্ছে লাবলু ভাই।
    সিসিবি প্রকাশনা থেকে এটা আমাদের আগামী ই-বুক করার প্রস্তাব রাখছি।


    আমি তবু বলি:
    এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..

    জবাব দিন
  10. আদনান (১৯৯৪-২০০০)
    “স্বাধীন দেশের সরকার জীবিত গেরিলাদের চায় না, নো গভর্নমেন্ট ওয়ান্টস অ্যান অ্যালাইভ গেরিলা, নিতে পারে না………”।

    এই লাইনগুলো যতবার পড়ি শরীরের রক্ত টগবগ করে । লাবলু ভাই আগামী পর্ব পড়ার আগ্রহ জানিয়ে রাখলাম । পাপ বাপকে ছাড়েনা, জিয়াকেও ছাড়েনাই । জাসদ সম্পর্কে আরো বিশদ জানতে চাচ্ছি ভাইয়া । আমিও এ সিরিজটাকে ইবুক করার অনুরোধ জানাচ্ছি ।

    জবাব দিন
            • মাসরুফ (১৯৯৭-২০০৩)

              আচ্ছা জসিম ভাই, আপনার কুনো ফ্যান কেলাব আছে ফেসবুকে?শিগগিরি লিঙ্ক দ্যান বস,আমি আপনার ফ্যান হপো(কপিরাইটঃ রায়হান আবীর) =)) =)) =)) =)) =)) =)) =)) =)) =)) =)) =)) =)) =)) =)) =))

              জবাব দিন
                • সানাউল্লাহ (৭৪ - ৮০)

                  জামালউদ্দিন, আমি জানি না আপনি এক্স ক্যাডেট কিনা, হলে বা না হলেও কোনো বিষয় না। আপনার সঙ্গে একমত না হলেও আপনার মতকে আমি সম্মান করি। এ নিয়ে আমরা অবশ্যই খোলামনে আলোচনা, তর্ক-বিতর্ক করবো।

                  তবে উনার এই মন্তব্যে যারা প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছো, তাদের বলি, তোমরা এমন কিছু করো না যাতে অন্য কেউ আঘাত পায়। প্লিজ......... আমরা সিসিবিকে সুস্থ আলোচনা-বিতর্কের মঞ্চ দেখতে চাই।


                  "মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"

                  জবাব দিন
                    • আমিন (১৯৯৬-২০০২)

                      সানা ভাই আমার কথাটা কয়া দিছেন। আমি সত্যিকার অর্থে খুবই হতাশ হয়েছি মাস্ফ্যু , রবিন ভাই , রকিব আর টিটো ভাইদের আছচরণে। এই ব্লগটাকে নিয়ে আমি গর্ব করি নিজেদের এত স্বচ্ছ প্লাটফর্ম বলে। সেদিন আমার মামার পিসিতে বিডিআর বিদ্রোহের সময়ে সাইফুদ্দিন ভাইয়ের লেখাটা দেখে গর্বে বুক ফুলে উঠেছিল। আমাদের আত্মীয় স্বজনদের অনেকেই ধন্না দেন এখানে। সো আমাদের মনে রাখতে হবে সব অতিথি এক্স ক্যাডেট না। আর আমাদের নিজেদের ইমো গুলো অপরিচিত কোন অতিথিকে হেয় না করার জন্য সবিনয় অনুরোধ জানাচ্ছি। সবার মত এক হলে তো ব্লগে আলোচনা হবে না হবে শুধু পিঠ চুলকাচুলকি!!! সেটা কি সিসিবিতে আমাদের কাম্য!!!

                    • মাসরুফ (১৯৯৭-২০০৩)

                      সানা ভাই,

                      কাউকে আঘাত দেয়া,বিশেষ করে বাইরের কোন অতিথিকে-এটা আমাদের ক্যাডেট সংস্কৃতির অংশ নয় তা আমরা সবাই জানি।কিন্তু তার মানে কি এই যে নিতান্ত বালখিল্যসুলভ কথা কেউ বললে সেটা নিয়ে টিটকিরি মারা যাবেনা? লক্ষ্য করুণ জামাল সাহেবের বক্তব্যঃ

                      BNP —the most successful & popular moderate rightist party of Bangladesh

                      নির্বাচনের ফলাফল কি তাই বলে? সাফল্য-বিফলতার খতিয়ানে না-ই বা গেলাম-বি এন পি বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় দল এ কথা গত নির্বাচনের পরে যদি কেউ বলে তাহলে দেশের মানুষের রাজনৈতিক মনোভাব সম্পর্কে তার পুরোপুরি বালখিল্যসুলভ অজ্ঞানতাই কি প্রকাশ পায়না? জামাল সাহেব যদি ফয়েজ ভাইয়ের মত(অতটা বিনয় না দেখিয়ে এমনকি চাঁছাছোলা ভাষায় হলেও) কিছু পয়েন্ট উপস্থাপন করতেন তাহলে তাঁর সাথে বাহাসে যেতে আমাদের কারো সম্ভবত কোন আপত্তি থাকতনা।কিন্তু এরকম উটকো মন্তব্যকে পরিহাস করাটা কি আসলেই ভব্যতার অনেক বেশি লঙ্ঘন? আমি যদি এখন বলি যে ১৯৭৫ সালের সবচাইতে জনপ্রিয় দল আওয়ামি লীগ,তাহলে ঠিক একই ধরণের পরিহাস কি আমার প্রাপ্য হবেনা?

                      আমি আমার মনোভাব ব্যক্ত করলাম মাত্র-যদি আমি ভুল করে থাকি তাহলে আমার মন্তব্য মুছে দিতে পারেন এবং এ ধরণের মন্তব্য করা থেকে আমাকে বিরত থাকতে বলতে পারেন।ছোট ভাই হিসেবে আমাকে এটুকু শাসন করার অধিকার আপনি সহ আমার প্রত্যেক বড়ভাইয়ের ক্ষেত্রেই জন্মগত বলেই আমি মনে করি।

                    • আমিন (১৯৯৬-২০০২)

                      মাস্ফ্যু, এটা অন্যভাবে নিস না। আমার কাছে ব্যাক্তিগত ভাবে মনে হয়েছে তাকে যুক্তির অবতারণা করার সুযোগ দেয়া যেত, অন্তত কোন পারস্পেকটিভ থেকে তিনি দেখছেন সেটা জানা যেট। এখন যেটা হবে ওই ভদ্রলোক (যদি এক্স ক্যাডেট না হন)
                      আমাদের সম্পর্কে যে ধারনা নিয়ে যাবেন সেটা আমাদের ক্যাডেট সম্প্রদায়ের জন্য খুব গৌরবের হবে না।

                    • মাসরুফ (১৯৯৭-২০০৩)

                      দূর বস অন্যভাবে নিব ক্যান।আপনি যা বলতে চাইছেন বুঝতে পারছি।আমার হয়তো আরেকটু বিনয়ীভাবে উনাকে জিজ্ঞাসা করা উচিৎ ছিল-সরাসরি পরিহাসে না গিয়েও আমার বক্তব্য যে বোঝানো যাইতনা তা না।আসলে নির্বাচনে ভরাডুবির পরেও কোনরকম পার্স্পেক্টিভ ব্যাখ্যা না করে এরকম উৎকট একটা দাবী (বি এন পি বাংলাদেশের সবচাইতে পপুলার দল) দেখে আমি খুব বড় একটা "শক" খাইছিলাম এর কারণে নিজেকে সামলাইতে পারিনাই।"Extra-ordinary claim demands extra-ordinary proof" এইটা তো আমরা সবাই জানি-উনার দাবিটা যেহেতু এক্সট্রা অর্ডিনারি-তাই মন্তব্যের সাথে সাথে যুক্তিগুলা না বললে সেইটার ফলে যদি পরিহাস চলে আসে তাইলে খুব বেশি দোষ মনে হয় আমাকে দেওয়া যায়না।তারপরেও,বড় ভাই হিসেবে যখন আপনের চোখে লাগছে- আমি ক্ষমা চাইছি আমার বক্তব্যের ধররণের জন্য-কিন্তু মূল বক্তব্য নিয়ে আমার অবস্থান আগের মতই।মাইন্ড খাইয়েন না প্লিজ।

                    • টিটো রহমান (৯৪-০০)
                      আমি সত্যিকার অর্থে খুবই হতাশ হয়েছি মাস্ফ্যু , রবিন ভাই , রকিব আর টিটো ভাইদের আছচরণে।

                      হতাশ হওয়ার কিছু নেই আমিন..........আসলে হাসি চেপে রাখতে পারিনি...কেউ যদি বলে হিটলারের নাম পৃথিবীর সবাই জানে তাই সে অতি জনপ্রিয় তখনো মনে হয় হাসি চাইপা রাখতে পারুম না ;))


                      আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই

                    • রকিব (০১-০৭)

                      আমিন ভাই, আমি আসলে মন্তব্য দেবার সময় ওভাবে ভেবে দেখিনি। 😕
                      তবে আমার মন্তব্যের মূল কারণ্টাই ছিল এ অংশটুকু-বি এন পি বাংলাদেশের সবচাইতে পপুলার দল) দেখে আমি খুব বড় একটা “শক” খাইছিলাম এর কারণে নিজেকে সামলাইতে পারিনাই।
                      ব্যক্তিগতভাবে দলমত নিরপেক্ষতা দাবী না করলেও আপাত বাংলার কোন রাজনৈতিক দলের মধ্যেই তেমন কোন আশাপ্রদ কিছু আমি পাইনি। ওটুকুতেই আপত্তি জানিয়েছি, কিন্তু ভঙ্গিটা বোধহয় কিঞ্চিত রুক্ষ হয়ে গেছে। 🙁
                      আমিন ভাইয়ার জন্য :thumbup:


                      আমি তবু বলি:
                      এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..

    • সাল্লু (৯২/ম)

      আমাদের কলেজে আজিজুল হাকিম স্যার ছিলেন ইংরেজীর জাহাজ। ক্লাসে পড়ানোর সময় একটা করে word বলতেন আর তারপর তার হাজার খানেক Synonym বোর্ডে লিখতেন। উনি একটা শব্দ শিখিয়েছিলেন - Oxymoron, এর অর্থ দুইটি সম্পুর্ণ বিপরীতধর্মী শব্দ দিয়ে এক রকম paradox সৃষ্টি করা । যেমন sharply dull, Deafening silence, silent scream ইত্যাদি। জামাল ভাই, আপনার moderate rightist শুনে অনেকদিন পর Oxymoron এর কথা মনে পড়ে গেল।
      আর আমিও ফ্যান হপো, লিন্ক পাঠায়েন।

      জবাব দিন
    • সানাউল্লাহ (৭৪ - ৮০)
      U r to much biased against Zia!

      মি. জামালউদ্দিন : আপনি আমার লেখায় জিয়ার বিরুদ্ধে পক্ষপাতটা কোথায় পেলেন সেটা স্পষ্ট করলে আলোচনা সহজ হতো। ধারাবাহিকটার এই পর্বে আমি ওই সময়ের যেসব তথ্য দিয়েছি তা কি অসত্য? নিজে কিছু বানিয়ে বলেছি বা লিখেছি? আমি নিজের জীবনে যে সময়টা পেরিয়ে এসেছি, সেই নির্দিষ্ট সময় ধরে তখনকার রাজনীতি, সমাজ, মানুষের কথা, নানা তথ্য ও সঙ্গে নিজস্ব পর্যবেক্ষণ তুলে ধরছি মাত্র। আমার পর্যবেক্ষণ তথ্য দিয়ে সমর্থিত। নিজের বানানো নয়। তাই কোনটা পক্ষপাতমূলক তা সুনির্দিষ্ট বললে জবাব দিতে পারতাম। ঢালাও বক্তব্যের উত্তর দেওয়া কঠিন।

      আমার এই ধারাবাহিকের তৃতীয় পর্ব স্মৃতির ঝাঁপি : মুক্তিযুদ্ধোত্তর অস্থিরতা'য় আপনি মন্তব্য করেছেন,

      Lovely write up Sana Bhai. You have picked the timeof post liberation war in a vivid candid way. Thanks!!!!!

      মুক্তিযুদ্ধোত্তর সময়ের নৈরাজ্য, অস্থিরতা, দুর্নীতি আর আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচনা নিয়ে ওই লেখাটা যদি পক্ষপাতমূলক না হয়, এখানে জিয়ার শাসনকালের তথ্য-পর্যবেক্ষণ কেন আপনার কাছে পক্ষপাতমূলক মনে হচ্ছে জানি না। আপনিই সেটা নির্দিষ্ট করে বলতে পারেন।

      Your parrallelism of Zia with Ershad is not acceptable at all.

      জিয়া এবং এরশাদকে কোথায় আমি এক পাল্লায় ফেললাম ভাই? পুরো লেখাটা পড়ে যদি একটা উদ্ধৃতিও দিতেন।

      আমি লিখেছি,

      আমরা কলেজে ঢোকার পর জিয়াউর রহমান ও বেরোনোর আগে এইচ এম এরশাদকে ক্যাডেট কলেজ গভার্নিং বডির চেয়ারম্যান হিসাবে পেয়েছিলাম। দুজনই ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজ সফরে এসেছিলেন। তবে এই দুই চরিত্রের কেউ আমাকে কখনো আকৃষ্ট করতে পারেননি।

      এখানে দু'জন একপাল্লায় কি মেপেছি? আমি বলেছি, দু'জনের কেউ আমাকে আকৃষ্ট করতে পারেননি। ব্যস এইটুকুই। আর কিছু না। এরশাদ নিয়ে পরে লেখা হলে সেখানে হয়তো তার সম্পর্কে আমার পর্যবেক্ষণ পাবেন। ধৈর্য্য থাকলে পড়বেন আশা করি।

      আপনি লিখেছেন,

      Please do not forget Zia is the founder of BNP —the most successful & popular moderate rightist party of Bangladesh. OK?

      আপনার ভাষায় জিয়াউর রহমান "সবচেয়ে সফল ও জনপ্রিয় মডারেট ডানপন্থী দল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা"। যদি আপনার দাবি মেনেও নিই তাতে কি আসে যায়? আমি নিজস্ব পর্যবেক্ষণ, বিশ্লেষণ করতে পারবো না? যদি সেটা আপনার পছন্দ নাও হয়? নাকি জিয়ার শাসনকাল নিয়ে লিখতে গেলে আমাকে আপনার দাবি বিবেচনায় রেখে পক্ষপাতমূলক তথ্য ও বিশ্লেষণ করতে হবে?

      লেখাটি পড়া ও মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।


      "মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"

      জবাব দিন
      • রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

        সাধু, সাধু।
        আর হ্যা ভাইয়া বিমানবাহিনির যে কুর কথা বলেছেন তা সত্য।
        আমার নানুর ছোটভাই জড়িত ছিলেন। তার মুখেই শুনেছিলাম ১৯৯০ সালে।


        এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

        জবাব দিন
  11. ফয়েজ (৮৭-৯৩)

    কর্নেল তাহের কে নিয়ে আপনার মূল্যায়নটা আরেকটু ডিটেইল যদি লিখতেন ভাইয়া। তার কাজ কে আমার কেন যেন "বালখিল্য" মনে হয় না। ভুল তিনি করেছেন, ভুলের খেসারতও দিয়েছেন জীবন দিয়ে, তাই বলে তা কিন্তু বালখিল্য হয়ে যায় না। তাহলে বঙ্গবন্ধুর ৭১ পরবর্তী সিন্ধান্ত অনেকগুলোই বালখিল্য হয়ে যায়।

    আমার কাছে সবচেয়ে অজানা অধ্যায় ৩ থেকে ৭ নভেম্বর এর ঘটনা গুলো। এগুলো কি আরেকটু ডিটেইল লিখবেন। ব্রি খালেদ মোশাররফ এবং মে হায়দার মারা গেলেন কিভাবে? গনবাহিনীর হাতে? তাহের কি গনবাহিনীর সংগে সরাসারি জড়িত ছিলেন?

    আমি নিশ্চিত না জিয়া কখন সেনাপ্রধান হয়েছিলেন? জেনারেল শফিউল্লাহ তখন কোথায় কি অবস্থায় ছিলেন? খালেদ মোশাররফ এর কি নিজস্ব কোন দল ছিল? তিনি তখন সেনাবাহিনীতে কোন পোস্টে ছিলেন? আপনার জানা থাকলে একটু জানবেন প্লিজ। আর জিয়া এর সংগে কি মুজিবের কোন দ্বন্দ ছিল কি? বাংলার আম-জনতা জিয়াকে এত পছন্দ কেন করে? বাংলাদেশের একটা বিরাট মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষ জনগোষ্টি কেন জিয়াকে এত সম্মান করে?

    জিয়াকে যেদিন মেরে ফেলা হয় সেদিনের কথা আমার মনে আছে, স্কুল ছুটি দিয়ে ফেলা হয়েছিল, বাবা আমাকে নিতে স্কুলে গিয়েছিলেন, আমার কঠিন হৃদয়ের বাবাকে আমি সেই প্রথম এবং শেষ কাঁদতে দেখেছি। বাবা রাজনীতির মানুষ ছিলেন না, কিন্তু তার মতে ৭৫ এর সময় জিয়া না থাকলে দেশ নস্ট হয়ে যেত। গনবাহিনী এবং রক্ষীবাহিনীর হাত থেকে তিনি দেশকে মুক্ত করেছেন, এটাই ছিল তার বিশ্লেষন। আমি পরে বুঝেছি এটা শুধু বাবার একার মত না, বাংলাদেশের লাখো মানুষের ধারনা এখনো তাই।

    এরা জিয়া কে কেন এত পছন্দ করে?


    পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না

    জবাব দিন
    • কামরুল হাসান (৯৪-০০)

      ফয়েজ ভাই
      বাংলাদেশের একটা বিশাল জনগোষ্টীতো (আপনার ভাষায় 'লাখো মানুষ') গোলাম আজম আর এরশাদকেও অনেক পছন্দ করে, সম্মান করে। গোলাম আজম, এরশাদ মারা গেলেও এরা মন থেকে বুক ফাটিয়ে কান্না কাটি করবে।

      এই মাপকাঠি দিয়ে কি আপনি ভালো/মন্দ মানুষের বিচার করবেন?


      ---------------------------------------------------------------------------
      বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
      ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।

      জবাব দিন
      • হাসনাইন (৯৯-০৫)

        মানুষ নিজের অস্তিত্বকে বিপন্ন করে এমন সবকিছুই সরিয়ে দিতে চায়। যেমন বঙ্গবন্ধু করেছেন (সিরাজ শিকদার), জিয়াও করেছেন (কর্ণেল তাহের)। কিন্তু জিয়ারটা বিশ্বাসঘাতকতার পর্যায়ে পড়ে, যা একজন সুস্থ মানুষের পক্ষে মেনে নেওয়া যায় না। বঙ্গবন্ধুর সাথে জিয়ার তুলনা আমার কাছে হাস্যকর লাগে। কিন্তু তারপরও কেন জানি মনে হয় দুইজনই নিজ নিজ সময়ের জন্য যথার্থ ছিলেন।

        বঙ্গবন্ধু বড় বড় যুদ্ধাপরাধীদের বিচার না করতে পেরে যে ভুল করেছেন জিয়া আর তার দল মিলে সেই ভুলটাকে কোলে করে এই দুই হাজার নয় পর্যন্ত নিয়ে এসেছেন।
        কিন্তু তার দল ব্যতীত শুধুমাত্র বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা, ভালবাসা আমার সবসময় থাকবে।

        আমার সম্পূর্ণ নিজস্ব আভিমত।

        জবাব দিন
        • আদনান (১৯৯৪-২০০০)

          যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে না পারার পেছনে অনেক আন্তর্জাতিক চাপ ছিল, তাই চাইলেও উনি করতে পারেননি । তবে কোলাবেটরদের সচিবালয়ে/শাসনযন্ত্রে বসতে দেয়াটা বড় ভুল ছিল ।

          জবাব দিন
          • হাসনাইন (৯৯-০৫)

            কিন্তু ভাই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে তখন যতটা সহজ ছিল এখন ঠিক ততটাই কঠিন। এখন তারা আরো সংগঠিত, এত বছর পরে তাদের বিরুদ্ধে প্রমাণ খুঁজতে যাবেন? তাও ঠিকঠাক মত পাবেন না। আর আন্তর্জাতিক চাপ কিন্তু এখনো আছে।

            জবাব দিন
            • আদনান (১৯৯৪-২০০০)

              এটা কোন সময়ই সহজ ছিলনা । তখন বাংলাদেশের অস্তিত্বের জন্য এই সেক্রিফাইস করতে হইছে । আর যুদ্ধাপরাধীদের তো মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের একাংশ পূনর্বাসন করেছে । ক্ষমতা এমনি এক জিনিস, কেউ কারো পার্মানেন্ট শত্রু না । তবে এবার কিছু না করা হলে আর কখনো হবে কিনা ঘোর সন্দেহ আছে আমার । আসলে সদিচ্ছা লাগে, সেটাই আমাদের বর্তমান সরকারের নাই বলেই আমার ধারনা ।

              জবাব দিন
    • সানাউল্লাহ (৭৪ - ৮০)

      ফয়েজ : তাহেরের দেশপ্রেম নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। তার প্রতি সহানুভূতি-ভালোবাসাও কমতি নেই। যেমন চেগুয়েভারার জন্য। কিন্তু বিপ্লব কোনো ছেলেখেলা নয়। বিপ্লব নিয়ে ভুল করার সুযোগ নেই। তাহের, চে- দুজনই নিহত হয়েছেন নিজেদের ছেলেমানুষি রোমান্টিকতার জন্য। বিপ্লব করতে হলে আগে মানুষকে প্রস্তুত করতে হয়। সংগঠন লাগে, শক্তি লাগে। নিজের পায়ের নিচে মাটি লাগে। প্রতিটি সফল ও ব্যর্থ বিপ্লব চেষ্টা সম্পর্কে পড়াশুনা করলে দেখবে এটা কতো সত্যি।

      তাহেরের বিপ্লব চেষ্টা পুরোপুরি ছেলেমানুষি চেষ্টা। তুমি সম্ভবত আনোয়ার কবিরের ডকুটা দেখেছো। দেখো এবং শোনো প্রত্যক্ষদর্শী ও জড়িতরা কি বলছে? তাহের নিজেও পরিস্কার ছিলেন না তার কাজ সম্পর্কে। বাইরে কয়জন এই বিপ্লবের সঙ্গে যুক্ত ছিল, জানি না। কিন্তু সেনানিবাসে এনসিও আর জেসিওদের একটা ক্ষুদ্র অংশকে নিয়ে বিপ্লবের চেষ্টাকে বালখিল্য বলাটা মোটেও বাহুল্য নয়। আরো হাস্যকর বিষয় হলো, বিপ্লব করে ক্ষমতা তুলে দেওয়া হচ্ছে একজন প্রতিবিপ্লবীর হাতে! বিশ্বে কোথায় কে শুনেছে, বিপ্লবীরা ক্ষমতা দখল করে আরেকজনকে দাওয়াত করে ক্ষমতা নিতে বলে? এটা ভুল নয় ফয়েজ, অপরাধ। রীতিমতো অপরাধ। এ কারণে কতোজনের ফাঁসি হয়েছে? কতোজনের চাকরি গেছে? কতো পরিবার নিঃস্ব হয়েছে? বিনিময়ে কি পেয়েছে বিপ্লবীরা?

      চেগুয়েভারা এমনই বিপ্লব ছড়িয়ে দিতে বলিভিয়া গিয়েছিলেন। কিউবায় যেভাবে বিপ্লব সফল হয়েছিল তারই কার্বন কপি তিনি করতে চেয়েছিলেন ল্যাতিন আমেরিকায়। বলিভিয়ানরা তার সঙ্গে ছিল না। পরিণতিটা হয়েছিল একরকম আত্মহত্যা! তাহের ওই ইতিহাস থেকেও কিছু শেখেননি।

      '৭৫-এর ৩ থেকে ৭ নভেম্বর নিয়ে পুরনো পড়াশুনাটা ঝালাই করছি। আগামী পোস্টে সেটা নিয়েই লিখবো। সেখানে জিয়া সম্পর্কেও বিস্তারিত বলার চেষ্টা করবো।


      "মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"

      জবাব দিন
    • রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

      ফয়েয ভাই শটকাট মারি।
      খালেদ মোশাররফ বিগ্রেডিয়ার ছিলেন ঢাকার ??? ডিভিশনের চারজে।
      হায়দার তখন করণেল ছিলেন।
      তাদের কোন দল ছিলো না।

      তাহের চাকুরীতে থাকাকালীন বিশেশত সামরিক বাহিনী থেকে অবসরের পরে নারায়নগঞ্জে সরকারী চাকুরীতে থাকাকালীন জাসদের সাথে ঘনিষ্টভাবে জড়িত ছিলেন।

      আর জিয়া কেনো হিরো?
      জটিল প্রশ্ন।
      তবে এভাবে দেখেনঃ
      মানুষ বীরপূজা করে।
      মানুষ কিন্তু এক সময় এরশাদের ও পূজা করেছে।
      বিশেষ বাহিনী যেমন পুলিশ (ব্রিটিশ আমল) আরমি (পাকিস্তান আমল থেকে আজ অবধি) খমতাবান হওয়ায় সাধারণ মানুষ এদেরকে বিশেষ দৃষ্টিতে দেখে থাকে।
      বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোতে দেখেন X সামরিক বাহিনীর অফিসারদের কেমন ছড়াছড়ি!
      মেজর রফিকের (জিয়া জেড ফোরসে যাওয়ার পর ১ নম্নর সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার হন) লেখা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে জিয়ার যুদ্ধকালীন ( যুদ্ধ শুরুর প্রথমে) কার্যকলাপ বেশ প্রশ্নবিদ্ধ।
      মেজর রফিক আওয়ামী মন্ত্রীসভার (১৯৯৬) প্রথম সরাষ্ট্র মন্ত্রি ছিলেন।
      আরেক্টা কথা বলি মানুষ কখন নিজের ছায়াকে ভয় পায়?
      যুদ্ধখেত্রে মানুষ যাদের সাথে নিয়ে যুদ্ধ করে তাদের চাইতে আপন আর কে হতে পারে!
      জিয়া তাদের হত্যা করেছেন, দূরে সরিয়েছেন। রিপ্যাট্রিয়ট দের সেনা প্রধান করেছেন। রাজাকারদের পুনরবাসন করেছেন।
      তবে শেষ কথা এক্টাই জিয়া একজন খুনী ভিন্ন আর কিছুই নয়।


      এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

      জবাব দিন
  12. শেখ আলীমুজ্জামান (১৯৭০-৭৬)

    পোস্টের সাথে সম্পর্কে নেই তবে জানার আগ্রহে @সানাউল্লাহঃ অনলাইনে, দেশের বাইরে থেকেও শোনা যাচ্ছে- রেডিও ঢাকা, রেডিও গুনগুন, রেডিও ফুর্তি । তোমার এ বি সি রেডিও অনলাইনে শোনানোর কোন পরিকল্পনা আছে কি?

    জবাব দিন
  13. আমিন (১৯৯৬-২০০২)

    সানা ভাই, আপনার লেখাটা অনেক মনযোগ দিয়ে পড়লাম। নিজেকে ব্যাক্তিক আদর্শের কথা বলে লেখাটার বায়াসড দিকটা স্বীকার করে নিয়ে চমৎকার নজির দেখিয়েছেন । এইটা যদি অনেকের শ্রদ্ধেয় জাফর ইকবাল বুঝত তাইলে পোলাপান গুলার মাথা ওয়াস কম হইত।

    এই লেখা নিয়ে মন্তব্য করার তেমন স্পর্ধা আমার নেই, যেহেতু এই লেখাগুলো আমাদের জন্য শুধুই জানার কেননা আমার জন্মেরও কিছু আগের ঘটনা সব। কিন্তু কিছু বিষয় আমার কাছে পরিষ্কার হলো না কিংবা আপনার কাছে আশা করি আরো পরিষ্কার ভাবে। সেটার প্রথম কথা হচ্ছে ইতিহাস কেন শুধু রাজা রাজরাদের হবে?? কে ক্ষমতা দখল করলো এইটা নিশ্চয়ই শেষ কথা নয়। সাধারণ মানুষদের অবস্থা কেমন ছিল সেটা খুব ভালো মত আসেনি। জিয়ার দ্বারা আপনি ব্যাক্তিগত ভাবে বেশিরকম ক্ষতিগ্রস্থ জেনেও আমার মনে হয় লেখাটা একটু বেশি বায়াসড হয়েছে। তাতে সত্য লঙ্ঘিত হয়েছে একথা বলবো না। যা হয়েছে তা হলো কিছু লোককে বলা হচ্ছে অপরাধী কিছু লোককে বলা হচ্ছে দুষ্টু ছেলে এটা আমার মত সাধারণ পাঠকদের জন্য একটু বিব্রতকর।

    এবার একটু বলি, সেটা হলো আমার মায়ের আপন চাচা মানে আমার নানার ছোট ভাই রক্ষী বাহিনীতে ছিলেন। তার কাছে রক্ষী বাহিনীর যে বীরত্ম গাথা শুনেছি সেটাও কম শিউরে উঠার মত না। খুব সম্ভবত আপনি নিজে ব্যাক্তিগত ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ নন বলে সে জিনিসগুলো লেখায় আসেনি।

    আগেই বলেছি পুরো লেখাটাই আমার জন্য পাঠ্য বইয়ের মত এটা পড়ে জানতে হবে। এর সমালোচনা বড় ধরণের ধৃষ্টতা। তারপরেও , আরেকটু যোগ করি,যদিও একথা আমি খুব গর্ব করে প্রকাশ করি না, সেটা হলো আমার বাবা সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন। কিন্তু চুয়াত্তর পরবর্তী এন্টি আওয়ামী সেন্টিমেন্ট আমি তার মাঝে প্রবলভাবে দেখি এখনও। তাই আমার মনে হয় বস আপনি যেভাবে এন্টি আওয়ামী সেন্টিমেন্টের সাথে বাংলাদেশ বিরোধী কথাটা টানতেসেন সেটা হয়তো পুরো ঠিক নয়।

    পরের পর্ব গুলোর জন্য আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করবো।
    আর সানা ভাইয়ের জন্য :hatsoff: :hatsoff:

    জবাব দিন
  14. সানাউল্লাহ (৭৪ - ৮০)
    তাই আমার মনে হয় বস আপনি যেভাবে এন্টি আওয়ামী সেন্টিমেন্টের সাথে বাংলাদেশ বিরোধী কথাটা টানতেসেন সেটা হয়তো পুরো ঠিক নয়।

    আমিন, খেয়াল করো, আমি আওয়ামী লীগ বিরোধীতার সঙ্গে বাংলাদেশ বিরোধীতাকে আমার কোনো লেখায় মেলাইনি। আমি ভালো করেই জানি দুটো এক নয়। আমি স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির কথা বলেছি। লেখায় দেখবে বলা হয়েছে,

    বাংলাদেশবিরোধী এই রাজনৈতিক শক্তি মুক্তিযুদ্ধে পরাস্ত হলেও হারিয়ে যায়নি। তারা মঞ্চ খুঁজছিল, জায়গা খুঁজছিল, নেতা চাইছিল।

    সুতরাং তোমার আশঙ্কা ভুল। আমার বাবা-চাচারা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ছিলেন, আমাদের বাড়ি '৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধাদের ট্রানজিট ক্যাম্প ছিল। কিন্তু তারাই '৭৪ পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ বিরোধী হয়ে উঠেন। জিয়ার ক্ষমতা দখলের পর জিয়া ও বিএনপির সমর্থক হয়ে যান।

    এবার সবার জন্য আমার বক্তব্য, আমি স্মৃতির সঙ্গে নিজের পর্যবেক্ষণ যুক্ত করে এই ধারাবাহিকটা লিখছিলাম। কিন্তু তোমাদের আগ্রহ আমার কাজটা কঠিন করে দিয়েছে। আজ দুপুরে প্রথম আলোর লাইব্রেরি থেকে ৫টা বই ইস্যু করলাম। চাকরি করবো, ব্লগ লিখবো, আবার ইতিহাস অনুসন্ধান করবো........ ~x( ~x( ~x( !!!


    "মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"

    জবাব দিন
    • আমিন (১৯৯৬-২০০২)

      বস, আমার কমেন্টে ব্যাক্তিগত বিয়টি তুলে আনার জন্য অত্যন্ত দুঃখিত। কিন্তু এ ব্যাপারটাতে একটু গোলমাল ঠেকছিল বলেই আমি কমেন্ট টা করেছিলাম। কোন রকম বেয়াদবি করলে মাফ করে দেবেন।

      সত্যিকার অর্থে খুব সম্ভবত আগের কোন এক পর্বের মন্তব্যে বলেছিলাম আমাদের বাংলাদেশের ইতিহাস বই খাতায় হঠাৎ করেই ১৯৭১ এ এসে শেষ হয়ে যায়। কিন্তু তার পরের ৩৮ বছরের সঠিক ইতিহাস আমাদের কাছে ধোয়াশা একেক জনের কাছে একেক রকম। এর একটা পরিষ্কার দলিল খুঁজছিলাম। তাই আপনার এই লেখাটায় আমার এক্সপেকটেশন বেশি। এই কারনেই অনেক গুলো কথা বলে ফেললাম।
      কোনটাতে আঘাত করলে সরি।

      জবাব দিন
      • সানাউল্লাহ (৭৪ - ৮০)

        আমিন, সরি বলার কি আছে? তুমি কোথায় আঘাত করেছ? তুমি কিছু প্রশ্ন তুলেছ, জানতে চেয়েছো। আমার লেখা নিয়ে হয়তো তোমার কিছুটা বিভ্রান্তি ছিল। সেটা পরিস্কার করলাম শুধু। আমার মন্তব্যে কি কোনো উষ্মা প্রকাশ পেয়েছে?

        ইতিহাস দেখে, লেখে তো মানুষ। আর প্রত্যেকটা মানুষ আলাদা স্বাধীন সত্ত্বা। প্রত্যেকের দেখার চোখ, লেখার চিন্তা ভিন্ন। তাই ইতিহাস নিয়ে সারাক্ষণই বিতর্ক চলে। এটা প্রত্যেকে নিজের মতো করে বিশ্লেষণ করে। আমিও ভিন্ন নই। সেটা লেখাতেই স্পষ্ট বলেছি।

        আমি বলি প্রশ্ন করো, প্রশ্ন তোলো, সন্দেহ করো। কোনো কিছু বিনা দ্বিধায়, প্রশ্নে মেনে নিও না। তাহলেই তুমি সত্যের কাছাকাছি যেতে পারবে।


        "মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"

        জবাব দিন
    • আদনান (১৯৯৪-২০০০)

      :thumbup: :thumbup: আপনার নিষ্ঠাকে । আমিনের মত আমারো কাছের অনেককে এমন দেখেছি । সেসময়ের সবাই খুবই মোটাদাগে হয় আওয়ামী লীগের ঘোর সমর্থক অথবা প্রবল বিরোধী ।

      জবাব দিন
  15. তৌফিক (৯৬-০২)

    আপনার এই পর্বটা মনোযোগ দিয়ে পড়ছিলাম। বিশেষ করে ব্লগের মন্তব্যগুলো পড়লাম। বিশেষ কিছু জানি না, তাই আলোচনায় অংশ নিতে পারছি না। তবে চালিয়ে যান লাবলু ভাই, লাইব্রেরি থেকে বই ইস্যু করার জন্য আপনাকে :salute:

    আমিনের একটা কথা ভালো লেগেছে, শাসকগোষ্ঠীকে নিয়েই কেন ইতিহাস হতে হবে। কোথায় যেন পড়েছিলাম, ইতিহাস শুরু হওয়া উচিত তৃণমূল থেকে, বাংলাদেশে ইতিহাস শুরু হয় মাথা থেকে।

    জবাব দিন
  16. মুহাম্মদ (৯৯-০৫)

    চমৎকার সানাউল্লাহ ভাই। সিসিবির সেরা অর্জন আপনার এই সিরিজটা।

    শাহাদুজ্জামানের "ক্রাচের কর্নেল" পড়ার পর কর্নেল তাহেরের প্রতি অপরিসীম শ্রদ্ধা জন্মেছিল। কিন্তু একটা বিষয় কিছুতেই মেলাতে পারছিলাম না। জিয়াকে তিনি কেন এত বিশ্বাস করলেন? বিশ্বাস দিয়ে কি রাজনীতি হয়? রাজনীতি মানেই তো চাল। কে কত নিপুণভাবে চালতে পারে। জাসদের অদূরদর্শীতা সম্পর্কে আপনার মতের সাথে তাই একমত হচ্ছি। জাসদ এক অস্থির এবং অপরিকল্পিত বিপ্লবের মাধ্যমে প্রকারান্তরে জিয়ার হাতে ক্ষমতা তুলে দিয়েছে।

    জিয়া সম্পর্কে আমার মনোভাবের সাথে রায়হান, কামরুল ভাইয়ের মতের বিশাল মিল আছে। আমার মতে জিয়া বাংলার কীট। আজ থেকে ৫০ বছর পর যখন বাংলাদেশের ইতিহাস রচয়িতারা ভাবতে শুরু করবেন, কেন বাংলাদেশ বিশ্ব প্রগতির সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যেতে পারল না, তখন এই জিয়াই লাইম লাইটে উঠে আসবেন। আমি নিজ পরিবার থেকে ব্যাপারটা বুঝি। বাংলাদেশে ধর্মীয় রাজনীতির হর্তকর্তারা যেমন জিয়াকে প্রণাম করে তেমনি সেই রাজনীতির সমর্থকেরা জিয়াকে ভালোবাসে, শ্রদ্ধা করে। জামায়াতে ইসলামীতে গোলাম আযমের পরই সবচেয়ে সম্মানের আসন পায় এই জিয়াউর রহমান, সংবিধান কলুষিত করে, ধর্মীয় উন্মাদনার মাধ্যমে রাষ্ট্রযন্ত্রকে বিকল করে যে দেশকে অন্তত ৫০ বছর পিছিয়ে দিয়েছে। আমাদের ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রের স্বপ্ন ধ্বংস করে দিয়েছে।

    জিয়া কিভাবে এত কর্তৃত্ব ও সমর্থন অর্জন করলেন তা নিয়ে আপনার বিশ্লেষণ তুখোড় হয়েছে। ৭০ এর নির্বাচন শুধু না সব নির্বাচন থেকেই এটা বোঝা গেছে দেশের একটা বিশাল অংশ ধর্মীয় রাষ্ট্রচিন্তার প্রতি দুর্বল। এটা না হলে তো পাকিস্তান হতো না। এই অংশটাকে পৃষ্ঠপোষকতা করেছেন জিয়া। আর মানুষের অন্ধ আনুগত্য অর্জনে যে ধর্মের চেয়ে উত্তম কোন মাধ্যম নেই তা তো সবারই জানা।
    সংবিধানের পুরা ১২টা বাজাইছে। ৭২ এর সংবিধান বহালের কোন উপায়ও তো দেখি না। এই বাংলার মানুষেরা কি সংবিধান থেকে "বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম" বাদ দেওয়া মেনে নিতে পারবে? রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সড়ানো মেনে নিতে পারবে? এগুলো যোগ করা যত সোজা ছিল বাদ দেয়া তার চেয়ে লক্ষ গুণ কঠিন। কারণ সাধারণ মানুষের অজ্ঞতার সুযোগে ধর্মীয় রাজনীতির ধ্বজাধারীরা এগুলোকে শ্লোগানে পরিণত করবে।

    জবাব দিন
    • সানাউল্লাহ (৭৪ - ৮০)

      মুহাম্মদ : ৭ নভেম্বর সিপাহী-জনতার বিপ্লব বলা হয়! সিপাহীরা সেনানিবাসের বাসায় বন্দিদশা থেকে জিয়াকে মুক্ত করে রাজপথে নেমে আসে। নেমে আসে বেসামরিক অনেক মানুষ। এই বেসামরিক মানুষরা কারা ছিল? আমার বাবা-চাচারা তো তখন মুজিব বিরোধী, আওয়ামী লীগ বিরোধী। তারা তো রাস্তায় নামেননি। আওয়ামী লীগা এবং মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের কারো তো নামার তো প্রশ্নই উঠে না। তাহলে কারা নেমেছিল? মুসলিম লীগ, জামায়াত ছিল যাদের অন্তরে। যারা ৩ নভেম্বর খালেদ মোশাররফের ক্ষমতা দখলে ভারতের ষড়যন্ত্র দেখেছিল, তারা নেমেছিল।

      তাহের বিপ্লব করেছে, আর জিয়াকে মুক্ত করায় কে নেতৃত্ব দিয়েছিল জানো? বঙ্গবন্ধুর খুনি দলের সদস্য মেজর মহিউদ্দিন। যে বঙ্গবন্ধুর পরিবারকে হত্যার জন্য আর্টিলারি গান থেকে ৩২ নম্বর বাড়ি লক্ষ্য করে গোলা ছুড়েছিল।

      তাহের "বিপ্লবী সৈনিক সংস্থা" গড়ে তুলেছিলেন। এরাই ৭ নভেম্বর তথাকথিত বিপ্লব করেছিল। তাদের ১২ দফা দাবিতে একটিও জাতীয় দাবি ছিল না। সব দাবি ছিল "সেনাছাউনি কেন্দ্রীক" [সূত্র : একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, রক্তাক্ত মধ্য-আগস্ট ও ষড়যন্ত্রময় নভেম্বর; লেখক : কর্নেল শাফায়াত জামিল (অবঃ)]।

      এর নামও বিপ্লব!!


      "মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"

      জবাব দিন
  17. ওয়াহিদা নূর আফজা (৮৫-৯১)

    ভালোই তর্ক জমে উঠেছে।
    "আজ দুপুরে প্রথম আলোর লাইব্রেরি থেকে ৫টা বই ইস্যু করলাম। চাকরি করবো, ব্লগ লিখবো, আবার ইতিহাস অনুসন্ধান করবো…….. !!!"

    -আপনাকে বাচ্চা দেখতে হয়না??
    ইন্টেলে আমার একটা চিত্র প্রদর্শনী চলছে। সেপ্টেমবরের ৩ তারিখে একটা প্রেজেন্টেশন দিতে হবে যার বিষয়বস্তু হল - "Passion Vs. Profession"। আপনার নিজের কিছু কথা শুনতে ইচ্ছা করছে।


    “Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
    ― Mahatma Gandhi

    জবাব দিন
    • সানাউল্লাহ (৭৪ - ৮০)

      শান্তা : তোমার প্রদর্শনী নিয়ে একটা পোস্ট দাও। আমরা তোমার কাজ নিয়ে জানতে চাই। যদি ওয়েবলিংক থাকে তাও দিও। প্রেজেন্টেশনের জন্য প্রস্তুতি কেমন হচ্ছে?

      আমার সম্পর্কে বলি, নব্বই দশক পর্যন্ত সক্রিয় রাজনীতি করেছি। ২৫ বছর সংবাদপত্রে কাজ করে গত ২৬ মাস ধরে একটা রেডিও স্টেশনে কাজ করছি। বলতে পারো এফএম রেডিও সম্পর্কে পড়াশুনা, শেখা তারপর প্রতিষ্ঠা করে এখন গত সাড়ে ৭ মাস ধরে বাণিজ্যিক পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত। নতুন প্রতিষ্ঠান হিসাবে আয়-রোজগার খারাপ না। এই রেডিওটা প্রথম আলোর সহযোগী প্রতিষ্ঠান। এখনো ইচ্ছে আছে, সুযোগ পেলে একটা ২৪ ঘন্টার টিভি নিউজ অ্যান্ড কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স চ্যানেল করার। করা মানে কাজ করা, সৎ উদ্যোক্তা পেলে। আমার স্ত্রী নাসমিন আনোয়ার একটা আধা-সরকারি বিনিয়োগ ব্যাংকে কাজ করে। আমাদের একমাত্র সন্তান, ছেলে উদয় এখন অষ্টম শ্রেনীতে পড়ে। ছেলেকে আমার তেমন দেখতে হয়না। মাঝে-মধ্যে কাউসিলিং, ভাবনা-চিন্তা ভাগাভাগি করা, ওর সঙ্গে কিছুটা সময় কাটানো- এসব করি। সংসারটা আমরা ভাগাভাগি করে চালাই। আমার যেটা কাজ-দায়িত্ব তা করি। আর সঙ্গে মা এবং নানী আছেন। মা এখনো সংসারের চালক। রান্নাঘরটা তিনিই নিয়ন্ত্রণ করেন ভালোভাবেই। অনেক বললাম।


      "মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"

      জবাব দিন
  18. জুবায়ের অর্ণব (৯৮-০৪)

    সানাউল্লাহ ভাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ একটি ভালো রাজনীতি বিষয়ক পোস্ট দেয়ার জন্য। আর হেল নো, রাজনীতি নিরপেক্ষ কেন হবেন? রাজনীতি সচেতনতা নাগরিক সচেতনতারই নামান্তর বলে আমি মনে করি। একজন শিক্ষিত, সংবেদনশীল তরুণের অবশ্যই রাজনীতি সচেতনতা থাকা উচিত। মনে হয়না যুদ্ধ-বিদ্ধস্ত (i know i got the spelling wronge. perhaps...) জার্মানীর মানুষ পর্যাপ্ত রাজনীতিসচেতন হলে সে দেশে নাৎসী পার্টির উত্থান এত সহজ হতো। আমাদের স্বার্থেই আমাদের রাজনীতি সচেতন হতে হবে। আপনাকে আবারো ধন্যবাদ।

    জবাব দিন
  19. সানা ভাই ধন্যবাদ আপনার লেখার জন্য.আমিও রাজনীতির বিপরীত মানুষ না কিন্তু হিত কোনো প্রকার (প্লাটফর্ম ) পায়না দেখে আসা হইনা. আমার অনাল্য্সিস হলো জিয়াউর রহমান জীবন এ দুটি সুযোগ পেয়েসে আন্দ that worked afterwards. সে জীবনে একবার সুগোগ পেয়েসে মুক্তিযোদ্ধার ঘোষণা পথের এবং আরেকবার পেয়েসে কর্নেল তাহেরের জোরে. ইন্তেরেস্তিং জিনিস তা হলো আজকের BNP এই দুটো পুজি করে খাচ্ছে.
    আর অবামী লিগ BNP সাথে নিজেদের স্বার্থের জন্য দন্ড করে কোনো বাসিক এথিক্স থেকে তারা তাদের বিএব পিন্ট ঠিক করতে পারেনি. আর আমরা জাতি হিসাবে আরেকটা মভেমেন্ট চাই but we are searching our leader. কিন্তু if we work together we don't need our leader.we can work as one's mentor. and our ethics will be our leader.
    sorry বেশি বলার জন্য.

    জবাব দিন
    • তাওসীফ হামীম (০২-০৬)

      আপনার এমন কথার যুক্তি খুজে পাচ্ছি না,উট পাখির আচরন করতে হবে আমাদের সবাইকে তাহলে? জেনে,বুঝে চুপ করে থাকতে হবে?
      ইতিহাস তো ইতিহাসই বিতর্কিত বা সত্যতার মানদণ্ড এখানে না আনাই ভালো। নাকি বিতর্কিত শব্দটার আড়ালে জিয়া এবং টার ব্যবহিত সেনাবাহিনীর সমর্থন করে গেলেন?


      চাঁদ ও আকাশের মতো আমরাও মিশে গিয়েছিলাম সবুজ গহীন অরণ্যে।

      জবাব দিন
  20. তাওসীফ হামীম (০২-০৬)
    কিন্তু জিয়া শান্তিতে ছিলেন না। বলা হয়, তার ৫ বছরের শাসনামলে কমপক্ষে ১৯ থেকে ২১টি সেনা অভ্যূত্থানের চেষ্টা হয়েছিল। এরই একটায় ১৯৮১ সালে ৩০ মে তিনি চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে নিহত হন।

    এই কথাগুলো জাতীয় অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সাইদের একটা বইতে পড়েছিলাম,নাম মনে পড়ছে না।
    তবে জিয়া এবং এরশাদ এর শাসনে দুই রকম রক্তে রঞ্জিত হয়েছেন দুইজনেই।
    জিয়া সমানে রক্ত ঝড়িয়েছেন তার সেনাবাহিনীর সদস্যদের,আর এরশাদ সেখানে হাত লাল করেছেন সিভিলিয়ান মানুষ হত্যা করে।

    জিয়ার শাসনামলে একটি ঘটনা আমাদের পরিবারকে নাড়া দিয়েছিল। যা আমার পরবর্তী রাজনৈতিক চিন্তায় অজান্তেই অনেকটা প্রভাব ফেলে। ১৯৭৭ সালে সেপ্টেম্বরের শেষে জাপানের একটি সন্ত্রাসবাদী সংগঠন “রেড আর্মি” জাপান এয়ারলাইন্সের একটি উড়োজাহাজ অপহরণ করে এনে ঢাকা বিমানবন্দরে নামায়। সেটা ছিল বর্তমানের পুরনো বিমানবন্দর। একই সময়ে অর্থাৎ ২ অক্টোবর বিমানবাহিনীতে একটা ব্যর্থ অভ্যূত্থান হয়। এই অভ্যূত্থান চেষ্টাটা আসলে কেন হয়েছিল, আদৌ এর পেছনে বিমানবাহিনীর নিচের পর্যায়ের লোকজন জড়িত ছিল কিনা- সেটা একটা বড় রহস্যই রয়ে গেছে এখনো।

    এই ঘটনাটার কথাও আমি বইতে পড়েছি। আমার জানামতে এই বিদ্রোহের পর অনেক বিমানসেনাকে বলি দেয়া হয়েছিল,অফিসারদের বিভিন্ন মেয়াদের জেরার সূত্র ধরে অত্যাচার করা হয়েছিল।
    আপনার আত্মীয়ের কথা শুনে খুবই খারাপ লাগছে।
    সবশেষে আপনি আমার পক্ষ থেকে এমন একটি সুন্দর লেখার জন্য আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ গ্রহন করুণ।


    চাঁদ ও আকাশের মতো আমরাও মিশে গিয়েছিলাম সবুজ গহীন অরণ্যে।

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : মোঃ আব্দুল্লাহ মাহমুদ

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।