মেজর মশিউর : ভালোবাসা নিও ভাই

মেজর মশিউর কি আর নেই? কদিন আগে সাইফের পোস্টে ওর অসুস্থতার খবর পড়েছিলাম। আজ (২৯ নভেম্বর, ২০০৮) ইত্তেফাকের ৪-এর পাতায় পররাষ্ট্র উপদেষ্টার জানানো শোক শ্রদ্ধার সংবাদ পড়ে আর সিসিবিতে এ সম্পর্কে কোনো তথ্য না পেয়ে রীতিমতো বিভ্রান্ত। কামনা করি মশিউর ভালো থাকুক। কিন্তু প্রকৃত তথ্যটা কিভাবে জানা যাবে?

১,৭৭৫ বার দেখা হয়েছে

২১ টি মন্তব্য : “মেজর মশিউর : ভালোবাসা নিও ভাই”

  1. কাইয়ূম (১৯৯২-১৯৯৮)

    ইত্তেফাকের খবর

    কঙ্গোতে শান্তিরক্ষীর মৃত্যুতে পররাষ্ট্র উপদেষ্টার শোক

    পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ড. ইফতেখার আহমদ চৌধুরী জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে কর্মরত মেজর মোঃ মশিউর রহমানের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। উল্লেখ্য, মেজর মশিউর জাতিসংঘের কঙ্গো শান্তিরক্ষা মিশনে কর্মরত ছিলেন। শুক্রবার এক শোকবার্তায় পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, দূরদেশে শান্তিরক্ষার কাজে নিয়োজিত মেজর মশিউরের মৃত্যুতে আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি। এ ধরনের লোকেরাই আমাদের জাতীয় বীর। উপদেষ্টা মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন।


    সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!

    জবাব দিন
  2. লাভলু ভাই

    এই মাত্র নিশ্চিত হলাম। গত পরশুদিন মশিউর ভাই আমাদের ছেড়ে না ফেরার দেশে চলে গেছেন।
    আমি যতটুকু জানি আজ রাতে তার মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনার কথা।

    তার আত্মার শান্তি হউক।
    খুব মন খারাপ। তাই আর কিছু লিখতে পারছি না।

    জবাব দিন
  3. সানাউল্লাহ (৭৪ - ৮০)

    মশিউরকে কখনো দেখিনি, চিনিনা। তবু কেমন একটা কষ্ট। ছোট ভাইইতো।
    না ফেরার দেশে চলে যাওয়া মশিউর, ভালোবাসা নিও ভাই।


    "মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"

    জবাব দিন
  4. আহ্সান (৮৮-৯৪)

    সানাউল্লাহ ভাই,
    মশিউরের বাবা গিয়েছিলেন সাউথ আফ্রিকা তে। ওকে কৃত্রিমভাবে বাচিয়ে রাখা হয়েছিল। পৃথিবীর বিভিন্ন হাসপাতাল যখন ওর অপারেশন কিংবা কেমো করাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন, তখন উপায় না দেখে ওর শরীর থেকে ওর বাবার সম্মতিক্রমে সকল যন্ত্রপাতি খুলে নেয়া হয়েছে।

    মশিউর যেদিন অসুস্থ হয়েছে, সেদিন জ্ঞান হারানোর কিছু আগে মোবাইলে ওর জীবনের শেষ এসএমএস পাঠিয়েছিল ভাবীকে। এসএমএস টা ছিল এরকম,
    "খুব আশা ছিল, তুমি আর আমি বুড়ো-বুড়ি হবো। আমাদের মেয়েকে যেদিন বিয়ে দেব, সেদিন আমরা দু'জন গলা জড়িয়ে অনেক কাঁদবো। কিন্তু সেটা মনে হয় আর হলোনা......।"

    চোখ জ্বালা করছে...

    জবাব দিন
  5. সায়েদ (১৯৯২-১৯৯৮)

    এমআইএসটি'তে থাকাকালীন একটা এ্যাক্সিডেন্টে মশিউর স্যারের এক পা ভেঙ্গে গিয়েছিল। চার পাঁচটা স্টেইনলেস স্টিলের রড পা থেকে মাংস ভেদ করে বের করে রাখা হয়েছিল। দূর থেকে দেখেই ভয়ংকর লাগত। তিনি হুইল চেয়ারে করে মুভ করতেন, পরীক্ষায় এ্যাটেন্ড করতেন। খুব কষ্ট পেয়েছেন সেসময়।

    “খুব আশা ছিল, তুমি আর আমি বুড়ো-বুড়ি হবো। আমাদের মেয়েকে যেদিন বিয়ে দেব, সেদিন আমরা দু’জন গলা জড়িয়ে অনেক কাঁদবো। কিন্তু সেটা মনে হয় আর হলোনা……।”

    দীর্ঘশ্বাস আর দীর্ঘশ্বাস.....বড় অসহায় লাগছে।
    আল্লাহ তাকে শান্তিতে রাখুন...তার পরিবারকে শোক সইবার শক্তি দিন।


    Life is Mad.

    জবাব দিন
  6. মুসতাকীম (২০০২-২০০৮)

    ধ্যাৎ হইলটা কি আর ভাল্লাগে না
    আল্লাহ মশিউর ভাইকে জান্নাতবাসী করুক।


    "আমি খুব ভাল করে জানি, ব্যক্তিগত জীবনে আমার অহংকার করার মত কিছু নেই। কিন্তু আমার ভাষাটা নিয়ে তো আমি অহংকার করতেই পারি।"

    জবাব দিন
  7. “খুব আশা ছিল, তুমি আর আমি বুড়ো-বুড়ি হবো। আমাদের মেয়েকে যেদিন বিয়ে দেব, সেদিন আমরা দু’জন গলা জড়িয়ে অনেক কাঁদবো। কিন্তু সেটা মনে হয় আর হলোনা……।”

    যাকে কোনদিন দেখিনি, তার জন্য এত কান্না পায় কেন? ইদানিং কি যেন হয়েছে,

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : রেজওয়ান (৯৯-০৫)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।