স্মৃতির ঝাঁপি : নরক ছেড়ে পালালাম

প্রথম পর্ব
দুই.

বাবার একটা পদোন্নতি হলো। মুক্তিযুদ্ধের আগেই আমরা বাসা বদল করে কলোনীর আইডিয়াল স্কুল অঞ্চলে চলে গেলাম। এফ-৪৯ নম্বর ভবনে। এই বাসাটা কমলাপুর রেল স্টেশনের কাছে। ‘৭০-৭১ সালে কলোনীর ভেতরে প্রায় প্রতিদিনই মিছিল-সভা হতো। সন্ধ্যায়-রাতে নিয়মিত ছিল মশাল মিছিল।

‘৭১-এর ২৫ মার্চ সন্ধ্যা থেকেই বাইরে রাস্তায় প্রবল উত্তেজনা দেখছি। তরুণ-যুবক বয়সীরা কেউ বাসায় নেই। সবাই রাজপথে নেমে গেছে। এই বাসাটা থেকে সরাসরি রাজপথ দেখা যায় না। তবে উত্তাপটা ভালোই বোঝা যায়। রাস্তায় ব্যারিকেড দেওয়া হচ্ছে। কাঠের গুড়ি, ইট-পাথর, ঠেলাগাড়ি যা পাচ্ছে ছেলেপিলেরা সব ঠেলে নিয়ে যাচ্ছে রাস্তায়। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে ঠেকাতে হবে যে। রাস্তার উত্তেজনা বাসাতেও লাগে। প্রতিবেশীরা সুযোগ পেলেই জড়ো হয়ে কথাবার্তা বলেন। একটা পরিবর্তনের জন্য টগবগ করে ফুটছে যেন গোটা বাংলাদেশ।

কখন ঘুমিয়ে পড়েছি মনে নেই। একসময় টের পেলাম, বাবার আমাকে বিছানা থেকে কোলে তুলে নিচ্ছেন। ঘুমটা ভেঙ্গে গেল। আমাকে খাটের নিচে নিয়ে শোয়ালেন তিনি। দেখি মা, ছোট ভাই-বোনরা সবাই একে একে খাটের নিচে জায়গা করে নিচ্ছি। বাসার সব আলো নেভানো। বাইরে তখন তুমুল গুলির শব্দ। কোনটা রাইফেলের, কোনটা মর্টার বা ট্যাংকের গোলা তখনো বুঝিনি। কিন্তু কানে এখনো সেই ভয়ংকর শব্দ বাজে। টানা টা..টা..টা..। কখনো গুড়ুম। বাবা ফিসফিস করে জানালেন, পাকিস্তানি সেনারা নেমে পড়েছে। কালোরাত। কখনো ঘুমিয়ে, কখনো জেগে সারারাত কাটিয়েছিলাম। আতংক ঘিরে ছিল আমাদের। কি নৃশংস সেই রাত! অসহায়, নিরস্ত্র বাঙালিদের মেরেছিল পাকিস্তানি সেনারা শিকারের মতো, জান্তব উল্লাসে।

২৭ মার্চ কার্ফ্যু তোলা হলো। প্রয়োজনীয় সব জিনিষপত্র নিয়ে বাসায় তালা মেরে আমাদের নিয়ে বেরিয়ে পরলেন বাবা। কখনো রিকশায়, কখনো হেটে, কখনো নৌকায় করে ঢাকার পূর্ব দিক দিয়ে ত্রিমোহনী হয়ে আমরা প্রথম যাচ্ছি নরসিংদী। রাস্তায় মানুষের ঢল। পুরো ঢাকাটা যেন ভেঙ্গে পড়েছে। রিকশায়, হাটাপথে শুধু মানুষ আর মানুষ। নারী-পুরুষ, শিশু-বৃদ্ধ সবাই আমরা পাকিস্তানিদের তৈরি করা নরক ছেড়ে পালাচ্ছি। আর স্থানীয় লোকজন গ্লাস-জগ ভর্তি পানি নিয়ে, মুড়ি নিয়ে পথে পথে দাঁড়িয়ে উদ্বাস্তুদের সেবা করছেন।

নরসিংদী ওখানে আমার এক ফুপুর শ্বশুরবাড়ি। বাবার চাচাতো বোন। এই ফুপু বিয়ের আগে আমাদের বাসায় ছিলেন বহুদিন। ওই সময় সেখানে অনেকগুলো পরিবার আশ্রয় নিয়েছিল। নরসিংদীতে দুই বা তিনদিন থেকে আমরা লঞ্চে করে গ্রামের বাড়ির দিকে ছুটলাম। ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া তখন মহকুমা, নবীনগর থানা। মানিকনগর লঞ্চঘাটে নেমে হাটা পথে ৭ মাইল, তারপর আমাদের গ্রাম শাহপুর। গ্রামটা নবীনগর থানায় হলেও মুরাদনগর থানার সীমান্তে। মুক্তিযুদ্ধের নয়মাস ওটাই ছিল আমাদের স্থায়ী ঠিকানা।

নয়মাসে মাঝে-মধ্যে পাকি সেনারা আসছে আওয়াজ উঠলে আমরা বাড়ি ছেলে পালাতাম। বর্ষায় নৌকা নিয়ে চলে যেতাম দূরে কোনো আত্মীয়ের বাড়ি বা বিলের মাঝখানে আশ্রয়। আবার সব ঠান্ডা হয়ে এলে বাড়ি ফিরতাম। আমার দাদা ছিলেন আবার স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা এবং ইউপি মেম্বার। ছোট চাচা মুক্তিযুদ্ধে চলে গেলেন। সেনা কর্মকর্তা মামা পরিবারসহ আটকে পরলেন পাকিস্তানে। গ্রামের যুবক বয়সীরা সব মুক্তিযুদ্ধে গেছে। শাহপুর গ্রাম থেকে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা ঢিল মারা দূরত্বে। ১২-১৪ মাইল। বাবা মাঝে-মধ্যে ঢাকায় এসে অফিসে হাজিরা দিয়ে আবার বাড়ি ফিরে আসতেন। বসে বসে তো খাওয়া যাবে না। আব্বা প্রতিবেশি মাঞ্জু চাচাকে নিয়ে শুরু করলেন চালের ব্যবসা।

নয়মাসের পুরোটা সময় আমাদের গ্রামের বাড়িটা মুক্তিযোদ্ধাদের ট্রানজিট ক্যাম্প হয়ে ওঠে। আগরতলা যাওয়ার দলগুলো যেমন এখানে আশ্রয় নিতো, তেমনি অপারেশনে যাওয়া বা ফেরার পথে মুক্তিযোদ্ধারা আসতো। ওরা এলেই দাদি-মা-চাচী আর পাড়ার নারীরা রান্নাবান্নায় ব্যস্ত হয়ে পড়তেন। হারিকেন বা কুপির আলোয় আমরা ছোটরা ভিড় করে বীরদের দেখতাম। আমার আরেক মামা (মায়ের চাচাতো ভাই) বাহার ছিলেন আমাদের অঞ্চলের মুক্তিযোদ্ধাদের কমান্ডার। উনি এখন কুমিল্লা সদরের সাংসদ।

বর্ষায় মুক্তিযোদ্ধারা আসতেন “সরঙ্গা” নৌকায় করে। ওই নৌকাটি আমাদের অঞ্চলে দ্রুতগতির বাহন হিসাবে পরিচিত। পাতলা, ছিপছিপে, লম্বা এই নৌকাগুলো বাইচের জন্য আদর্শ ছিল। আমরা মুক্তিযোদ্ধাদের দেখতাম, তাদের অস্ত্রগুলো হাতিয়ে দেখতাম। রাইফেল, স্টেনগান থাকতো মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে কাঁধে। ইস্পাতের ঠান্ডা নলের স্পর্শ আমার গায়ের প্রতিটি লোমকূপে উত্তেজনা ছড়াতো।

অফুরান আনন্দের দিন ছিল ওই সময়টা। বয়স তখন ১০-এর মতো। আমরা ছোটরা মুক্তিযুদ্ধ-মুক্তিযুদ্ধ খেলতাম। ভাবতাম আমাদের বয়সী পাকিস্তানি সেনা নেই কেন? তাহলে তো আমরাও মুক্তিযুদ্ধে যেতে পারতাম!

পুরো গ্রাম চষে বেড়াতাম আমরা। বড়দের শাসন-টাসন তেমন ছিল না। গাছে উঠে পেয়ারা-আম-জাম পেড়ে খেতাম। বাবার কিছুটা দূর সম্পর্কের চাচাতো ভাইয়ের ছেলে আবুল ছিল আমার ঘণিষ্ট বন্ধু। সব বাদরামির সঙ্গি ছিল ও। পাখির বাসায় হানা দেয়া, মাছ ধরা, নৌকা চালানো, ক্ষেতে মটরসুটি পুড়িয়ে খাওয়া- আহ্ কি সব অসাধারণ স্মৃতি! গ্রামে আমাদের জমিগুলোও চিনেছিলাম ওই সময়। কোনটায় পাট, কোনটায় সরষে, কোনটায় ধান হতো সব এখনো মুখস্ত বলতে পারবো। আবুলই সব চিনিয়েছিল আমাকে। মুক্তিযুদ্ধের পরও বছরে এক-দুবার গ্রামে যেতাম। বাড়ি পৌঁছেই আবুলকে সঙ্গে নিয়ে চলতো পুরো গ্রাম চষা। আলগা বাড়ি, পূব পাড়া, পশ্চিম পাড়া, বাজার, নাগারচি পাড়া, আলাদা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল, ফুটবল মাঠ, শশ্মান ঘাট, মসজিদ, ঈদগা- সব মিলিয়ে বিশাল গ্রাম।

নাগারচিরা পেশায় ছিল মুচি, পাশাপাশি ওরা ঢোল বানানো ও বাজাতো। পরে লোক গবেষক শ্রদ্ধেয় যতীন সরকারের কাছে শুনেছি, নাগারচি সম্প্রদায় ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়ার ঐতিহ্য। ওরা না মুসলমান, না হিন্দু। দুই ধর্মের আনুষ্ঠানিকতা পালন করে। কি অসাধারণ জীবন দর্শন ওদের!

একবার ক্যাডেট কলেজ থেকে ছুটিতে এসে শুনি আবুল ঢাকা মেডিকেলে। দেখতে গেলাম। কেমন মুটিয়ে গেছে ও। শুনলাম ক্যান্সার, ব্লাড ক্যান্সার! আবুলকে আর পাবো না, ও হারিয়ে যাবে- এমন একটা কষ্ট নিয়ে কলেজে ফিরে গেলাম। সে সময় এর চিকিৎসা ওর দরিদ্র বাবার পক্ষেও চালানো কি কষ্টকর তা আজ বুঝি। কলেজে বসেই আবুলের মৃত্যুর খবর পেলাম।

ওর মৃত্যুটা আমার কিশোর মনে ভীষণ আঁচড় কেটেছিল। কলেজের স্যুভেনিরে আবুলকে নিয়ে আমার একটা লেখাও সে সময় ছাপা হয়েছিল। ওই স্যুভেনিরটা হারিয়ে গেছে। হারিয়ে গেছে লেখাটাও। কিন্তু আবুল আজো হারায়নি আমার মন থেকে। আমার শৈশবের বন্ধু আবুল।

৯৩ টি মন্তব্য : “স্মৃতির ঝাঁপি : নরক ছেড়ে পালালাম”

  1. কাইয়ূম (১৯৯২-১৯৯৮)

    অসাধারণ লাবলু ভাই, অসাধারণ :hatsoff: :hatsoff:
    এই প্রথম কোন কিশোরের চোখে মুক্তিযুদ্ধকালীন অবস্থার প্রত্যক্ষ প্রামাণ্য উপাখ্যান পড়ছি। এর আগে যেখানে যা পড়েছি তার সবই হয় গল্প কিংবা পরিণত বয়সীদের স্মৃতিরোমন্থন। কিন্তু এটি একদম টাটকা :thumbup: :thumbup:
    চমৎকার একটি স্মৃতির ঝাঁপির সিরিজ পেতে চলেছি আমরা। লাবলু ভাইকে এর জন্য :salute: :salute:


    সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!

    জবাব দিন
  2. কামরুলতপু (৯৬-০২)

    অনেকদিন ধরেই ভাইয়া আমি আপনাকে এবং আপনাদের সমসাময়িক যারা আছে সিসিবিতে ( আর কেউ তো নাই মনে হয় একটিভ ) তাদের বলব ভাবছিলাম যদি একটু মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে স্মৃতিচারনলেখা দিতেন। আজ দেখলাম আপনি শুরু করেছেন খুব ভাল লাগল ভাইয়া। এখনো পড়িনি কারণ এসে এত লেখা দেখে তালগোল পাকিয়ে ফেলেছি। ভাইয়া আপনার পিলিজ লাগে এইটা এত তাড়াতাড়ি শেষ কইরেন না । যা যা মনে আছে এক্কেবারে খুটিনাটি সব লেইখেন।

    জবাব দিন
  3. রকিব (০১-০৭)

    ভাইয়া, অসাধারণ হচ্ছে। একটা অনুরোধ, সম্ভব হলে মুক্তিযুদ্ধ এবিং যুদ্ধ পরবর্তী পর্বগুলো খানিকটা বড় করলে ভালো হতো। ঐতিহাসিক কিংবা লেখকদের বর্ণ্নায় অনেকবার পড়া হয়েছে, কিন্তু আপনার লেখার ভঙ্গিতে বেশ সহজবোধ্যতা এবং সাবলীলতা আছে, সে জন্যই এই অনুরোধ।
    নেন :teacup: ।
    :salute: :salute:


    আমি তবু বলি:
    এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..

    জবাব দিন
  4. মঞ্জুর (১৯৯৯-২০০৫)

    আমার কেনো জানি ৭১'এর যে কোনো ঘটনা পড়লেই গায়ের লোম সব খাড়া হয়ে যায়।মনে হয়,ইশ,যদি তখন জন্মাইতাম।কি উত্তাল সময় ছিল তখন,ঠিক না ভাইয়া?
    অসাধারণ লেখা ভাইয়া। :boss: :boss:

    জবাব দিন
    • সানাউল্লাহ (৭৪ - ৮০)

      আমার দুঃখ হয়, কেন ওই সময় বয়সটা ১৮ বা ২০ ছিল না! তবে কষ্টটা অনেকটা ভুলিয়ে দিয়েছে আশির দশকের স্বৈরশাসনবিরোধী আন্দোলন। একটা দারুণ সময় পেয়েছিলাম আমাদের প্রজন্ম। একেবারে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত। বিজয় অর্জন করে রাজপথ থেকে উঠেছিলাম। তবে সেই অর্জন ধরে রাখতে পারলাম না!! ~x( ~x( ~x(


      "মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"

      জবাব দিন
  5. জুনায়েদ কবীর (৯৫-০১)

    অসাধারন!!! :boss:
    সানা ভাই, আপনার স্মৃতির ঝাঁপি উজার করে লিখতে থাকুন প্লিজ...যতটা সম্ভব ডিটেইল... 😀

    আবুল ভাইকে স্বশ্রদ্ধ :salute:


    ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ

    জবাব দিন
    • সানাউল্লাহ (৭৪ - ৮০)

      তোমাদের আবদারে তো ভাই বিপদে পরে গেছি। তবু চেষ্টা করে যাচ্ছি। যতোদূর স্মৃতি সাহায্য করে।

      সমবয়সী ভাই-বন্ধু আবুলের জন্য এখনো মনটা হু-হু করে। বেঁচে থাকলে কি হতো? হয়তো একজন কৃষক। হয়তো ভূমিহীন। ওদের পরিবারের পরের ট্র্যাজেডি হলো, একরাতে কলেরায় চাচা-চাচী আরো ছোট দু' ভাইবোন মারা গেল। বেঁচে থাকা সবচেয়ে ছোট ভাইটা ইমরান এখন আমাদের নতুন বাড়ির কেয়ারটেকার!! সৌদি আরব গিয়েছিল, নিঃস্ব হয়ে ফিরেছে গতবছর।


      "মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"

      জবাব দিন
  6. কামরুল হাসান (৯৪-০০)

    চমৎকার।
    সারাদিন অফিসের ব্যস্ততার মধ্যেও স্মৃতির ঝাপি খুলে এতো সময় নিয়ে লিখছেন শুধু আমাদের জন্যে এর চেয়ে বড় পাওয়া আর কি হতে পারে।

    ক'দিন আগে আপনার বদনাম করছিলাম ফয়েজ ভাইয়ের কাছে যে, লাবলু ভাই আমাদের ঠকাচ্ছে। আগে যেসব দারুন স্মৃতিচারণ আর রাজনৈতিক কলাম লিখেছিলেন মাঝখানে সেগুলি বাদ দিয়ে আমার মতো ফাঁকিবাজি শুরু করেছিলেন। সেটা সুদে আসলে উসুল হচ্ছে এই সিরিজে। এই রকম লেখাই চাই আপনার কাছে।

    বেশি কিছু বলবো না, শুধু একটা কথা, প্রকাশক হলে আমি এটা নিয়ে বই করার প্রস্তাব দিতাম আপনাকে।


    ---------------------------------------------------------------------------
    বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
    ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।

    জবাব দিন
    • সানাউল্লাহ (৭৪ - ৮০)

      ধুর মিয়া, তেল মারা ছাড়ো। চেষ্টা করছি লিখতে, নিজেকে ঠকাচ্ছি না। যতোটুকু দেখেছি, বুঝেছি ওই বয়সে, তাই লিখছি। অন্যের চোখ বা লেখার কোনো ছাপ এতোটুকু যেন না থাকে সে চেষ্টা করছি।


      "মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"

      জবাব দিন
      • কামরুল হাসান (৯৪-০০)

        বাসায় তেল নাই, সেই জন্যে গত দুইদিন ধইরা পরটার বদলে রুটি দিয়া নাস্তা করতেছি আর আপনি আমি বলেন তেল দেই! 😀
        ঠিক আছে এর পরের পর্বে কঠোর সমালোচনা করুম। 😉


        ---------------------------------------------------------------------------
        বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
        ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।

        জবাব দিন
    • সানাউল্লাহ (৭৪ - ৮০)

      সুন্দর হাঁসের ছানা, এখন কেমন আছো? ব্যথা কি আছে এখনো?

      ভাইরে, তখন আমার বয়স ১১/১২/১৩। যতোটুকু বুঝেছি, জেনেছি, তাই লিখছি। বড় করতে গেলে তো অন্যের কাছ থেকে ধার করতে হবে। সেটাতো চাইছি না।


      "মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"

      জবাব দিন
      • দিহান আহসান
        ভাবতাম আমাদের বয়সী পাকিস্তানি সেনা নেই কেন? তাহলে তো আমরাও মুক্তিযুদ্ধে যেতে পারতাম!

        :salute:
        ভাইয়া মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে লেখা এতদিন বইয়ে পড়েছিলাম। কিন্তু আপনার লেখার মধ্যে ৭১' এত সাধারণ ও সুন্দর ভাবে তা উঠে এসেছে, খুব ভাল লাগছে। পড়তে সহজ মনে হচ্ছে।আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। আমার মনের ভিতর যা এসেছে, আমি আপনাকে তাই বলছি।

        বড় করতে গেলে তো অন্যের কাছ থেকে ধার করতে হবে। সেটাতো চাইছি না।

        আপনার সামর্থ্যের মধ্যেই আপনি লিখেন। আমরা পাবলিকরাতো চাইব, আমাদের চাওয়ার কোন শেষ নেই। আর বড় ভাইএর কাছে আবদার তো থাকবেই। 😛

        অফটপিকঃ ভাইয়া, ভাবির মজার মজার রান্না বাদ দিয়ে খালি পেটে থাকতে পারবেন কি করে? 😮

        জবাব দিন
  7. বন্য (৯৯-০৫)

    সানা ভাই,কিছুক্ষনের জন্য একাত্তরে নিয়ে গেলেন...নিজেকে দুর্ভাগা মনে হচ্ছে ওই সময়টায় ছিলাম না বলে....একটা দেশের সব মানুষ যখন এক হয়ে যায়(কতিপয় বেজন্মা ছাড়া)...তখন ওই দেশকে কোনভাবেই ঠেকিয়ে রাখা যায়না...
    আমরা কেন আবারও এক হতে পারছি না??আমরা কি আর এক হতে পারব না?

    জবাব দিন
  8. শার্লী (১৯৯৯-২০০৫)

    আমি ঠিক করেছি লাবলু ভাইয়ের লেখার কোন প্রশংসা করব না। ভাই মনে করে তেল দিতেছি। এনারে নিয়া ভালো বিপদ। সুন্দর সুন্দর পোস্ট দেবে, আবার ভালো বলাও যাবে না। এখন কি যে করি?

    লেখাটা শেষ করে এক ধরনের কষ্ট লাগা বুকের মধ্যে আছে। এই অনুভুতি আপনি দিতে পেরেছেন, একেই কি ভালো লেখা বলে কিনা আমি জানি না।

    আপনাকে :salute: (তেল আম্রতেছি না, প্রিন্সিপাল দেখে দিলাম আর কি O:-) )

    জবাব দিন
  9. মুহাম্মদ (৯৯-০৫)

    এই পর্বটা সব ছাড়িয়ে গেছে। মুক্তিযুদ্ধকে একটা নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখাতে পেরেছেন। মুক্তিযুদ্ধ ১০ বছরের একটি ছেলের মনে যতটুকু আঁচড় কাটতে পারে ঠিক ততটুকুই প্রকাশ করেছেন।

    জবাব দিন
  10. আদনান (১৯৯৪-২০০০)

    অনেক ধন্যবাদ লাবলু ভাই এমন চমতকার ভাবে মুক্তিযুদ্ধের ঘটনা আপনার চোখ দিয়ে আমাদের দেখানোর জন্য । আর সবার মত আমিও বলতে চেয়েছিলাম বড় করে লিখুন, কিন্তু আপনার যুক্তি দেখে অফ গেলাম । :salute:

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : রাশেদ (৯৯-০৫)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।