শৈশবে একচক্কর দিয়ে এলাম

শুক্রবার সকাল সাড়ে ৬টায় ঘড়িটা এলার্ম দিলেও আমার ঘুমে ব্যাঘাত ঘটাতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত পৌনে ৮টায় ইকরামের ফোন পেয়ে লাফ দিয়ে বিছানা ছাড়লাম। উত্তরা থেকে রওয়ানা হয়ে ও তখন আমার বাসা থেকে মাত্র ৫ মিনিটের দূরত্বে। সোজা টয়লেট, তারপর দাঁতব্রাশ, দাড়ি কামানো, গোসল এবং হালকা নাস্তা সেরে ব্যাগ গুছিয়ে তৈরি হলাম ৪৫ মিনিটে। ২৯ বছর আগে কলেজ ছাড়ার পর এতো কাজ এতো অল্প সময়ে আর কখনো সেরেছি কিনা সন্দেহ!

ভাড়া করা মাইক্রোবাস ছুটলো জিয়াউলের বাসা ধানমন্ডির দিকে। সে তৈরি হয়েই ছিল। সঙ্গে সঙ্গে উঠে পড়লো গাড়িতে। আর একটু এগিয়ে মাহমুদের বাসা। নিচ থেকে আমরা ফোন দিলাম নেমে আয়। অপেক্ষা করছি। এক সময় নেমে এলো সে। কিন্তু একি তার চেহারা? ব্যাগ কৈ?

মাহমুদের ঘোষণা সে যাবে না। কেন আমরা তাকে সাতটা থেকে তৈরি হয়ে বসিয়ে রেখেছি, এ কারণেই রাগ। ঠিক আছে বাবা মাফ চাইছি। পিঠে হাত বুলিয়ে ওর রাগ কমিয়ে বাসায় ফেরত পাঠারাম ব্যাগ নিয়ে নামতে। নামলো ঠিক। আর তক্ষুনি দে ছুট, কারণ আমরা যথেষ্ট দেরি করে ফেলেছি। পরের দেড়দিন এ নিয়ে মাহমুদকে কম খোঁচা মারিনি।

ঢাকা থেকে গিয়েছিলাম আমরা চারজন ইকরাম, আমি, মাহমুদ ও জিয়াউল
ঢাকা থেকে গিয়েছিলাম আমরা চারজন বা থেকে : ইকরাম, আমি, মাহমুদ ও জিয়াউল

যাত্রাবাড়ি, কাঁচপুর পেরুতে সাড়ে এগারটা বেজে গেল। আমরা তখন সময় গুনছি। মেঘনা ভিলেজে দ্রুত নাস্তা সেরে ময়নামতি সেনানিবাসে গাড়ি থামলো সোয়া একটায় জুমআ’র নামাজের জন্য। নামাজ আর শেষ হয়না। আমি বাইরে বিড়ি ফুঁকছি, বাকি তিনটা গেছে নামাজে। বের হলো দুইটায়। পৌনে তিনটায় থামলাম হাইওয়ে ইনে। লাঞ্চ করতে হবে না? এসব সেরে-টেরে কলেজে ঢুকতে ঢুকতে বেজে গেল পাঁচটা। বাস্কেটবল খেলা ততক্ষণে শেষ। বুড়ারা হাইরা গেছে। আমি গিয়া কয়েকটা শট নিলাম। একটাও স্কোর হয় নাই!!

 বুড়াদের বাস্কেটবল টিম : পুলাপাইনের কাছে হারছে
বুড়াদের বাস্কেটবল টিম : পুলাপাইনের কাছে হারছে

আমরা যখন বাস্কেটবল লইয়া ভাব মারতাছি, প্যারেড গ্রাউন্ডের এক পাশে তখন সিসিবির অনেকগুলো আগামী সদস্য বসে বসে সিনিয়রদের নিয়া নিশ্চিত মজা মারতাছিল!

সিসিবির ভবিষ্যত ব্লগাররা এখানেই আছে
সিসিবির ভবিষ্যত ব্লগাররা এখানেই আছে

খেলাধুলা শেষে সব ডাইনিং হলে। চা-নাস্তা তো আছেই। আরো আছে মাস্ফ্যুর প্রিয় ফাউন্ডেশন ডে কেক। কেকটা যা মজার আছিল না! সাইজটা দেখো? প্রথম ব্যাচের রুহুল মতিন ভাই ক্লাস সেভেনের একজন ক্যাডেটকে নিয়ে ওইডা জবাই করলেন। শুরু হইয়া গেল ভাগাভাগি। বুদ্ধি কইরা কেকের আশেপাশেই অবস্থান নিছিলাম। সিসিবি গেট-টুগেদারে তো তোমাদের জ্বালায় ভাগে তেমন কিছুই জুটে না! এইবার তাই মিস দেই নাই…….. 😉

কেক শুধু মাস্ফ্যুরই প্রিয় না, সোহেলেরও
কেক শুধু মাস্ফ্যুরই প্রিয় না, আমাদের জুনিয়র সোহেলেরও

চা-টা শেষে ডাইনিং হলের বাইরে গ্যাজানি শুরু হইলো। সিনিয়র-জুনিয়র বালাই নাই। নিজেদের কথা, সিনিয়রদের কথা, শিক্ষকদের স্মৃতি থেকে বয়স, রোগ-শোক, ডায়বেটিস, হৃদরোগ, বাতের ব্যাথা কোনোটাই আড্ডার বাইরে ছিল না। তাকিয়ে দেখলাম গাছগুলো গত তিন দশকে আরো বুড়ো হয়েছে, রং করা হলেও হাউসগুলো, অ্যাকাডেমিক ব্লকসহ ভবনগুলো মলিনতা ঢাকতে পারছে না। আমরাও বুড়িয়ে যাচ্ছি!! আর কতোদিন?

এর আগেই স্থপতি বন্ধু সোহেলসহ অ্যাকাডেমিক ব্লকে গিয়ে অনার বোর্ডটার সামনে দাঁড়িয়েছিলাম। সোহেলরা তিনভাই ফৌজদারহাটে ছিল। প্রত্যেকেই মেধা তালিকার উপরের জায়গাগুলো দখল করে নিয়েছিল। নিজের নামটা মোবাইলের ক্যামেরায় বন্দি করে রাখলাম। খেলাধুলায় ছিলাম না, পড়াশুনাও কখনো তেমন গুরুত্বের মধ্যে নিইনি। তবু ওইটাই তো একটা জায়গা যেটা আরো হয়তো অনেকদিন জানান দেবে আমি এখানে এক সময় ছিলাম।

অনার বোর্ড : ছেলেকে গত পূর্নমিলনীতে দেখিয়ে ভাব নিয়েছিলাম
অনার বোর্ড : ছেলেকে গত পূণর্মিলনীতে দেখিয়ে ভাব নিয়েছিলাম

অনার বোর্ডটার পাশে হাউস চ্যাম্পিয়নশীপের তালিকায় রবীন্দ্র হাউসের নাম ধারাবাহিক শেষ তিনবার দেখে আনন্দ আর ধরে না। সোহেলকে বললাম, দেখছিস লায়নরা কেমন দেখাচ্ছে? পাশ থেকে নজরুল হাউসের জুনিয়র একজন খোঁচা মারলো ক্যান আপনাদের সময়টা দেখেন না? নজরুলের নামে বোর্ড সয়লাব! ~x(

ইয়েলো রকস্ : চিয়ার আপ লায়নস
ইয়েলো রকস্ : চিয়ার আপ লায়নস

শৈশবের সব স্মৃতি নেশার মতো আমাদের বুদ করে রেখেছে। আমরা যাই রবীন্দ্র হাউসে, প্যারেড গ্রাউন্ডে। রঙিন প্যারেড গ্রাউন্ডটা দারুণ লাগছে। কলেজে থাকতে পিটি-প্যারেড কতোভাবে ফাঁকি দেয়া যায়, তার সুযোগ খুঁজতাম। এর খরখরে পিঠে কতো রগরানি খেয়েছি! আর আজ এটাকেই পরম আত্মীয়ের মতো লাগছে। বন্ধু ব্যাংকার মাহমুদ, স্থপতি সোহেল, আর এককালে বাম রাজনীতিতে বুদ থাকা এখন ডেইরি ফার্মের মালিক নাঈমকে (বা থেকে ডানে) ফৌজদারহাটের পঞ্চাশ বছরের লগোটার ওপর দাঁড় করিয়ে ছবি তুললাম মোবাইলে।

রঙিন প্যারেড গ্রাউন্ডে বন্ধু মাহমুদ, সোহেল ও নাঈম
রঙিন প্যারেড গ্রাউন্ডে বা থেকে : বন্ধু মাহমুদ, সোহেল ও নাঈম

কলেজে একটা রেষ্ট হাউস হয়েছে। আমাদের সময় ছিলনা। সেখানেই ঠাই নিয়েছিলাম ঢাকা পার্টি। এর মধ্যে দুবার গোসল সেরেছি। কিন্তু এই প্রচন্ড গরমও কাবু করতে পারছে না আমাদের। সন্ধ্যার সঙ্গে সঙ্গে জমে ওঠে আড্ডা। গ্রুপে গ্রুপে। বিকেলেই চট্টগ্রাম থেকে আমাদের ২১তম ব্যাচের ১১ জন চলে এসেছিল, কেউ কেউ সপরিবারে। ফলে এবারও হাজিরায় আমরাই ছিলাম সর্বোচ্চ।

সন্ধ্যা থেকে অডিটোরিয়ামে শুরু হয়ে গেছে গান। প্রথম পর্ব বর্তমান ক্যাডেটদের। কিন্তু আমাদের আড্ডা থেকে নড়ানো কঠিন ছিল। এক পর্যায়ে ক্যাডেটরা ডিনার সেরে এসেছে। এবার আমাদের পালা। ফাউন্ডেশন ডে উপলক্ষে পুরো কলেজটা সেজেছিল। রাতে আলোকসজ্জা। ডাইনিং হলে যাওয়ার পথের দুপাশে মরিচ বাতিগুলো যেন আমাদের মেজবানে ডাকছিল।

আলোকোজ্জল এই পথের শেষেই আছে ডাইনিং হল
আলোকোজ্জল এই পথের শেষেই আছে ডাইনিং হল

মেজবানে গরুর মাংস রান্নাটা দারুণ হয়েছিল। বিধিনিষেধ সব ভুলে ধুমাইয়া খাচ্ছি। আশেপাশে বন্ধুদের দেখছি আর হাসছি। ইকরাম, মাহমুদ বারবার বলছে “রাতে ওষুধ খাইতে হইবো”! তবু গরুর মাংস কেউ কম খাবে না!! মিস্টি পান চিবাতে চিবাতে গেলাম অডিটোরিয়ামে। দেখি পুরা গরম। পুলাপাইন হিন্দি গানের লগে নাচতাছে। দুইটা মাইয়ারে মেজবাহ (চট্টগ্রাম চ্যাপ্টারের নেতা) কই থেইক্কা ধইরা লইয়া আইছে জানি না। নিজেরা নাচে, আর পোলাপাইনরে নাচায়। সোহেলের দুই পিচ্চি মাইয়াও নাচতে শুরু করলো। নিজের জন্য না, তোমাদের কথা ভেবেই আমি ছবি তুল্লাম।

এই মাইয়াডারে কেডা যে গান শিখাইছিল
এই মাইয়াডারে কেডা যে গান শিখাইছিল

গান-বাজনা শেষে রাত একটায় রেস্ট হাউসে ফিরে আবার গোসল। চট্টগ্রামের বন্ধুরা ফিরে গেছে। ঢাকা থেকে আমাদের মতো আরো গিয়েছিল কামরুল, সোহেল, শাকুর মজিদ, ঝকক’র ইকরাম কবীরসহ আরো কয়েকজন। পোলাপাইনের মজা তখনো শেষ হয়নি। মোনাজাতে বসতেই হবে। একরকম জোর করে আমাকে ধরে নিয়ে বসালো শাকুর আর কামরুল। ভোর সাড়ে পাঁচটায় যখন মোনাজাত শেষ কামরুল তখন চিৎকার করছে, “সানাউল্লাহ ভাই আমারে ন্যাংটা করে দিয়েছে”। গুনে দেখলাম চট্টগ্রাম সফরে যা খরচ হয়েছে, আয় করেছি তারও উপরে। দিনটা শেষ পর্যন্ত খারাপ গেল না!! নিচের ছবিটা তাই তোমাদের জন্য বোনাস। :guitar: :guitar: :guitar:

এই ছবিটা তোমাদের জন্যই তুলেছি
বোনাস : এই ছবিটা তোমাদের জন্যই তুলেছি

ছবি সৌজন্য : ঝকক’র ইকরাম কবীর, ফকক’র জিয়াউল ও সানাউল্লাহ

৮,১৭২ বার দেখা হয়েছে

১০৬ টি মন্তব্য : “শৈশবে একচক্কর দিয়ে এলাম”

  1. আহসান আকাশ (৯৬-০২)

    অসাধারন ধারা বর্ননা সানা ভাই :hatsoff: :hatsoff: মনে হচ্ছিল সব কিছু যেন চোখের সামনে ঘটছে...


    আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
    আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

    জবাব দিন
  2. মাহমুদ (১৯৯০-৯৬)

    সানা ভাই,
    পুরা পোষ্ট দেখি আমার নামে সয়লাব। 😀

    শেষ ছবি দুটো 'শরীয়তের গ্রহনযোগ্য মাত্রায়' অস্পষ্ট করে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। :)) :))


    There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx

    জবাব দিন
  3. রাশেদ (৯৯-০৫)

    ছবি ব্লগটা দারুন হইছে :clap:
    ছবি গুলা ঝাপস না করলে কি হইত না 🙁
    আচ্ছা সানা ভাই এইখানে যে শাকুর মাজিদের নাম বলছেন উনি কি ক্লাস সেভেন ১৯৭৮ 🙂


    মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

    জবাব দিন
  4. নাজমুল হোসাইন

    সানা ভাই, বয়স বেড়ে যাওয়াটা সবার জন্য কস্টের হলেও তা একজন এক্স ক্যডেটের অভিজ্ঞতাকে কতটা আনন্দের করতে পারে তা আপনার লেখাতেই প্রমানিত হয়ে গেল । ভাল লাগছে। ১০ এর মধ্যে কত দেয়া যায় বস? ~x( :salute:

    জবাব দিন
  5. কলেজে গেলে যত বুড়াই হইনা কেন, আবার সবাই সেই কৈশোরের দিনগুলোতে ফিরে যাই, এই তো সেদিনের কথা বলে মনে হয় সব। অথচ দেখতে দেখতে ১০ টা বছর কেটে গেছে।

    কলেজটাকে খুব মিস করি।

    নস্টালজিক হয়ে গেলাম। :(( :(( :((
    লাবলু ভাইকে ধন্যবাদ সুন্দর পোস্টের জন্য।
    অফটপিকঃ আপনেগো ব্যাচের আরো কয়েকটা পুলাপান ( :frontroll: :frontroll: :frontroll: ) ধইরা আনেন না বস...

    জবাব দিন
  6. ফয়েজ (৮৭-৯৩)

    পুরাই সাম্প্রদায়িক পোষ্ট। নিজেদের বিশাল প্যাটের ছবি গুলা ফকফকা আর আমাগো ছবি গুলা ঝাপসা :thumbdown: :thumbdown:

    যাউজ্ঞা, কামের কথা কই, কয়জনরে সিসিবি দাওয়াত দিছেন, শাকুর মজিদ ভাই কবে লিখবো আমাদের এইখানে? নাকি মেজবানের ঝোলে সব ভুইল্লা গেছেন। B-)


    পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না

    জবাব দিন
  7. কামরুল হাসান (৯৪-০০)

    মোনাজাতে লাভের টাকা দিয়া এবার কেক-কুক খাওয়ান লাবলু ভাই।

    সবাইরে খাওয়াইতে হবে না, আমরা যারা আপনার কাছাকাছি থাকি তারা কয়জন শুধু 😉


    ---------------------------------------------------------------------------
    বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
    ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।

    জবাব দিন
  8. সানাউল্লাহ (৭৪ - ৮০)

    তোমাদের জন্য দুইডা ভিডিও করছিলাম। কিন্তু 3GP File কিভাবে পোস্ট করবো? বা কনভার্ট করবো জানি না। দেখা যাক। কারো কোনো টেকি পরামর্শ থাকলে দিও।


    "মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"

    জবাব দিন
  9. মুহাম্মদ (৯৯-০৫)

    ফাঁকিবাজি না করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। যদিও আমাদের এখনও নস্টালজিক হওয়ার বয়স হয় নাই তারপরও অস্বীকার করতে পারব না- কলেজের স্মৃতি বেশ মনে পড়ছে।

    জবাব দিন
  10. শাওন (৯৫-০১)

    সানা ভাই সুন্দর কইরা শেষের ছবিটা ঝাপসা কইরা দিছে :(( ....আর কয় নিজের জন্য না আমাগো জন্য দিছে..... :dreamy: ..আল্লাহ এমন পাষাণরে যাতে কুনোদিনও ক্ষমা না করে...... 😀


    ধন্যবাদান্তে,
    মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান শাওন
    প্রাক্তন ক্যাডেট , সিলেট ক্যাডেট কলেজ, ১৯৯৫-২০০১

    ["যে আমারে দেখিবারে পায় অসীম ক্ষমায় ভালো মন্দ মিলায়ে সকলি"]

    জবাব দিন
  11. হাসান (১৯৯৬-২০০২)

    সানা ভাই, পুরাই নস্টালজিক করে দিলেন 🙁 আপনি তো কঠিন স্টুডেন্ট ছিলেন দেখি :clap:

    অনার বোর্ডটার পাশে হাউস চ্যাম্পিয়নশীপের তালিকায় রবীন্দ্র হাউসের নাম ধারাবাহিক শেষ তিনবার দেখে আনন্দ আর ধরে না।

    :thumbup: :thumbup: :thumbup:

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : মেহেদী হাসান (১৯৯৬-২০০২)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।