লজিকন ডায়রি ২

|আগের পর্ব|

বিবর্তন এবং বুদ্ধিমান প্রাণীর কথা এলেই আমরা সাধারণত ডাইনোসর কিংবা অন্য কোন প্রাণী নিয়ে কথা বলি। যারা দাপটের সাথে পৃথিবীতে ঘুরে বেড়িয়েছে এবং একসময় বিলুপ্ত হয়ে গেছে। আমি বরং তার চেয়ে নিকটের কিছু নিয়ে বলি- আমরা যে গোত্রের প্রাণী, সেই গোত্র নিয়ে। পৃথিবীতে হোমো গোত্রের উদ্ভব হয়েছে মাত্র আড়াই কোটি বছর আগে। হোমো স্যাপিয়েন্স অর্থাৎ আমাদের উদ্ভব হয়েছে মাত্র দুই লাখ বছর আগে। তার মানে হোমো গোত্রের অন্য প্রজাতির স্তন্যপায়ীরা দুই কোটি আটচল্লিশ লাখ বছর ধরে পৃথিবীর বুকে বিচরণ করে বেড়িয়েছে, তারপর একে একে বিলুপ্তও হয়ে গেছে। তাদের হাড়-গোড় দেখে আমরা জানতে পেরেছি যে তারা আমাদের অস্তিত্বের চাইতে অনেক অনেক বেশি সময় ধরে পৃথিবীতে ছিল। এরা অনেকটা আমাদের মতোই ছিল, আমাদের সাথে এদেরই সবচেয়ে বেশি মিল।

এদের বিলুপ্তি কি নির্দেশ করে যে আমরাও একদিন পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হয়ে যাবো? অন্য কোন প্রজাতি উদ্ভব হবে নাকি? কিংবা ইতোমধ্যে যেসব প্রাণী আছে সেগুলোর কোন একটি থেকে আরেক বুদ্ধিমান/শক্তিমান প্রজাতি এসে পৃথিবীতে খাপ খাইয়ে নিবে? হতে পারে। এমনও হতে পারে আমরা এই গ্রহ ছেড়ে অন্য গ্রহে চলে গেলাম। এই গ্রহকে বিষাক্ত করে বসবাসের অনুপযোগী আমরাই করে তুলছি। পৃথিবী নিজেই নিজেকে সুস্থ করে তোলে, তাই আমাদের দূষণ হয়তো সে শুধরে নিতে পারবে। কিন্তু আমরা যেভাবে সংখ্যায় বাড়ছি, সেটাও তো ভয়ানক। এই হারে বাড়তে থাকলে একসময় ব্যাকল্যাশ অবশ্যম্ভাবী। বিভিন্ন দুর্যোগ আর অভাবে আমরা নিজেরাই নিজেদের ধ্বংস করে দিতে পারি।

প্রজাতি হিসেবে এইসব লক্ষণ বলে, আমরা হয়তো ডাইনোসর বা অন্য প্রজাতির চেয়ে খুব বেশি বুদ্ধিমান নই। ভবিষ্যতের অন্য বুদ্ধিমান প্রজাতি যখন আমাদের ফসিল পরীক্ষা করবে, তখন হয়তো একই কথা মনে করবে। দাপুটে, কিন্তু বেকুব।

পৃথিবীতে আমাদের আপেক্ষিক স্থায়িত্ব বুঝতে নিচের ছবিটা ভাল নির্দেশক হতে পারে। বড় করে দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
Geological_time_spiral

We love to think we are special, but the history of science suggests otherwise.

আমাদের অন্যতম স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য হলো আমরা লিখতে-পড়তে পারি। আমরা আমাদের চিন্তা-ভাবনা-কাজ-সৃষ্টি রেকর্ড করে রাখতে শিখেছি। এই একটি বৈশিষ্ট্যই আমাদের অনেকদূর এগিয়ে দিয়েছে। মানব প্রজাতি গত এক লাখ পঁচানব্বই হাজার বছরে কতোটুকু এগিয়েছিল? আর গত পাঁচ হাজার বছরে কতোটুকু এগিয়েছে? এটা তুলনা করলেই বুঝতে পারি যে আমাদের অভিনবত্ব কোথায় লুকানো আছে। অন্য প্রজাতির থেকে বহু বহু গুণ এগিয়ে এসে আমাদের ভেতরে আত্মম্ভরিতার (self-aggrandizement) জন্ম হয়েছে। আমরা নিজেদের সৃষ্টির সেরা জীব ভাবতে শুরু করেছি। এই মিথ্যাটি এতো শক্তিশালী কারণ এটা একজন উচ্চারণ করা মাত্রই যারা শুনছে সবার মগজে একটা আরামের রাসায়নিক ক্রিয়া হয়। আমি জানি না প্রথম কোন মানুষ এই কথাটা বলেছিল, কিন্তু যারা তার আগে এভাবে ভাবে নি, তারা এটা শোনামাত্রই ভাবতে শুরু করেছিল, সেই ব্যাপারে আমি নিশ্চিত। ধীরে ধীরে এটা ধর্মীয় বাণী হয়ে গেছে! অনড়, অটল, অলঙ্ঘনীয়! কিন্তু উপরেই ব্যাখ্যা করেছি যে আমরা আসলে অন্য প্রজাতির চাইতে খুব বেশি এগিয়ে নাই, এবং আমাদের বিলুপ্তিও just around the corner!

ভবিষ্যত বিলুপ্তি ছাড়াও আরেকটি যুক্তিতে ব্যাখ্যা করতে পারি যে আমরা আসলে ততোটা স্পেশাল কিছু না। এই পরীক্ষাটা ডোরিওন স্যাগান তার বইতে ব্যাখ্যা করেছেন, আমি তুলে দিচ্ছি। ধরুন, এই মুহূর্তে স্পেসশিপে চড়ে কোন উন্নত বুদ্ধিমত্তার এলিয়েন আসলো পৃথিবীতে, যেমন বিভিন্ন হলিউডি মুভিতে দেখায়। তাদের হাতে প্রফেসর শঙ্কুর এনাইহিলিশন গান, যে বন্দুকের গুলিতে টার্গেট হাওয়ায় মিলিয়ে যায়। ধরি এলিয়েনরা আমাদের একটুও পছন্দ করলো না। আমাদের দিকে গানটা তাক করে প্যারামিটার সেট করলো “এনাইহিলেট হোমো স্যাপিয়েন্স”। চিন্তা করুন তো গুলি করা মাত্রই আমরা হাওয়ায় মিলিয়ে যাবো। কিন্তু আমাদের শরীরের ভেতরে বসবাস করা কোটি কোটি ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, অণুজীব ইত্যাদি কোথায় যাবে? বন্দুকে তো তাদের মারতে বলা হয় নি। গুলি করা মাত্র আমাদের কোষ-কলা-অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ উবে যাবে। কিন্তু আমাদের অবয়বের আদলে ওসব প্রাণী রয়ে যাবে। আমাদের ত্বকের ভেতরে থাকা ভাইরাস, পেটের ভেতরে থাকা ব্যাকটেরিয়া, আর সারা শরীরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অসংখ্য অণুজীব কিলবিল করতে থাকবে আগের মতোই। হ্যাঁ, এটা ঠিক যে এরা প্রায় সকলেই মানব-দেহের ওপর নির্ভরশীল, খাদ্য এবং আশ্রয়ের জন্য। আমাদের শরীরটা না থাকলে তারা বেশিক্ষণ টিকতে পারবে না। তার মানে আসলে আমরাও এসব প্রাণী ছাড়া টিকতে পারবো না। টেকা দূরের কথা, এরা আমাদের শরীরে আছে বলেই আমরা মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারি, নাহলে জন্মের সাথে সাথেই আমাদের মৃত্যু হতো। জন্মই হতো না, শুক্রাণু আর ডিম্বাণু মিলে জাইগোটটাই তৈরি হতো না, বাকি সব তো দূরের কথা। তার মানে আমরা আমাদের যে অস্তিত্ব এবং ক্ষমতা নিয়ে অহঙ্কার করি, তা একেবারেই ঠুনকো। যেসব অণুজীবকে সামান্য বলে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করি, তারা আমাদের জন্মের পরিবেশ তৈরি করে দেয়। শুধু তাই না, বিবর্তনের সময়ের হিসেবে তারা আমাদের চেয়ে অনেক বেশি সময় ধরে পৃথিবীতে ঘুরে বেড়াচ্ছে। প্রজাতি হিসেবে আমরা তাদের বয়সের তুলনায় নেহাতই দুগ্ধপোষ্য শিশু!

তাই পৃথিবীতে প্রাণের অতীত বা ভবিষ্যত দেখলে আমাদের প্রজাতির অস্তিত্ব ও গুরুত্ব তেমন বেশি কিছু না। এই কঠিন সত্যটা মেনে নিতে আমাদের অনেক কষ্ট হবে। কিন্তু তিক্ত সত্য এটাই।

এখন কথা হলো এইটা এতই জরুরি কেন? কারণ ডোরিওন স্যাগানের মতে আমরা বৈজ্ঞানিক গবেষণার কম্পাস হারিয়ে ফেলছি। আমাদের তাড়না, প্রেরণার ক্ষেত্র খুব দ্রুত বদলে গেছে। যুদ্ধ একটা বড়ো কারণ, অস্থিরতা এবং অর্থনীতি আরেকটা কারণ। আর রাজনীতি তো আছেই। এসবের প্রভাবে আমাদের সামষ্টিক সমাজে বিজ্ঞান ও গবেষণার চেহারাটা সুখকর বা হিতকর না। প্রজাতি হিসেবে আমরা নিজেদের টিকিয়ে রাখার কোন চেষ্টাই করছি না। গ্লোবাল ওয়ার্মিং থেকে শুরু করে নানাভাবে আমরা একমাত্র বাসস্থানের তেরোটা বাজাচ্ছি। নিজেরাও মারামারিতে এতো ব্যস্ত যে শান্তিমতো বসে চিন্তা করার সুযোগটাও হচ্ছে না। আবার পৃথিবীর বাইরে কোথাও আরেকটা আবাসও সেভাবে খোঁজা হচ্ছে না। আর সব যুদ্ধ থামালেও অচিরেই আমাদের সংখ্যা পৃথিবীর অন্য প্রজাতি এবং আমাদের জন্য হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়াবে। সেক্ষেত্রে পৃথিবীর বাইরে কলোনি/আবাস বানাতেই হবে। সেদিকেও কাজ হচ্ছে না। আমরা এই অসীমতুল্য মহাবিশ্বের নামমাত্র বিচরণ করেছি, অতোদূর আমাদের ক্ষমতাও হয় নি এখনো। কিন্তু যেটুকু দেখা হয়েছে, সেটাও পুরোপুরি সঠিকভাবে দেখা হচ্ছে না। সব মিলিয়ে একটা ভজঘট।

আর এই আলস্য এবং অপারগতার মূল প্রভাবক আমাদের আত্মতুষ্টি আর আত্মগরিমা। আমরা প্রজাতি হিসেবে ক্ষুদ্র ও সীমিত, এবং ধীরে ধীরে বিজ্ঞানের পথে আমাদের প্রয়াসগুলো ভুলদিকে যাচ্ছে। এটাকে চিহ্নিত করতে হবে, সত্য হিসেবে মেনে নিতে হবে। এর মাধ্যমেই হয়তো পরবর্তী প্রজন্মের মাঝে এই চেতনা ছড়ানো সম্ভব।

[লেখাটা ডোরিওন স্যাগানের কথা দিয়ে শুরু হলেও শেষের অংশটুকু আমার নিজের চিন্তা চলে এসেছে। তার বই Cosmic Apprentice -এর প্রথম অধ্যায়টা এই লিংকে পাবেন।]

৩,২৬০ বার দেখা হয়েছে

৩৮ টি মন্তব্য : “লজিকন ডায়রি ২”

  1. পারভেজ (৭৮-৮৪)

    একটি জরুরী পাঠ। ভাল দিক হলো বর্তমান প্রজন্মর মধ্যে বিবর্তন নিয়ে আবার আগ্রহ দেখতে পাচ্ছি। আমাদের সময় বিবর্তন পাঠ্যসুচিতে ছিল। শুনেছি পরে নাকি এটা বাদ দেয়া হয়। এখন আছে কিনা জানি না।
    না থাকাটা খুবই দুঃখজনক। বিবর্তন ছাড়া অনেক তত্বেরই ব্যাখ্যা সম্পুর্ন হয় না। আর খন্ডিত জ্ঞান যে কোন জ্ঞান না, এটা বুঝতে বিরাট বিজ্ঞানি হতে হয় না।
    কনসার্নগুলো স্মার্তব্য।
    চমৎকার লিখা। ভাল লাগলো।


    Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.

    জবাব দিন
    • আন্দালিব (৯৬-০২)

      পড়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ, পারভেজ ভাই!

      বিবর্তন এখন পাঠ্যে নাই। দিনে দিনে আমরা যে গোঁড়ামির দিকে যাচ্ছি সেটার উদাহরণ হলো বিবর্তনকে পাঠ্য থেকে বাদ দেয়া। কী আর বলবো, ধর্মের নষ্টামি এটা।

      আমি খালি আশাবাদী হই কারণ পাঠ্যে না থাকার পরেও আমার মতো আরো অনেকেই নিজে নিজে বিষয়টা নিয়ে পড়েছে, জেনেছে। বাংলায় বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করছে। এতে করে একসময় হয়তো গেঁয়ো কাঠমোল্লাদের ঘুম ভাঙবে।

      জবাব দিন
    • ওয়াহিদা নূর আফজা (৮৫-৯১)

      পারভেজ ভাই - আপনাদের সময়টা খেয়াল করে দেখলাম। তখন বিবর্তন সিলেবাসে ছিল আর এখন নাই। তারমানে দাঁড়াচ্ছে সামরিক গণতন্ত্রের সময় বিবর্তন নিয়ে সমস্যা ছিল না, কিন্তু স্বৈরতান্ত্রিক গনতন্ত্রের সময় বিবর্তনে এলার্জি আছে।


      “Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
      ― Mahatma Gandhi

      জবাব দিন
      • পারভেজ (৭৮-৮৪)

        খুবই ইন্টারেস্টিং ডিসকভারি। এই ভাবে একদমই ভেবে দেখি নাই। আমি আসলে জেনারেশনের পর জেনারেশন ধরে বিবর্তন না পড়াটা দেখে এতটাই মর্মাহত ছিলাম যে ওটা মাথায় আসে নাই।
        এখন বুঝতে পারছি কি হয়েছিল।
        স্বৈরতান্ত্রিক গনতন্ত্রীরা সস্তা জনপ্রিয়তার পিছনে ছুটেছিল।
        আমার কাছে বিবর্তন বিষয়টা নিয়ে জেনারেশনের পর জেনারেশন ধরে অন্ধকারে রাখার এই প্রচেষ্টাটাকে রীতিমত পাপ বলেই মনে হচ্ছে।


        Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.

        জবাব দিন
        • মোকাব্বির (৯৮-০৪)

          ভাই আমি বলবো সামরিক গণতন্ত্রীরা সম্ভবত বুঝে নাই সিলেবাসে বিবর্তন রাখার মানে কি। কারণ ধর্মের কচলানো যতদূর মনে পড়ে উনাদের আমদানি। বুঝে থাকলে বিবর্তন ভুলেও বইয়ের পাতায় স্থান পাবার কথা নয়।


          \\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
          অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\

          জবাব দিন
        • রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

          এরশাদের সময় নিয়ে খুশবন্ত সিং এর একটা লেখার স্ক্রিন শট দিছিলাম বেশ আগের একটা লেখায়।

          অনেক কিছুই চলতো তখন।
          খুশবন্ত সিং এর ঐ লেখাটা ছিলো ৩১স্ট নাইট নিয়া ঢাকা ক্লাব।


          এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

          জবাব দিন
      • আন্দালিব (৯৬-০২)

        @ওয়াহিদা আপু,

        তারমানে দাঁড়াচ্ছে সামরিক গণতন্ত্রের সময় বিবর্তন নিয়ে সমস্যা ছিল না, কিন্তু স্বৈরতান্ত্রিক গনতন্ত্রের সময় বিবর্তনে এলার্জি আছে।

        ঠিক বলেছেন। এরশাদই ভাল ছিল। চলেন, আবার এরশাদকে প্রেসিডেন্ট বানানোর জন্য একটা দাবি তুলি। 🙂

        জবাব দিন
        • ওয়াহিদা নূর আফজা (৮৫-৯১)

          তোমার এই মন্তব্যের উত্তর দেওয়ার রুচি আমার নেই। ইন ফ্যআকট, তোমার এই পোষ্টএর পরিপ্রেক্ষিতে আমি আমি কোন মন্তব্য করিনি। কারণ একজন দেলওয়ার হোসেন সাঈদীর থেকে তোমাকে আমার ভিন্ন কিছু বলে মনে হয় না। মেয়েদের কিরকম পোষাক পরবে কিম্বা তাদের সেক্সের মনোভাব কি হবে সেটা নিয়ে পুরুষদের এই যুগে চিন্তাবিদ না সাজলেও চলে।


          “Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
          ― Mahatma Gandhi

          জবাব দিন
          • ওয়াহিদা নূর আফজা (৮৫-৯১)

            আমি আমার এই মন্তব্য প্রত্যাহার করে নিতে চাইছি। সবারই তাদের নিজের মতো করে ভাবার অধিকার আছে। এবং আমি নিশ্চিত যে যা ভাবছে সেটা সার্বিক বিশ্ব বা অন্তত পক্ষে তার চারপাশ সুন্দর হোক সে উদ্দেশ্য নিয়েই ভাবছে। আমাদের নানা মত থাকতে পারে। কারণ আমরা তো আর জানি না কীসে সার্বিক পরিস্থিত ভালো হবে। বরং আমাদের ভিন্নতা, তর্ক-বিতর্ক অনেক নতুন পথের সন্ধান দিবে।

            ব্যক্তিগতভাবে আমি এখন কোন রাজনীতিবিদ মেনে নিতে পারিনা যার নিজস্ব কোন পেশা নেই বা ছিল না। অর্থাৎ সারাজীবন সে কোন পে-চেকের উপর চলেছে, হোক সেটা পারিবারিক সম্পদ, সেটা পরিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত সে রাজনীতিবিদ আমার কাছে পরজীবি।


            “Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
            ― Mahatma Gandhi

            জবাব দিন
          • রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

            ৯১ এর টার্মে জামাতপন্থীরা বিএনপির ঘাড়ে বইসা বেশ কিছু কাজ করছে।

            আর এরপর থিকা প্রধান দুই দল মুসলমানিত্বের প্রতিযোগিতায় নামছে।
            হিন্দু দের ভোট তো লীগ পাবেই। এখন তাদের মুসলমান ভোট চাই।

            সো আমাদের পাঠ্যপুস্তক আরো বেশি করে ইসলামী হবে।
            আরবি শিক্ষা বাধ্যতামুলক ও হবে।


            এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

            জবাব দিন
  2. মোকাব্বির (৯৮-০৪)

    আপনার লেখা থেকে একটু সাইডে সরে আসি, গতকাল গ্লোবাল এনভায়রনমেন্টাল হিস্টরী নামক একটা কোর্সের শেষ ক্লাশ ছিল। শেষ ক্লাশের এ্যাসাইনমেন্ট হিসাবে আমাদের লিখতে বলা হয়েছিল সাসটেইনেবিলিটি বলতে আমরা কি বুঝি। পৃথিবীতে সাসটেইনেবিলিটি নিশ্চিত করতে কি করা লাগবে? আলোচনায় যেই বিষয়টা খেয়াল করলাম, হোক ইচ্ছাকৃত কিংবা অনিচ্ছাকৃত, আমরা যখন পরিবেশ নিয়ে কথা বলছি, প্রাকৃতিক সম্পদ নিয়ে কথা বলছি, আমাদের কন্ঠস্বরে একটা চাপা প্রভুত্বের ছাপ। আমরা যেন প্রকৃতির মালিক এর অংশ নই। অদ্ভূত এই আত্মবিশ্বাসই আমাদের ধ্বংসের কারণ হবে কিনা কে জানে।

    সমস্যাটা কোথায় জানেন? এই ধ্বংসের ব্যাখ্যাও কিন্তু রেডি। :boss:


    \\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
    অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\

    জবাব দিন
    • আন্দালিব (৯৬-০২)

      হ্যাঁ আমি মনে করি এই আত্মবিশ্বাসই আমাদের ধ্বংস ডেকে আনবে। পৃথিবী মানুষের উপরে ডিপেন্ড করে না। মানুষ পৃথিবীর কী ক্ষতি করেছে, এর চাইতে অনেক বেশি ক্ষতি মহাবিশ্বের অনেক কিছুই করেছে, আর পৃথিবী নিজেই সেটা শুধরে নিয়েছে। ধূমকেতু, সৌর-তেজষ্ক্রিয়তা, উল্কাপাত, ভূমিকম্প, অগ্ন্যুৎপাত, বরফযুগ - এদের কিছুই পৃথিবীর কিচ্ছু করতে পারে নি। সময়ের সাথে সাথে পৃথিবী আবার নিজেকে "সুস্থ" করে ফেলেছে। আর মাত্র দুই লাখ বছর বিচরণ করে আমাদের এহেন অহঙ্কার আসলেই হাস্যকর।

      জবাব দিন
  3. আহসান আকাশ (৯৬-০২)

    একটু অফটপিক যদিও, মাত্র গতকাল ড্যান ব্রাউনের ইনফারনো পড়লাম। একটু বেশি রঙ চড়িয়ে লিখলেও, শুধুমাত্র জনসংখ্যার বৃদ্ধির মাধ্যমে আমরা যেভাবে একটা স্যাচুরেশন পয়েন্টে পৌছে যাচ্ছি, চিন্তা করে চমকে উঠেছি।


    আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
    আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

    জবাব দিন
  4. পারভেজ (৭৮-৮৪)

    স্যারদের বিবর্তন পড়ানো এবং আমার সহপাঠিদের বিবর্তন পড়া নিয়ে কত কত যে মজার ঘটনা আছে তা যদি শেয়ার করতে পারতাম?!
    ইচ্ছা আছে একদিন শেয়ার করার।
    একটু ইঙ্গিত (নমুনা) দেই।
    বাইরের দিকে তাকিয়ে (ছাত্রদের দিকে না তাকিয়ে) শিক্ষকেরর গড় গড় করে লেকচার উগড়ে যাওয়া, প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করলে হতচকিত হয়ে যাওয়া, ইত্যাদি - তার অন্যতম।
    আর তা হবে নাই বা কেন। অর্ধেক ছাত্রতো ঐ পাপ-বানি (লেকচার) কানে না ঢুকানোর জন্য দুই কানে আঙ্গুল ঢুকিয়ে বিড় বিড় করে দোয়া-দুরুদ পড়ছে।

    আমার ধারনা, সিলেবাস থেকে বিবর্তন বাদ দেয়ার জন্য সস্তা জনপ্রিয়তার বাইরে অন্য কারনও ছিল, আর তা এই সম্পর্কিত। অনেক কলেজেই শিক্ষকরা বিবর্তনবাদ পড়াতেন না। যেসব জায়গায় পড়ানো হতো, সেখানকার ছাত্র-ছাত্রীরা ঐ ক্লাস বর্জন করত। পরীক্ষায় প্রশ্ন এলে কেউ তার উত্তর দিয়ে পাপের ভাগিদার হতে চাইত না।
    আর কেউ উত্তর দিলে এবং "সেইরাম" পরীক্ষকের খপ্পরে পড়লে পরিক্ষার্থির কপালে কি জুটতো, সেই অনুমান আর করতে চাচ্ছি না। পাঠকগনই তা নিজ দায়িত্বে করে নিক...


    Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.

    জবাব দিন
  5. আমিন (১৯৯৬-২০০২)

    পড়েছি এটা জানান দিতেই লগিন করলাম।

    ভালো লাগছে সিরিজটা। এইচএসসিতে বায়োলজি ছিল না। কঠিন কঠিন টার্ম আর সাথে ছবি আঁকার হ্যাপায় বাদ দিয়েছিলাম। তবে ইদানিং টের পাই সেটা বাদ দেয়াটা আনন্দের জন্যও বিবেচনা করলে বড় মিস ছিলো। এই ব্লগে আবীর আর অর্ণবের লেখা পড়ে বিবর্তন বিষয়ে হালকা আগ্রহ পাই। তারপরে একটানে পড়ে ফেলি বন্যা আহমেদ আর অভিজিত রায়ের বিবর্তনের পথে পথে বইটি। বইটা পড়ে আমার মত একজন আনাড়ির পক্ষেও বুঝতে ভুল থাকে না, নিউটনের দ্বিতীয় সূত্রের মতই বিবর্তন প্রতিষ্ঠিত সত্য (নিউটনের সূত্রও কিন্তু ভুল মডার্ন ফিজিক্সে তাই বলে সেটাকে বাদ দেয়ার সাহস আমাদের কেউই দেখায়নি)। অথচ বিবর্তন বইষয়টি আমাদের সোসাইটি বাদ ঠাক পিএইচডি করা স্কলারদের কাছেও কেমন ট্যাবুর মতই দেখি। ব্যাপারটা অবাক হওয়ার মত ছিল। তবে গত দুই বছরের দেশ দর্শনে মনে হয়েছে আমার অবাক হওয়াটা আসলে ভুল ছিল।

    এত গুলো পোস্ট আনরিলেটেড কথা বলে ফেললাম কমেন্টের লিংক ধরে। সামরিক আর গণতন্ত্র বিষয়ক কিছু কমেন্ট পড়ার কারণেই। যদি আঁতেলীয় স্টাইলে যোগসূত্র ধরি, সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পরে পুঁজিবাদের বিস্তারে ধর্মও একটা প্রোডাক্ট হিসাবে সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকে গেছে। তার ইমপ্যাক্টও হতে পারে বিবর্তনকে পাঠ্য থেকে বাদ দেওয়ার।

    আমি মনে করতে পারি আইডিয়াল স্কুলে ইংরেজি ক্লাশে জনৈক শিক্ষক কোন টপিক ছাড়াই নরের বাবা বানর-- এটা কত বড় মিথ্যা এটা নিয়ে বয়ান দেন। তারপরে আমাদের বলে দেন উপরের ক্লাশে যদি পড়তে হয় পরীক্ষায় লেখার সময় যাতে আমরা লেখি " আমি একথা একদম বিশ্বাস করি না।"
    আইডিয়াল স্কুলের সার্কাস এখানেই শেষ হয় না। বিজ্ঞান ক্লাশে এক স্যার এসে বিজ্ঞান লিখলেন বোর্ডে। টারপরে তার আগে মহা লাগিয়ে মহাবিজ্ঞান কোরআন নিয়ে পুরা ক্লাশ পার করে দিলেন। এইসব সার্কাস বাদ দেই।
    ধর্মীয় ট্যাবুতে বিবর্তন তো অনেক দূরের জিনিস ভ্রাত। অনেক সাধারণ জিনিস তুই সাধারণ মানুষরে বুঝাইতে পারবি না।

    এবার অনটপিকএ বলি। সিরিজটা খুব ভালো লাগছে। বিবর্তন বিষয়ে যে কোন লেখা পেলে আমি খুব আগ্রহ নিয়ে পড়ি। সবটা বুঝি না। তবুও পড়ি। অতএব পর্ব আরো আসুক।

    পুরা অফটপিক: তোর আগের একটা পোস্ট এবং রকমারি নিয়ে ক্যাচব্যাচ দেখে অনেক কিছু বলার ছিলো। ইদানিং সব কথা মনে মনে বলে গায়েব করে ফেলি। লেখার আগ্রহ হয় না।

    জবাব দিন
    • আন্দালিব (৯৬-০২)

      আরো পর্ব আসবে না মনে হয়। আমি তিনজন বক্তার কথা শুনেছি। দুইজনেরটা লিখেও ফেলেছি। তৃতীয় জনের বক্তব্যটা সবচেয়ে বেশি ভাল লেগেছিল, (A Pilot’s Guide To Extreme Skepticism), কাইল স্যান্ডার্স নামে এক পাইলট-কাম-কার্টুনিস্টের talk.

      কিন্তু এই পোস্টে ওয়াহিদা আপুর কমেন্ট দেখে বুঝলাম উলু বনে মুক্তা ছড়াচ্ছি। তার চেয়ে সাঈদীর মতো চান্দে গিয়ে বসে থাকা ভাল। 😀

      বানর রিলেটেড কথাবার্তা আমিও শুনেছিলাম। মানুষ বানর থেকে আসছে, এইটা তো খুবই পপুলার মিথ। সায়েন্সের লোক হওয়া লাগে না, এইটা রিকশাওয়ালা থেকে বিজনেসম্যান, সবাই জানে!

      আমার মনে হয় তুই ঠিক পথ ধরেছিস, লেখা গিলে ফেলাই ভাল। তবে রকমারি বিষয়ে কী বলতে চাইছিস সেটা বলিস আলাদা করে।

      জবাব দিন
      • পারভেজ (৭৮-৮৪)

        আন্দালিব: এখানে না হোক, অন্য কোথাও লিখো। দরকারি লিখা চেপে রাখা। ঠিক না। চাপ বাড়বে।
        তাছাড়া শুধু ওয়াহিদারেই দেখলা, আমাদের দেখলা না?
        আবার সেতো ক্লিয়ারেন্স দিয়েও দিয়েছে।
        আমারতো ধারনা ছিল, লেখকের কাছে এক হাজার অপাঠকের চেয়েও একজন সমাঝদার পাঠক গুরুত্বপুর্ন।
        ওয়েটিং টু নৌ পাইলটস ভিউ...


        Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.

        জবাব দিন
      • নূপুর কান্তি দাশ (৮৪-৯০)

        আন্দালিব,
        আমার মনে হয়না ওয়াহিদার ওই মন্তব্যে এরশাদ-বন্দনা প্রকাশ পাচ্ছে। যেটা আমি দেখতে পাচ্ছি সেটা হচ্ছে পর্যবেক্ষণ।
        আমরা এতো খেপে যাচ্ছি কেন আজকাল?

        জবাব দিন
        • আন্দালিব (৯৬-০২)

          এরশাদ-বন্দনা প্রকাশ পাচ্ছে সেটা আমি বলি নি।

          উনি ক্ষেপে যাবার মতো মন্তব্য করেছেন, শুধু আমাকেই নয়, আরো একজনকে করেছেন। সিসিবিতে সিনিয়ররাই সবসময় ঠিক - এই রকম একটা প্র্যাকটিস চলে। এই প্র্যাকটিস সিসিবিকে মোটামুটি ধ্বংস করেই দিয়েছে। উনি একটা ক্ষেপে যাবার মতো কথা বলে সামান্য খোঁচাও জবাবে সহ্য করতে পারেন না। উল্টো আমাকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করেছেন। এইটা ঘোরতর অপরাধ।

          জবাব দিন
          • নূপুর কান্তি দাশ (৮৪-৯০)
            ঠিক বলেছেন। এরশাদই ভাল ছিল। চলেন, আবার এরশাদকে প্রেসিডেন্ট বানানোর জন্য একটা দাবি তুলি।

            এই কমেন্টটা পড়ে আমার তো মনে হলো তুমি এরশাদ-বন্দনাই দেখেছো।

            সিসিবিতে সিনিয়ররাই সবসময় ঠিক

            --- এই আপ্তবাক্যের আমিও ঘোর বিরোধী। অন্তত আমার সাথে এমনটা কেউ না করুক তা আশা করি খুব।

            জবাব দিন
            • আন্দালিব (৯৬-০২)

              ওয়াহিদা আপুর যে বাক্যটা আমি উদ্ধৃতি দিয়েছি (সামরিক গণতন্ত্রের সময় বিবর্তন নিয়ে সমস্যা ছিল না, কিন্তু স্বৈরতান্ত্রিক গনতন্ত্রের সময় বিবর্তনে এলার্জি আছে) সেটা নির্দেশ করে এরশাদের গণতন্ত্র বর্তমান গণতন্ত্রের চাইতে ভাল ছিল। আমিও সেটাই ভিত্তি করে বলেছি, আলাদা কিছু যোগ বা বিয়োগ করি নি।

              ওনার ব্যবহার করা বিশেষণ দুটো খেয়াল করেন। সামরিক শাসন ও স্বৈরাচারকে তিনি গণতন্ত্র বলেছেন। আর স্বৈরতান্ত্রিক বিশেষণ এসেছে এখনের গণতন্ত্রে!

              নুপূর ভাই, আর কী ব্যাখ্যা করতে হবে?

              এখানে এটাও উল্লেখ্য যে পোস্ট সংক্রান্ত কোন কথা তিনি বলেন নাই। এই পোস্টেও না, আগেরটাতেও না। কারণটাও পরিষ্কার, আমি হলাম সাঈদী। এরকম নিচু মনের মানুষ, যিনি শুধুমাত্র অতীতের অন্য কোন ব্লগ পোস্টের তর্কবিতর্কের সূত্র ধরে কাউকে কুখ্যাত খুনী পিশাচের সাথে তুলনা করেন, তাকে আমি আমার পোস্টে চাই না।

              আপনি বলছেন আমি অল্পতে ক্ষেপে যাচ্ছি। কিন্তু আমি দেখছি আমি যথেষ্ট ধীরস্থির এবং সহনশীল আচরণ করছি।

              সিসিবিতে এরকম সংকীর্ণমনা সিনিয়ররা অনেকেই চরে খান, খেয়েছেন, এবং ভবিষ্যতেও খাবেন। এটাই সমস্যা। 🙂

              জবাব দিন
              • নূপুর কান্তি দাশ (৮৪-৯০)

                আমি অবশ্য সামরিক আর স্বৈরতান্ত্রিক গনতন্ত্রের উল্লেখকে সারকাজম ভাবছিলাম।
                আর সাঈদীর রেফারেন্সটা পুরোপুরি মাথার উপর দিয়ে গেছে। এবং অপ্রয়োজনীয় মনে হয়েছে। যাক এ নিয়ে আর কথা না বাড়াই।

                আমি আসলে বলতে চাইছিলাম, লেখা থামাবে কেন তাই বলে। তুমি এমনিতেও সিসিবিতে আসোইনা বলতে গেলে। তোমার কবিতা মিস করি খুব -- এ নিয়ে আমার অনেক অনুযোগ আছে , তা না তুমি অভিমান করে আর লিখতেই চাও না। এটা একটা কথা হলো?

                জবাব দিন
              • পারভেজ (৭৮-৮৪)

                আমি এরশাদের আগের পিরিয়ডটাকেও সামরিক গনতন্ত্র জ্ঞান করি। আর যতটুকু বুঝতে পারছি, সিলেবাস থেকে বিবর্তন প্রত্যাহারের কাজটা এরশাদের সময়েই হয়েছে। এরশাদ পরবর্তি সরকার ঐ লিগেসি টেনে গিয়েছেন।
                তাঁরা আরও অনেক সুবিধাজনক লিগেসিই টেনে গিয়েছেন। সাংসদগনের বিনা শুল্কে গাড়ি আমদানি, সাংসদ কোটায় রাজউকের প্লট নেওয়া তার উল্লেখযোগ্য।
                যৌনতা নিয়ে আলোচনায় সাইদির উল্লেখ অপ্রাসঙ্গিক হয়েছে। এটা হয়ত টেমপার লুজ করার কারনে। পরে তা প্রত্যাহার করতে চাওয়া টেমপার ফিরে পাওয়াই নির্দেশ করে।
                লেটস কনসিডার নান আর মটিভেটেড ওয়ানস। উই মে টেক ইট ইজি এজ ওয়েল...


                Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.

                জবাব দিন
  6. দিবস (২০০২-২০০৮)

    এক সময় বিবর্তন নিয়ে পড়া শুরু করছিলাম। কিভাবে এবং কখন সেটা থেকে বের হয়ে আসছি টের পাই নাই। বিষয়টাতে আগ্রহ পাই ব্যাপক। সিরিজটা চালায়ে যান ভাই।


    হেরে যাব বলে তো স্বপ্ন দেখি নি

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : পারভেজ (৭৮-৮৪)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।