গল্পের মত জীবন

{আজকে আট বছর আগের একটা গল্প বলব। আমি খেয়াল করলাম ব্লগে এখন পর্যন্ত কোন স্মৃতিমূলক পোস্ট দেই নাই। এটা সেই প্রচেষ্টার শুরু হউক।}

সময়টা ২০০১ সাল, জানুয়ারি মাসের প্রথম বা দ্বিতীয় সপ্তাহ হবে। স্থানঃ বদর হাউসের ডর্ম-৫, ঝকক। আমি ডর্মলীডার। ডর্মে আমার সাথে আরো চারজন আছে ইলেভেনের। একটু আগে ফারহান আসছে, লাইটস আউট হয়ে গেছে কিন্তু আমরা এমন উত্তপ্ত ঝগড়া করতেছি যে লাইট নিভানোর কথা কারোরই মনে নাই। রুমমেটরা তামাশা দেখতেছে, ঝগড়ার ইস্যুটা সার্বজনীন হলে তারাও যোগ দিত, কিন্তু সেরকম কিছু না বলে মনে মনে হাসতেছিল। একটু পরে হাউস প্রিফেক্ট আযম ভাই এসে বললেন, “ঐ! আমার আগামীকাল পরীক্ষা। লাইট নিভায়ে ঘুম দাও, বাকি ঝগড়া কালকে কইরো।” আযম ভাইয়ের রুম পাশেই, পুরা ব্যাপারটা ওনারে নিশ্চয়ই খুব বিরক্ত করতেছিল।

ঘটনা হইলো গিয়া ফারহান বাংলা দেয়াল পত্রিকার সম্পাদক, যেটাকে অন্যভাষায় বলা হতো ইনচার্জ। তার সাথে আমার আগে থেকে একটা গ্যাঞ্জাম ছিল (কী নিয়ে, মনে নাই)। তাই আমরা ইলেভেনের শুরুতে দেয়ালপত্রিকার ইনচার্জ ভাগাভাগি করে নিছি। আমি ইংরেজিটা (১৫ আগস্ট, ২০০০ এ বেরিয়েছিল) আর ও বাংলাটা (২১ ফেব্রুয়ারি,২০০১ এ বেরুবে)। ইংরেজি দেয়াল পত্রিকার সময়ে ফারহান আমাকে কোনই সাহায্য করে নাই। আমি আর রিজওয়ান মিলে পুরা কাজটা দেখছি, এবং সমসাময়িক নিয়ম মেনে থার্ড হইছি।

এখানে একটু ইতিহাস বলে নিই। দেয়ালপত্রিকা জেসিসিতে একটা ধর্মাচরণের মতো ব্যাপার। খুবই সম্মানের এবং ইজ্জতের প্রশ্ন। পুরা একমাস খেটে খুটে এইটা বানাইতে গিয়ে ইনচার্জ বেচারার রাইতের ঘুম প্রেপে, আর বিকালের গেমসে ফাঁকি দেয়ার অভ্যাস হয়ে যায়! সাথে কিছু জুনিয়র থাকে যারা এই স্প্রে, ক্যালিগ্রাফি, আঁকাআঁকির কাজগুলা ভালো পারে, তাদের ওপরে রীতিমত নির্যাতন চলে। কারণ তারা না পারে প্রেপে ঘুমাইতে, না পারে গেমস ডজ্‌ দিতে। আমি কেমনে কেমনে ক্লাশ সেভেনেই ধরাটা খাইলাম! আঁকতে পারতাম মোটামুটি, সেই কথা ছড়ায়ে গেলে আমার গতি হইল আপস্টেয়ার্সের টিটি-রুম, যেখানে টিটি টেবিলের উপরে স্প্রে হইতো পত্রিকার। আর চারপাশের টেবিলে অন্যান্য আঁকাজোকা, বক্স বানানো এইসব চলতো! যাহোক আমরা প্রতিবছর নিয়ম করে থার্ড হতাম। সেভেন থেকে টেন পর্যন্ত আমরা সব মিলিয়ে সাতবার থার্ড হলাম। বেশিরভাগ সময়ে হুনাইন, মাঝে মাঝে খায়বারের কোন কোনটা ফার্স্ট হইতো, আমরা খালি অডিটরিয়ামে তালি বাজাইতাম, খারাপ লাগত। কারণ প্রতিটা পত্রিকার পেছনে আমার অনেক মাইর খাওয়া, প্রেপে নাইন নাম্বার (লং আর্ম) হয়ে থাকার বেদনা জড়িত ছিল।

তাই ইলেভেনে এসে খুব চাইছিলাম যেন একটাবারের জন্যে জিতি। হয় নাই। ইংরেজিটায় কোন ডিপার্টমেন্টে কিছু না পেয়ে আমরা সগৌরবে থার্ড হলাম। এখন জানুয়ারি মাসে ফারহান বলতেছে যে এই শেষবারের মতোন একটা ম্যাগাজিন করতে হবে। আমি যেন ওর সাথে কাজে যোগ দেই, নাহলে সম্ভব না ইত্যাদি ইত্যাদি। আমি আমার স্বভাবজাত ঘাউড়ামি শুরু করছি, তখন নানা পুরানা ইস্যু গলগল কইরা বাইর হচ্ছে, তো আযম ভাই এসে থামায়ে দিলেন। তারপরে আমরা গলার স্বর নিচু করে ঝগড়া চালায়ে গেলাম। শেষমেশ এইটা রফা হইল যে আমি কাজ করবো, তবে আমার কাজে কেউ হস্তক্ষেপ করতে, মাতব্বরি করতে পারবে না। মোটামুটি একটা মধ্যাবস্থানে আসা হইল। সাথে আসলো রিজওয়ান। আমরা তিনজনে মিলে পরেরদিন আফটার লাঞ্চ হাউস অফিসের পাশের রুমে স্টোর রুমটাকে আমাদের পরের একমাসের আস্তানা বানাইলাম। এইটা অ্যাকসেস পাওয়া সোজা, সবাই নিচতলাতেই থাকি। কাজ শুরু হলে পোলাপাইন এসে একবার হইলেও ঢুঁ মারতোঃ “কি রে? কী অবস্থা?”

আমরা কাজ শুরু করলাম। ফারহানের মাথা হলো আইডিয়ার ডিপো। উলটা পালটা নানান আইডিয়া আসে, আমারে বলে এইটা এইভাবে করলে কেমন হয়, ঐটা ঐভাবে করা যেতে পারে। আমি হুঁ হুঁ করে মাথা নাড়ি আর লাইনিং টানি, স্প্রে করার শীট কাটি। রিজওয়ান কিছু বলে না, ওর কাজ পুরাই নিঃশব্দে। জুনিয়রদের তখনো ডাকি নাই, আমরা মূল কাজটুকু দাঁড়া করাচ্ছি। স্প্রে শুরু হলো, পুরা পাঁচকলামের ম্যাগাজিনের একটা টোটাল স্প্রে। ঠিক করলাম যে এইটা বরাবর খারাপ হয়, আন্ধার হয়, ম্যাড়ম্যাড়ে হয়। এইবার জ্বলজ্বলে হইতে হবে। যত উজ্জ্বল রং আছে, সব ঢালা হচ্ছে দেদারসে। লাল, কমলা, হলুদ, টিয়া সবুজ। বেগুনি, নীল এগুলা আলো শুষে ফেলে বলে যতটা পারা যায় বাদ। সবচেয়ে ভালো স্প্রে করতো রিজওয়ান, একেবারে ইউনিফর্মিটি মেনে, খুব ঘন রঙ হতো ওর হাতে। আমি শুকনা করে ফেলতাম, আর ফারহান পানি বেশি মিশাইতো রঙে, তাই মোটা মোটা দানা হইতো।

যাহোক, এক সপ্তাহ পরে স্প্রে শেষ। লেখা সংগ্রহ শেষ। লিখতে হবে আমাকে, তাই ফাউন্টেন কলমটা নিয়ে ভয়ে ভয়ে শুরু করলাম। এসময় রুমটায় একটা ছোট টেবিলে বসে আমি লিখতাম। ক্যাসেট প্লেয়ারে গান চলতো, “লাভ ইউ হামেশা” (ইস! মুভিটা রিলিজই পেলো না, সোনালি বেন্দ্রে ছিল!)-র, বা “তেরা জাদু চাল গ্যায়া”(এইটার নায়িকারেও ভালা পাইতাম, পরে আর ছবি করে নাই)-র। রিজওয়ান বক্সমাস্টার, আরেক কোণায় বসে বক্স বানাইতো নানারকম। ফারহান ডেকোরেশনের দায়িত্বে। লেখার বাইরে ম্যাগাজিন বোর্ডের ডেকোরেশনের নানান পাগলামি-মার্কা আইডিয়া তৈরি এবং জুনিয়ার সহযোগে তার বাস্তবায়ন করতো।

একটা মনে রাখার মতো ঘটনা ছিল। আমাদের একটা প্ল্যান ছিল মোমের ‘অপরাজেয় বাংলা’ বানাবো। শাদা মোমে নারীটি, হলুদ মোমে ডানের পুরুষটি, এবং লাল মোমে মাঝের পুরুষটি বানানো হবে। মোম গলিয়ে ছাঁচে ফেললেই হবে। যেই কথা সেই কাজ! মোম কেনা হলো, শোলা কেটে ছাঁচও তৈরি। মোম গলানোর জন্যে স্টোররুমেই পুরোনো খবরের কাগজ পুড়িয়ে নিভিয়া ক্রীমের কৌটায় করে মোম গলানো হলো। ঝামেলা লাগলো মোম ঢালার সময়ে। পুরো ছাঁচটা একটা ইউনিট জিনিশ ছিল, শাদা মোম ঢেলে দেয়া মাত্রই তা ছড়িয়ে যাচ্ছিল পুরোটা জুড়ে। সেসময়ে রিজওয়ান তার তর্জনী পেতে দিল পুরুষ ও নারীমূর্তির মাঝখানে! ধোঁয়া-ওঠা মোম আটকে গেল এবং ওর আঙুলে একটা লম্বা ফোস্কা পড়ল, ওর গলা দিয়ে একটা টুঁ শব্দও তখন বের হয় নাই!! (বলেছিলাম, সবই নিঃশব্দে!)

মূল ম্যাগাজিনের পাঁচটা কলামকে আলাদা করে ছিঁড়ে ফেলা হলো লেখা শেষ হলে। তার পরে ভেলভেটের একটা কাপড়ে সেগুলো পাশাপাশি রেখে জোড়া দেয়া হলো। কাপড়ের দু’মাথায় ছিল পর্দার কাঠের রড। পুরা কাপড়টা এরপরে গুটিয়ে ফেলা হলো। অনেকটা রাজা-বাদশাদের মুচলেকা ধরনের একটা স্টাইল, খুললে পরে ম্যাগাজিন! কাজ শেষের দিনে, একুশের আগের রাতটা নির্ঘুমই কেটেছে। রাতের প্রেপ শেষে গিয়ে আমি বসলাম টাইটেল করতে। নামঃ “আরেক ফাল্গুন”। বড় বড় করে লিখে সিম্পল বেনীআসহকলা হারমোনি দিয়ে রং করলাম। চারপাশের ডেকোরেশনে অনেক মজার মজার জিনিশ ছিল। একটা তো ‘অপরাজেয় বাংলা’, আরেকটা ছিল ডিমের খোসা দিয়ে শহীদ মিনার আর জাতীয় স্মৃতিসৌধ’, ছিল কাঁচের টুকরো (টিউবলাইট-ভাঙা কাঁচ) দিয়ে বানানো ‘বাংলার সন্তানেরা’ ও ‘Annihilate these Demons’ পোস্টার দুটো। আর নিচে ছিল ফারহানের করা একটা কম্পোজিশন। পুরো ম্যাগাজিনটা বসানোর পরে একফোঁটা জায়গা বাকি ছিল না বোর্ডে।

মনে আছে সারা-রাত জেগে আমাদের ইলেভেনের সবাই কাজ করেছিল। রাত দু’টার দিকে জুনিয়রদের ভাগিয়ে দিয়ে আমরাই কাজ করেছি, ঘুম পেলে হাউস-মস্কে হাল্কা-ঘুম। কী একটা রাত গেছিলো! শুধু আমি, রিজওয়ান আর ফারহান একটুও ঘুমাতে পারিনি টেনশনে। সকালে গোসল করে নিলাম। অডিটরিয়ামে প্রেজেন্টেশন হবে, ফারহান আর আমি সেটাও করলাম। মনে আছে উদ্বোধন করতে এসে প্রিন্সিপাল উপরের কাপড়টি সরালে দর্শকের সারিতে মৃদু-গুঞ্জন, কারণ পুরো বোর্ডের মাঝখানে কিছু নাই, কালোর মাঝে শুধু “২১” লেখা শাদা রঙে। তারপরে প্রিন্সিপাল স্যারকে বললাম উপরে গুটানো ম্যাগাজিনটা নামাতে। উনি আস্তে আস্তে যখন ম্যাগাজিনটা পুরো খুললেন, তুমুল করতালিতে একমাসের খাটুনির কষ্ট ভুলে গিয়েছিলাম! ভালোয় ভালোয় প্রেজেন্টেশন শেষ হলো। লাঞ্চের পরে আমি হাউসে ফিরেই দিলাম ঘুম!

[ফুটনোটঃ একমাস পরে আন্তঃহাউস দেয়াল পত্রিকা প্রতিযোগিতায় ক্যাডেট জীবনে প্রথম ও শেষবারের মতোন চ্যাম্পিয়ন হলাম!]

দ্র. এরপরের গত আট বছরে একুশের আগের রাতে আমার মন খুব ভালো হয়ে যায় আর খালি এই গল্পটা বলতে ইচ্ছা করে!

৩,৩২১ বার দেখা হয়েছে

৪৬ টি মন্তব্য : “গল্পের মত জীবন”

  1. জুনায়েদ কবীর (৯৫-০১)

    আমাদেরটার সময়ও আমরা সবাই মিলে হেব্বি মজা করেছিলাম... :dreamy:
    ধুর... 🙁
    সেইসব দিনের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে... :bash:


    ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ

    জবাব দিন
  2. আন্দালিব ভাই, এত ডিটেইলস স্মৃতিচারণ দেখে মন ভাল হয়ে গেল।আসলেই,আরেক ফাল্গুন যেন চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছি।অসাধারণ বস!আপনার তারছিড়া লিখাগুলা আমি ভয়ে পড়িনা(সাঁ ঝুপ বাদে) কিন্তু এইটা পইড়া এক্কেবারে আউলায়া গেছি।নিজের চোখের সামনে যেন দেখতে পাচ্ছি সবকিছু

    জবাব দিন
    • আন্দালিব (৯৬-০২)

      লেখা পড়ো না কেন? দাও দেখি দুইটা শুটাপ দাও বাস্কেটবল গ্রাউন্ডে! (এইটা নাইনের আগের কমান্ড, এখনও ফ্রি হই নাই! ;;; )

      "আরেক ফাল্গুন" আমার সারাজীবনের একটা উজ্জ্বলতম স্মৃতি! তুমি দেখলা, আমারে একটা ফটো তুইলা পাঠাও। আমিও দেখতে চাই! 🙁

      জবাব দিন
  3. রহমান (৯২-৯৮)
    আমি খেয়াল করলাম ব্লগে এখন পর্যন্ত কোন স্মৃতিমূলক পোস্ট দেই নাই। এটা সেই প্রচেষ্টার শুরু হউক

    তোমার এই প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানাই :boss:

    bosস্মৃতিচারন ভাল হইছে :thumbup: । অনেক পুরান কথাই মনে করাইয়া দিলা ভাই 🙁

    জবাব দিন
  4. তানভীর (৯৪-০০)

    যাক, আন্দা আমাদের বুঝার মত করে ব্লগ দিছে! 😀
    আমি সবসময়ই এইসব ব্যাপারে মোরাল সাপোর্টার ছিলাম। 🙂
    একবার হসপিটালে এডমিট থাকা অবস্থায় বাংলা দেয়াল পত্রিকা লিখছিলাম। দেয়াল পত্রিকার ব্যাপারে আমার দৌড় এতদূরই। 🙁

    লেখা অতীব চমৎকার হয়েছে! :thumbup: :thumbup:

    জবাব দিন
  5. ফয়েজ (৮৭-৯৩)

    তোমাদের দেয়াল পত্রিকার ব্যাপারটা তো মনে হচ্ছে বিরাট হুলুস্থুল হইত। 🙂

    প্রথম হওয়ার জন্য অভিনন্দন গ্রহন কর। (বেটার লেট দেন নেভার)


    পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না

    জবাব দিন
  6. সাকেব (মকক) (৯৩-৯৯)

    আন্দালিব,
    তোমাদের ওয়ালপেপারটা খুব দেখতে ইচ্ছা করতেসে...কোন ছবি থাকলে শেয়ার কইরো...

    ক্লাস ইলেভেন এ থাকতে কিভাবে জানি গোলেমালে পইড়া বাংলা দেয়ালপত্রিকা লিখার দায়িত্বটা আমার ঘাড়ে আইসা পড়লো 😕 ...
    আমি ক্লাস সেভেন থেকে জীবনেও এই সম্পর্কিত কোন কাজের সাথে জড়িত ছিলাম না :no: ...টাইনা-টুইনা মোটামুটি কাকের ঠ্যাং টাইপের একটা পত্রিকা জমা দেওয়ার পরদিনই ডাক্তার স্যারের(উনি তখন অ্যাক্টিং অ্যাডজুট্যান্ট ছিলেন) অফিসে তলব 🙁 ...ব্যাটা পুরা ঝাড়ি মাইরা কান দিয়া ধুঁয়া বাইর কইরা দিল...শেষ যে কথাটা কানে ঢুকলো- তা হইল, "জুনিয়র অ্যাপয়েন্টমেন্ট হোল্ডার হওয়ায় এইবারের মত ইডি থিকা বাঁইচা গেলা...ভবিষ্যতে এই হাতের লেখা নিয়া প্যারেড স্টেটও লেখার সাহস দেখাবানা" 😡


    "আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
    আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস"

    জবাব দিন
    • আন্দালিব (৯৬-০২)

      ওয়াল পেপার টা ফারহানের বাসায় ছিল। ওর কাছে জিগায়ে দেখি থাকলে ছবি আপলোড করতে বলবো!

      ফারহান হইলো সিসিবি'র "একসাতআটছয়"

      আপনার কাহিনী শুইনা হাসতে হাসতে পিরা গেলাম!

      ভবিষ্যতে এই হাতের লেখা নিয়া প্যারেড স্টেটও লেখার সাহস দেখাবানা” 😡

      :pira:

      জবাব দিন
  7. আবিদ (০২-০৮)

    ভাই, ছয় বছর দেয়াল পত্রিকার রাতে গতর খাটার কথা মনে করায় দেয়ার জন্য ধন্যবাদ । আপনাদের আমরা মাত্র কয়েকদিনের জন্য পাইছিলাম , তবু আপনাদের অনেক কথা হুনছি । আপনারা ওয়াল ম্যাগাজিনের যে পরিস্থিতি বানায়ে দিয়ে গেছেন , তার ধারাবাহিকতায় এখন মাতামাতি চুড়ান্ত হইছে । প্রতি বছর নতুন নতুন কিছু করার ধান্দায় শেষ পর্যন্ত আমরা ম্যাগাজিনে লাইটিং করছিলাম । কলামের ভিতরে লাইটিং, বাইরে সাইড ডেকরেশনে লাইটিং । বুঝেন অবস্থা ।....................................... স্মৃতিগুলো মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ ।

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : আন্দালিব (৯৬-০২)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।