গেরিলা দেখতে গিয়ে

নাসির উদ্দীন ইউসুফ পরিচালিত ছবি ‘গেরিলা’ মুক্তি পেলো ১৪ এপ্রিল, নববর্ষের দিন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ওপর বানানো ছবি। গল্প নেয়া হছে সৈয়দ শামসুল হকের উপন্যাস ‘নিষিদ্ধ লোবান’ থেকে। চিত্রনাট্যে উপন্যাসের পাশাপাশি মুক্তিযোদ্ধা পরিচালকের নিজস্ব অভিজ্ঞতা থেকেও গল্প নেয়া হয়েছে। মুক্তি পাওয়ার পরে আমার ছবিটা দেখতে যেতে একটু দেরি হলো। প্রথম সপ্তাহে পারলাম না, দ্বিতীয় সপ্তাহের মাঝামাঝিতে একদিন স্টার সিনেপ্লেক্সে গিয়ে টিকেট কাটলাম। এক সপ্তাহ আগেই ‘আমার বন্ধু রাশেদ’ দেখেছি। পরপর অল্প ব্যবধানে দু’টা মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ছবি দেখা আমার জন্য আনন্দের ব্যাপার। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বাংলাদেশে খুব বেশি ভালো মানের ছবি বানানো হয় নি। কারিগরি ও আর্থিক সীমাবদ্ধতা একটা বড়ো কারণ। বিষয় হিসেবে মুক্তিযুদ্ধের ব্যাপ্তি আরেকটি বড়ো কারণ। এছাড়াও ছোটখাটো কিছু কারণ আছে। অন্যতম প্রধান কারণ আমার মতে মুক্তিযুদ্ধকে পরিবেশন করার ভঙ্গি। ছোটবেলা থেকে আমাদেরকে যে মুক্তিযুদ্ধ শেখানো হয়, যা আমরা বইপুস্তক থেকে শিখি, মিডিয়া দেখে জানি, এটা চরম বিরক্তিকর পরিবেশনা। ভাঙা রেকর্ডের মতো কিছু বুলি আওড়ে মুক্তিযুদ্ধকে বর্ণনা করা হয়। দিন-তারিখ, মৃতের সংখ্যা, পক্ষ-বিপক্ষ এগুলো নিরসভাবে বলে দেয়া হয়।

মুক্তিযুদ্ধের স্থিরচিত্রগুলো সে তুলনায় অনেক বাঙ্ময়। ছবিগুলো কেবল কথা বলে না, যেন চিৎকার করে। স্থিরচিত্রের একটা বড়ো অংশ নির্যাতিত বাঙালির ছবি। ২৫ মার্চের কালরাতের গণহত্যা থেকে শুরু করে ১৪ ডিসেম্বরের বুদ্ধিজীবী হত্যার ছবিগুলো বহুল প্রচারিত। বন্দুক কাঁধে মুক্তিযোদ্ধাদের ছবি গুটিকতক দেখতে পাই, মিছিল-আন্দোলনের কিছু স্ন্যাপশট দেখতে পাই। কিন্তু সম্মুখ যুদ্ধের ছবি তোলার উপায় ছিলো না, কিংবা পাকিস্তানিদের ছবি, তাদের সরাসরি অত্যাচার করার ছবি বাস্তব কারণেই নেই। সরাসরি না দেখে, কেবল আফটার-ম্যাথ দেখে আমরা মুক্তিযুদ্ধকে জেনেছি। এবং শূন্যস্থানগুলোতে নিজ নিজ কল্পনার আশ্রয়ে বসিয়ে দিয়েছি পাকিস্তানি খুনী বা রাজাকার ধর্ষণকারীদের চেহারা। কর্মকাণ্ডগুলো হয়তো ভিনদেশি মুভি দেখে বসিয়েও নিতে পারি আমরা কেউ কেউ। কিন্তু মূল চিত্রের ধারে-কাছে যাওয়ার সম্ভাবনা তাতে কম।

মনে রাখতে হবে, এটা পৃথিবীর বৃহত্তম গণহত্যা ঘটা যুদ্ধ, গিনেজ বুকের হিসাবে, উনবিংশ শতকের প্রথম পাঁচটি গণহত্যার মধ্যে বাংলাদেশের গণহত্যা একটি। সময়ের হিসাবে মাত্র নয় মাসে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। অংশ নিয়েছে পাকিস্তানের আর্মি, বাঙালি ও বিহারি সিভিলিয়ান রাজাকার। এই পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের বিচ্ছিন্ন এবং তাৎপর্যহীন চিত্র সিনেমায় দেখেছি। আমাদের মধ্যবিত্তীয় ও গড়পড়তা মননে প্রশ্ন জাগে নি কেন এই হত্যাকাণ্ড। এতো বড়ো গণহত্যা এতো কম সময়ে করার পিছনে নিশ্চয়ই বড়ো কোন উদ্দীপনা ছিল! খুব স্বাভাবিক এই প্রশ্নের কারণ অনুসন্ধান ঘটে না মুক্তিযুদ্ধের গল্প-কবিতা-সিনেমা-তে। সেই কারণ অনুসন্ধান দেখতে পেলাম গেরিলায়। গোলাগুলি, মৃত্যু, রক্ত, সিনেমাটিক দৃশ্যাবলী ও সংলাপ, গান, সব কিছু ছাপিয়ে সিনেমাশেষের পরে আমার প্রাপ্তি হলো এই প্রশ্নের উত্তর! একটু পরে বলছি এ নিয়ে বিস্তারিত।

মুক্তিযুদ্ধের ছবিতে রাজনৈতিক পটভূমি জরুরি। একাত্তরের রাজনীতিতে, সমসাময়িক পাকিস্তানি দলগুলোর মধ্যে বাংলাদেশে সক্রিয় ছিলো জামায়াতে ইসলামী। এই দলের অবস্থান স্বভাবতই মুক্তিযুদ্ধের বিপরীতে। পাকিস্তান-রক্ষাকল্পে তারা দৃঢ় বলীয়ান। শেখ মুজিব একজন দুষ্কৃতিকারী, দেশে গণ্ডগোল লাগাতে চায়। মুজিবের চ্যালা-চামুণ্ডারা হলো নাশকতাবাদী। পাকিস্তান ভাঙার ষড়যন্ত্রকারী। তাই এদের রুখতে দলে দলে জামাতে ইসলামীতে যোগ দিন, রাজাকার বাহিনীতে যোগ দিন। পাকিস্তান আর্মির হাত সবল করুন। এই সত্য-শ্লোগানগুলো এতোদিন সিনেমায় ঠারেঠুরে দেখানো হতো। যেন ভাশুরের নাম, সরাসরি মুখে নিতে নেই! নাসির উদ্দিন সেই পথে যান নি। ছবির প্রায় পুরোটা জুড়েই এরকম শ্লোগান লেখা ব্যানার চোখে পড়েছে। গলিতে গলিতে, স্টেশনে স্টেশনে,পাকিস্তানি ক্যাম্পে, স্কুল-কলেজের সামনেও এমন ব্যানার ঝুলতো। ঘরে ঘরে গিয়ে দাওয়াত দিতো শান্তি কমিটির চেয়ারম্যানরা, এলাকার প্রভাবশালীদের কাছে। এরা শান্তি কমিটিতে যোগ দিলে তাদের প্রভূত লাভ, গুপ্তচরবৃত্তিতে সুবিধা, লুঠতরাজেও সুবিধা। রাজাকার চরিত্রগুলো সর্বোচ্চ-সৎ অভিনয় দেখিয়েছেন। পরিচালকসহ এই সকল অভিনেতাকে ধন্যবাদ জানাই! অভিনয়ের দিক থেকে জয়া আহসানের অভিনয় সম্ভবত নিখুঁতের কাছাকাছি। এতোটা প্রাণবন্ত, এতোটা ‘ভিভিড’ অভিনয় আমি অনেকদিন দেখি না। বাংলাদেশের নায়িকাদের মধ্যে তো না-ই। যেখানে মেলোড্রামার অভিনয় আর ছলোছলো নির্যাতিত অবলা নারীর বাইরে বাংলা সিনেমার নায়িকাদের কিছু করার থাকে না এবং এটুকু মোটামুটি পারলেই আমরা বাহবা দিয়ে ভাসিয়ে দেই, সেখানে, সেই চর্চার জায়গায় জয়া আহসান একটা উল্লম্ফিত পারদর্শিতা দেখিয়েছেন। সিনেমার আড়াই ঘন্টায় তার চরিত্রের যে প্রগ্রেশন, যেভাবে তার অনুভূতিগুলো বদলে বদলে যাচ্ছিলো, সেটা অভিনব। বিশেষ করে, ছবির শেষ আধাঘন্টার অভিনয় দেখার মতো, চমকে যাওয়ার মতো, পুরষ্কার দেয়ার মতো।

সিনেমা শেষ হয়ে যাওয়ার পরে কিছুদিন সময় লাগে আমার ধাতস্থ হতে। সিনেমার ক্ষমতা সম্বন্ধে আমি সততই খুব আশাবাদী, কারণ এই অডিও-ভিজুয়্যাল মিডিয়া আমাদেরকে এক অদ্ভুত বাস্তবতার জগতে নিয়ে যায়। বেশিরভাগ সময় তা কেবলই নিছক কল্পনা, কিংবা নৈর্ব্যক্তিক শিল্প। মাঝে মাঝে এই সিনেমার জগত কেবল কল্পনার বাস্তবতা বা শিল্পের পট ছেড়ে আমাদের বাস্তব জগতে ছড়িয়ে পড়ে। ফিরে আসি ওই প্রশ্নের কথায়। নাসির উদ্দীনের সিনেমা গেরিলা এই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছে। উত্তরটি সত্য ও সৎ উত্তর, একইসাথে প্রচণ্ড বাস্তব ঘনিষ্ঠও বটে। এতোটাই যে হতভম্ব ও বিস্মিত হয়ে গিয়েছি, ধাতস্থ হতে কিছুদিন সময় লেগেছে। আবছা আবছা ‘চেতনা’র ধারণা থেকে এক টানে দিনের আলোর মতো পরিষ্কার হয়ে গেছে অনেকগুলো ধোঁয়াশা। সিনেমা কতো শক্তিশালি হতে পারে, কতো গাঢ়ভাবে দার্শনিক হতে পারে, সেটার প্রমাণ পেলাম। প্রশ্নটি ছিলো, এই এতো অল্প সময়ে এতো ভয়ঙ্কর হত্যাকাণ্ড ঘটার কারণ কী? সাথে সম্পূরক প্রশ্ন হলো মুক্তিযুদ্ধের দার্শনিক, বুদ্ধিবৃত্তিক উদ্দেশ্য কী ছিলো? এই দুটো প্রশ্নের উত্তরে অনেক মুক্তিযোদ্ধাও একটু থতমত খান। যুদ্ধ করার প্রকট উদ্দেশ্য (অন্যায়ের বিরুদ্ধে, শোষণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ইত্যাদি) এবং হত্যাকাণ্ডের প্রকট কারণ (বাঙালি-পাকিস্তান জাতিগত বিরোধ, লোভ ইত্যাদি) ছাপিয়ে প্রচ্ছন্ন ও গুরুত্বপূর্ণ কারণটি কারো চোখে পড়ে না। মুখেও সরে না। মুক্তিযুদ্ধে এতো বড়ো হত্যাকাণ্ড ঘটানোর সময় বারবার বলা হয়েছে এই “দুষ্কৃতিকারী”রা পাকিস্তানের শত্রু, ইসলামের শত্রু। পৃথিবীর সবচেয়ে বড়ো ইসলামিক রাষ্ট্র ভাঙার পাঁয়তারা করছে। সাহায্য নিচ্ছে পার্শ্ববর্তী ভারত থেকে, হিন্দুদের থেকে। বাঙালি হিন্দুদেরকেও মারা হয়েছে, তা তিনি যতোবড়ো গুণী ব্যক্তিই হন না কেন, মেরে রায়েরবাজারে ফেলে রাখা হয়েছে। ধর্মের পরিচয়ে এতো বড়ো হত্যাযজ্ঞ আর ঘটে নি।

এই উত্তর শুনে অনেকেই মাথা নাড়ছেন। বিরোধিতা করতে চাইছেন। দোষ আপনার নয়। আমাদের পাঠ্যপুস্তক থেকে সামাজিক সকল প্রতিষ্ঠান মুক্তিযুদ্ধের গল্প বলতে গেলে এই উত্তরটি এড়িয়ে যান। মুসলিম মুসলিম ভাই বলে একটা কথা খুব ফোটে আমাদের মুখে, সেটা একাত্তরের বর্ণনায় গিয়ে উচ্চারিত হয় না। খালি পাকিস্তানের খেলা থাকলে শুনতে পাই শ্লোগানের মতো। বিশ বছরেরও বেশি সময় ধরে এই ধর্ম-রাজনীতির আফিম খেয়ে খেয়ে এখন আমরা এটাই মানি, এটাই জানি। নাসির উদ্দীন ইউসুফ সেই জানা ও মানার তোয়াক্কা করেন নি, সরাসরি দেখিয়েছেন কীভাবে মানুষ কোরবানি দেয়া হয়েছে। গরু কোরবানির সময় যেমন আমরা গর্ত করি, মাঠে নিয়ে সেভাবে একের পর এক মুক্তিযোদ্ধাদের কোরবানি করা হয়েছে ইসলামের নামে। এই ইসলাম ‘প্রকৃত’ কী ‘স্খলিত’, ‘ঠিক’ কী ‘অন্যায়’ সেটা তখনও জরুরি ছিলো না, এখনও না। জরুরি হলো এই খুনিরা, তাদের খুনের বিচার। আমরা যদি এখনও এপোলোজেটিক হয়ে থাকি, ধর্ম-রাজনীতির ফাঁপা বুলিতে বিশ্বাস করে “ভাইয়ে ভাইয়ে ভুল করে মারামারি হয়ে গেছে” ভেবে “মরেই তো যাবে কয়েকদিন পরে” বলে এদেরকে ছেড়ে দেই, তাহলে নির্দ্বিধায় বলতে পারি, বাংলাদেশ একদিন আবার পূর্ব পাকিস্তান হয়ে উঠবে। ধর্মরাষ্ট্রের কুটিল ভোজালি এসে মানুষের গলা কাটবে। এগুলো কোন ‘ফিয়ার-পলিটিক্স’ না, এগুলো ‘এক তরফা দৃষ্টিভঙ্গি’ না। এই ভবিষ্যদ্বাণী অঙ্কের হিসাবের মতো সরল, অবশ্যম্ভাবী। যদি মানতে না চায় মন, গত মাসে আমিনীর হরতালের সময় বলা কথাগুলো স্মরণ করুন। “পানিবৎতরলং” হয়ে যাবে। নাসির উদ্দীন ইউসুফকে ধন্যবাদ। সৈয়দ শামসুল হককে ধন্যবাদ। কলাকুশলীদের ধন্যবাদ। গেরিলাকে ধন্যবাদ।

সিনেমা হল-এ আলো ফুটে উঠলে দেখলাম, আমার পাশে দুই বয়স্কা নারী শাড়ির আঁচল চাপা দিয়ে কাঁদছেন। চোখ মুছছেন। আমি তাদের দিকে একবার তাকিয়ে বেরিয়ে এলাম। আমারও চোখ ভেজা। নিঃশব্দে দুয়েকফোঁটা অশ্রু না হয় পড়ুক তাঁদের জন্যে।

৭,১২৭ বার দেখা হয়েছে

৫৪ টি মন্তব্য : “গেরিলা দেখতে গিয়ে”

  1. সোলায়মান (৯৩-৯৯)

    এই মুভি টার সামরিক অংশ গুলার চিত্ত্রায়ন এর সাথে আমি সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলাম, shotting স্পট এবং যুদ্ধের পার্ট শুটিং এর সহায়তা প্রদান এর দায়িত্ব আমাদের ইউনিট এর ছিল, অনেকদিন থেকে অপেক্ষায় ছিলাম কবে এইটা মুক্তি পাবে. লোকজন এর ভালো লেগেসে জেনে আমার ও খুব এ ভালো লাগছে ,.....অন্তত ভালো কোনো কাজের সাথে সম্পৃক্ত থাকতে পেরে.

    জবাব দিন
    • আন্দালিব (৯৬-০২)

      আরে! বলেন কী ভাই! তাহলে তো আপনার আর আপনাদের ইউনিটের স্পেশাল ধন্যবাদ প্রাপ্য! খুব চমৎকার লেগেছে সিনেমার পর্দায় দৃশ্যগুলো। শেষ দিকে জলেশ্বরীতে একটা যুদ্ধ দেখায়, খোকন কমান্ডার মারা যাওয়ার পরে। সেখানে গোলাগুলি, বিস্ফোরণ দেখে একদম আসল যুদ্ধের অনুভব হয়েছে আমার! :boss:

      জবাব দিন
  2. নূপুর কান্তি দাশ (৮৪-৯০)

    ছবিটা কবে দেখতে পাবো জানিনা। তবে আশাবাদী হয়ে উঠছি মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ছবি নিয়ে।
    'রিভিউ' খুব ভালো লাগলো আন্দালিব।সেই সাথে আমাদের অস্তিত্ব আর দার্শনিকতার সংকটটিকেও আঙুল তুলে দেখিয়ে দিলে।
    আশা করছি আরো আলোচনা হবে ছবিটি নিয়ে।

    জবাব দিন
  3. কামরুলতপু (৯৬-০২)

    তোর লেখাটা পড়ে এখনই ছুটে গিয়ে ছবিটা দেখতে ইচ্ছে করছে। দেশে থাকলেও হয়ত সাথে সাথেই করতে পারতাম না । অপেক্ষা করছি কপিরাইট আইন কে বুড়ো আংগুল দেখিয়ে অনলাইনে আসার। নইলে আমরা কিছুই দেখতে পারি না যে।

    জবাব দিন
  4. রাব্বী (৯২-৯৮)

    গেরিলা নিয়ে বেশ কয়েকটা লেখা পড়লাম। তোমার এই লেখাটা সত্যিই খুব ভাল হয়েছে - কারণ সিনেমাটার সাথে তোমার আবেগের সম্পর্কটা খুব স্পষ্ট। এইটা আসলে আমাদের সিনেমা। আমাদেরই প্রমোট করা উচিত।

    হতাশা কোথায় জানো? তোমার আগের লেখা গল্পটার নিচে লেখা ছিল, ৪০ বছর হয়েছে, এখনো একজনেরও বিচার হয়নি। আর পাঁচ বছর গেলে তো জানোয়ারগুলোকে বিচার করার কোন সুযোগই থাকবে। সবগুলো এমনিতেই মরবে। বিচার এক্ষুনি খুব জলদি হওয়া উচিত। আর এটা নিয়ে রাজনীতি-রাজনীতি খেলতে দেয়া উচিত না। তা নাহলে বুঝতে হবে, জঘন্য যুদ্ধপরাধকে আমরা জায়েজ করে নিয়েছি। তার ফলাফল আরো ভয়ঙ্কর।

    লেখাটার জন্য ধন্যবাদ।


    আমার বন্ধুয়া বিহনে

    জবাব দিন
    • আন্দালিব (৯৬-০২)

      মুক্তিযুদ্ধের সাথে রাজনীতি মিশানোটা সবাই এতো অবলীলায় আর ভুলভাবে করে দেখে শিউরেই উঠি অনেকসময়। এক জায়গায় একটা আলোচনা দেখছিলাম। কমেন্টে কমেন্টে মুক্তিযুদ্ধের রাজনৈতিক পটভূমির অভাবের কথা এলো (গেরিলাতে)। এটা কিছুটা আমিও খেয়াল করেছি। ছবি ২৫ মার্চ শুরু হয়েছে হুট করেই। কোন ফ্ল্যাশব্যাক বা লিখিত বর্ণনাও দেয়া হয় নি। যেন ধরে নেয়া হচ্ছে, মুক্তিযুদ্ধের পটভূমি জেনেই এসেছে দর্শক। এটা অজ্ঞাত বিদেশিদের কাছে অর্ধেক মেসেজ পাঠাবে।

      কিন্তু সেই আলাপ-আলোচনায় দেখলাম 'গেরিলা' এক পর্যায়ে আওয়ামি-প্রোপাগাণ্ডা মুভি বলেও একজন তকমা দিলেন। তার যুক্তি হলো মুজিবকে বেশি দেখানো হয়েছে, মুজিবকে ফিদেল ক্যাস্ট্রো-চে গুয়েভারা-মাও সে তুং এর ছবির পাশে দেখিয়ে একটা আইডিয়া দেয়া হয়েছে। আমার মনে হলো এখানে ঐতিহাসিক স্বীকৃতি নিয়ে অনেকের মধ্যেই ধোঁয়াশা কাজ করে। আমার কথা হলো - 'গেরিলা' যদি রাজনৈতিক পটভূমি দেখাইতো, তাহলে তো আরো বেশি আসতেন মুজিব বা আওয়ামি লীগ! আর মুজিবকে না দেখিয়ে কীভাবে মুক্তিযুদ্ধের ছবি বানানো যায়? সেইটা তো আরেক ক্যাটাগরির 'মেহেরজান' হয়ে যাবে!

      বুঝি না এইটা কি উদ্দেশ্যমূলক সমালোচনা, নাকি নির্জলা অজ্ঞতা? 🙁

      জবাব দিন
      • রাব্বী (৯২-৯৮)

        যেকোন ছবির গঠনমূলক আলোচনা তো ভাল।

        একাত্তরের পটভূমিতে তো মুজিবকে বাদ দিয়ে কিছু করলে সেটা অবাস্তব হয়ে যাবে। ছবিটা দেখলে ভাল বুঝতে পারতাম কেন এমন কথা বলা হচ্ছে। তবে যেকোন সিনেমার একটা রাজনৈতিক ম্যানডেট থাকে - মূল রাজনৈতিক দর্শন কি সেটা গুরুত্বপূর্ন।

        কবে যে দেখতে পাবো 🙁


        আমার বন্ধুয়া বিহনে

        জবাব দিন
  5. অয়ন মোহাইমেন (২০০৩-২০০৯)
    গরু কোরবানির সময় যেমন আমরা গর্ত করি, মাঠে নিয়ে সেভাবে একের পর এক মুক্তিযোদ্ধাদের কোরবানি করা হয়েছে ইসলামের নামে। এই ইসলাম ‘প্রকৃত’ কী ‘স্খলিত’, ‘ঠিক’ কী ‘অন্যায়’ সেটা তখনও জরুরি ছিলো না, এখনও না।

    ভাই, সিনেমাটা দেখার সময় ও পরে ঠিক এ কথাটাই বার বার মনে হচ্ছিল। আমরা এখনো বড় বেশি বোবা, যুদ্ধ নিয়ে বলার সময় আমরা এখনো ঠিক কথাটি মুখে এনে বলি না। এরকম আরও একজন বলতেন, জহির রায়হান। "সময়ের প্রয়োজনে" ক্লাস নাইনে পড়েছিলাম ; স্যার এমনভাবে পড়িয়েছিলেন যার ভাবার্থ হল "এটি একটি মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক ছোটগল্প, এবার মুক্তিযুদ্ধের চেতনা লেখ" । অথচ কলেজ থেকে বেরিয়ে যেদিন আবার সময়ের প্রয়োজনে পড়লাম সেদিন বাসের মাঝেই আমার চোখে পানি বেরিয়ে এসেছিল এ কথাটি ভেবে মুক্তিযুদ্ধ হয়তো আসলেই এক সময়ের প্রয়োজন ছিল (পরবর্তীতে অবশ্য অনেক কথা অনেক বিতর্কের পর অন্য এক সিদ্ধান্তে পৌঁছেছিলাম)।
    কিন্তু কথা হল এটিই, ধর্মের জন্যই হোক আর চেতনা ক্ষয়ের ভয়েই হোক, মুক্তিযুদ্ধ আমাদের কাছে সবসময় সম্পাদিত হয়ে এসেছে। নাসির উদ্দিন ইউসুফ নিজে একজন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন তাই তিনি এ অন্যায় সম্পাদনা করতে পারেননি, সিনেমাটির এ দিকটি খুবই লক্ষণীয়, অনেক ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর করে এ দিকটি তুলে ধরার জন্য।

    জবাব দিন
    • আন্দালিব (৯৬-০২)

      এই সম্পাদনা আর অর্ধেক ইতিহাসের চক্করই মুক্তিযুদ্ধের মূল প্রেরণাকে নষ্ট করে দিয়েছে। আমার নিজের মতে, মুক্তিযুদ্ধ অবশ্যই "সময়ের প্রয়োজনে" ঘটেছিলো। তাতে কোন সন্দেহ নাই। তবে এটা ব্যাখ্যা করা দরকার। শুনে অনেকে ভাবতে পারেন যে এটা আকস্মিক ও ফ্লুক টাইপের কোন "গণ্ডগোল"। মুক্তিযুদ্ধের বিল্ড-আপ প্রায় বিশ-চব্বিশ বছর ধরেই হয়েছে। এভাবে ভেবেছেন অনেকেই, আর যখন সেটা জনমানুষের ভাবনা হয়েছে তখনই আন্দোলন ত্বরান্বিত হয়েছে! এই খানে জরুরি হলো, "প্রয়োজন" টাকে সনাক্ত করতে পারা। আমি পোস্টেও সেটার চেষ্টা করলাম।

      অনেক বিতর্কের পর কোন সিদ্ধান্তে পৌঁছালে? জানাইও।

      জবাব দিন
  6. রায়হান আবীর (৯৯-০৫)
    সিনেমা হল-এ আলো ফুটে উঠলে দেখলাম, আমার পাশে দুই বয়স্কা নারী শাড়ির আঁচল চাপা দিয়ে কাঁদছেন। চোখ মুছছেন। আমি তাদের দিকে একবার তাকিয়ে বেরিয়ে এলাম। আমারও চোখ ভেজা। নিঃশব্দে দুয়েকফোঁটা অশ্রু না হয় পড়ুক তাঁদের জন্যে।

    দারুন লিখছেন ভাইয়া! ইচ্ছা আছে আবার দেখতে যাবো।

    জবাব দিন
  7. অয়ন মোহাইমেন (২০০৩-২০০৯)

    তবে এ সিনেমাটার মিউজিক ডিরেকশান বেশ কটি যায়গায় কানে বেধেছে, বিশেষ করে আলতাফ মাহমুদ এর অপহরণ এর সময় "বল বীর" একেবারেই মানায়নি।

    তবে এ সামান্যটুকুকে সিনেমার সমস্যা বলার মত আদিখ্যেতা আমি করবো না। আহমেদ রুবেল এর আলতাফ মাহমুদ এর চরিত্রে অভিনয় খুবই ভালো হয়েছে। পাকিস্তানি সেনার ভূমিকা অনেকেই করেছেন কিন্তু সেখানে যে অসম্ভব ঘৃণা ফুটিয়ে তোলার কথা এটা পারেন কয়জন? পরপর দুটি আলাদা চরিত্রে অভিনয় করে দুটিতেই তা করেছেন শতাব্দী ওয়াদুদ, আমার মতে এ সিনেমার শ্রেষ্ঠ অভিনয় তারই।
    তাই বলে আমি জয়া আহসান, এটিএম শামসুজ্জামান এদের অপূর্ব অভিনয়কে খাটো কতে দেখছি না। জয়া আহসানের কথা তো এ পোস্ট এই বললেন। তবে এটিএম শামসুজ্জামানের রোলটি আরও একটি অবাক করা দিক ছিল আমার জন্য। সে আমলের বয়স্ক কিন্তু হানাদারদের প্রত্যাখ্যান করে দেয়া চরিত্র আমাদের কাছে খুবই কম তুলে ধরা হয়। আমার মতে তার গালাগালগুলো এত স্বাভাবিকভাবে প্রকাশও সিনেমাটাকে অনেক বাস্তব করেছে (যদিও বাঙালি শুধু হেসেছেই তবে হলে দর্শকদের কথায় কান না দেবার অভ্যাস এতদিনে হয়ে গেছে মনে হয়)। তবে মোদ্দা কথা সিনেমাটা ভালো হয়েছে।

    একটু বেশি অফ-টপিক গ্যাজালাম মনে হয় ভাই, এসব সবই সিনেমাটা সম্পর্কে আমার ভাবনা, কেন জানি শেয়ার করেই ফেললাম।

    জবাব দিন
  8. আছিব (২০০০-২০০৬)

    সিনেমা দেখে এসে আমার মনে হয়েছিল একটা রিভিউ লিখব। কিন্তু লেখা হয়ে উঠেনি। দেখার আগেও অনেক রিভিউ পড়েছি। কিন্তু সত্যি কথা হচ্ছে আপনার মত রিভিউ আর কারও হয়নি। আর আমি লিখলেও আপনার ধারে কাছে হত না। সালাম আপনাকে বস ::salute::

    আর সিনেমাটা সবার হলে গিয়ে দেখা উচিত। আসুন,আমরা ছবিটিকে ব্যবসাসফল করি এবং এ ধরনের ছবি আরও হোক এতে উৎসাহ দান করি

    জবাব দিন
  9. এহসান (৮৯-৯৫)

    দারুণ লিখেছো, বিশেষ্ করে তোমার চিন্তা ভাবনা ভালো লেগেছে। তোমার কাছ থেকে এই রকম রিভিউই আশা করি। আমার কাছে মনে হয়েছে তোমার চিন্তা ভাবনা গুলো আরেকটু বিশ্লেষন করা দরকার ছিলো।

    অনেক সময় রিভিউ পরে সিনেমা দেখলে বায়াসড চিন্তা চলে আসে কিন্তু তারপরও ভালো রিভিঊ একটা ভালো সিনেমার জন্য দরকারী। অনেক সময় হয়তো পরিচালকের অনেক ফাইন ডিটেইলিং একজন সাধারণ দর্শক খেয়াল করবে না কিন্তু একটা ভালো রিভিউ একজন সাধারণ দর্শকের দেখার চোখকে সচেতন করে তুলে। অনেকটা LOOK আর SEE এর পার্থক্য গড়ে দেয়।

    আমি সচেতনভাবেই গেরিলা সিনেমার রিভিউ না পড়ার চেষ্টা করছিলাম। কারণ আমি সিনেমাটা আগে দেখতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তোমার লেখাটা পড়ে ফেললাম। যাক সিনেমা দেখে আবার পড়বো।

    আজকাল নিয়মিত লিখছো তাই ধন্যবাদ। আমার বন্ধু রাশেদ দেখার ইচ্ছে কম। ওই সিনেমার একটা রিভিউ লিখে ফেলো প্লিজ।

    জবাব দিন
  10. সানাউল্লাহ (৭৪ - ৮০)

    ধন্যবাদ আন্দা। 'গেরিলা' দেখলাম তিনবার! একবার গত রোববার সিনেপ্লেক্সে। বাকি দু'বার রায়হান আবীর আর তোমার চোখে, ব্লগে। আরো একবার সিনেপ্লেক্সে দেখবো আশা করি।

    মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে গত ৪০ বছরে নির্মিত সেরা চলচ্চিত্র অবশ্যই। তোমাদের প্রজন্মের চোখে দেখা চলচ্চিত্রটা আরো অসাধারণ লেগেছে। এর আগে "একাত্তুরের যীশু" হতাশ করেছিল। ভয়ে ভয়ে ছিলাম।

    চলচ্চিত্রে '৭১-এর বাংলাদেশকে প্রায় যথার্থভাবেই নিয়ে আসতে পেরেছেন নাসিরউদ্দীন ইউসূফ বাচ্চু। যুদ্ধের চিত্রায়নে প্রামাণ্যচিত্রের ক্লিপ ব্যবহার করেননি। পূনঃনির্মান করেছেন। অনেকটা বিশ্বস্ত থেকেছেন। পাকি আর 'রেজাকার'বাহিনীর অত্যাচার-নির্যাতনের এমন বিভৎস চেহারা এর আগে কোনো চলচ্চিত্রে এতোটা যথার্থভাবে আসেনি। বাঙালিদের ওপর পাকিস্তানীদের নৃশংস বর্বরতার রাজনৈতিক দর্শনটি খুব সঠিকভাবেই তোমার আর আবীরের ব্লগে এসেছে। হ্যা, সেটা ছিল সাম্প্রদায়িকতা, ধর্মীয় কূপমন্ডুকতা। হিন্দু সম্প্রদায়কে নিঃশেষ করার নীতি। আর বাঙালি মুসলমানদেরও পাকিরা হিন্দুর কাছাকাছিই মনে করে এসেছে গোটা ২৪ বছরে।

    কিছু কিছু জায়গায় চলচ্চিত্রটি কারো কারো কাছে অশ্লীল ঠেকতে পারে। অস্বীকার করবো না, পরিবারের ডালপালাসহ ২৩ জনের দল নিয়ে দেখতে গিয়ে আমারও কিছুটা তেমন অনুভূতি হয়েছে। তবে এসবই ছিল সত্য এবং নবাস্ত (যেমন: বিলকিসের গায়ে হিন্দু হিন্দু গন্ধ, হিন্দু নারী ভোগ করার বাড়তি উচ্ছাস)। পাকি এবং তাদের সহযোগিদের বাড়াবাড়িকেও কোথাও বাড়িয়ে দেখানো হয়নি।

    জয়ার অভিনয় নিয়ে তুমি যা লিখেছো, এরপর আর আমার বলার কিছু নেই।

    একটু কৃতিত্ব নিই; 'গেরিলা'র রেডিও সঙ্গী ছিল 'এবিসি রেডিও'। আর এটা প্রমোট করতে মুক্তির আগের একমাসে নানা আয়োজন করেছি আমরা। আরো করবো। আন্দা, থাকবে নাকি আমার সঙ্গে? তোমার মোবাইল ফোন নম্বরটা আমাকে দিও।


    "মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"

    জবাব দিন
  11. আমিন (১৯৯৬-২০০২)

    পড়লাম। আর অপেক্ষায় থাকলাম দেখার।
    সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ শেষের প্যারাটাই। ধর্মের নামে অধর্ম হয়ে বরাবরই। কিন্তু সে জায়গা আমরা এড়িয়ে গেছি ভাসুরের নামের মত এতোদিন।এটা আমরা যত তাড়াতাড়ি বুঝবো যত তাড়াতাড়ি আমাদের শুভ বুদ্ধির উদয় হয় ততৈ মঙ্গল। কে জানে নইলে বেঁচে থাকলেই শুনবো ১৯৭১ এ বাংলাদেশ সৃষ্টিটাই ভুল ছিলো।

    জবাব দিন
  12. সামিয়া (৯৯-০৫)

    আন্দা ভাই, বেশ কয়েকবার এই লেখাটা পড়েছি। বাংলা নাই বলে কমেন্ট করতে পারি নাই, এই লেখাটায় ইংলিশে কমেন্টে করতে ইচ্ছে হচ্ছিল না...
    অসাধারণ লিখেছেন, এবং আমার অভিজ্ঞতাও একই ছিল...
    আমি নিজ দায়িত্বে এই মুভির মার্কেটিং করে বেড়াচ্ছি

    জবাব দিন
  13. নাজমুল হোসাইন

    হাজার বাধা পেরিয়ে মুভিটা দেখতে গিয়ে দেখলাম খোদ জয়া আহসান তার মা, বোন ও আরও কয়েকজন আত্মীয়সহ সিনেপ্লেক্সে হাজির। স্বাভাবিক নিয়মেই তখন সিনেপ্লেক্সে মাতামাতির চুড়ান্ত চলছে। জয়াকে ঘিরে তৈরী ভিড়টা বিরক্তিভরে পাশ কাটিয়ে হলে ঢুকলাম। সিনেমা শুরু হল এবং কিছুক্ষনের মধ্যেই আমার সামনের খালি সিট কয়েকটা পূরন করল জয়া ও তার পরিবার। তখন পর্যন্ত জয়ার প্রতি আমার ধারনা সেই কৈশরের দেখা ভালবাসা দিবসের নাটক- "অফবিট " এ সীমাবদ্ধ।
    সিনেমা শেষ হওয়ার পরঃ
    হলের ভিতরে জয়া আহসান কে ঘিরে সৃষ্ট ভীড় ঠেলেঠুলে এগিয়ে সামনে তাকে দেখতে পেলাম। কৃতজ্ঞতা জানানোর নিশ্চিত সুযোগটা মিস না করে বললাম- অনেক ধন্যবাদ আপু। হল থেকে যখন বের হলাম, জয়া আহসানের প্রতি আমার ধারনা তখন কৈশরের " অফবিট " কে ছাড়িয়ে নতুন স্তরে পদার্পন করল- যার নাম "গেরিলা" ।
    সত্যিই অসাধারণ।

    জবাব দিন
  14. রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

    Andalib,
    Did director keep the exact conversation between heroine (may be jahanara) and major? Without that movie .....
    I was dreaming to direct Nishiddho Loban as my first movie. I've talked with my wife regarding that. Trying to get in touch with Syed Shamsul Huq.
    By these time read your review. Allah bacaiche.
    Whatever, life goes on.
    From bangladesh shamsul huq & humayun azad are my fav writer.
    Any way great job andalib.


    এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : সাব্বির (৯৫-০১)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।