ভোকাবুলারিহীন দিনপঞ্জি

যেসব দিনে আমি হারানো বিজ্ঞপ্তির ভেতর থেকে খুঁজে খুঁজে দেখি কোন পুরনো বিলুপ্তিকে পাওয়া গেলো নাকি, সেসব দিনে আমার বুক ভেঙে যায়। সেরকম দিন মাদকতাময় এবং প্রান্তিক, আমি সেইসব দিনে ভারসাম্য হারাই

দেখি মহেঞ্জোদারোর মতো বিক্ষিপ্ত পোড়ামাটির হৃৎপেশী। কোন কোন দিনে ভুলে যাই যেসব ঐতিহাসিক পরাজয়, সেগুলো দিনক্লান্তির খোপে লুকানো শ্বাস। তারপরে শীতল একটা ঘরে ঢুকে পড়ি, সেখানে নির্বোধ মুখেরা আমাকে চেনে না। দেয়ালে ইলেক্ট্রন ঘুরে বেড়ায়, আমি দেখতে পাই

বৈজ্ঞানিক কতো অসামান্য শিহরণে মাতাল হয়েছিলেন, শিভাস রিগাল তরঙ্গের চূড়ায় নাচছে একটা ফোটন- পাশে তুমি। তিনি দেখছেন ধীরে খুলছে পোশাক, পোশাকের নিচে খরা ও জরা। তুমি কোথাও নাই

দিনগ্রস্ত বৃষ্টি ও অন্যান্য উপষঙ্গ ঘুরে ফিরে আসে আমাদের ক্যালেন্ডারে। আমরা জানি এই খরাতে এয়ার কন্ডিশনিংয়ের ওপরে দাওয়াই নেই, নেই চূড়ান্ত কোন সত্য, সকলই পরিবর্তনোন্মুখ অশ্লীলতা- অযথাই

এই বর্ষণে ভেজামাটি ডাকে, পাশে সেই পুরনো বিজ্ঞপ্তি ভিজতে থাকে, ঝর্ণাকলমে গোটা গোটা হরফে লেখা কতোকিছু, হারিয়ে গিয়েছে যা, যারা, যেসব, যেগুলো। ধুয়ে যাচ্ছে সওব… নিরন্তর হারানোর খাতাটাও হারাই

তারপর রোদ উঠছে স্লো-মোশনে… ~ ‍এগুলো সবই নির্জলা কন্ডিশনিং, আমার ও তোমার প্রাথমিক নিয়ম-মাফিক রাশান রুলেৎ। আমি সেই মুহূর্তে জেনে যাই

***
– ২৩.৫.১০
***

১,১১৯ বার দেখা হয়েছে

১৫ টি মন্তব্য : “ভোকাবুলারিহীন দিনপঞ্জি”

  1. মনোজ

    বুঝলাম বলে বোধ হচ্ছে ....মনে হচ্ছে হারানোর যে 'বেদনা', তার স্থায়িত্ব নিয়ে লিখলেন। মনে হল, বলতে চাচ্ছেন যে - সকল বেদনাই একসময় অস্তিত্ব হারায় - এটা আপনি জেনেছেন। কিন্তু তার পরে কি? ...এই 'জানার' পরিণতি কি? ...
    -
    কিংবা আমি টোটালি, ভুল বুঝিয়াছি 😕


    There is no spoon

    জবাব দিন
  2. আদনান (১৯৯৪-২০০০)

    প্রত্যেক প্যারার শেষে একটা ছন্দ আছে । দ্বিতীয়বার পড়ে খেয়াল করলাম । একেকটা প্যারা একেকরকম । পুরো একটা বিষয় বোধহয় আসেনি কবিতাতে । আমার একটা প্রশ্ন আছে, পুরনো বিলুপ্তিকে পাওয়া গেলে তো খুশি হওয়ার কথা, তোর বুক ভাঙে কেন ?

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : আদনান (১৯৯৪-২০০০)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।