নাম প্রকাশে অনিচ্ছুকঃ পর্ব ৪

[দু’টি কথাঃ এই লেখাটি আমি খুব একটা গুছিয়ে বা ভেবেচিন্তে লিখতে শুরু করিনি। দীর্ঘ লেখা এবং সময় নিয়ে লেখার অনভ্যাসে কোনোকিছুতে অনেকদিন একনাগাড়ে মনোযোগ রাখা আমার জন্যে দুরূহ। এখন পর্যন্ত এই লেখার পর্বগুলো লেখার পেছনে আপনাদের সকলের উৎসাহই সব! আমি কেবল লিখছি, আসল গল্প আপনারাই, আসল উৎস! আপনাদের অশেষ ধন্যবাদ!]

পূর্ব প্রকাশের পর…

নিয়ন্তি,

আপনার “ইন্নালিল্লাহ” পড়ে তো আমারো হাসি পাইলো! তবে ঘর ফাটায়ে হাসলেও কেউ শুনবে না!

ছোটবেলায় আমি সবসময় ১ম-২য়-৩য় হতাম সবকিছুতে। পড়াশোনা, খেলা, আবৃত্তি, গান, নাটক…
তারপরে বড় হতে হতে টের পেলাম এগুলো করে, পজিশন পেয়ে কোনো লাভ নাই। উল্টা পজিশন হারানোর ভয় মনে ঢুকে গেলো। পরের কম্পিটিশনে পজিশন করার প্রেশার তৈরি হলো। তাই ঠিক করলাম যে এখন থেকে স্বীকৃতি দেয়া স্থানগুলো এড়িয়ে চলতে হবে।
লাস্ট বেঞ্চ। লাস্ট রুম।
লিস্টের মাঝামাঝি কোনো একটা ইররেলেভেন্ট পজিশন।

পাজল নিয়ে যা বললেন, সেটা খুবই মনে ধরলো! আপনার এক্সাম্পল গুলা এতো গুছানো, বুঝে নেয়া তো সাধারণ কথাতেই হয়, কিন্তু আপনি একেবারে বুঝে ওঠার আনন্দটাও দিয়ে দেন! আমার কি মনে হয় জানেন? এই যে কিছু মিসিং পিসেস, বা মাঝে মাঝে কিছু খুঁজে পাওয়া পিসেস যাদেরকে বাকিদের সাথে মিলানো যায় না, এগুলোও কিন্তু আপনার লাইফের পিকচারের অংশ! কে বললো যে সব এক রকম প্রগ্রেশনে কালার্‌ড হবে? ফুলার রোডের ঝিম ধরা দুপুর যেমন থাকবে, তেমনি নিউমার্কেটের ভীড়-ভাট্টা, হট্টগোল থাকবে, মেলবোর্নের যে কোনো একটা সী-বীচও থাকবে! তারপরে বুড়ি হবেন, ফোকলা দাঁতে নিজের অথবা প্রতিবেশির নাতনিদের এই সব পাজল পিসের গল্প বলবেন। আপনার পাজল ততোদিনে প্রায় মিলানো শেষ হবে, তাই না?? সেই তৃপ্তিটাও চোখে মুখে থাকবে।

এখন দেশে না ফিরলে আপনার পরে মনে হতে পারে যে সেই ম্যাট্রেসটা উঠায়ে দেখা হলো না তলায় কোনো পাজল আছে কি না! বা বিদেশে না গেলে যেমন জানতেন না জীবনের অনেক অনেক রূপ! (আমি কিন্তু বিনা খরচে উপদেশ বিলাচ্ছি। আমি জীবনের কোনো রূপই দেখি নাই, তায় আবার বিদেশ! 😉 )

তবে আমি জানি যে আপনি দেশে ফিরবেন। আপনার মা বেঁচে আছেন?? তার কথা জানাবেন আমাকে সামনে। আমার মা’কে আমি অনেক কষ্ট দিয়েছি। আদরের সন্তান, এজন্যে মা আমার ব্যাপারে অনেক দূর্বল। তার উপরে ঝামেলা করতাম না, দুষ্টামি করলেও তা খুবই শিশুতোষ, ভাবুক টাইপ ছিলাম, ভাবুক সন্তানকে বাবা-মায়েরা কোনো এক অজানা কারণে অনেক জিনিয়াস ভাবে! হয়তো ঠিকমতো “ফিগার-আউট” করতে পারে না। চাপা স্বভাবের ছিলাম বলে আলগা খাতিরও পেতাম! আমি বড় হয়ে সেই সুযোগটাই নিয়েছিলাম…

জীবনের এই অংশটা আমি এক্সপ্লোর করতে চাই না। আমার নীরবতাটুকু মার্জনা করবেন!

আমি ভাবতেছি এখন আর ঘুমাবো না। একেবারে বাবা-মায়ের সাথে নাশতা করেই… হা হা হা!

রাইন

-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-

রাইন,

হ্যাঁ, এখন তো আপনার ভোর হয়ে গেছে। আযান দিচ্ছে এখনও? আপনার বাড়ি থেকে আযান শোনা যায়?
আমাদের বাসা থেকে যেতো… একদম অন্যরকম লাগে শুনতে… বিশেষ করে ফজর আর মাগরিব…
আপনি কি সুন্দর করে পাজল নিয়ে বললেন… ইউ রিয়েলি হ্যাভ এ ওয়ে উইথ ওয়ার্ডস! শুনতে কখনই লেকচার লাগে না…

আমার আব্বাও এই রকম জানেন? ঢাকা ইউনিতে ইকোনোমিক্স পড়াতো আগে… এখন তো একটা করে সেমিস্টার পড়ায় এআইইউবি’তে। ঐ স্টুডেন্টদের কথা একদিন বলছিলো। বললো যে ওদেরকে পড়ায় নাকি ততো আরাম পেতো না প্রথম প্রথম, কারণ কেউ মনোযোগী ছিলো না। তারপরে একদিন ঝাড়ি লাগাইসে, একদম পুরানো স্টাইলের টিচারদের মতোন… আব্বা আব্বা ভাবে! তারপর থেকে নাকি অনেক ভক্ত হয়ে গেসিলো। তো একবার আব্বা আমাকে এক্সাম্পল দিচ্ছিলো ক্লাসে একটা থিওরি কীভাবে এক্সপ্লেইন করসে, ঐটা শুনে আমি তো মুগ্ধ হয়ে গেসি! থিওরিটা ইকোনোমিক্সের… একটা টার্ম আছে “প্রিজনার’স ডিলেমা”।

এটাকে… গেইম থিওরি বলে। ব্যাপারটা হলো এরকম। ধরেন দুই জন প্রিজনার, তাদের কাছে আলাদা আলাদা করে বললেন রাজসাক্ষী হতে। এখন একজন যদি রাজসাক্ষী হয়, তাহলে অন্যজনের লাইফ ইমপ্রিজনমেন্ট হবে আর সে হেল্প করার জন্যে মুক্তি পাবে। দুইজনই যদি বলে দেয়, দুইজনই শাস্তি পাবে… কেউই যদি না বলে… তাহলে চান্স আছে যে অপরাধ প্রমাণ হবে না… এবং কেউই শাস্তি পাবে না… … এই থিওরি দিয়ে অনেক বিজনেসের মতিগতি বোঝানো হয়।

তো, আব্বা এইটা বুঝাতে গিয়ে ইন্ডিয়ানা জোনসের কথা বলসে ক্লাসে। মানে দুইটা জিনিশ বুঝাইসে একসাথে। একটা হলো যদিও ইকোনোমিক্সে ধরে নেয়া হয় যে হিউম্যান বিয়িংস আর র্যাসশনাল থিংকারস, সব সময়ই এরকম না। আমরা মাঝে মাঝে ইরর্যা শনাল কাজ করি… আরেকটা হলো প্রিজনার’স ডিলেমা… একটা সীন আছে যেখানে বাবা আর ছেলে থাকে… এবং তাদের সামনে দুইটা ড্রিঙ্ক… একটায় বিষ আরেকটা অমৃত। কোনটা যে কি কেউ জানে না। একজন একটা খেয়ে যদি মারা যায়, তাইলে অন্যটা অমৃত… আর বেঁচে থাকলে অন্যটা বিষ… যদিও র্যাকশনালি স্পিকিং, বাবাকে দিয়ে টেস্ট করানো উচিত ছিল, যেহেতু তার বয়স বেশি এবং শক্তি কম… কিন্তু মুভিতে ইন্ডিয়ানা জোনসই প্রথম ট্রাই করলো ড্রিঙ্কটা (দেখেন, আব্বা আম্মার কথা বলতে গিয়ে আপনাকে ইকোনোমিক্স শিখাইতেসি!! আর আপনি বলেন আপনি লেকচার ঝাড়সেন?)

হ্যাঁ, আম্মা বেঁচে আছে ভালোমতোই… সে এখন পঞ্চান্নের মতোন। আম্মা আমার আব্বার চেয়ে অনেক ছোট, দশ বছরের ডিফারেন্স। এবং আমাদের সাথে বাচ্চাদের মতো ভাব তার। আসলে বিয়ের সময়… শী অয়াজ অনলি ফিফটীন। আর মনে হয় ঐ বয়সটাতেই আছে। যেমন সেইদিন কথা বলছি তার সাথে… কথার মাঝখানে হঠাৎ আব্বাকে বলে যে… “এই, তোমার পায়ে পোকা কামড়ায়!”

আমি বললাম… “পোকা আছে নাকি?”

বলে যে… “বাংলাদেশে অনেক পোকা… বড়ো, মেঝো, খাটো!” তারপরে ছড়া বলে… “তোর আব্বার তাড়া খাইয়া, আমার দিকে আসছে ধাইয়া, দিসি পড়া, গেসে মইরা!” এইটা নিয়ে হাসলাম অনেক… আমার একবার ইচ্ছা ছিলো তিন গোয়েন্দার মতোন একটা সিরিজ লিখবো। সেইখানে তিন বোন থাকবে তিন গোয়েন্দা আর তাদের মা থাকবে প্রবলেম সলভার। পরে আর লেখা হয় নাই…

কতো কিছু যে ইচ্ছা করে!

ওহ! আপনি কানাডা যাবেন কেনো? নিউজিল্যাণ্ডে চলে আসেন বরং… আমি এখানে থাকি… তাই সার্টিফিকেট দিচ্ছি… অনেক সুন্দর দেশ… মানুষজন ভালো অনেক… আর এই দেশের maori name হলো aotearoa মানে… দ্যা ল্যান্ড অফ লং হোয়াইট ক্লাউডস……

নিয়ন্তি

-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-

নিয়ন্তি,

বাহ! কতো মিল পাই। আমি তো নিউজিল্যান্ডে আসবোই না তাহলে। লর্ড অফ দ্যা রিংস দেখে নিউজিল্যান্ডের প্রেমে পড়েছি। ওখানে নিউজিল্যান্ড কতো সুন্দর দেশ সেটা বুঝা যায়!

আমি সুন্দর কোনো দেশে যাবো না। গেলে শেষে দেশের প্রেমে পরে যেতে হবে। তারপরে যখন বাংলাদেশে ফিরবো, আমার কাছে মনে হবে এখানে জ্যাম, ধুলা, ধোঁয়া, গ্যাঞ্জাম, ট্র্যাফিক, মানুষ খারাপ। বাসাগুলা তখন শ্যাবি লাগবে, টয়লেট ময়লা লাগবে, বিদেশের সিস্টেমে ফরম্যাট হয়ে গেলে সেই ভার্সন দেশে অচল!! বাইরে থাকা আত্মীয়দের দেখেই বুঝি এই ফারাকটা। তাদের দোষ নাই, আমাদেরও উপায় নাই। যার যার সিস্টেম তার তার কাছে। এজন্যে আমি বেঁচে থাকা কঠিন এমন দেশে যাবো, যেখানে সৌন্দর্য উপভোগের সময় পাবো, কিন্তু আরাম পাবো না। দেশের বৃষ্টি, মাটি, কাদা, ধুলার জন্য মন কাঁদবে। তারপরে কাজ (পড়া) শেষ হলেই ফিরে আসবো! 🙂

আপনার বাবার পড়ানো আমার পছন্দ হইসে। যে টিচার ক্লাসে মুভির উদাহরণ থেকে গল্প করতে পারেন, তিনি বস!! ওনার মতো কয়েকজন টিচার ক্লাসে পাইলে আমাদের অনেক উপকার হইতো। শুধু শুধু ক্লাসগুলা বাংক করে রেজাল্টের বারোটা বাজানো লাগতো না!

আমার মা কেমন শুনবেন? অনেক নরম সরম আর ভালোমানুষ ধরনের। আমার এলোমেলো জীবন-যাপনের পেছনে সে নিজে দায়ী কি না এটা অনেকদিন ধরে চিন্তা করেছে। তার ধারণা, আমি যা করেছিলাম, এমন জীবন কাটাচ্ছি, এটা তার কোনো একটা ভুলে হয়েছে। তার এই ধারণা ভাঙাতে আমার অনেকদিন লেগেছে।

গত উইকএন্ডে গিয়েছিলো বসুন্ধরা হাউজিংয়ে। আমার আব্বা অনেক আগে একটা জমি কিনেছিলো ওখানে, সেটা তদারকি করতে। পাঁচিল দিবে, হিসাব-নিকাশ ইত্যাদি। আমি বললাম, “কেনো?”
বলে, “টাকা জমাইসি, এই জমিটা তো আমার নামে, এখানে একটা দুইতলা বাড়ি করবো, তারপরে আমরা থাকবো। তুই উপরের তলা নিবি না নিচের তলা?”
আমার কী হইলো, ঐ দুপুরে গরম রোদের মধ্যে দাঁড়িয়েই গলার মধ্যে দলা পাকিয়ে গেলো তাল তাল কান্না! বললাম, “আমার কিছু লাগবে না, আমি যা কামাই, তা দিয়ে অনায়াসে চলে যাবে।”
তখন বলে যে, “তা তো যাবেই। কিন্তু তুই কাছে থাকলি, আমার টেনশন করতে হবে না। বুড়া বয়সে দূরে দূরে থাকবি আমার দিন কাটবে টেনশন করে করে।”

বলেন! এইসব ব্ল্যাকমেইলিং কেমন লাগে!

মায়ের গল্প বলতে থাকলে এই মেইল আর শেষ হবে না। আপনিও পুরোটা না পড়েই ডিলিট করে দিবেন! আমি বরং থামি।

রাইন

(আমি একটু শুবো। মাথা ঘুরতেছে। অনেকদিন পরে এমন সারা রাত জাগলাম। এই মেইলের রিপ্লাই দিতেও পারেন, নাও দিতে পারেন। পরে আবার কথা হবে…
শুভ দুপুর-ভোর!)
-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-

(চলবে)

২,৬৪৯ বার দেখা হয়েছে

৩৬ টি মন্তব্য : “নাম প্রকাশে অনিচ্ছুকঃ পর্ব ৪”

  1. রকিব (০১-০৭)
    আপনি কানাডা যাবেন কেনো? নিউজিল্যাণ্ডে চলে আসেন বরং…

    ধুর ধুর!! নিউজিল্যান্ড কোন দেশ হইলো; খালি গরু পাওয়া যায় (টিভিতে গুড়া দুধের বিজ্ঞাপন দেখতাম ছোটবেলায়; বেশিরভাগই বলতো অস্ট্রেলিয়া আর নিউজিল্যান্ডের। আমার মোটামুটি ধারণা হয়ে গিয়েছিলো, কেবল এ দুটো দেশেই গুড়া দুধ দেইয় এমন গরু পাওয়া যায়)।
    কানাডা আসেন, ফ্রিতে বরফ খাওয়ামু। 😀


    আমি তবু বলি:
    এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..

    জবাব দিন
  2. সুন্দর লেখা 🙂
    ভাইয়া, কুয়েটে সবগুলা খাইষ্টা খাইষ্টা আর বোরিং টিচারদের মাঝে একজন অদ্ভূত চমৎকার স্যার পেয়েছি যিনি মুভির বিভিন্ন গল্প দিয়ে অনেক ছোট ছোট জিনিস বুঝিয়েছেন... আসলেই এইটা অনেক সময়েই ছাত্র-শিক্ষক মনের দুরত্ব কমিয়ে সহজ পরিবেশ এনে দেয় ।

    এই সিরিজটা ড়ক্কোড়ে

    জবাব দিন
    • আন্দালিব (৯৬-০২)
      আসলেই এইটা অনেক সময়েই ছাত্র-শিক্ষক মনের দুরত্ব কমিয়ে সহজ পরিবেশ এনে দেয় ।

      এটা আসলেই আমাদের শিক্ষকদের জন্যে একটা বেদবাক্য হওয়া উচিত। পুঁথিগত শিক্ষা তো যে কেউ দিতে পারে, নিতেও পারে। কিন্তু শিক্ষাগ্রহণের প্রসেসটাকে আগ্রহ নিয়ে যারা এরকম পথগুলো, উপায়গুলো উদ্ভাবন করেন, তাদের কথা শিক্ষার্থীরা সারাজীবন মনে রাখে।

      গুরুদের নিয়ে গুরুগম্ভীর কথা বলে ফেললাম! হা হা!

      জবাব দিন
  3. মাহমুদ (১৯৯০-৯৬)

    পাঁচতারা মার্কা লেখা, খুব ভালো লেগছে।

    নিয়ন্তি'র বাপের পড়ানোর টেকনিকটা পছন্দ হইছে। ঐটা দিয়ে গত সেমিষ্টারে আমি ১ম বর্ষের পোলামাইয়া গো মার্ক্সের 'শ্রমের মূল্যতত্ত্ব' পড়াইছি। মনে হলো ওরাও বুঝছে। কিন্তু আমি কই নাই যে, ওটা মার্ক্সের তত্ত্ব ছিলো 😛

    আজকে ক্লাস শুরু হবে। আমি লেকচার শুরু করমু মহাকবি আমির খানের 'থ্রী ইডিয়টস' দিয়ে :grr: ।


    There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx

    জবাব দিন
    • অসীম (১৯৯০-১৯৯৬)

      চামে ক্রেডিট লইইয়া লইলা মাষ্টার। তোমার লেকচার তো বাসাতেই শুনি। মালুম হয় ক্লাসে তুমি ভালই ইম্প্রেস কর। যাই হোক, এইডারে আবার প্রশংসা ভাইবনা। :))

      জবাব দিন
      • আন্দালিব (৯৬-০২)

        মাহমুদ ভাই, শ্রমের মূল্যতত্ত্ব কী উদাহরণ দিয়ে পড়ালেন? শেয়ার করেন। আমি আজকে ক্লাসে কন্ট্রোল সিস্টেম পড়াতে গিয়ে কয়েকটা উদাহরণ দিলামঃ যেহেতু টার্মের প্রথম ক্লাস সংজ্ঞা আর ব্লক ডায়াগ্রাম (খুবই বোরিং জিনিশ)। সব উদাহরণ দিলাম মোবাইল ফোন, ফেসবুক আর ইন্টারনেটের বিভিন্ন এলিমেন্ট দিয়ে। ভেবে ভেবে এগুলো তৈরি করতেই দারুণ মজা লাগছিলো! 😀 😀 😀

        অসীম ভাই, পড়ার জন্যে থেংকু ভাই! 🙂

        জবাব দিন
  4. আদনান (১৯৯৪-২০০০)

    এ পর্বটাও দারুন ।

    র্যাসশনাল

    এইটা কি rational লিখতে চাইছিলি । বানানটা পড়তে একটু ঝামেলি ঝামেলি লাগে । তাড়াতাড়ি পরের পর্ব দে । পারলে নিয়ন্তি কে বল সিডনী থেকে ঘুরে যেতে 😛

    জবাব দিন
  5. আন্দালিব,

    আপনার লেখাগুলো পড়তে পড়তে প্রায় ভোর হয়ে গেল। বাকিটুকু দিয়ে দিন। সবাই মুখিয়ে অপেক্ষা করছে। হঠাৎ গল্প-সিরিজটা দেখে অবাক-ই হয়ে গিয়েছিলাম। সে গল্প বলতে থাকলে এই মেইল আর শেষ হবে না। আপনিও পুরোটা না পড়েই ডিলিট করে দিবেন! আমি বরং থামি।

    বাজপক্ষী

    (এই মেইলের রিপ্লাই দিতেও পারেন, নাও দিতে পারেন। পরে আবার কথা হবে…
    শুভ রাত্রি!)

    -০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-

    জবাব দিন
    • আন্দালিব (৯৬-০২)

      বাজপক্ষী, আপনি উড়ে এলেন আর হুট করে কমেন্ট করে দিলেন। আমি তো খেয়ালই করি নাই!! এর মাঝে আসাও হয় নাই, তাই দেরি হলো রিপ্লাইয়ে। আশা করি, কিছু মনে করবেন না। 🙂

      আপনার অবাক হওয়া গল্পটি শুনতে মঞ্চায়। আপনি যদি ভাবেন এখানে বলতে সমস্যা তাহলে আমাকে মেইলে জানাতে পারেন। 🙂

      জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : আহসান আকাশ (৯৬ - ০২)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।