মন মরে যাবার প্রক্রিয়ার সাথে আমি তেমন পরিচিত ছিলাম না।
বিজ্ঞপ্তি ও বিবৃতিতে মানুষের বিদেহী আত্মার কথা শুনেছি কেবল
জেনেছি, কেউ কেউ মরে গেলে দেহ বিয়োজন ঘটে,
আর কোনো কোনো লাশের খবর থাকে না।
ঈর্ষা করেছি যারা আত্মা হয়ে গেছেন, চল্লিশ দিন
ঘুরে বেড়িয়েছেন ভরহীন অশরীরে।
দুঃখ-শোক-সন্তাপ-বিদুরিত-প্রাণে-অপ্রাণে
আর অনেক অনেক বছর পরে, বিদেহীদের পরিচয়
আমার কাছে আটপৌরে হয়ে গেলে, জানতে পেরেছিঃ
দুয়েকজন সৌভাগ্যবানের মন মারা যায়।
মৃত মনের পোস্টমর্টেম রিপোর্টটি নিয়ে তারা বিব্রত হন।
মরা মাছের চোখের মত ফ্যাকাশে বা
আঁইশের মত জ্বলজ্বলে হয়ে তাঁরা
মানসিক পার্লারের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকেন।
এই নগরে এখন মনমরণের খেলা, সারি সারি শবাধারে শূন্যতা আর তার ভেতরে বিশ্রী বিশ্রী পুড়ে যাওয়া মন রাখা আছে। হে নাগরিক, তোমরা তোমাদের সেলফোনগুলো চার্জ দাও, সেখানে অবিশ্রাম তোপধ্বনি হবে আজকের ডে-লাইট-সেইভ্ড সূর্য ওঠার পর!
***
🙁
এরকম একটা কবিতার জন্য রাত জাগা যায়...
জেগে আছি রেশাদ ভাই। এই নগর এখন স্নায়ুর চালক ও দেবতা!
জানাজা হবেনা?
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
আপনি বললেই হবে...
মৃত্যু সংবাদ শুনতে চাই না... প্রভু
কবিতাটা বেশ ভাল লেগেছে... :hatsoff: :hatsoff:
পড়ার জন্যে থ্যাঙ্কস দোস্ত। এই মৃত্যুগলো নিঃশব্দেই ঘটছে। আমাদের অগোচরে। সুতরাং তেমন ভয় নাই। ইগনোরেন্স ইজ ব্লিস!!
মনরে আবার জীবন দেওয়া যায় না? সেলফোনের চার্জারের মত আবার চার্জ?
দোস্ত আমি লেখা দিতে আসলেই তোর লেখা পাই। কোন ভাবেই তোকে এভয়েড করতে পারি না। 🙁 , আমার হিট কাউন্ট কমে যায়। বড়ই দূর্ভাগ্যজনক
মন পুরোপুরি সেলফোনের মতো নৈর্ব্যক্তিক করে ফেলতে পারলে মনে হয় চার্জ দেয়া সম্ভব। তবে সেটা আবার কী করে করতে হয়, আমার জানা নেই! 🙁
তোর আমার টাইমিং আসলেই একেবারে মিলে যায়! 🙂
:boss: :boss: :boss:
মনের পোষ্টমর্টেম নিদারুন ব্যাপার। আন্দা ভাই ভালো লাগলো>
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
মনের পোস্টমর্টেম করার নিদারুণ বেদনাবোধ করছি ইদানিং...
পেন্সিল,
তোমার লেখা - হ্যাঁ - এ তোমারই লেখা।
অদ্ভুত সুন্দর। চমৎকার।
মাঝে মাঝে এত গর্ব লাগে যে - এই ছেলেটা আমার পরিচিত।
এ আমার ছোট ভাই।
:hug:
সৈয়দ সাফী
উত্ত'দা, অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই। আপনি অনেক অনেক উৎসাহ দেন বলে অনেক নেতিবাচকতার মাঝেও লেখার আগ্রহ করি!
:hug: :hug:
শব্দ, বাক্য আর কথা নিয়ে খেলা করা তোমার লেখার এক আনকমন বৈশিষ্ট্য। আর এ জন্যই তোমার সব লেখাই আমার ভাল লাগে। 🙂
থেংকু থেংকু রহমান ভাই! :hatsoff:
দারুন। :clap:
অসীম ভাই, লেখা পড়ার জন্যে অনেক ধন্যবাদ! ভালো লাগছে খুব।
😮 :no: :no:
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
অনেকের মাঝে এক = অন্যতম হতে পারাটা একটা সক্ষমতা। সেই সক্ষমতা যাঁদের আছে, তারা তো সৌভাগ্যবান বটে!
আবারও চমৎকার একটা কবিতা!
তোমার শব্দেরা তাহলে আবার আসতে শুরু করেছে! 🙂
হুম, মনে তো হয় আসছে। অনেক ব্যস্ত হয়ে পড়লে শব্দেরা একে একে চলে আসে!
খুব ভালো লাগলো ভাইয়া,
মনের পোস্টমর্টেম ভালো বলেছো।
তা আছো কেমন?
হুম, ভালোই আছি। লেখাটা পড়ার জন্যে ধন্যবাদ দিহান ভাবী। 🙂
সবল মৃত্যুই হল সব কিছুর পরি সমাপ্তি। তা দেহেরই হোক বা মনেরই। কিন্তু ভাইয়ারে বহু বহু চেষ্টার পর কখনো কখনো মন জন্ম্ নিতে হয়তোবা পারে। কিন্তু দেহ কি পারে?
:clap: ভালো হয়েছে লেখাটা।
:thumbup:
বেশ ভাল লাগল কবিতার সমসাময়িক বক্তব্য