মনমরণের ইতিবৃত্ত

মন মরে যাবার প্রক্রিয়ার সাথে আমি তেমন পরিচিত ছিলাম না।
বিজ্ঞপ্তি ও বিবৃতিতে মানুষের বিদেহী আত্মার কথা শুনেছি কেবল
জেনেছি, কেউ কেউ মরে গেলে দেহ বিয়োজন ঘটে,
আর কোনো কোনো লাশের খবর থাকে না।
ঈর্ষা করেছি যারা আত্মা হয়ে গেছেন, চল্লিশ দিন
ঘুরে বেড়িয়েছেন ভরহীন অশরীরে।

দুঃখ-শোক-সন্তাপ-বিদুরিত-প্রাণে-অপ্রাণে
আর অনেক অনেক বছর পরে, বিদেহীদের পরিচয়
আমার কাছে আটপৌরে হয়ে গেলে, জানতে পেরেছিঃ
দুয়েকজন সৌভাগ্যবানের মন মারা যায়।

মৃত মনের পোস্টমর্টেম রিপোর্টটি নিয়ে তারা বিব্রত হন।
মরা মাছের চোখের মত ফ্যাকাশে বা
আঁইশের মত জ্বলজ্বলে হয়ে তাঁরা
মানসিক পার্লারের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকেন।

এই নগরে এখন মনমরণের খেলা, সারি সারি শবাধারে শূন্যতা আর তার ভেতরে বিশ্রী বিশ্রী পুড়ে যাওয়া মন রাখা আছে। হে নাগরিক, তোমরা তোমাদের সেলফোনগুলো চার্জ দাও, সেখানে অবিশ্রাম তোপধ্বনি হবে আজকের ডে-লাইট-সেইভ্‌ড সূর্য ওঠার পর!

***

১,৭০২ বার দেখা হয়েছে

২৫ টি মন্তব্য : “মনমরণের ইতিবৃত্ত”

  1. কামরুলতপু (৯৬-০২)

    মনরে আবার জীবন দেওয়া যায় না? সেলফোনের চার্জারের মত আবার চার্জ?
    দোস্ত আমি লেখা দিতে আসলেই তোর লেখা পাই। কোন ভাবেই তোকে এভয়েড করতে পারি না। 🙁 , আমার হিট কাউন্ট কমে যায়। বড়ই দূর্ভাগ্যজনক

    জবাব দিন
  2. ওবায়দুল্লাহ (১৯৮৮-১৯৯৪)

    পেন্সিল,
    তোমার লেখা - হ্যাঁ - এ তোমারই লেখা।
    অদ্ভুত সুন্দর। চমৎকার।
    মাঝে মাঝে এত গর্ব লাগে যে - এই ছেলেটা আমার পরিচিত।
    এ আমার ছোট ভাই।
    :hug:


    সৈয়দ সাফী

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : আন্দালিব (৯৬-০২)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।