ফ্রেমবিষয়ক রচনাখণ্ডঃ পুরোনো জন্ম এবং নতুন মৃত্যু

প্রথম খণ্ড

গাড়ীটা চলছিল অনেক জোরে। জানালা খোলা। আমি অনেকদিন চুল কাটাইনি। তুমুল বাতাসে এলোমেলো হয়ে যাচ্ছিল বারবার। আমি ঠিক করার চেষ্টা করছিলাম না। আমার চোখ ঢেকে যাচ্ছিল ঝাপ্টায়, বার বার!

আমরা দুই ভাই এয়ারপোর্ট রোড দিয়ে শাঁ শাঁ করে ছুটে যাচ্ছি। ড্রাইভিং সীটে আমার খালাতো ভাই। বিস্রস্ত মুখে একগাল খোঁচা খোঁচা দাড়ি। বিপজ্জনকভাবে কয়েকটা গাড়িকে এদিক ওদিক করে পাশ কাটালো।

“আস্তে!” “সামলায়ে চালা!”- আমি একটু সচকিত হই!

“আর শালার বাইঞ্চোৎ দুনিয়া!” “আস্তে চালায়া কী লাভ?” – আরো কয়েকটা কুৎসিত জন্মসংক্রান্ত গালি বেরিয়ে আসে ওর মুখ দিয়ে।

দ্রুত মোড় ঘুরে আমরা আরেকটা রাস্তায় ঢুকে পড়ি। ফাঁকা রাস্তা- ঘড়িতে কোয়ার্টজ বলছে দশটা বেয়াল্লিশ।

“বাড়ি চল! আর কত রাস্তায় রাস্তায় ঘুরবি?”- আমার স্বরে হতাশা আর ক্লান্তি ঝরে পড়ে। শেষ কিছু সময় ধরে আমরা এখানে ঘুরছি। প্রায় ফাঁকা রাস্তাগুলোয় গাড়ির গ্যাস পুড়িয়ে চর্কির মতো, আর ওর মাথার ভেতর যেভাবে হিরোশিমা ভেঙে পড়ছে সেটা বুঝতে পেরে আমি থমকে থাকি! এখানে আমার কিছু বলার নাই।

দ্রুত ছায়াবাজি সামলে একটা বিকট ট্রাকের হর্ণ এবং ফ্ল্যাশলাইট আমাদের ঝলসে দেয়ার সাথে সাথেই ঘটাং করে ব্রেকহুইলটা ভেঙে গেল। ওর মুখ একচিলতে হাসি ঝিকিয়ে উঠল আর আমি দেখলাম বুলেট-মোশনে আমরা গাড়িসমেত আইল্যাণ্ডে আছড়ে পড়লাম। জ্ঞান হারানোর আগে তূর্য কাতর কণ্ঠে হেসে দিল না কঁকিয়ে উঠল সেটা আমি টের পাইনি।

—- —- —- —-

দ্বিতীয় খণ্ড

স্বচ্ছ গ্লাসে বিন্দু বিন্দু পানি জমে আছে। ভেতরে জমানো আইসক্রিম একটু একটু গলনের সূত্র মাপছে। টুং করে গ্লাসের গায়ে একটা টোকা দিল সুমাইয়া। দুয়েকফোঁটা পানি তার নখাগ্র ছুঁয়ে নেমে আসছিল। আলতো ঝাঁকিতে তারা নিচে রাখা টিস্যুতে আশ্রয় নিল। টিস্যুমাতার কোল ছাপিয়ে বিন্দুদ্বয় ব্যাপিত- অভিস্রবিত! সুমাইয়া নখ ঘষে মুছে নিতে নিতে দু’ঠোঁটে টেনে নিলো স্ট্র! ঘোলাটে স্ট্রয়ের ভেতর দিয়ে চকোলেট উঠছে ক্রমশ!

ঘড়িতে সময় দশটা বেজে পঁয়তাল্লিশ। সুমাইয়ার গায়ে শীতল শীতাতপ একটা পরশ বুলিয়ে দিলে সে একটু কেঁপে ওঠে কি? পাশে রাইয়ান বসে ছিল। আরো গাঢ় করে জড়িয়ে ধরে সে সুমাইয়াকে। তপ্ততার সূত্র তখন খেলতে শুরু করে। ইতস্তত বিক্ষেপ অভিক্ষেপ এপাশ ওপাশে দোলনাক্রান্ত-শৈশব বিস্মৃত হয়। সুমাইয়াও উষ্ণ হতে চায়!

তিনমিনিট পরে আবছা জ্ঞান ফিরলে তূর্যও উষ্ণ রক্তপাত টের পায়। আস্তিন ছাপিয়ে রক্ত ছুটছে ট্রাউজার ছাপিয়ে গরম স্রোত নামছে। সম্বিত ফিরে পেতেই পাশ ফিরে আমাকে দেখল ও। আমার পা দুটো দুমড়ে বেঁকিয়ে উপরের দিকে উঠে এসেছে পেটের কাছাকাছি। মুখ ঈষৎ হা। হাত দুটো সরানো। বুক জুড়ে চাপ চাপ রক্ত। গাড়ির উইন্ডশীল্ডের ফাটলে বিকিরিত হয় দূরান্তগামী হেডলাইট।

রক্তে যেন প্লাবন বইছে সুমাইয়ারাইয়ানের। তারা মিশে যেতে থাকলে সে টের পায় প্লাবন নামছে দুই পা জুড়ে। তূর্যের শরীরেও রক্ত বইছে। আমি দর্শক হয়ে যেতে যেতে টের পাচ্ছি তূর্য ঠা ঠা করে হেসে দিচ্ছে। সুমাইয়ার চাপা শীৎকারের সাথে ওর গোঙানি মিশে যাচ্ছে হাইওয়েতে।

—- —- —- —-

তৃতীয় খণ্ড

সাদা আলোর বেশ কিছু প্রকার আছে। হলুদাভ, নীলাভ অনেকগুলো শেডে সাদারঙ মেলে রাখা যায়। এখন যেমন নীলচে সাদা আলো জ্বলে আছে এখানে। দেয়ালের টাইলসগুলোকেও সেই আলোতে নীল মনে হচ্ছে। ফ্রস্টেড গ্লাস বন্ধ। শীতাতপের ঘন বিজবিজে শব্দের সাথে সহচর শব্দ হচ্ছে আরেকটাঃ পর্যায়বৃত্তিক বিপ্‌-বিপ্‌-বিপ্‌… । সেসময়ে দস্তানাবৃত অপরিচিত দু’হাত তূর্যের বাদামী জীবাণুনাশক মাখানো লোমহীন-ত্বকহীন পা থেকে পায়ের টিস্যুগুলো কেটে ফেলছিল। তীব্র সাদা আলোটাও সেখানে হা করে রাখা হাড়মাংসের পাশে ছটফট করছিল।

কালো হয়ে যাওয়া মরা টিস্যুগুলোকে ডাক্তারের কেটে ফেলা খচাখচ- সে দেখতে পারছিল না, কারণ চোখে সাদা গজ্‌ খুব শক্ত করে আঁটা। নাকেমুখে কয়েকগণ্ডা নল, অ্যানেস্থেটিকে ফুসফুস আর মস্তিষ্ক ভরা। ঘি’রঙা-দস্তানাতে রক্ত মিশতে থাকে, যেভাবে সুমাইয়ার ফর্শা উরুতে রক্ত মিশছিল। তূর্যের শরীরে ছোপ ছোপ শ্লেষা মিশেছিল তখনও! চিল-চিৎকার দিয়ে সে পৃথিবীকে জানাচ্ছিল তার ইশতেহার। ক্ষুদ্র হাত-পা অব্যবহৃত চলনে তৎপর! সুমাইয়া ক্লান্ত হেসে দিচ্ছিল। রাইয়ানের ঢেকে রাখা মুখে শুধু চোখের ঝিলিক দেখে সে বুঝে নিচ্ছিল যে তার সন্তান ঠিকঠাক জন্মেছে।

এখানে দস্তানা-সমূহ তূর্যের পা ড্রেসিং করে দিতে ব্যস্ত। আরও দু’দিন পরে তার শরীর জুড়ে লেন্সবাচক-চোখ স্থির হলে শিশু-তূর্য আর তরুণ-তূর্য ফ্রেমজুড়ে মাখামাখি হয়ে যায়।

কেন্দ্রে শুধু সুমাইয়ার হাসিটুকু অমলিন চেয়ে থাকে।

—- —- —- —-
(সমাপ্ত)

৪,৩৫৮ বার দেখা হয়েছে

৫১ টি মন্তব্য : “ফ্রেমবিষয়ক রচনাখণ্ডঃ পুরোনো জন্ম এবং নতুন মৃত্যু”

  1. কাইয়ূম (১৯৯২-১৯৯৮)

    হে নির্বাসিত, দণ্ডিত এবং অপৌরুষ-ক্লীবত্বে মৃতপ্রায় তরুণ লেখক, প্রথম খন্ডটি মন্ত্রমুগ্ধের ন্যায় পড়েছিলাম আরো আগেই, দ্বিতীয় আর তৃতীয়যে আবিশ্বাস্য দ্রুততায় দৃষ্টিসম্মুখে চলে আসবে সেটা আসলে ভাবনায় ভুল করেও আসেনি।


    সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!

    জবাব দিন
  2. মুহাম্মদ (৯৯-০৫)

    আন্দালিব ভাই, আপনার গল্প আগে একটাও পড়িনি। আড্ডায় বুঝলাম, আপনার বিষয়গুলো খুব কঠিন থাকে। বুঝে উঠতে বেশ কষ্ট হয়। যেমন, এই গল্প পড়ে আমিও অনেক কিছু বুঝিনি। কিন্তু বোঝার ইচ্ছা ছিল। তাই সাম-ইনে উঁকি দিলাম। সাম-ইনের মন্তব্যগুলো পড়ার পর গল্পটা একটু ক্লিয়ার হয়েছে।

    ওখানে দেখলাম একজন শর্টফিল্মের চিত্রনাট্য আর পরাবাস্তবতা নিয়ে মন্তব্য করেছেন। মন্তব্যটা পড়ার পরই মাথায় পল হ্যাগিসের "ক্র্যাশ" সিনেমাটার নাম চলে এলো। ক্র্যাশে তো একটি দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে কয়েকটি চরিত্রের এক হয়ে যাওয়া দেখানো হয়েছিল। সেখানে সমাজ সচেতনতার পাশাপাশি বোধহয় কিছুটা পরাবাস্তবতাও ছিল।

    যতটুকু ক্লিয়ার হয়েছে ততটুকু বলি, দ্যাখেন ঠিক হয় না-কি:
    স্থান-কালের কন্টিন্যুয়াম ভেঙেছেন। তার মানে তূর্যরই জন্ম এবং মৃত্যুর মুহূর্তকে এক ফ্রেমে নিয়ে এসেছেন। আর এই দুই ঘটনার দর্শক মাত্র একজন, যে কি-না আবার তূর্যরই সমবয়সী (?)। আপনার মন্তব্যে দেখলাম, ফ্রেমের মাঝে বন্দী জীবন। একজন বলেছেন, তছনছ করে দিতে গিয়ে নিজেদেরই তছনছ হয়ে যাওয়া। এতে বোধহয় আপনার সম্মতি আছে।
    তার মানে একটি স্থান-কালহীন ফ্রেমে জন্ম-মৃত্যু সংক্রান্ত তছনছের কাহিনী যার একজন দর্শক আছে। তার মানে ধরে নেয়া যায় এখানে কেবল "আমি" চরিত্রটিই স্থান-কালের কন্টিন্যুয়াম ভেঙেছে, সে-ই ফ্রেমের স্রষ্টা। বাকি সবাই স্থান-কালে বাঁধা। নাকি সবাই আলগা?

    ফ্রেমের বিষয়টা একটু ভেঙে বলবেন? আপনার এক মন্তব্যে দেখলাম, একজনকে ফ্রেমের জাদুকর বলেছেন। তার মানে এই স্টাইলে অনেক গল্প লেখা হচ্ছে?

    শেষকথা: যতটুকু বুঝেছি ভাল লেগেছে; এ নিয়ে পরীক্ষা চালিয়ে যান।

    জবাব দিন
    • আন্দালিব (৯৬-০২)

      আগে নমস্যদের কথা বলে নিই। যাকে জাদুকর বলেছি, সে এরকম ফ্রেম নিয়ে কবিতাও লিখে ফেলেছেন! পড়লে মনে হয় একটা চিত্রনাট্য, কিন্তু খেয়াল করলে বুঝা যায় যে সেটা একটা কবিতা! এই বাহাদুরি সবাই করতে পারে না। লেখাগুলো কিন্তু আবার 'গীতিনাট্য' ধরনের কিছু নয়, আসলেই অন্যরকম। অন্যের ব্লগ বলে তার অনুমতি ছাড়া লিঙ্ক দেয়াটা উচিত হবে না। তবে তুমি সহজেই তার ব্লগে অগাস্টের পোস্টগুলো দেখতে পারো। আমি খুবই চমৎকৃত হয়েছিলাম প্যাটার্নটা দেখে।

      এছাড়া অন্য যাঁদের কথা আনলে, তাঁদের মাঝে ক্র্যাশ ছবিটা দেখেছি তবে এই লেখার সময়ে সেটার কোন প্রভাব নিজের মাঝে টের পাইনি। সায়েন্স ফিকশনটা পড়ি নাই, সংগ্রহ করে পড়ে নিব।

      এই গল্পটা নিয়ে তুমি যে কথাগুলো বললে সেরকম পর্যবেক্ষণের জন্যে অনেক ধন্যবাদ! "আমি" চরিত্রটি এসেছে, শুধুই বর্ণনাকারী হিসেবে। এক্সিডেন্টের পর থেকে তাকে একটা অশরীরী ক্ষমতা দেবার চেষ্টা করেছি। তারপরেই খেয়াল করো, সুমাইয়ার বর্ণনা বেড়ে গেছে যদিও গল্পটা তূর্যকে নিয়ে। এর কারণসমূহ নানাভাবে ব্যাখ্যা করা যেতে পারে। তোমার সাথে রিলেট করে বলা যায়, যে যতোই তূর্যের মৃত্যু এগিয়ে আসছে, ততই আমরা তার জন্মক্ষণের দিকে এগিয়ে যেতে চাইছি (পাঠকশুদ্ধু)।

      তোমার আলোচনাটুকু খুবই ভালো লাগলো। ঐদিনের আড্ডায় আমিও বুঝেছি যে তুমি একটা 'জিনিশ'! ভাল থেকো! 🙂

      জবাব দিন
      • ফয়েজ (৮৭-৯৩)
        স্থান-কালের কন্টিন্যুয়াম ভেঙেছেন। তার মানে তূর্যরই জন্ম এবং মৃত্যুর মুহূর্তকে এক ফ্রেমে নিয়ে এসেছেন। আর এই দুই ঘটনার দর্শক মাত্র একজন, যে কি-না আবার তূর্যরই সমবয়সী (?)। আপনার মন্তব্যে দেখলাম, ফ্রেমের মাঝে বন্দী জীবন। একজন বলেছেন, তছনছ করে দিতে গিয়ে নিজেদেরই তছনছ হয়ে যাওয়া। এতে বোধহয় আপনার সম্মতি আছে।
        তার মানে একটি স্থান-কালহীন ফ্রেমে জন্ম-মৃত্যু সংক্রান্ত তছনছের কাহিনী যার একজন দর্শক আছে। তার মানে ধরে নেয়া যায় এখানে কেবল “আমি” চরিত্রটিই স্থান-কালের কন্টিন্যুয়াম ভেঙেছে, সে-ই ফ্রেমের স্রষ্টা। বাকি সবাই স্থান-কালে বাঁধা। নাকি সবাই আলগা?

        আবার পানি দিতে হইব।


        পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না

        জবাব দিন
        • ফয়েজ ভাই, আপনার এই বারবার পানি দেয়া নীতি পছন্দ হইল না... 🙁
          এর চেয়ে আমি এই যে পানির নিচেই আছি...এটাই অনেক ভাল... 🙂
          আন্দালিবের লেখা, ফৌজিয়ান ভাই, টিটো ভাই আর মুহাম্মদের কমেন্টের পর থেকে দেখলাম মাথা গরম হয়ে গেছে...পানি ঢেলেও লাভ হইল না দেখে একেবারে পানির নিচেই... ;;)

          চিন্তা কইরেন না বস, ল্যাপটপ্টা ওয়াটারপ্রুফ... B-)
          শীতকাল??? ঠান্ডা লেগে যাবে???
          আরে না...কি যে কন...মাথাডা ঠান্ডা থাকতেছে এইডাই অনেক... 😀

          জবাব দিন
  3. মুহাম্মদ (৯৯-০৫)

    আরেকটা কথা আন্দালিব ভাই। স্থান-কাল সম্বন্ধে আমাদের চিরাচরিত ধারণা ভেঙে যেহেতু পরীক্ষা করছেন, তাই আপনাকে একটি উপন্যাস সাজেস্ট করি। গত বছর কোন এক সময় কুর্ট ভনেগাটের নাম শুনেছিলাম। কয়েক মাস আগে তার একটা সায়েন্স ফিকশন উপন্যাস পড়েছি। নাম "Slaughterhouse-Five"। পড়েছেন নাকি?
    না পড়লে পড়ে দেখতে বলব। এই উপন্যাসের কাহিনী দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের এক কিশোর যোদ্ধাকে নিয়ে যে যুদ্ধের মাঝে সময়ের বাঁধন থেকে আলগা হয়ে যায়। ভনেগাট স্থান-কালের কোন কন্টিন্যুয়াম না মেনেই জার্মানির ড্রেসডেনে মিত্রবাহিনীর বোমাবর্ষণের বর্ণনা দিয়েছেন। আর ভিনগ্রহের আগন্তুকও আছে। উল্লেখ্য, ভনেগাট নিজেই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ড্রেসডেনে বন্দী ছিলেন।

    জবাব দিন
  4. কাইয়ূম (১৯৯২-১৯৯৮)

    গল্পের প্লট আইডিয়া চরম ইনোভেটিভ :salute:
    এইটা নিয়া কোনো সন্দেহ নাই
    কিন্তু প্রথম খন্ডে খটকা না থাকলেও পরের খন্ডে এসে উত্তম পুরুষের ধারাভাষ্যে কিছুটা বিভ্রান্তিতে পড়লাম। লেখকের গুণবিচারে এটা ইচ্ছাকৃতই ধরে নিতে বাধ্য হলাম।


    সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!

    জবাব দিন
    • আন্দালিব (৯৬-০২)

      অনেক ধন্যবাদ ফৌজিয়ান ভাই। আপনাকেও :salute:

      খটকার জায়গাটুকু পরিষ্কার করি।এই গল্পে “আমি” চরিত্রটি এসেছে, শুধুই বর্ণনাকারী হিসেবে। এক্সিডেন্টের পর থেকে তাকে একটা অশরীরী ক্ষমতা দেবার চেষ্টা করেছি।তার নিজের অনুভূতির বর্ণনা কম, কারণ ধরে নেয়া যায় যে এক্সিডেন্টে সে মারা গেছে (যে রকম ইনজুরি, তাতে বেঁচে থাকাও তো কঠিন!)। তারপরেই খেয়াল করেন, সুমাইয়ার বর্ণনা বেড়ে গেছে যদিও গল্পটা তূর্যকে নিয়ে। এর কারণসমূহ নানাভাবে ব্যাখ্যা করা যেতে পারে। এরকম একটা ব্যাখ্যা যে যতোই তূর্যের মৃত্যু এগিয়ে আসছে, ততই আমরা তার জন্মক্ষণের দিকে এগিয়ে যেতে চাইছি (পাঠকশুদ্ধু)।
      আরো আলোচনা চলতে পারে, চলুক! 🙂

      জবাব দিন
  5. টিটো রহমান (৯৪-০০)

    কবিরা লেখক হয়ে উঠলে ভয়ংকর হয়। সুনিল ভাল প্রমাণ।
    প্রথম খন্ডের মত একটা সহজপঠ্য গল্প লেখ আন্দালিব। এতদিন তো নিজের জন্য লেখলা এবার পাঠকদের জন্য লিখ। তোমার জন্য স্যালুট ইমোটা রেডি করে রাখলাম...


    আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই

    জবাব দিন
  6. ফয়েজ (৮৭-৯৩)

    তিনবার পানি ঢালছি, এক বার লেখা পইড়া, দুইবার কমেন্ট পইড়া।

    আমি তো জুনা মত প্রুফ না, নিউমেনিয়া না হইয়া যায় আবার।


    পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না

    জবাব দিন
  7. তানভীর (৯৪-০০)

    গল্পটা পড়লাম। কি বুঝলাম তা বলছি।

    এইটা আসলে একটা সায়েন্টিফিক গল্প। এইখানে আমাদের ত্রিমাত্রিক দুনিয়ার বাইরে চতুর্মাত্রিক দুনিয়ার কথা বলা হইছে। চতুর্মাত্রা, মানে সময়ের অক্ষকে স্থির রেখে বাকি তিন মাত্রাকে লেখক আবর্তন করিয়েছেন। দুইটি ভিন্ন সময়ের, ভিন্ন ফ্রেমের গল্পকে একই অক্ষের সাপেক্ষে...

    ধুর! আরও কি কি জানি বলতে চাইছিলাম, সব ভুলে গেছি। যাই, মাথায় পানি ঢাইল্যা আসি। ~x( ~x(

    জবাব দিন
    • জুনায়েদ কবীর (৯৫-০১)

      তানভীর ভাই কিচ্ছু হই নি... :thumbdown:
      এটা আসলে সামাজিক সচেতনতামূলক গল্প... :-B
      গল্পের নায়ক শক্তিশালী ( =)) ) অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চণের মতন বলতে চাচ্ছে...নিরাপদ সড়ক চাই... B-)

      আসুন সবাই ট্রাফিক সিগন্যাল মেনে চলি... :thumbup:
      মনে রাখবেন সময়ের চেয়ে জীবনের মূল্য অনেক বেশি... :-B


      ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ

      জবাব দিন
    • আন্দালিব (৯৬-০২)

      তানভীর ভাই, খালি সময়টা খেয়াল করলে হবে না। স্পেস ভাঙার ব্যাপারটাও খেয়াল করুন। এখানে সেজন্যে অক্ষ হিসেবে এগুতে চাইলে স্থান-কে আরেকটা অক্ষে স্থাপন করেন। তারপরে দুই অক্ষে ভেরিয়েবল হবে ঘটনাগুলো। এখানে সময়ের সাপেক্ষে স্থান চলক, আবার স্থানের সাপেক্ষে সময় চলক। সুতরাং... পর্যবেক্ষণ চলতে থাকুক। আরো কিছু বের হয়ে আসুক।

      অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

      জবাব দিন
    • আন্দালিব (৯৬-০২)

      অনেক ধন্যবাদ ওবায়দুল্লাহ ভাই! আপনার প্রোফাইল পিকটা আমার পরিচিত এক ব্লগারের সাথে মিলে, যাকে এই ফ্রেম বিষয়ক লেখালেখিতে আমি জাদুকর বলে মানি। আপনিই কি তিনি নাকি? হলে আওয়াজ দিয়েন, না হলে ইগনোর দিস কমেন্ট! 🙂

      জবাব দিন
  8. ওবায়দুল্লাহ (১৯৮৮-১৯৯৪)

    প্রিয় আন্দালিব ভাইয়া,

    আসলেই ফ্রেম এর যাদুকর কিনা জানি না তবে সেই অধম বোধকরি আমিই...

    😛
    ধরা খাইলাম না কি ! হা হা... 😀

    শুভেচ্ছা নিও অফুরন্ত।


    সৈয়দ সাফী

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : ওবায়দুল্লাহ (১৯৮৮-১৯৯৪)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।